ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
‘আশ্চর্য! মেয়েটা রেগে গেল কেন?’
একটি জনপ্রিয় নাটকে জাহিদ হাসানের জনপ্রিয় একটি সংলাপ এটি। বাস্তব জীবনে মানুষ এমন অনেক ঘটনার সম্মুখীন হয়, যেখানে মনেই হতে পারে, রেগে গেল কেন? রেগে যাওয়া বা রাগ হওয়া কিংবা রাগের বহিঃপ্রকাশ, সব মিলিয়ে এর প্রভাব ওই পরিবেশ, ঘটনা এবং বিশেষ করে মানুষের ওপর পড়ে। সম্পর্কের ওপর রাগের প্রভাব অনেক বেশি।
রাগ প্রকাশ করুন, তবে সংযমের সঙ্গে। কোনো বিশ্বস্ত বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করুন এর কারণ। চিৎকার করে নয়, শান্ত কথাবার্তাই সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
রেগে গিয়ে বলে ফেলা কথার কারণে অনেক সম্পর্কই নষ্ট হয়ে যায় মুহূর্তে। রাগের মাথায় নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে এক লহমায় জীবন বদলে যেতে পারে। প্রতিদিন মানুষ কিছু না কিছু শেখে। এই জীবনে শেখার মধ্যে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখে ফেলাটা হতে পারে ‘লাইফ সেভিয়ার’ শিক্ষা। তাই সময় নষ্ট না করে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখুন। মনে রাখুন এই ৮ উপায়।
কথা বলার আগে ভাবুন
প্রচণ্ড উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে চেষ্টা করতে হবে কোনো কিছু না বলতে। কারণ, এমন মানুষ না ভেবে অনেক কিছু বলে থাকে। এতে সম্পর্ক কিংবা পরিস্থিতি খারাপের দিকে চলে যায়। মুহূর্তের উত্তেজনায় এমন কিছু বলা যাবে না, যার জন্য পরে অনুশোচনা করতে হতে পারে। একবার শান্ত হয়ে তারপর উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত। অন্যদের আঘাত না করে বা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করে, উদ্বেগ ও চাহিদা স্পষ্টভাবে এবং সরাসরি বলার চেষ্টা করতে হবে। কল্পনায় স্টপ সাইন দেখুন। এটি মূলত আবেগ থামানোর কথা মনে করিয়ে দেবে।
নিজেকে বলুন ‘টাইমআউট’
টাইমআউট কেবল শিশুদের জন্য নয়। দিনের যে সময়গুলো সাধারণত চাপ পূর্ণ, সেই সময়গুলোতে নিজের কাজ থেকে ছোট একটি বিরতি নিন। কিছুক্ষণের নীরবতা বিরক্ত বা রাগান্বিত না হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। নিজেকে কিছু সময়ের জন্য আলাদা রাখুন, একা থাকুন, ভাবুন, রাগ কমে যাবে।
কিছু ব্যায়াম করুন
রাগের কারণ হতে পারে এমন চাপ কমাতে সাহায্য করে শারীরিক কার্যকলাপ বা ব্যায়াম। ধরুন, রাগ আরও বেড়ে যাচ্ছে, তাহলে দ্রুত হাঁটুন বা দৌড়ান। অথবা অন্যান্য উপভোগ্য শারীরিক কার্যকলাপ করার জন্য কিছু সময় ব্যয় করুন। এটা অনেকে নিজের অজান্তে করে থাকেন। ঘাড় ও কাঁধ ঘোরানোর মতো সহজ ব্যায়াম রাগ কমাতে সাহায্য করে। ধাপে ধাপে শরীরের প্রতিটি অংশে টান দিন এবং ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন। শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে এই ব্যায়াম করুন। অথবা সুযোগ পেলে একটু সাইকেল চালিয়ে নিন।
গভীর শ্বাস নিন, কল্পনা করুন
রাগ বাড়লে আমাদের নিশ্বাস ছোট ও দ্রুত হয়। এটা প্রতিহত করুন। নাক দিয়ে ধীরে শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে ছাড়ুন। অথবা সংখ্যা গণনা করতে পারেন। অর্থাৎ ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনুন। যদি খুব রেগে যান, তাহলে ১০০ পর্যন্ত গুনুন। এতে আপনার হৃৎস্পন্দন ধীর হবে এবং রাগ অনেকটাই কমে আসবে। নিজেকে শান্ত করার জন্য একটি শব্দ বা বাক্য বারবার বলুন, যেমন, ‘শান্ত থাক’, ‘সব ঠিক হয়ে যাবে’, ‘নিজেকে সামলাও’, এমন কিছু। চোখ বন্ধ করে নিজেকে একটি শান্ত পরিবেশে কল্পনা করুন। কিছুক্ষণ চুপ থাকুন, ঠোঁট বন্ধ রাখুন।
