সানজিদা সামরিন, ঢাকা
[…] এই পুরাতন হৃদয় আমার আজি পুলকে দুলিয়া উঠিছে আবার বাজি
নূতন মেঘের ঘনিমার পানে চেয়ে॥
রহিয়া রহিয়া বিপুল মাঠের 'পরে নব তৃণদলে বাদলের ছায়া পড়ে। […]
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এই গানে যেন আষাঢ়ের বৃষ্টিভেজা বাতাস মিশে রয়েছে। আষাঢ়ের ঘন মেঘে ঢাকা আকাশ দেখে যদি সকালে ঘুম ভাঙে, আর পুরো দিনটাই যদি ঘরে কাটে, তাহলে আনন্দের আর শেষ থাকে না। বৃষ্টির সঙ্গে যদি ছুটির দিনের মেলবন্ধন হয়, তাহলে তো কথাই নেই। আর যাঁদের রোজকার দিনই কাটে বাড়িতে, তাঁরাও যেন ঝুম বৃষ্টির দিনে পরিকল্পনা সাজান নতুন করে। দুপুরের রান্নাটা হবে ভিন্ন কায়দায়। স্নানের পর পরিধেয় কাপড়টা হবে একটু অন্য রকম। বিকেলটা ঘুমিয়ে কাটাবেন, নাকি ঘরের বাতি নিভিয়ে গায়ে কাঁথা জড়িয়ে দেখে ফেলবেন ওটিটিতে আসা নতুন কোনো সিরিজ, সে সিদ্ধান্ত নিন। মাঝে মাঝে জানালায় তাকিয়ে দেখবেন ঘনঘোর বর্ষা। এমনও ঘনঘোর বরিষায় আর কী করে দিনটা পার করা যেতে পারে, তা নিয়েই এত কথা।
মেডিটেশন ও যোগাসন করতে পারেন
ঘুম থেকে উঠেই যদি দেখেন, চারদিক অন্ধকার হয়ে বৃষ্টি ঝরছে, জানালা দিয়ে ঠান্ডা হাওয়া ঘরে প্রবেশ করছে, তাহলে ইয়োগা ম্যাট পেতে বসে পড়ুন। বিছানাতেও ডিপ ব্রিদিং ও মেডিটেশন সেরে নিতে পারেন। চাইলে একটা সুগন্ধি মোমবাতিও জ্বালিয়ে নিতে পারেন। সত্য়ি বলছি, ২০ মিনিট মেডিটেশন ও যোগাসন করলেই শরীর-মন অনেকটা তরতাজা হয়ে উঠবে।
ভিজতে চাইলে ক্ষতি কী
বাড়িতেই যেহেতু আছেন, ঝুম বৃষ্টিতে ছাদে চলে যেতে পারেন। ভিজতে পারেন বর্ষার প্রথম ধাপের বৃষ্টিতে। মন চাইলে নীল শাড়ি আর টিপ পরে নিন। ক্যামেরায় তোলা এই ভেজা বর্ষার ছবিগুলো সুন্দর স্মৃতি হয়ে রবে।
বেকিংয়ের সেরা সময়
অনেক দিন ধরে কেক তৈরির উপকরণ কিনে রেখেছেন; তৈরি করার আর সময় হয়ে উঠছে না। এমন বর্ষাদিনে না হয় অন্য একটা কাজ বাদ রেখে বেকিংয়েই মন দিন। রান্নাঘরের জানালা খুলে বৃষ্টিভেজা হাওয়া ঘরে প্রবেশ করতে দিন। ঘরে ড্রাগন ফল থাকলে তা দিয়েই বানিয়ে ফেলুন জাদার ফ্রুট কেক। এ সময়টায় বাজারে হট পিংক রঙা এই ফল পাওয়া যায়। বাড়িতে শিশু থাকলে নিশ্চয় আপনার তৈরি করা ড্রাগন ফলের কেক দেখে মুখে বড় একটা হাসি ফোটাবে! চাইলে কয়েক ধরনের কেক তৈরি করে বাক্সে করে করে ফ্রিজে রাখতে পারেন। এতে কয়েক দিনের বিকেলের নাশতা নিয়ে আর ভাবতে হবে না।
