ফিচার ডেস্ক
আজকালকার বাবা-মায়েদের অনেকে সন্তানদের স্বাবলম্বী করে তুলতে একেবারে শুরু থেকে পরিকল্পনা করেন। জন্মের পর থেকে নেক্সট টু বেড বেসিনেটে ঘুম পাড়ান শিশুকে। বিশেষজ্ঞরাও এই ধারণাকে বাহবা দেন। কারণ, এতে করে শিশু ও বাবা-মা—দুই পক্ষের ঘুম ভালো হয়। শিশু হাঁটতে শিখলেই আবার তাকে আলাদা ঘরে ঘুম পাড়ানোর রেওয়াজও কিন্তু দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রথমে বেবি কট, এরপর বড়দের মতো বিছানায় অভ্যস্ত হচ্ছে শিশুরা।
কেমন হবে শিশুর ঘর
শিশুর ঘর হবে এমন একটা জায়গা, যেখানে সে আরাম আর আনন্দ তো পাবেই, পাশাপাশি নিরাপদেও থাকবে। এই ঘরটা হবে তার চনমনে হয়ে বেড়ে ওঠা ও শেখার জায়গা। ছেলেদের ঘর মানেই নীল থিম, মেয়েদের ঘর মানেই গোলাপি—এসব ভাবাটা খুব জরুরি কিছু নয়; বরং যে ঘরে আপনার সন্তান দিনের বড় একটা সময় কাটাবে, সেখানে সে যথোপযুক্ত আরাম আর আনন্দ পাচ্ছে কি না, তাতে নজর দেওয়া দরকার।
মেঝে কতটা নিরাপদ
শিশু হাঁটতে শেখার পর এদিক-ওদিক টলমল পায়ে ছুটে বেড়াবে, ডিগবাজি খাবে, পড়ে গিয়ে নিজেই আবার উঠে দাঁড়াবে। ফলে ঘরের মেঝে এমন হতে হবে, যাতে শিশু বড় ধরনের আঘাত না পায়। পুরো ঘরে কার্পেটিং করতে পারলে ভালো। টাইলসের ওপর রাবারের ম্যাটও বসাতে পারেন। এগুলো সময়মতো ডিপ ক্লিনিংও করিয়ে নেওয়া যায়।
দেয়ালেই যত আনন্দ
শিশুদের ঘরে সুন্দর ওয়ালপেপার লাগালে দেখতে ভালো লাগে। তবে টডলার অর্থাৎ ১ থেকে ৩ বছরের শিশুদের তো আর আটকানো যাবে না। তাদের শিল্পীমন চাইবেই দেয়ালে আঁকিবুঁকি করতে। সে ক্ষেত্রে ঘরের একটা দেয়াল ওর আঁকার জন্যই রাখুন। এটুকু উদার তো আপনি হতেই পারেন! দেয়ালে আঁকিবুঁকি কাটতে কাটতে একদিকে ওরা যেমন সৃজনশীল হয়ে উঠবে, অন্যদিকে তৈরি হবে দারুণ সব স্মৃতি। দাগছোপ মুছে ফেলার সহজ উপায় হলো এগ শেল পেইন্ট বা স্যাটিন ফিনিশ ল্যাটেক্স পেইন্ট। এসব রং দেয়ালে লাগালে সাবান-পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলেও ফেলা যায়। আর দেয়ালের রং হিসেবে গোলাপি ও নীলের কথা ভুলে নিউট্রাল শেডের রং ব্যবহার করতে পারেন। সফট ক্লে হোয়াইট রং ব্যবহার করলে ঘর ছোট হলেও বড় দেখাবে। রঙের ছোঁয়া আনতে মনোক্রোম প্যাস্টেল শেড কিংবা সাদা ও সলিড রঙের মিলমিশ রাখুন।
আলো আমার আলো
শিশুদের ঘরে পর্যাপ্ত আলো থাকতে হবে। আলো যথেষ্ট থাকবে, কিন্তু তা যেন চোখের সমস্যা তৈরি না করে। এনার্জি সেভিং এলইডি লাইট, ডিমেবল হিডেন স্পটলাইট, ওয়ার্ম এলইডি স্ট্রিপস দেওয়া ট্রে কোভস কিংবা ওয়াল লাইট বেছে নিতে পারেন।
আসবাবে আরাম ও খেলা
