রজত কান্তি রায়, ঢাকা
নিরন্ন বায়ান্ন দেব ধরিয়া বিক্রম।
বিলাতীর শকে আসি করিলা আশ্রম
খ্রীষ্টমতে নববর্ষ অতি মনোহর।
প্রেমানন্দে পরিপূর্ণ যত শ্বেত নর
ইংরাজী নববর্ষ, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
আর মাত্র এক দিন পর আমাদের সকালটা হবে নতুন। একেবারে ঝকঝকে একটা নতুন বছরের সকাল। নতুন বাংলা বছর বরণের রীতি আমাদের অনেক পুরোনো। কালে কালে আমরা খ্রিস্টীয় নতুন বছর বরণ করতেও অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি।
‘বরণ’ বিষয়টার সঙ্গে একটা উৎসব উৎসব ভাব সব সময়ই থাকে, তা সে বধূবরণ হোক, নবীনবরণ হোক বা নতুন বছরবরণই হোক। উৎসব থাকা চাই। থাকা চাই আনন্দায়োজন। এই ভাইরাসশাসিত পৃথিবীতে আতিশয্য না থাকলেও আনন্দের আয়োজন থাকতে হবে। থাকতে হবে উপহার, থাকতে হবে স্পর্শ, থাকতে হবে উষ্ণতা। থাকতে হবে খুশবুদার জীবন ও তার যাপনের আনন্দ। বছর ঘুরে তার উপলক্ষ এসেছে। বাকি আর মাত্র এক দিন।
আগে এতটা উৎসবমুখর না হলেও এখন ইংরেজি বছরের শুরু হয় বর্ণিল ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়েই। ঈশ্বর গুপ্তের জমানার মতো এখন ‘প্রেমানন্দে’ শুধু ‘শ্বেত নর’রাই পরিপূর্ণ হয় না। বাঙালিও নিজের মতো করেই আনন্দে পরিপূর্ণ হয় ইংরেজি নববর্ষে। ঈশ্বর গুপ্তর জমানায় ইংরেজি নববর্ষকে ‘গোরা’ সাহেবদের ‘কারবার’ হিসেবে দেখা হতো বলে বাঙালি সে অনুষ্ঠান নিয়ে খানিক ব্যঙ্গ করত। কিন্তু প্রায় ২০০ বছর শাসিত হওয়ার পর বাঙালির সে ব্যঙ্গ আর থাকেনি। বরং নিজেদের আর একটা অনুষ্ঠান হিসেবে একেও আত্মস্থ করা হয়েছে রীতিমতো। সেটা হয়তো পান্তা-ইলিশ বা অষ্ট ব্যঞ্জন সহযোগে নয়। কিন্তু সকালে উঠে হাসিমুখে দুটো কথা বলে, একটু ভালোমন্দ খাবারের আয়োজন করে ইংরেজি নববর্ষ পালিত হচ্ছে এখন। শহুরে মানুষ তো বটেই, গ্রামীণ পরিসরেও পয়লা জানুয়ারিতে নতুন বছর পালনের একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে অনেক দিন থেকে।
ইংরেজি নববর্ষ পালন এখনো মূলত তারুণ্যনির্ভর। নতুন বছরের নতুন দিনটিতে পরিবার, বন্ধুবান্ধব কিংবা প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে নিয়ম করে বাইরে খাওয়া, মেসেজিং, উপহার দেওয়া থেকে শুরু করে এর যাবতীয় ইভেন্টে তরুণদেরই দেখা যায় সামনের সারিতে। আলো ঝলমলে সুসজ্জিত শহরে মধ্যরাতে বন্ধুদের সঙ্গে খোলা জিপে কিংবা বাইকে চড়ে শহরময় ঘুরে বেড়ানোর যে স্বাধীনতা, যে আনন্দ, তাতে তরুণদের অধিকারই প্রধান। কিন্তু এবার সে হুল্লোড়ে খানিক ছেদ পড়বে স্বাভাবিকভাবে। করোনা অতিমারি আর বর্তমানের ওমিক্রন বাস্তবতায় আগের মতো অনেক মানুষ মিলে রাতভর হইহুল্লোড় করা এবারের বাস্তবতায় না থাকাটাই স্বাভাবিক দেখাবে।
আয়োজন হোক দায়িত্বশীল
