ফিচার ডেস্ক
জিমে গিয়ে নতুন ওয়ার্কআউট সেশন নিচ্ছেন, কিন্তু দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না। এমন হলে হতাশ তো হতেই হয়। বাড়তি ওজন ঝরানো ও শক্তি বৃদ্ধির জন্য সুপরিকল্পিত ওয়ার্কআউট পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ। তবে ফিটনেসের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যায়ামই একমাত্র উপায় নয়; ব্যায়ামের সঙ্গে জীবনযাপনের আরও কিছু বিষয় যদি যুক্ত না করা যায় বা বাদ দেওয়া না যায়, তাহলে ফিট থাকা সম্ভব নয়। জেনে নিন যেসব কারণে নিয়মিত ব্যায়াম করার পরও কাঙ্ক্ষিত ফিটনেসের লক্ষ্য অর্জন করতে পারছেন না।
মানসিক চাপ ও ভালো ঘুম না হওয়া
সব সময় মানসিক চাপে যাঁরা থাকেন, তাঁদের কাজকর্ম, ব্যক্তিগত জীবন, স্বাস্থ্য তথা সামগ্রিক জীবনযাপনে ছন্দপতন ঘটে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ আমাদের শারীরিকভাবে ফিট থাকার অন্তরায়। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে বাড়তি চর্বি জমা হতে পারে। বিশেষ করে পেটের উপরিভাগের মেদের জন্য এই কর্টিসল অনেকাংশে দায়ী। শুধু তা-ই নয়, অতিমাত্রায় নিঃসরণের ফলে পেশির ক্ষতি বা ক্লান্তি কেটে গিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে এই হরমোন।
শক্তি বৃদ্ধি এবং শরীরের চর্বি পোড়ার জন্য পেশির ক্লান্তি দূর করা অত্যাবশ্যক। আর পেশির পুনরুদ্ধারে পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। কিন্তু যদি আপনি তীব্র মানিসক চাপে থাকেন, তাহলে আপনার ঘুম ভালো না-ও হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ কর্টিসলের মাত্রা এবং কম ঘুমের মধ্যে একটি যোগসূত্র রয়েছে। প্রতি রাতে যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, তাহলে জিমে আপনার কঠোর পরিশ্রম পণ্ড হয়ে যেতে পারে। তাই দৈনন্দিন রুটিনে ব্যায়ামকে যেমন অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তেমনি আপনার মানসিক সুস্থতার জন্য উপকারী নয়—এমন কার্যকলাপ ছেড়ে দিন। তাহলে ধীরে ধীরে শরীরের পরিবর্তন চোখে পড়বে।
পেশি বৃদ্ধির পরিবর্তে চর্বি ঝরানোয় মনোযোগ
আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, কার্ডিও এবং শক্তি প্রশিক্ষণের মিশ্রণ ঘটান; তাহলে আপনার শরীরে পেশি ও চর্বির অনুপাত ঠিক থাকবে। যদি আপনি চর্বি ঝরানোর সময় একই সঙ্গে পেশি বৃদ্ধি করেন; তবে ওজন মেশিনে আপনার ওজনের তারতম্য না-ও চোখে পড়তে পারে। তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পেশি বৃদ্ধি অনেক সময় ওজন মাপার যন্ত্রে চর্বি হ্রাস হওয়াকে ঠাহর করতে দেয় না। কারণ, পেশি চর্বির চেয়ে ঘন হয়, কিন্তু তা শরীরে চর্বির তুলনায় কম জায়গা নেয়। এ কারণে হয়তো ওজন মাপা যন্ত্রে ওজন আগের মতো দেখালেও আগের তুলনায় জামাকাপড়ে আপনাকে অনেক বেশি ফিট দেখায়।
ব্যায়াম ছাড়া কায়িক পরিশ্রম করেন
শরীরের শক্তি বৃদ্ধি ও ওজন কমানোর লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনার ওয়ার্কআউটের বাইরে আপনি আর কী কী করেন, তা-ও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ফিটনেস ধরে রাখার জন্য। সারা দিন ছোট ছোট নড়াচড়া, যেমন হাঁটা, ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা, খেলাধুলা, নিজের কাজ নিজে করা ইত্যাদি ক্যালরি পোড়াতে সহায়তা করে। হয়তো জিমে প্রতিদিন একটু একটু করে সময় বাড়াচ্ছেন। অন্যদিকে সারা দিন শুয়ে-বসে আছেন; তাহলে কাঙ্ক্ষিত শরীরের মাপে ফেরত আসা সম্ভব হবে। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা অথবা অফিসে কাজের ফাঁকে ডেস্ক থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করা, ঘর মোছা ইত্যাদির মাধ্যমে আপনার ফিটনেস কসরত আরেকটু এগিয়ে নিতে পারেন।
লাগাম ছাড়া ডায়েট রুটিন