সম্ভাব্য সমাধানগুলো চিহ্নিত করুন
অনেক সময় এমন হয় যে কারও কোনো কাজে রেগে গেছেন। কিন্তু সেই মানুষ আপনার সামনে নেই। সে ক্ষেত্রে কাজটা সহজ। কিসের ওপর রাগ করেছেন, তার ওপর মনোযোগ না দিয়ে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করুন। যেমন সন্তানের অগোছালো ঘর দেখতে বিরক্ত লাগলে সেই ঘরের দরজাটা বন্ধ করে রাখুন কিছুক্ষণ। বাড়ির লোকজন প্রতি রাতে দেরিতে খাবার খেতে চাইলে সন্ধ্যার পরে খাবারের সময়সূচি নির্ধারণ করে দিন।
সব জিনিস নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। নিজের বাধা ও ক্ষমতা দুটি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে রাখতে হবে। নিজের সম্পর্কে বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে মনে করিয়ে দিন, রাগ কিছুই ঠিক করবে না; বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। সমালোচনা করা বা দোষারোপ করা কেবল উত্তেজনা বাড়াতে পারে। অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। কথা বলার ধরনে পরিবর্তন আনুন।
ক্ষমা করতে শিখুন
ক্ষমা একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। রাগ ও অন্যান্য নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক অনুভূতি দিয়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে নিজের তিক্ততা বা অন্যায়ের অনুভূতি ভুলে থাকা সম্ভব। যার ওপরে রাগ, তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করে নিতে হবে নিজে নিজেই। মুখের ওপরে বলে যদি কাউকে ক্ষমা করতে না-ও পারেন, অন্তত মনে মনে তাকে ক্ষমা করার চেষ্টা করুন। তাহলে রাগ চলে যাবে।
কখন সাহায্য চাইতে হবে, তা জানুন
রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শেখা মাঝে মাঝে চ্যালেঞ্জের বিষয় হতে পারে। যদি আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, আপনাকে এমন কিছু করতে বাধ্য করে, যার জন্য আপনি অনুতপ্ত হতে পারেন, তাহলে রাগের সমস্যা সমাধানের জন্য সাহায্য নিন। কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন, তা আগে থেকে অনুশীলন করুন। আপনার জীবনে যা ভালো, তা মনে করুন। এটা রাগ প্রশমিত করতে সাহায্য করে।
মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিন
বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন। যিনি আপনাকে বুঝবেন। আবার যিনি আপনাকে উসকে দিতে পারে, তেমন বন্ধুর কাছ থেকে রাগের সময় দূরত্ব বজায় রাখুন। খুব ভালো বন্ধুর সঙ্গে রাগের কারণ নিয়ে আলোচনা করুন। এতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেতে পারেন। জার্নাল বা ডায়েরিতে মনের কথা লিখে ফেলুন। কী বলবেন, তা না ভেবে লিখে ফেলুন, এতেও রাগ কমে যাবে। অথবা গান শুনুন। প্রিয় গান চালিয়ে দিন, হেডফোন পরুন বা গাড়িতে গিয়ে গান শুনুন। এতে রাগ সহজে দূর হবে। যার ওপর আপনি রেগে আছেন, তার উদ্দেশে একটি চিঠি বা ই-মেইল লিখুন, তারপর মুছে ফেলুন। এতে মন হালকা হবে। সৃষ্টিশীল কিছুর মাধ্যমে রাগ প্রকাশ করুন। রাগ কাজে লাগান আঁকায়, কবিতায়, বাগান করায় অথবা সংগীত সৃষ্টিতে। সৃষ্টিশীলতা রাগ প্রশমনের শক্তিশালী মাধ্যম।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক, হেলথ লাইন
‘আশ্চর্য! মেয়েটা রেগে গেল কেন?’