বর্ণাঢ্য আয়োজনের বাস্তবতা নেই এখন। কোভিড-১৯ এর পর তার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে পৃথিবীতে। দিন দিন বাড়ছে সংক্রমণের হার ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা। ফলে আতিশয্যহীন দায়িত্বশীল আয়োজনই কাম্য এখন। আয়োজন যেখানেই হোক না কেন, লোকসমাগম সীমিত রাখুন। সঙ্গে রাখুন স্বাস্থ্যবিধি। আনন্দ করতে গিয়ে অন্যের সমস্যা তৈরি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই নিজে দায়িত্বশীল থেকে আয়োজন করুন।
সতর্ক থাকুন
কাজে লাগুক ছাদ
লোকসমাগম সীমিত রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছাদগুলোকে কাজে লাগানোই যায়। আয়োজনে মেতে উঠুক ভবনগুলোর ছাদ। ছাদগুলোকে বিশেষ দিনে কাজে লাগানোর একটা চল শুরু হয়েছিল বেশ আগেই।
গত দুই বছরে সেটা বেড়েছে অনেকটাই। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সেটা আবারও কাজে লাগুক। চেয়ার-টেবিল, মাদুর পেতে কিংবা ডেকোরেটর থেকে জিনিসপত্র ভাড়া নিয়েই হোক না কেন, আয়োজন হোক। সীমিত পরিসরে হলেও আয়োজন হোক। অন্তত হাঁপিয়ে ওঠা জীবনে ক্ষণিকের জন্য হলেও দোলা লাগুক প্রাণে।
ছাদের যত আয়োজন
ছাদে বারবিকিউ এর আয়োজন হতে পারে। নতুন বছরের শুরুর ক্ষণে ছাদের খোলা হাওয়ায় মুরগি, মাছ কিংবা সবজিতে মসলা মাখিয়ে আগুনের হলুদ শিখায় হালকা পুড়িয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। ছাদে হতে পারে আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাওয়াদাওয়ার আয়োজনও। নিজেরাই রান্নাবান্না করুন। তাতে একেবারে ভিন্ন এক মজা আছে।
হতে পারে বড় পর্দায় সিনেমা দেখার আয়োজন কিংবা দেশ-বিদেশে থাকা বন্ধুদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকার আয়োজন। আয়োজন যাই হোক না কেন, সতর্ক থাকুন।
নতুন বছর মানেই নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন। অধরাা স্বপ্নগুলো নতুন বছরে ধরা দিক হাতের মুঠোয়। নতুন স্বপ্ন আরও রঙিন হয়ে বেগবান হোক।
২১-এর সব নেতিবাচকতা দূরে যাক। ২২ হয়ে উঠুক ইতিবাচক। সবার জন্য নতুন বছর শুভ হোক। স্বপ্নময় হোক।
নিরন্ন বায়ান্ন দেব ধরিয়া বিক্রম।
বিলাতীর শকে আসি করিলা আশ্রম
খ্রীষ্টমতে নববর্ষ অতি মনোহর।
প্রেমানন্দে পরিপূর্ণ যত শ্বেত নর
ইংরাজী নববর্ষ, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
আর মাত্র এক দিন পর আমাদের সকালটা হবে নতুন। একেবারে ঝকঝকে একটা নতুন বছরের সকাল। নতুন বাংলা বছর বরণের রীতি আমাদের অনেক পুরোনো। কালে কালে আমরা খ্রিস্টীয় নতুন বছর বরণ করতেও অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি।
