রায়হান আবিদ, বাকৃবি
ক্যাম্পাসের আয়তন ১ হাজার ২১০ একর! ব্রহ্মপুত্রপারের এই ক্যাম্পাসের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে সময় লাগে বেশ খানিকটা। সেই সঙ্গে লাগে রিকশা কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা অন্যান্য যানবাহনের ভাড়া। সেটা নেহাত কম নয়। দূরত্বের সঙ্গে পাল্লা দিতে আর শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য অর্থ ব্যয় কমাতে সাইকেলসেবা শুরু হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। নারী শিক্ষার্থীরা ৫ আর পুরুষ শিক্ষার্থীরা ২ টাকায় পাচ্ছেন এই সেবা।
‘উইমেন সাইক্লিং ক্লাব’ নামে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের একটি ক্লাব এ উদ্যোগ নিয়েছে মেয়েদের হলগুলোতে। ক্লাবের সদস্যদের সাইকেল রয়েছে। ক্লাবটির উদ্যোগে বেগম রোকেয়া হলে দুটি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে একটি, তাপসী রাবেয়া হলে একটি, সুলতানা রাজিয়া হলে দুটি সাইকেল বরাদ্দ করা হয়। সাইকেলগুলো যেমন ক্লাবের সদস্যরা চালাতে পারবেন, তেমনি সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাইলে এখানে থেকে সাইকেল নিয়ে শিখতে পারবেন। মাত্র ৫ টাকা দিয়ে সারা দিনের জন্য ব্যবহার করা যাবে সাইকেল। ক্লাবের উদ্যোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও সাইকেল চালানো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক সুস্মিতা সরকার বৃষ্টি সাইকেল চালাতে পারতেন না। উইমেন সাইক্লিং ক্লাবের সঙ্গে শুরু থেকে যুক্ত রয়েছেন। তখন ক্লাবের সাইকেল না থাকায় বড় আপুদের কাছ থেকে ধার করে সাইকেল চালানো শিখেছেন তিনি। এখন ক্লাবের নিজস্ব সাইকেল আছে। বৃষ্টি বলেন, ‘মেয়েরা এখন রেজিস্ট্রেশন করে ক্লাবের সাইকেল নিয়ে চালানো শিখছে। পাশাপাশি ক্লাবের সদস্যদের যথাযথ গাইডলাইন ও সহযোগিতাও পাচ্ছে। যে কেউ চাইলে ক্লাবের সাইকেল ভাড়া নিয়ে চালাতে পারেন। আমাদের ক্লাবের উদ্দেশ্য, প্রত্যেক মেয়েই যেন নির্ভয়ে অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের জন্যও রয়েছে সাইকেলের ব্যবস্থা। এর শুরুটা হয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ প্রান্তে অবস্থিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল দিয়ে। প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীর বসবাস সেখানে। তবে হল থেকে নিজ নিজ অনুষদের ভবনের ক্লাস করতে যেতে বেশ সময় লাগে। বিষয়টির সমাধানে সাইকেলসেবার পদক্ষেপ নেয় সোহরাওয়ার্দী হল প্রশাসন। পরে হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেই প্রকল্পে এগিয়ে নিতে কাজ শুরু করেন।
হলের গ্যারেজে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা মালিকহীন সাইকেলগুলোকে প্রথমে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়। এরপর সেগুলো সারিয়ে পুনরায় ব্যবহারের জন্য ‘জয় বাংলা বাইসাইকেল’ সার্ভিস নামে সেবাটি চালু করা হয়। একজন শিক্ষার্থী ২ টাকার বিনিময়ে ৮ ঘণ্টা এই সাইকেলসেবা ব্যবহার করতে পারবেন। হলের গ্যারেজ থেকে শিক্ষার্থীরা নাম ও আইডি লিখে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সাইকেল ব্যবহার করছেন এখন।
এই সেবা ব্যবহারকারী সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিশু মোরশেদ জানিয়েছেন, জয় বাংলা বাইসাইকেল সার্ভিসটি হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ভিন্ন ধরনের সেবা। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়া সাইকেলগুলো কাজে লাগছে এখন। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ২২টির মতো সাইকেল সচল করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পড়ে থাকা বাকি সাইকেলগুলো মেরামত করে সাধারণ ছাত্রদের কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে।
ক্যাম্পাসের আয়তন ১ হাজার ২১০ একর! ব্রহ্মপুত্রপারের এই ক্যাম্পাসের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে সময় লাগে বেশ খানিকটা। সেই সঙ্গে লাগে রিকশা কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা অন্যান্য যানবাহনের ভাড়া। সেটা নেহাত কম নয়। দূরত্বের সঙ্গে পাল্লা দিতে আর শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য অর্থ ব্যয় কমাতে সাইকেলসেবা শুরু হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। নারী শিক্ষার্থীরা ৫ আর পুরুষ শিক্ষার্থীরা ২ টাকায় পাচ্ছেন এই সেবা।