একটি জনপ্রিয় নাটকে জাহিদ হাসানের জনপ্রিয় একটি সংলাপ এটি। বাস্তব জীবনে মানুষ এমন অনেক ঘটনার সম্মুখীন হয়, যেখানে মনেই হতে পারে, রেগে গেল কেন? রেগে যাওয়া বা রাগ হওয়া কিংবা রাগের বহিঃপ্রকাশ, সব মিলিয়ে এর প্রভাব ওই পরিবেশ, ঘটনা এবং বিশেষ করে মানুষের ওপর পড়ে। সম্পর্কের ওপর রাগের প্রভাব অনেক বেশি।
রাগ প্রকাশ করুন, তবে সংযমের সঙ্গে। কোনো বিশ্বস্ত বন্ধুর সঙ্গে শেয়ার করুন এর কারণ। চিৎকার করে নয়, শান্ত কথাবার্তাই সঠিক সমাধানে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
রেগে গিয়ে বলে ফেলা কথার কারণে অনেক সম্পর্কই নষ্ট হয়ে যায় মুহূর্তে। রাগের মাথায় নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে এক লহমায় জীবন বদলে যেতে পারে। প্রতিদিন মানুষ কিছু না কিছু শেখে। এই জীবনে শেখার মধ্যে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখে ফেলাটা হতে পারে ‘লাইফ সেভিয়ার’ শিক্ষা। তাই সময় নষ্ট না করে নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শিখুন। মনে রাখুন এই ৮ উপায়।
কথা বলার আগে ভাবুন
প্রচণ্ড উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে চেষ্টা করতে হবে কোনো কিছু না বলতে। কারণ, এমন মানুষ না ভেবে অনেক কিছু বলে থাকে। এতে সম্পর্ক কিংবা পরিস্থিতি খারাপের দিকে চলে যায়। মুহূর্তের উত্তেজনায় এমন কিছু বলা যাবে না, যার জন্য পরে অনুশোচনা করতে হতে পারে। একবার শান্ত হয়ে তারপর উদ্বেগ প্রকাশ করা উচিত। অন্যদের আঘাত না করে বা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা না করে, উদ্বেগ ও চাহিদা স্পষ্টভাবে এবং সরাসরি বলার চেষ্টা করতে হবে। কল্পনায় স্টপ সাইন দেখুন। এটি মূলত আবেগ থামানোর কথা মনে করিয়ে দেবে।
নিজেকে বলুন ‘টাইমআউট’
টাইমআউট কেবল শিশুদের জন্য নয়। দিনের যে সময়গুলো সাধারণত চাপ পূর্ণ, সেই সময়গুলোতে নিজের কাজ থেকে ছোট একটি বিরতি নিন। কিছুক্ষণের নীরবতা বিরক্ত বা রাগান্বিত না হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। নিজেকে কিছু সময়ের জন্য আলাদা রাখুন, একা থাকুন, ভাবুন, রাগ কমে যাবে।
কিছু ব্যায়াম করুন
রাগের কারণ হতে পারে এমন চাপ কমাতে সাহায্য করে শারীরিক কার্যকলাপ বা ব্যায়াম। ধরুন, রাগ আরও বেড়ে যাচ্ছে, তাহলে দ্রুত হাঁটুন বা দৌড়ান। অথবা অন্যান্য উপভোগ্য শারীরিক কার্যকলাপ করার জন্য কিছু সময় ব্যয় করুন। এটা অনেকে নিজের অজান্তে করে থাকেন। ঘাড় ও কাঁধ ঘোরানোর মতো সহজ ব্যায়াম রাগ কমাতে সাহায্য করে। ধাপে ধাপে শরীরের প্রতিটি অংশে টান দিন এবং ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন। শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে এই ব্যায়াম করুন। অথবা সুযোগ পেলে একটু সাইকেল চালিয়ে নিন।