নতুন জিমে ভর্তি হয়েছেন? তাহলে এর মর্ম আপনি বুঝবেন। দুই ঘণ্টা ব্যায়াম করার পর তীব্র ক্ষুধা অনুভব করা স্বাভাবিক। কারণ, শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্যালরি পোড়াচ্ছে। তখন উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারের চেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবারকে অগ্রাধিকার দিতে হচ্ছে। তীব্র অনীহার সঙ্গে সেগুলো খেতেও হচ্ছে। অনেকে অল্প খাওয়ার জন্য শরীরের চাহিদা পূরণ না করে খাবারের টেবিল থেকে উঠে যাচ্ছেন। এটা মনে রাখা জরুরি যে অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে তৃপ্তি ও শক্তি পুনরুদ্ধারের জন্য পুষ্টিকর খাবার দিয়ে শরীরকে জ্বালানি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে বেছে নিতে হবে ফুল প্লেট স্বাস্থ্যকর খাবার। ফল ও শাকসবজির মতো পূর্ণ, উচ্চ প্রোটিন এবং উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার ওপর মনোযোগ দিতে হবে। যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ক্যালরির ঘাটতিতে নজর রাখে। এসব খাবার সময় নিয়ে ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। ধীরে ধীরে শরীরের পরিবর্তন চোখে পড়বে।
সূত্র: নাইকি ডটকম
জিমে গিয়ে নতুন ওয়ার্কআউট সেশন নিচ্ছেন, কিন্তু দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রম করেও কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছেন না। এমন হলে হতাশ তো হতেই হয়। বাড়তি ওজন ঝরানো ও শক্তি বৃদ্ধির জন্য সুপরিকল্পিত ওয়ার্কআউট পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ। তবে ফিটনেসের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যায়ামই একমাত্র উপায় নয়; ব্যায়ামের সঙ্গে জীবনযাপনের আরও কিছু বিষয় যদি যুক্ত না করা যায় বা বাদ দেওয়া না যায়, তাহলে ফিট থাকা সম্ভব নয়। জেনে নিন যেসব কারণে নিয়মিত ব্যায়াম করার পরও কাঙ্ক্ষিত ফিটনেসের লক্ষ্য অর্জন করতে পারছেন না।
মানসিক চাপ ও ভালো ঘুম না হওয়া
সব সময় মানসিক চাপে যাঁরা থাকেন, তাঁদের কাজকর্ম, ব্যক্তিগত জীবন, স্বাস্থ্য তথা সামগ্রিক জীবনযাপনে ছন্দপতন ঘটে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ আমাদের শারীরিকভাবে ফিট থাকার অন্তরায়। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে বাড়তি চর্বি জমা হতে পারে। বিশেষ করে পেটের উপরিভাগের মেদের জন্য এই কর্টিসল অনেকাংশে দায়ী। শুধু তা-ই নয়, অতিমাত্রায় নিঃসরণের ফলে পেশির ক্ষতি বা ক্লান্তি কেটে গিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে এই হরমোন।
শক্তি বৃদ্ধি এবং শরীরের চর্বি পোড়ার জন্য পেশির ক্লান্তি দূর করা অত্যাবশ্যক। আর পেশির পুনরুদ্ধারে পর্যাপ্ত ঘুম অপরিহার্য। কিন্তু যদি আপনি তীব্র মানিসক চাপে থাকেন, তাহলে আপনার ঘুম ভালো না-ও হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ কর্টিসলের মাত্রা এবং কম ঘুমের মধ্যে একটি যোগসূত্র রয়েছে। প্রতি রাতে যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, তাহলে জিমে আপনার কঠোর পরিশ্রম পণ্ড হয়ে যেতে পারে। তাই দৈনন্দিন রুটিনে ব্যায়ামকে যেমন অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তেমনি আপনার মানসিক সুস্থতার জন্য উপকারী নয়—এমন কার্যকলাপ ছেড়ে দিন। তাহলে ধীরে ধীরে শরীরের পরিবর্তন চোখে পড়বে।
পেশি বৃদ্ধির পরিবর্তে চর্বি ঝরানোয় মনোযোগ
আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, কার্ডিও এবং শক্তি প্রশিক্ষণের মিশ্রণ ঘটান; তাহলে আপনার শরীরে পেশি ও চর্বির অনুপাত ঠিক থাকবে। যদি আপনি চর্বি ঝরানোর সময় একই সঙ্গে পেশি বৃদ্ধি করেন; তবে ওজন মেশিনে আপনার ওজনের তারতম্য না-ও চোখে পড়তে পারে। তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। পেশি বৃদ্ধি অনেক সময় ওজন মাপার যন্ত্রে চর্বি হ্রাস হওয়াকে ঠাহর করতে দেয় না। কারণ, পেশি চর্বির চেয়ে ঘন হয়, কিন্তু তা শরীরে চর্বির তুলনায় কম জায়গা নেয়। এ কারণে হয়তো ওজন মাপা যন্ত্রে ওজন আগের মতো দেখালেও আগের তুলনায় জামাকাপড়ে আপনাকে অনেক বেশি ফিট দেখায়।
