প্লাস্টিকের পাত্র ওজনে হালকা হওয়ায় খাবার সংরক্ষণ করতে বেশি ব্যবহার করা হয়। পুরোপুরি স্বাস্থ্যসম্মত না হলেও স্বল্পমূল্যের এবং ব্যবহার সহজ হওয়ায় প্রায় সব রান্নাঘরেই এর আধিক্য দেখা যায়। তবে প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা কম দেখা যায়। সময় যত যায় প্লাস্টিকের গুণগত মান করতে থাকে যার প্রভাব খাবারে পড়তে পারে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আপনি। দেখতে ব্যবহারযোগ্য হলেও এমন হতে পারে পাত্রটি ফেলে দেওয়ার সময় এসে গেছে। তাই জেনে নিন কী কী লক্ষণ দেখলে বুঝবেন পাত্রটি ফেলে দিতে হবে—
১. পাত্রে ফাটল
খাবার সংরক্ষণে যেসব প্লাস্টিকের বাটি, প্লেট বা বাক্স ব্যবহার করছেন সেটি যদি বাঁকা হয়ে যায় বা ফাটল দেখা যায় তাহলে সে পাত্র ব্যবহার না করাই ভালো। ভালোমানের পাত্র না হলে সেটি মাইক্রোওয়েভে ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ বারবার উচ্চ তাপে পাত্রটি বিকৃত হয়ে যেতে পারে। পাত্র বাঁকা হয়ে গেলে বা কোনো ফাটল দেখা দিলে তাতে ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে। যা খাবারের সঙ্গে মিশে গেলে পেটের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত পাত্রে খাবার ভালো থাকার সম্ভাবনা কম থাকে। গুণগত মানও ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
২. পাত্রে জেদি দাগ
অনেকের বাসায় প্লাস্টিকের পাত্র দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে খাবারের রঙ বা গন্ধ বসে যায়। পাত্রটি বারবার ধোয়ার পরও যদি দেখা যায় তরকারির গন্ধ বা মসলাযুক্ত খাবারের জন্য স্থায়ীভাবে দাগ পড়ে গেছে, তাহলে এটি একটি স্পষ্ট লক্ষণ যে প্লাস্টিক খাবারের কণা শোষণ করে ফেলেছে। যদিও দাগ থাকা মানেই যে এটি ব্যবহার অনুপযোগী, তা নয়, তবে দীর্ঘস্থায়ী গন্ধ ও বিবর্ণতা জানিয়ে দেয় প্লাস্টিকটি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
৩. ঢাকনাটি ঠিকমতো না আটকানো
খাবার সংরক্ষণে জন্য যে পাত্রই ব্যবহার করুন না সেটির ঢাকনা ভালোমতো আটকাতে হবে। না হলে খাবারের গুণগত মান ও পাত্রটির কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। যদি বাটি বা বক্সটির ঢাকনা ফাটলযুক্ত বা বাঁকানো হয়, অথবা এটি আগের মতো ভালোভাবে বন্ধ না হয়, তাহলে এটি বায়ুরোধী সিল তৈরি করতে পারবে না। এর ফলে আপনার খাবার দ্রুত নষ্ট হতে পারে। এছাড়া খাবারে ময়লা-পোকামাকড় পড়তে পারে। ঢাকনা উল্টোপাল্টা আটকানোর পরিবর্তে, নতুন পাত্র ব্যবহার শুরু করতে পারেন।
৪. ৫ বছরের বেশি ব্যবহৃত পাত্র
নিয়মিত ব্যবহার ও তাপের সংস্পর্শে এসে প্লাস্টিক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হতে শুরু করে। পুরোনো পাত্রগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর ছোট ছোট আঁচড় বা ফাটলগুলোতে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হতে পারে। যদি আপনার প্লাস্টিকের খাবার সংরক্ষণের পাত্র ৫ বছরের বেশি পুরোনো হয়, তাহলে এটি ভালোভাবে পরীক্ষা করুন যে কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না। এমনকি যদি পাত্রটি দেখতে ঠিকঠাকও লাগে, নতুন পাত্রে পরিবর্তন করাই ভালো সিদ্ধান্ত।
৫. পাত্রটি বিপিএ-মুক্ত নয়
আপনার পাত্র যদি পুরোনো প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয় এবং বিপিএ-মুক্ত না হয়, তবে তা ফেলে দেওয়াই ভালো। বিপিএ বা বিসফেনল-এ হলো এক ধরনের রাসায়নিক, যা কিছু প্লাস্টিকের উপাদানে থাকে এবং বিশেষত গরম হলে এটি খাবারের মধ্যে মিশে যেতে পারে। বর্তমানে অনেক পাত্রই বিপিএ মুক্ত থাকে। পাত্রের নিচের অংশে থাকা রিসাইক্লিং কোড চেক করুন, যেখানে সাধারণত উল্লেখ থাকে এটি বিপিএ-মুক্ত কি না।