‘বরণ’ বিষয়টার সঙ্গে একটা উৎসব উৎসব ভাব সব সময়ই থাকে, তা সে বধূবরণ হোক, নবীনবরণ হোক বা নতুন বছরবরণই হোক। উৎসব থাকা চাই। থাকা চাই আনন্দায়োজন। এই ভাইরাসশাসিত পৃথিবীতে আতিশয্য না থাকলেও আনন্দের আয়োজন থাকতে হবে। থাকতে হবে উপহার, থাকতে হবে স্পর্শ, থাকতে হবে উষ্ণতা। থাকতে হবে খুশবুদার জীবন ও তার যাপনের আনন্দ। বছর ঘুরে তার উপলক্ষ এসেছে। বাকি আর মাত্র এক দিন।
আগে এতটা উৎসবমুখর না হলেও এখন ইংরেজি বছরের শুরু হয় বর্ণিল ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়েই। ঈশ্বর গুপ্তের জমানার মতো এখন ‘প্রেমানন্দে’ শুধু ‘শ্বেত নর’রাই পরিপূর্ণ হয় না। বাঙালিও নিজের মতো করেই আনন্দে পরিপূর্ণ হয় ইংরেজি নববর্ষে। ঈশ্বর গুপ্তর জমানায় ইংরেজি নববর্ষকে ‘গোরা’ সাহেবদের ‘কারবার’ হিসেবে দেখা হতো বলে বাঙালি সে অনুষ্ঠান নিয়ে খানিক ব্যঙ্গ করত। কিন্তু প্রায় ২০০ বছর শাসিত হওয়ার পর বাঙালির সে ব্যঙ্গ আর থাকেনি। বরং নিজেদের আর একটা অনুষ্ঠান হিসেবে একেও আত্মস্থ করা হয়েছে রীতিমতো। সেটা হয়তো পান্তা-ইলিশ বা অষ্ট ব্যঞ্জন সহযোগে নয়। কিন্তু সকালে উঠে হাসিমুখে দুটো কথা বলে, একটু ভালোমন্দ খাবারের আয়োজন করে ইংরেজি নববর্ষ পালিত হচ্ছে এখন। শহুরে মানুষ তো বটেই, গ্রামীণ পরিসরেও পয়লা জানুয়ারিতে নতুন বছর পালনের একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে অনেক দিন থেকে।
ইংরেজি নববর্ষ পালন এখনো মূলত তারুণ্যনির্ভর। নতুন বছরের নতুন দিনটিতে পরিবার, বন্ধুবান্ধব কিংবা প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে নিয়ম করে বাইরে খাওয়া, মেসেজিং, উপহার দেওয়া থেকে শুরু করে এর যাবতীয় ইভেন্টে তরুণদেরই দেখা যায় সামনের সারিতে। আলো ঝলমলে সুসজ্জিত শহরে মধ্যরাতে বন্ধুদের সঙ্গে খোলা জিপে কিংবা বাইকে চড়ে শহরময় ঘুরে বেড়ানোর যে স্বাধীনতা, যে আনন্দ, তাতে তরুণদের অধিকারই প্রধান। কিন্তু এবার সে হুল্লোড়ে খানিক ছেদ পড়বে স্বাভাবিকভাবে। করোনা অতিমারি আর বর্তমানের ওমিক্রন বাস্তবতায় আগের মতো অনেক মানুষ মিলে রাতভর হইহুল্লোড় করা এবারের বাস্তবতায় না থাকাটাই স্বাভাবিক দেখাবে।
আয়োজন হোক দায়িত্বশীল
বর্ণাঢ্য আয়োজনের বাস্তবতা নেই এখন। কোভিড-১৯ এর পর তার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে পৃথিবীতে। দিন দিন বাড়ছে সংক্রমণের হার ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা। ফলে আতিশয্যহীন দায়িত্বশীল আয়োজনই কাম্য এখন। আয়োজন যেখানেই হোক না কেন, লোকসমাগম সীমিত রাখুন। সঙ্গে রাখুন স্বাস্থ্যবিধি। আনন্দ করতে গিয়ে অন্যের সমস্যা তৈরি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই নিজে দায়িত্বশীল থেকে আয়োজন করুন।
সতর্ক থাকুন
কাজে লাগুক ছাদ