ব্যায়াম ছাড়া কায়িক পরিশ্রম করেন
শরীরের শক্তি বৃদ্ধি ও ওজন কমানোর লক্ষ্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনার ওয়ার্কআউটের বাইরে আপনি আর কী কী করেন, তা-ও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ফিটনেস ধরে রাখার জন্য। সারা দিন ছোট ছোট নড়াচড়া, যেমন হাঁটা, ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা, খেলাধুলা, নিজের কাজ নিজে করা ইত্যাদি ক্যালরি পোড়াতে সহায়তা করে। হয়তো জিমে প্রতিদিন একটু একটু করে সময় বাড়াচ্ছেন। অন্যদিকে সারা দিন শুয়ে-বসে আছেন; তাহলে কাঙ্ক্ষিত শরীরের মাপে ফেরত আসা সম্ভব হবে। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা অথবা অফিসে কাজের ফাঁকে ডেস্ক থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করা, ঘর মোছা ইত্যাদির মাধ্যমে আপনার ফিটনেস কসরত আরেকটু এগিয়ে নিতে পারেন।
লাগাম ছাড়া ডায়েট রুটিন
নতুন জিমে ভর্তি হয়েছেন? তাহলে এর মর্ম আপনি বুঝবেন। দুই ঘণ্টা ব্যায়াম করার পর তীব্র ক্ষুধা অনুভব করা স্বাভাবিক। কারণ, শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্যালরি পোড়াচ্ছে। তখন উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবারের চেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবারকে অগ্রাধিকার দিতে হচ্ছে। তীব্র অনীহার সঙ্গে সেগুলো খেতেও হচ্ছে। অনেকে অল্প খাওয়ার জন্য শরীরের চাহিদা পূরণ না করে খাবারের টেবিল থেকে উঠে যাচ্ছেন। এটা মনে রাখা জরুরি যে অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে তৃপ্তি ও শক্তি পুনরুদ্ধারের জন্য পুষ্টিকর খাবার দিয়ে শরীরকে জ্বালানি দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে বেছে নিতে হবে ফুল প্লেট স্বাস্থ্যকর খাবার। ফল ও শাকসবজির মতো পূর্ণ, উচ্চ প্রোটিন এবং উচ্চ আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার ওপর মনোযোগ দিতে হবে। যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ক্যালরির ঘাটতিতে নজর রাখে। এসব খাবার সময় নিয়ে ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে। ধীরে ধীরে শরীরের পরিবর্তন চোখে পড়বে।
সূত্র: নাইকি ডটকম
বিকেল বেলা ছাদে ফুরফুরে হাওয়া খেতে যাচ্ছেন? খালি হাতে যাবেন নাকি? সঙ্গে জিবে জল আনা টক-ঝাল-মিষ্টি কিছু নেবেন না? এখন পেয়ারার মৌসুম। এক বাটি মসলামাখা পেয়ারা সঙ্গে নিয়ে ছাদে বসে খান। গল্পও জমবে, সময়টাও ভালো কাটবে। আপনাদের জন্য টক-ঝাল-মিষ্টি পেয়ারা মাখার রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক
৬ ঘণ্টা আগেতারকাদের এয়ারপোর্ট স্টাইল যতই প্রশংসা করি না কেন, যখন বিমান ভ্রমণের জন্য পোশাক বাছতে হয়, তখন কী পরা উচিত, তা ঠিক করা সব সময় সহজ নয়। যেমন ফ্লিপ ফ্লপ স্যান্ডেল যেকোনো সৈকত ছুটির জন্য অপরিহার্য অনুষঙ্গ। কিন্তু বিমান ভ্রমণের জন্য ফ্লিপ ফ্লপ ধরণেনের জুতা বা স্যান্ডেল পরা উচিত নয়।
৮ ঘণ্টা আগেকি প্রেমে, কি আন্দোলনে, জেন-জি প্রজন্মের উপস্থিতি সবখানে। ফলে ‘জেন-জি’ শব্দটি শুনলেই এখন এক দ্রোহী প্রজন্মের তারুণ্যের প্রতিচ্ছবি চোখে ভাসে। কয়েক বছর ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই প্রজন্মের তরুণদের কর্মকাণ্ড এমন ছবিই তৈরি করেছে আমাদের মনে।
৯ ঘণ্টা আগেসাদামাটা, কিন্তু সুস্বাদু—দুপুরের খাবারে এমন কিছু কি রান্নার কথা ভাবছেন? তাহলে দেখে নিতে পারেন এই রেসিপি। আপনাদের জন্য ঝিঙে দিয়ে ভাগনা মাছের রসার রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী..
১০ ঘণ্টা আগে