ভাতঘুম দেবেন, নাকি বই পড়বেন
বৃষ্টিদিনের পুরোটা সময় যদি বিছানাতেই গড়িয়ে কাটাতে মন চায়, তাহলে বুকশেলফে রাখা নতুন বইগুলোর কথা একবার মনে করে দেখতে পারেন। জম্পেশ খিচুড়ি আর ভুনা মাংস দিয়ে দুপুরের আহার শেষ করে কাঁথা গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়ুন। অথবা বুকশেলফের সামনে বসেই হাতে নিন পড়া হয়নি এমন কোনো হালকা ধাঁচের বই। নিশ্চিত সময়টা ভালো কাটবে।
ওয়ার্ডরোব গুছিয়ে ফেলুন
আষাঢ় মাস শুরু হয়ে গেছে। ফলে এখন সময়ে-অসময়ে বৃষ্টি হবেই। টানা বৃষ্টি হলে কাঠের আলমারি ও ওয়ার্ডরোবের ভেতরেও স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। তাই সব কাপড় নামিয়ে সেগুলোর ভেতর ভালোভাবে মুছে নিন। তারপর নতুন করে কাপড় ভাঁজ করে রাখুন। অসুবিধা না থাকলে ন্যাপথলিন গুঁজে দিতে পারেন। অনেকে আবার আলমারিতে ব্যবহারের জন্য কাপড়ের স্প্রে দিয়ে থাকেন। এতেও কাপড়ে তরতাজা ভাব বজায় থাকে।
বন্ধুদের সঙ্গে কফি, নাকি পিৎজা ডেটে যাবেন
সারা দিন ঘরবন্দী থাকতে যাঁদের ভালো লাগে না, তাঁদের বৃষ্টিদিনেও আটকানো যাবে না। নতুন নতুন কফি শপ আর রেস্তোরাঁয় ঢুঁ দেওয়া যাঁদের স্বভাব, তাঁদের বলছি, একটা উবার ডেকে বন্ধুরা মিলে কাজটা ঝুম বৃষ্টির দিনেই সেরে ফেলুন। গল্প-আড্ডা আর নতুন খাবারের স্বাদ মিলে দিনটা হয়ে থাকবে স্মরণীয়।
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান
বৃষ্টির বিকেলটা একটু অন্য রকম করে তুলতে তো ক্ষতি নেই। ঝাল বড়া, চপ, কাটলেট আর চা নিয়ে বসে পড়ুন। বাবা-মা, ভাই-বোন ও পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে দাবা, ক্যারম বা লুডু খেলে সময়টা পার করে দিন। পরিবারের সবাই মিলে দেখা যায় এমন সিনেমা ও সিরিজও দেখে ফেলতে পারেন।
নৈশভোজে নতুন রেসিপি তৈরি করুন
বৃষ্টি বলে যদি পরিবারের সবাই ঘরেই থাকেন, তাহলে রাতের ভোজটা জমিয়ে দিন। দেশি হোক বা বিদেশি, নতুন কোনো রান্না রেঁধে ফেলুন। এমনও হতে পারে, কোনো সিনেমায় এমন কোনো রান্না দেখে ভালো লেগেছিল, কিন্তু আর রাঁধা হয়নি, সেটিও রেঁধে ফেলতে পারেন। এমন পারিবারিক আড্ডা হলে স্বাদ নিয়ে আর কেই-বা ভাবে!