‘উইমেন সাইক্লিং ক্লাব’ নামে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের একটি ক্লাব এ উদ্যোগ নিয়েছে মেয়েদের হলগুলোতে। ক্লাবের সদস্যদের সাইকেল রয়েছে। ক্লাবটির উদ্যোগে বেগম রোকেয়া হলে দুটি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে একটি, তাপসী রাবেয়া হলে একটি, সুলতানা রাজিয়া হলে দুটি সাইকেল বরাদ্দ করা হয়। সাইকেলগুলো যেমন ক্লাবের সদস্যরা চালাতে পারবেন, তেমনি সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাইলে এখানে থেকে সাইকেল নিয়ে শিখতে পারবেন। মাত্র ৫ টাকা দিয়ে সারা দিনের জন্য ব্যবহার করা যাবে সাইকেল। ক্লাবের উদ্যোগে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও সাইকেল চালানো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক সুস্মিতা সরকার বৃষ্টি সাইকেল চালাতে পারতেন না। উইমেন সাইক্লিং ক্লাবের সঙ্গে শুরু থেকে যুক্ত রয়েছেন। তখন ক্লাবের সাইকেল না থাকায় বড় আপুদের কাছ থেকে ধার করে সাইকেল চালানো শিখেছেন তিনি। এখন ক্লাবের নিজস্ব সাইকেল আছে। বৃষ্টি বলেন, ‘মেয়েরা এখন রেজিস্ট্রেশন করে ক্লাবের সাইকেল নিয়ে চালানো শিখছে। পাশাপাশি ক্লাবের সদস্যদের যথাযথ গাইডলাইন ও সহযোগিতাও পাচ্ছে। যে কেউ চাইলে ক্লাবের সাইকেল ভাড়া নিয়ে চালাতে পারেন। আমাদের ক্লাবের উদ্দেশ্য, প্রত্যেক মেয়েই যেন নির্ভয়ে অদম্য সাহস নিয়ে এগিয়ে যেতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের জন্যও রয়েছে সাইকেলের ব্যবস্থা। এর শুরুটা হয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ প্রান্তে অবস্থিত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল দিয়ে। প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থীর বসবাস সেখানে। তবে হল থেকে নিজ নিজ অনুষদের ভবনের ক্লাস করতে যেতে বেশ সময় লাগে। বিষয়টির সমাধানে সাইকেলসেবার পদক্ষেপ নেয় সোহরাওয়ার্দী হল প্রশাসন। পরে হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেই প্রকল্পে এগিয়ে নিতে কাজ শুরু করেন।
হলের গ্যারেজে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা মালিকহীন সাইকেলগুলোকে প্রথমে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়। এরপর সেগুলো সারিয়ে পুনরায় ব্যবহারের জন্য ‘জয় বাংলা বাইসাইকেল’ সার্ভিস নামে সেবাটি চালু করা হয়। একজন শিক্ষার্থী ২ টাকার বিনিময়ে ৮ ঘণ্টা এই সাইকেলসেবা ব্যবহার করতে পারবেন। হলের গ্যারেজ থেকে শিক্ষার্থীরা নাম ও আইডি লিখে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সাইকেল ব্যবহার করছেন এখন।
এই সেবা ব্যবহারকারী সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মিশু মোরশেদ জানিয়েছেন, জয় বাংলা বাইসাইকেল সার্ভিসটি হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ভিন্ন ধরনের সেবা। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাওয়া সাইকেলগুলো কাজে লাগছে এখন। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ২২টির মতো সাইকেল সচল করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পড়ে থাকা বাকি সাইকেলগুলো মেরামত করে সাধারণ ছাত্রদের কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে।
প্রযুক্তিনির্ভরতা আমাদের জীবন থেকে কেড়ে নিচ্ছে মূল্যবান সময়, মনোযোগ ও সম্পর্কের গভীরতা। মার্কিন সাংবাদিক ও লেখিকা ক্যাথরিন প্রাইস ‘হাউ টু ব্রেকআপ উইদ ইউর ফোন’ নামে বইয়ে তুলে ধরেছেন, কীভাবে ধাপে ধাপে প্রযুক্তির আসক্তি থেকে বেরিয়ে এসে জীবনকে আরও প্রাণবন্ত করা যায়।
১৪ ঘণ্টা আগেযেকোনো জায়গায় যেভাবেই আগুন লাগুক না কেন, প্রথম মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। তারপর নিরাপদ জায়গা খুঁজে নিয়ে সেখানে যান এবং সেখান থেকে বের হওয়ার সম্ভাব্য পথগুলো নিয়ে ভাবুন।
১৬ ঘণ্টা আগেঘড়ির কাঁটা রাত সাড়ে ১২টা ছুঁই ছুঁই। আমি আর তানিম শ্রীমঙ্গল স্টেশন থেকে ধীরে ধীরে গতি নিতে থাকা ট্রেনে উঠে পড়ি। গন্তব্য ফেনী। জানালার বাইরে ভেসে চলা চা-বাগান, অন্ধকারাচ্ছন্ন কুয়াশায় মোড়া সবুজ পথ আর ছায়াময় বনভূমি যেন আমাদের আগেই খৈয়াছড়ার গহিনে নিয়ে যেতে চাইছিল।
২০ ঘণ্টা আগেইউরোপীয় ট্যুরিজম বোর্ডের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ইউরোপের শীর্ষ ১০ পর্যটন গন্তব্যে বাংলাদেশি ভ্রমণকারীর সংখ্যা বেড়েছে। এই সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেড়েছে। এই প্রবণতা দেশের মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত পরিবারগুলোর মধ্যে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের...
২১ ঘণ্টা আগে