গভীর শ্বাস নিন, কল্পনা করুন
রাগ বাড়লে আমাদের নিশ্বাস ছোট ও দ্রুত হয়। এটা প্রতিহত করুন। নাক দিয়ে ধীরে শ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে ছাড়ুন। অথবা সংখ্যা গণনা করতে পারেন। অর্থাৎ ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনুন। যদি খুব রেগে যান, তাহলে ১০০ পর্যন্ত গুনুন। এতে আপনার হৃৎস্পন্দন ধীর হবে এবং রাগ অনেকটাই কমে আসবে। নিজেকে শান্ত করার জন্য একটি শব্দ বা বাক্য বারবার বলুন, যেমন, ‘শান্ত থাক’, ‘সব ঠিক হয়ে যাবে’, ‘নিজেকে সামলাও’, এমন কিছু। চোখ বন্ধ করে নিজেকে একটি শান্ত পরিবেশে কল্পনা করুন। কিছুক্ষণ চুপ থাকুন, ঠোঁট বন্ধ রাখুন।
সম্ভাব্য সমাধানগুলো চিহ্নিত করুন
অনেক সময় এমন হয় যে কারও কোনো কাজে রেগে গেছেন। কিন্তু সেই মানুষ আপনার সামনে নেই। সে ক্ষেত্রে কাজটা সহজ। কিসের ওপর রাগ করেছেন, তার ওপর মনোযোগ না দিয়ে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করুন। যেমন সন্তানের অগোছালো ঘর দেখতে বিরক্ত লাগলে সেই ঘরের দরজাটা বন্ধ করে রাখুন কিছুক্ষণ। বাড়ির লোকজন প্রতি রাতে দেরিতে খাবার খেতে চাইলে সন্ধ্যার পরে খাবারের সময়সূচি নির্ধারণ করে দিন।
সব জিনিস নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। নিজের বাধা ও ক্ষমতা দুটি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে রাখতে হবে। নিজের সম্পর্কে বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে মনে করিয়ে দিন, রাগ কিছুই ঠিক করবে না; বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। সমালোচনা করা বা দোষারোপ করা কেবল উত্তেজনা বাড়াতে পারে। অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। কথা বলার ধরনে পরিবর্তন আনুন।
ক্ষমা করতে শিখুন
ক্ষমা একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। রাগ ও অন্যান্য নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক অনুভূতি দিয়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এতে নিজের তিক্ততা বা অন্যায়ের অনুভূতি ভুলে থাকা সম্ভব। যার ওপরে রাগ, তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করে নিতে হবে নিজে নিজেই। মুখের ওপরে বলে যদি কাউকে ক্ষমা করতে না-ও পারেন, অন্তত মনে মনে তাকে ক্ষমা করার চেষ্টা করুন। তাহলে রাগ চলে যাবে।
কখন সাহায্য চাইতে হবে, তা জানুন
রাগ নিয়ন্ত্রণ করা শেখা মাঝে মাঝে চ্যালেঞ্জের বিষয় হতে পারে। যদি আপনার রাগ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, আপনাকে এমন কিছু করতে বাধ্য করে, যার জন্য আপনি অনুতপ্ত হতে পারেন, তাহলে রাগের সমস্যা সমাধানের জন্য সাহায্য নিন। কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন, তা আগে থেকে অনুশীলন করুন। আপনার জীবনে যা ভালো, তা মনে করুন। এটা রাগ প্রশমিত করতে সাহায্য করে।
মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিন
বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন। যিনি আপনাকে বুঝবেন। আবার যিনি আপনাকে উসকে দিতে পারে, তেমন বন্ধুর কাছ থেকে রাগের সময় দূরত্ব বজায় রাখুন। খুব ভালো বন্ধুর সঙ্গে রাগের কারণ নিয়ে আলোচনা করুন। এতে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেতে পারেন। জার্নাল বা ডায়েরিতে মনের কথা লিখে ফেলুন। কী বলবেন, তা না ভেবে লিখে ফেলুন, এতেও রাগ কমে যাবে। অথবা গান শুনুন। প্রিয় গান চালিয়ে দিন, হেডফোন পরুন বা গাড়িতে গিয়ে গান শুনুন। এতে রাগ সহজে দূর হবে। যার ওপর আপনি রেগে আছেন, তার উদ্দেশে একটি চিঠি বা ই-মেইল লিখুন, তারপর মুছে ফেলুন। এতে মন হালকা হবে। সৃষ্টিশীল কিছুর মাধ্যমে রাগ প্রকাশ করুন। রাগ কাজে লাগান আঁকায়, কবিতায়, বাগান করায় অথবা সংগীত সৃষ্টিতে। সৃষ্টিশীলতা রাগ প্রশমনের শক্তিশালী মাধ্যম।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক, হেলথ লাইন
সাপের বিষ মিশ্রিত কফি! চমকে উঠবেন না। পৃথিবীতে এরকম কফি আছে। আপনি যদি কখনো উত্তর ভিয়েতনামে ভ্রমণে যান, সেখানে বিশেষ বিশেষ রেস্তোরাঁয় খোঁজ করলেই পেয়ে যাবেন সাপের বিষ মেশানো কফি। আর অবাক ব্যাপার হলো, সে অঞ্চলের মানুষ মনে করে এটি এক আশ্চর্য ওষুধ!
৪ ঘণ্টা আগেবাড়িতে ভেটকি মাছ আছে? হঠাৎ যদি নতুন রেসিপি বানাতে ইচ্ছা হয়, তাহলে ভেটকি মাছ দিয়ে তৈরি করতে পারেন প্যান ফ্রাইড ফিশ উইদ পমেগ্রেনেট মোলাসেস অ্যান্ড পমেগ্রেনেট কিউকাম্বার সালাদ। সোজা কথায়, বেদানা বা ডালিমের রস থেকে বানানো সিরাপের সঙ্গে ভেটকির ভাজা আর ডালিম দানা ও শসার সালাদ।
৮ ঘণ্টা আগেবর্ষায় ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার জন্য ত্বকে ছত্রাকঘটিত সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এ সময় ব্যাকটেরিয়া ও বিভিন্ন ধরনের ফাঙ্গাসের সংক্রমণে চুলকানি, র্যাশ বা ত্বক ফুলে ওঠার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ সময় ত্বকের প্রতি একটু বেশি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।
২১ ঘণ্টা আগেডাচ শিশুরা বিশ্বের সবচেয়ে সুখী। এ বছর ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ওইসিডিভুক্ত ৪৩টি দেশের মধ্যে নেদারল্যান্ডসের শিশুরাই সবচেয়ে সুখী বলে উঠে এসেছে। কিন্তু কেন এমনটা হয়েছে? এর পেছনের কারণ খুঁজতে গিয়ে মার্কিন কিশোরী মেরি ফ্রান্সিস রাস্কেল নিজের অভিজ্ঞতা আর পর্যবেক্ষণ দিয়ে বিশ্লেষণ তুলে ধরেছ
১ দিন আগে