সূত্র: রিয়েল সিম্বল ও ওয়াইল্ড ক্র্যাফট
[…] এই পুরাতন হৃদয় আমার আজি পুলকে দুলিয়া উঠিছে আবার বাজি
নূতন মেঘের ঘনিমার পানে চেয়ে॥
রহিয়া রহিয়া বিপুল মাঠের 'পরে নব তৃণদলে বাদলের ছায়া পড়ে। […]
–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
এই গানে যেন আষাঢ়ের বৃষ্টিভেজা বাতাস মিশে রয়েছে। আষাঢ়ের ঘন মেঘে ঢাকা আকাশ দেখে যদি সকালে ঘুম ভাঙে, আর পুরো দিনটাই যদি ঘরে কাটে, তাহলে আনন্দের আর শেষ থাকে না। বৃষ্টির সঙ্গে যদি ছুটির দিনের মেলবন্ধন হয়, তাহলে তো কথাই নেই। আর যাঁদের রোজকার দিনই কাটে বাড়িতে, তাঁরাও যেন ঝুম বৃষ্টির দিনে পরিকল্পনা সাজান নতুন করে। দুপুরের রান্নাটা হবে ভিন্ন কায়দায়। স্নানের পর পরিধেয় কাপড়টা হবে একটু অন্য রকম। বিকেলটা ঘুমিয়ে কাটাবেন, নাকি ঘরের বাতি নিভিয়ে গায়ে কাঁথা জড়িয়ে দেখে ফেলবেন ওটিটিতে আসা নতুন কোনো সিরিজ, সে সিদ্ধান্ত নিন। মাঝে মাঝে জানালায় তাকিয়ে দেখবেন ঘনঘোর বর্ষা। এমনও ঘনঘোর বরিষায় আর কী করে দিনটা পার করা যেতে পারে, তা নিয়েই এত কথা।
মেডিটেশন ও যোগাসন করতে পারেন
ঘুম থেকে উঠেই যদি দেখেন, চারদিক অন্ধকার হয়ে বৃষ্টি ঝরছে, জানালা দিয়ে ঠান্ডা হাওয়া ঘরে প্রবেশ করছে, তাহলে ইয়োগা ম্যাট পেতে বসে পড়ুন। বিছানাতেও ডিপ ব্রিদিং ও মেডিটেশন সেরে নিতে পারেন। চাইলে একটা সুগন্ধি মোমবাতিও জ্বালিয়ে নিতে পারেন। সত্য়ি বলছি, ২০ মিনিট মেডিটেশন ও যোগাসন করলেই শরীর-মন অনেকটা তরতাজা হয়ে উঠবে।
ভিজতে চাইলে ক্ষতি কী
বাড়িতেই যেহেতু আছেন, ঝুম বৃষ্টিতে ছাদে চলে যেতে পারেন। ভিজতে পারেন বর্ষার প্রথম ধাপের বৃষ্টিতে। মন চাইলে নীল শাড়ি আর টিপ পরে নিন। ক্যামেরায় তোলা এই ভেজা বর্ষার ছবিগুলো সুন্দর স্মৃতি হয়ে রবে।
বেকিংয়ের সেরা সময়
অনেক দিন ধরে কেক তৈরির উপকরণ কিনে রেখেছেন; তৈরি করার আর সময় হয়ে উঠছে না। এমন বর্ষাদিনে না হয় অন্য একটা কাজ বাদ রেখে বেকিংয়েই মন দিন। রান্নাঘরের জানালা খুলে বৃষ্টিভেজা হাওয়া ঘরে প্রবেশ করতে দিন। ঘরে ড্রাগন ফল থাকলে তা দিয়েই বানিয়ে ফেলুন জাদার ফ্রুট কেক। এ সময়টায় বাজারে হট পিংক রঙা এই ফল পাওয়া যায়। বাড়িতে শিশু থাকলে নিশ্চয় আপনার তৈরি করা ড্রাগন ফলের কেক দেখে মুখে বড় একটা হাসি ফোটাবে! চাইলে কয়েক ধরনের কেক তৈরি করে বাক্সে করে করে ফ্রিজে রাখতে পারেন। এতে কয়েক দিনের বিকেলের নাশতা নিয়ে আর ভাবতে হবে না।
ভাতঘুম দেবেন, নাকি বই পড়বেন
বৃষ্টিদিনের পুরোটা সময় যদি বিছানাতেই গড়িয়ে কাটাতে মন চায়, তাহলে বুকশেলফে রাখা নতুন বইগুলোর কথা একবার মনে করে দেখতে পারেন। জম্পেশ খিচুড়ি আর ভুনা মাংস দিয়ে দুপুরের আহার শেষ করে কাঁথা গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়ুন। অথবা বুকশেলফের সামনে বসেই হাতে নিন পড়া হয়নি এমন কোনো হালকা ধাঁচের বই। নিশ্চিত সময়টা ভালো কাটবে।
ওয়ার্ডরোব গুছিয়ে ফেলুন