ক্ষতিগ্রস্ত বা নষ্ট হওয়া প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে কারণ এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
পেডিয়াট্রিক এনভায়রনমেন্টাল হেলথ স্পেশালিটি ইউনিট অনুসারে, প্লাস্টিকে দুটি রাসায়নিক পদার্থ-প্যাথালেটস ও বিসফেনল- এ থাকে, যা পাত্রের আকার বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে এই উপাদানগুলো ‘এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টর" বা হরমোনের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বিঘ্নিতকারী পদার্থ হিসেবে পরিচিত। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই যৌগ দুটি এস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরনের মতো প্রজনন হরমোনের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে, যা প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশেও বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
প্লাস্টিকের পাত্র ওজনে হালকা হওয়ায় খাবার সংরক্ষণ করতে বেশি ব্যবহার করা হয়। পুরোপুরি স্বাস্থ্যসম্মত না হলেও স্বল্পমূল্যের এবং ব্যবহার সহজ হওয়ায় প্রায় সব রান্নাঘরেই এর আধিক্য দেখা যায়। তবে প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা কম দেখা যায়। সময় যত যায় প্লাস্টিকের গুণগত মান করতে থাকে যার প্রভাব খাবারে পড়তে পারে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আপনি। দেখতে ব্যবহারযোগ্য হলেও এমন হতে পারে পাত্রটি ফেলে দেওয়ার সময় এসে গেছে। তাই জেনে নিন কী কী লক্ষণ দেখলে বুঝবেন পাত্রটি ফেলে দিতে হবে—
১. পাত্রে ফাটল
খাবার সংরক্ষণে যেসব প্লাস্টিকের বাটি, প্লেট বা বাক্স ব্যবহার করছেন সেটি যদি বাঁকা হয়ে যায় বা ফাটল দেখা যায় তাহলে সে পাত্র ব্যবহার না করাই ভালো। ভালোমানের পাত্র না হলে সেটি মাইক্রোওয়েভে ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ বারবার উচ্চ তাপে পাত্রটি বিকৃত হয়ে যেতে পারে। পাত্র বাঁকা হয়ে গেলে বা কোনো ফাটল দেখা দিলে তাতে ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে। যা খাবারের সঙ্গে মিশে গেলে পেটের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত পাত্রে খাবার ভালো থাকার সম্ভাবনা কম থাকে। গুণগত মানও ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
২. পাত্রে জেদি দাগ
অনেকের বাসায় প্লাস্টিকের পাত্র দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে খাবারের রঙ বা গন্ধ বসে যায়। পাত্রটি বারবার ধোয়ার পরও যদি দেখা যায় তরকারির গন্ধ বা মসলাযুক্ত খাবারের জন্য স্থায়ীভাবে দাগ পড়ে গেছে, তাহলে এটি একটি স্পষ্ট লক্ষণ যে প্লাস্টিক খাবারের কণা শোষণ করে ফেলেছে। যদিও দাগ থাকা মানেই যে এটি ব্যবহার অনুপযোগী, তা নয়, তবে দীর্ঘস্থায়ী গন্ধ ও বিবর্ণতা জানিয়ে দেয় প্লাস্টিকটি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
৩. ঢাকনাটি ঠিকমতো না আটকানো
খাবার সংরক্ষণে জন্য যে পাত্রই ব্যবহার করুন না সেটির ঢাকনা ভালোমতো আটকাতে হবে। না হলে খাবারের গুণগত মান ও পাত্রটির কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। যদি বাটি বা বক্সটির ঢাকনা ফাটলযুক্ত বা বাঁকানো হয়, অথবা এটি আগের মতো ভালোভাবে বন্ধ না হয়, তাহলে এটি বায়ুরোধী সিল তৈরি করতে পারবে না। এর ফলে আপনার খাবার দ্রুত নষ্ট হতে পারে। এছাড়া খাবারে ময়লা-পোকামাকড় পড়তে পারে। ঢাকনা উল্টোপাল্টা আটকানোর পরিবর্তে, নতুন পাত্র ব্যবহার শুরু করতে পারেন।