লোকসমাগম সীমিত রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছাদগুলোকে কাজে লাগানোই যায়। আয়োজনে মেতে উঠুক ভবনগুলোর ছাদ। ছাদগুলোকে বিশেষ দিনে কাজে লাগানোর একটা চল শুরু হয়েছিল বেশ আগেই।
গত দুই বছরে সেটা বেড়েছে অনেকটাই। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সেটা আবারও কাজে লাগুক। চেয়ার-টেবিল, মাদুর পেতে কিংবা ডেকোরেটর থেকে জিনিসপত্র ভাড়া নিয়েই হোক না কেন, আয়োজন হোক। সীমিত পরিসরে হলেও আয়োজন হোক। অন্তত হাঁপিয়ে ওঠা জীবনে ক্ষণিকের জন্য হলেও দোলা লাগুক প্রাণে।
ছাদের যত আয়োজন
ছাদে বারবিকিউ এর আয়োজন হতে পারে। নতুন বছরের শুরুর ক্ষণে ছাদের খোলা হাওয়ায় মুরগি, মাছ কিংবা সবজিতে মসলা মাখিয়ে আগুনের হলুদ শিখায় হালকা পুড়িয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। ছাদে হতে পারে আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাওয়াদাওয়ার আয়োজনও। নিজেরাই রান্নাবান্না করুন। তাতে একেবারে ভিন্ন এক মজা আছে।
হতে পারে বড় পর্দায় সিনেমা দেখার আয়োজন কিংবা দেশ-বিদেশে থাকা বন্ধুদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকার আয়োজন। আয়োজন যাই হোক না কেন, সতর্ক থাকুন।
নতুন বছর মানেই নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন। অধরাা স্বপ্নগুলো নতুন বছরে ধরা দিক হাতের মুঠোয়। নতুন স্বপ্ন আরও রঙিন হয়ে বেগবান হোক।
২১-এর সব নেতিবাচকতা দূরে যাক। ২২ হয়ে উঠুক ইতিবাচক। সবার জন্য নতুন বছর শুভ হোক। স্বপ্নময় হোক।
পিসির ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা এক স্টোরিতে দেখা গেছে, এলইডি লাইট থেরাপি মাস্ক পরে উড়োজাহাজে দিব্যি আরাম করছেন। যেন রূপচর্চা আর আরামের একেবারে আদর্শ যুগলবন্দী!
৫ ঘণ্টা আগেসময়ের সঙ্গে পরিবেশ বদলায়, আর পরিবেশের সঙ্গে বদলায় চুলের যত্নের ধরন। চুলে নিয়মিত তেল-শ্যাম্পু ব্যবহার এবং মাসে দুদিন হেয়ারপ্যাক ব্যবহার এখন যথেষ্ট নয়। আগের তুলনায় গ্রীষ্মকালে গরম আরও বেড়েছে, বেড়েছে দূষণ। সেই সঙ্গে বেড়েছে চুল আর মাথার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাও।
২ দিন আগেশিশুর বয়স ছয় মাস হওয়া পর্যন্ত তেমন ভাবনা নেই। নরম সুতির ফিতে দেওয়া নিমা পরেই দিন পার হয় ছেলে কিংবা মেয়েশিশুর। কিন্তু সে যখন বসে বসে খেলতে শেখে বা একটু হেঁটে বেড়ায়, যখন পুরো ঘরই তার জন্য এক বিস্ময়ের জগৎ। সারা বাড়ি ঘুরে দেখা, এটা-ওটা ধরে খেলা করতে গিয়ে ঘাম হয়...
২ দিন আগেবৈশাখের শুরুতে আবহাওয়ার যা মেজাজ দেখা যাচ্ছে, তাতে বলা যায়, গরমে নাভিশ্বাস উঠবে এবার। আবহাওয়া যা-ই হোক, বাইরে যাওয়া তো আর বন্ধ রাখা যাবে না। তাই চট করে তৈরি হয়ে বের হওয়ার জন্য এমন কিছু কাপড় ওয়ার্ডরোবে গুছিয়ে রাখুন, যাতে আরাম ও স্টাইল—দুটোই মেলে। আবার ভাঁজে ভাঁজে...
২ দিন আগে