আষাঢ় মাস শুরু হয়ে গেছে। ফলে এখন সময়ে-অসময়ে বৃষ্টি হবেই। টানা বৃষ্টি হলে কাঠের আলমারি ও ওয়ার্ডরোবের ভেতরেও স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়। তাই সব কাপড় নামিয়ে সেগুলোর ভেতর ভালোভাবে মুছে নিন। তারপর নতুন করে কাপড় ভাঁজ করে রাখুন। অসুবিধা না থাকলে ন্যাপথলিন গুঁজে দিতে পারেন। অনেকে আবার আলমারিতে ব্যবহারের জন্য কাপড়ের স্প্রে দিয়ে থাকেন। এতেও কাপড়ে তরতাজা ভাব বজায় থাকে।
বন্ধুদের সঙ্গে কফি, নাকি পিৎজা ডেটে যাবেন
সারা দিন ঘরবন্দী থাকতে যাঁদের ভালো লাগে না, তাঁদের বৃষ্টিদিনেও আটকানো যাবে না। নতুন নতুন কফি শপ আর রেস্তোরাঁয় ঢুঁ দেওয়া যাঁদের স্বভাব, তাঁদের বলছি, একটা উবার ডেকে বন্ধুরা মিলে কাজটা ঝুম বৃষ্টির দিনেই সেরে ফেলুন। গল্প-আড্ডা আর নতুন খাবারের স্বাদ মিলে দিনটা হয়ে থাকবে স্মরণীয়।
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান
বৃষ্টির বিকেলটা একটু অন্য রকম করে তুলতে তো ক্ষতি নেই। ঝাল বড়া, চপ, কাটলেট আর চা নিয়ে বসে পড়ুন। বাবা-মা, ভাই-বোন ও পরিবারের অন্য সদস্যরা মিলে দাবা, ক্যারম বা লুডু খেলে সময়টা পার করে দিন। পরিবারের সবাই মিলে দেখা যায় এমন সিনেমা ও সিরিজও দেখে ফেলতে পারেন।
নৈশভোজে নতুন রেসিপি তৈরি করুন
বৃষ্টি বলে যদি পরিবারের সবাই ঘরেই থাকেন, তাহলে রাতের ভোজটা জমিয়ে দিন। দেশি হোক বা বিদেশি, নতুন কোনো রান্না রেঁধে ফেলুন। এমনও হতে পারে, কোনো সিনেমায় এমন কোনো রান্না দেখে ভালো লেগেছিল, কিন্তু আর রাঁধা হয়নি, সেটিও রেঁধে ফেলতে পারেন। এমন পারিবারিক আড্ডা হলে স্বাদ নিয়ে আর কেই-বা ভাবে!
সূত্র: রিয়েল সিম্বল ও ওয়াইল্ড ক্র্যাফট
বলিউড সুন্দরীদের জেল্লা ছড়ানো ত্বকের রহস্য কিন্তু তাঁদের ডাইনিং টেবিলেই রয়েছে। ঘুম থেকে উঠে কী পান করছেন আর সারা দিন কী খাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে ত্বক কতটা সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল থাকবে। তাঁদের ফিটনেসের ব্যাপারটাও অনেকটা নির্ভর করে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের ওপরই।
১৪ ঘণ্টা আগেপুরুষদের বয়স যত বাড়ে, নিজেদের প্রতি খেয়াল নেওয়া যেন তত কমতে থাকে। বয়স ৪০ বছর পার করার পর পুরুষদের জন্য শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই বয়সে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম, মাঝেমধ্যে ব্যায়াম, উৎকণ্ঠা নিয়ন্ত্রণসহ কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি
১ দিন আগেবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ইউভিআই তিনের বেশি হলে সূর্যরশ্মি থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য আছে, যেখানে নিয়মিতভাবে ইউভিআই থাকে ৮ থেকে ১১-এর মধ্যে। এতে ত্বকের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
১ দিন আগেমেঘবালিকারা ছুটছে। পরির মতোই ছুটছে। এখন তাদের ছোটার দিন। চরাচর ছাপিয়ে চোখ ভিজিয়ে অভিমান দেখানোর দিন। পরি বলে কথা!
২ দিন আগে