৪. ৫ বছরের বেশি ব্যবহৃত পাত্র
নিয়মিত ব্যবহার ও তাপের সংস্পর্শে এসে প্লাস্টিক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হতে শুরু করে। পুরোনো পাত্রগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর ছোট ছোট আঁচড় বা ফাটলগুলোতে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হতে পারে। যদি আপনার প্লাস্টিকের খাবার সংরক্ষণের পাত্র ৫ বছরের বেশি পুরোনো হয়, তাহলে এটি ভালোভাবে পরীক্ষা করুন যে কোনো ক্ষতি হয়েছে কি না। এমনকি যদি পাত্রটি দেখতে ঠিকঠাকও লাগে, নতুন পাত্রে পরিবর্তন করাই ভালো সিদ্ধান্ত।
৫. পাত্রটি বিপিএ-মুক্ত নয়
আপনার পাত্র যদি পুরোনো প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয় এবং বিপিএ-মুক্ত না হয়, তবে তা ফেলে দেওয়াই ভালো। বিপিএ বা বিসফেনল-এ হলো এক ধরনের রাসায়নিক, যা কিছু প্লাস্টিকের উপাদানে থাকে এবং বিশেষত গরম হলে এটি খাবারের মধ্যে মিশে যেতে পারে। বর্তমানে অনেক পাত্রই বিপিএ মুক্ত থাকে। পাত্রের নিচের অংশে থাকা রিসাইক্লিং কোড চেক করুন, যেখানে সাধারণত উল্লেখ থাকে এটি বিপিএ-মুক্ত কি না।
ক্ষতিগ্রস্ত বা নষ্ট হওয়া প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে কারণ এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
পেডিয়াট্রিক এনভায়রনমেন্টাল হেলথ স্পেশালিটি ইউনিট অনুসারে, প্লাস্টিকে দুটি রাসায়নিক পদার্থ-প্যাথালেটস ও বিসফেনল- এ থাকে, যা পাত্রের আকার বজায় রাখতে সাহায্য করে। তবে এই উপাদানগুলো ‘এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টর" বা হরমোনের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বিঘ্নিতকারী পদার্থ হিসেবে পরিচিত। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই যৌগ দুটি এস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরনের মতো প্রজনন হরমোনের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে, যা প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশেও বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
পান্তা খাওয়ার আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতি। তবে বৈশাখের প্রথম দিন সকালে পান্তা খাওয়া শহুরে সংস্কৃতির নতুন সংযোজন। বাংলাদেশে এ খাবার প্রায় সারা বছর খাওয়া হয়। পান্তা শরীরের জন্য উপকারী। এতে ভিটামিন বি থাকে। তবে এর পরিমাণ এবং উৎস ফারমেনটেশন প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে। সাধারণ ভাতে (বিশেষ করে সাদা চালে) ভি
২ দিন আগেএখন রোদের যে তাপ তাতে ত্বকের সঙ্গে ঘামছে মাথার ত্বক বা স্ক্য়াল্পও। সে কারণে ঘাম জমে আঠালো ও রুক্ষ হয়ে যায় চুল। তার গোড়ায় দীর্ঘক্ষণ ঘাম জমে থাকলে ঠান্ডা লেগে মাথাব্যথা তো হতেই পারে, সঙ্গে হতে পারে মাথার ত্বকে চুলকানি। এ ছাড়া ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে দেখা দিতে পারে নানান সমস্যা। গরমে এই সমস্যা কমবেশি
৩ দিন আগেদক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করা দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। ২০২৪ সালে দেশটিতে প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পর্যটন বাজারে ভিয়েতনামের এমন আধিপত্য দীর্ঘদিনের, যেটিকে আরও এগিয়ে নিতে চাচ্ছে দেশটির সরকার।
৪ দিন আগেবিশাল মরুভূমি, নীল সমুদ্র আর উঁচু পাহাড়ঘেরা সৌদি আরব এখন রোমাঞ্চপ্রেমী পর্যটকদের নতুন গন্তব্য। দেশটির ভৌগোলিক বৈচিত্র্য এতটাই যে সেখানে মরুভূমিতে বালুর ঢেউয়ে গাড়ি চালানো যায়, সমুদ্রে ডাইভিং করা যায়, আবার চাইলে পাহাড়ের মাঝে হারিয়েও যাওয়া যায়।
৪ দিন আগে