শিশুর ঘরে বেশি আসবাব রাখার প্রয়োজন নেই। এই ঘরের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো বিছানা। এটি ঠিকঠাক না হলে ঘুমও কিন্তু ঠিকঠাক হবে না। পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাবে না শরীর। শিশুর ঘরে নিচু চওড়া বিছানা হলে ভালো। এতে শুয়েও আরাম পাবে আর পড়ে গেলেও ব্যথা পাবে না। খাটের দুপাশে নরম রাগ কিংবা ম্যাট থাকলেও পড়ে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার ঝুঁকি কমবে।
অ্যাকটিভিটি অ্যান্ড অ্যাকটিভিটি
শিশুর মোটর স্কিল ও পেশি—দুটিরই উন্নতির জন্য শিশুর কর্মক্ষম থাকার গুরুত্ব অসীম। বিভিন্ন ধরনের বোর্ড গেম, পাজল, বিল্ডিং ব্লক, মিনি স্লাইড, মিনি বল পুল দিয়ে সাজাতে পারেন অ্যাকটিভিটি কর্নার। খেলনার অনুষঙ্গ হিসেবে রাখতে পারেন নরম ধরনের খেলনা, প্যাস্টেল পমপম কুশন, বেবি কালারের স্টাফট পাপেট, উইন্ড চাইম; অর্থাৎ এমন সব জিনিস, যা দেখলেই শিশু খুশিতে নেচে ওঠে।
সূত্র: এল ডেকর ও হাউস অব হ্যাকনি
আজকালকার বাবা-মায়েদের অনেকে সন্তানদের স্বাবলম্বী করে তুলতে একেবারে শুরু থেকে পরিকল্পনা করেন। জন্মের পর থেকে নেক্সট টু বেড বেসিনেটে ঘুম পাড়ান শিশুকে। বিশেষজ্ঞরাও এই ধারণাকে বাহবা দেন। কারণ, এতে করে শিশু ও বাবা-মা—দুই পক্ষের ঘুম ভালো হয়। শিশু হাঁটতে শিখলেই আবার তাকে আলাদা ঘরে ঘুম পাড়ানোর রেওয়াজও কিন্তু দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রথমে বেবি কট, এরপর বড়দের মতো বিছানায় অভ্যস্ত হচ্ছে শিশুরা।
কেমন হবে শিশুর ঘর
শিশুর ঘর হবে এমন একটা জায়গা, যেখানে সে আরাম আর আনন্দ তো পাবেই, পাশাপাশি নিরাপদেও থাকবে। এই ঘরটা হবে তার চনমনে হয়ে বেড়ে ওঠা ও শেখার জায়গা। ছেলেদের ঘর মানেই নীল থিম, মেয়েদের ঘর মানেই গোলাপি—এসব ভাবাটা খুব জরুরি কিছু নয়; বরং যে ঘরে আপনার সন্তান দিনের বড় একটা সময় কাটাবে, সেখানে সে যথোপযুক্ত আরাম আর আনন্দ পাচ্ছে কি না, তাতে নজর দেওয়া দরকার।
মেঝে কতটা নিরাপদ
শিশু হাঁটতে শেখার পর এদিক-ওদিক টলমল পায়ে ছুটে বেড়াবে, ডিগবাজি খাবে, পড়ে গিয়ে নিজেই আবার উঠে দাঁড়াবে। ফলে ঘরের মেঝে এমন হতে হবে, যাতে শিশু বড় ধরনের আঘাত না পায়। পুরো ঘরে কার্পেটিং করতে পারলে ভালো। টাইলসের ওপর রাবারের ম্যাটও বসাতে পারেন। এগুলো সময়মতো ডিপ ক্লিনিংও করিয়ে নেওয়া যায়।
দেয়ালেই যত আনন্দ
শিশুদের ঘরে সুন্দর ওয়ালপেপার লাগালে দেখতে ভালো লাগে। তবে টডলার অর্থাৎ ১ থেকে ৩ বছরের শিশুদের তো আর আটকানো যাবে না। তাদের শিল্পীমন চাইবেই দেয়ালে আঁকিবুঁকি করতে। সে ক্ষেত্রে ঘরের একটা দেয়াল ওর আঁকার জন্যই রাখুন। এটুকু উদার তো আপনি হতেই পারেন! দেয়ালে আঁকিবুঁকি কাটতে কাটতে একদিকে ওরা যেমন সৃজনশীল হয়ে উঠবে, অন্যদিকে তৈরি হবে দারুণ সব স্মৃতি। দাগছোপ মুছে ফেলার সহজ উপায় হলো এগ শেল পেইন্ট বা স্যাটিন ফিনিশ ল্যাটেক্স পেইন্ট। এসব রং দেয়ালে লাগালে সাবান-পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলেও ফেলা যায়। আর দেয়ালের রং হিসেবে গোলাপি ও নীলের কথা ভুলে নিউট্রাল শেডের রং ব্যবহার করতে পারেন। সফট ক্লে হোয়াইট রং ব্যবহার করলে ঘর ছোট হলেও বড় দেখাবে। রঙের ছোঁয়া আনতে মনোক্রোম প্যাস্টেল শেড কিংবা সাদা ও সলিড রঙের মিলমিশ রাখুন।
আলো আমার আলো
শিশুদের ঘরে পর্যাপ্ত আলো থাকতে হবে। আলো যথেষ্ট থাকবে, কিন্তু তা যেন চোখের সমস্যা তৈরি না করে। এনার্জি সেভিং এলইডি লাইট, ডিমেবল হিডেন স্পটলাইট, ওয়ার্ম এলইডি স্ট্রিপস দেওয়া ট্রে কোভস কিংবা ওয়াল লাইট বেছে নিতে পারেন।
আসবাবে আরাম ও খেলা
শিশুর ঘরে বেশি আসবাব রাখার প্রয়োজন নেই। এই ঘরের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলো বিছানা। এটি ঠিকঠাক না হলে ঘুমও কিন্তু ঠিকঠাক হবে না। পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাবে না শরীর। শিশুর ঘরে নিচু চওড়া বিছানা হলে ভালো। এতে শুয়েও আরাম পাবে আর পড়ে গেলেও ব্যথা পাবে না। খাটের দুপাশে নরম রাগ কিংবা ম্যাট থাকলেও পড়ে গিয়ে ব্যথা পাওয়ার ঝুঁকি কমবে।
অ্যাকটিভিটি অ্যান্ড অ্যাকটিভিটি
শিশুর মোটর স্কিল ও পেশি—দুটিরই উন্নতির জন্য শিশুর কর্মক্ষম থাকার গুরুত্ব অসীম। বিভিন্ন ধরনের বোর্ড গেম, পাজল, বিল্ডিং ব্লক, মিনি স্লাইড, মিনি বল পুল দিয়ে সাজাতে পারেন অ্যাকটিভিটি কর্নার। খেলনার অনুষঙ্গ হিসেবে রাখতে পারেন নরম ধরনের খেলনা, প্যাস্টেল পমপম কুশন, বেবি কালারের স্টাফট পাপেট, উইন্ড চাইম; অর্থাৎ এমন সব জিনিস, যা দেখলেই শিশু খুশিতে নেচে ওঠে।
সূত্র: এল ডেকর ও হাউস অব হ্যাকনি
সমৃদ্ধ ইতিহাস, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং বিশ্ববিখ্যাত রন্ধনশৈলীর জন্য পরিচিত পোল্যান্ড। মধ্য ইউরোপের এই সুন্দর দেশটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সুযোগের এক আকর্ষণীয় কেন্দ্র। তৃতীয় দেশের নাগরিকেরা, যার মধ্যে বাংলাদেশিরাও অন্তর্ভুক্ত, পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন...
৬ ঘণ্টা আগেখাসির মাংসের নানান পদ তো রেঁধেছেন, এবার অতিথি এলে না হয় ভিন্ন স্বাদেই খাসির মাংস রান্না করলেন। আপনাদের জন্য সহজ উপায়ে খাসির মাংস রান্নার রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেশরতের ভীষণ গরম। রাতের খাবারে মুখরোচক কোনো খাবার খেতে ইচ্ছা করছে? কিন্তু গরমে খেয়ে আরাম পাওয়া যাবে, এমন সহজ রান্না কী হতে পারে, তা ভেবেই পাচ্ছেন না, তাই তো? আপনাদের জন্য ভাজা কই মাছের রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেঋতুভেদে ত্বকযত্নের উপকরণ বদলাতে হয়। নইলে সেই প্রবাদের মতো, সময়ের গান অসময়ে হয়ে যায়। তাতে ত্বকের উপকার হয় না। শরৎকালের আবহাওয়া খানিক উদ্ভ্রান্তের মতো আচরণ করে। এই প্রচণ্ড গরম তো এই বৃষ্টি। এদিকে সারাক্ষণ বইছে ঝিরিঝিরি হওয়া। ভ্যাপসা গরমে ঘাম হচ্ছে প্রচুর।
১ দিন আগে