রিক্তা রিচি, ঢাকা
দক্ষ অভিনয় প্রতিভা ও সৌন্দর্যের জন্য পৃথিবীব্যাপী এলিজাবেথ টেলরের নাম উল্লেখযোগ্য। ফ্যাশন সচেতন এ নারী তাঁর সময়ে পলকা ডটের পোশাক পরতে ভালোবাসতেন। পলকা ডটের পোশাকে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতেন প্রিন্সেস ডায়ানা ও অড্রে হেপবার্নও। পঞ্চাশের দশকে পলকা ডটের পোশাক সবার নজর কাড়লেও, পরে এই ধারা অব্যাহত থাকে। অবশ্য এসবেরও আগে, ত্রিশের দশকের দিকে, ১৯২৬ সালে মিস আমেরিকা নরমা স্মলউড প্রথম পলকা ডট নকশার সাঁতারের পোশাক পরেন। তারপর ধীরে ধীরে পলকা ডট পোশাকে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।
সময় নদীর স্রোতের মতো আপন মনে চলতে থাকে, বইতে থাকে। ফ্যাশনও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। শাখা-প্রশাখা গজায়। তবে আবারও ফিরে আসে নতুন প্রজন্মের কাছে। এখন এই নকশার পোশাক হয়ে গেছে সব সময়ের, সব মানুষের। কেবল নারীর পোশাকের নকশায় পলকা ডট সীমাবদ্ধ নেই। পুরুষের শার্ট, পাঞ্জাবিতেও থাকছে এ নকশা। তবু এর আবেদন এতটুকুনও কমছে না; বরং বেড়েই চলছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পলকা ডট নখের ডিজাইন, স্কার্ফ, হেয়ার ব্যান্ড, স্ক্রানচিজ, শাড়ি, গজ কাপড়, শার্ট এমনকি হিজাবে জনপ্রিয়তা পায়। সুতি, লিনেন, সিল্ক ও জর্জেটের কাপড়ে পলকা ডট খুব ভালোভাবে মানিয়ে যায়।
সারার প্রধান ডিজাইনার শামীম রহমান বলেন, ‘পলকা ডট ফোক আর্ট থেকে এসেছে। আমরা শিশুদের পোশাকে এ নকশা ব্যবহার করে থাকি। আমাদের সংগ্রহে পলকা ডটের ফ্রক, টপস, কামিজ, হিজাব এবং ছেলেদের শার্ট, পাঞ্জাবি ও ফতুয়া আছে।’
আগডুম বাগডুমের স্বত্বাধিকারী নূর নাহা নিশাত জানান, পলকা ডট কখনো ট্রেন্ডের বাইরে যায় না। এটি সব সময় পরা যায়। যেকোনো বয়সী নারীর কাছে পলকা ডটের পোশাক গ্রহণযোগ্যতা পায়।
নিশাত বলেন, ‘আমরা শিফন জর্জেট, ওয়েটলেস জর্জেট ও চেরি জর্জেটের ফেব্রিকে পলকা ডট রেখেছি। এগুলো খুব ভালো বিক্রি হচ্ছে। তরুণীদের বেশ সাড়া পাচ্ছি।’
ঘরে পরার জন্য ম্যাক্সি, কাফতান কিনলেও বেছে নিতে পারেন পলকা ডটের নকশার পোশাক। ২০২০ সালে যখন করোনার থাবায় পুরো বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়ে, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে তখন লকডাউন চলছে, সে সময় বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা বেবি বাম্পসহ পলকা ডটের পোশাক পরা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে বেশ আলোচিত হন। তার আগে কারিনা কাপুর, মিরা রাজপুত কাপুর, নেহা ধুপিয়াসহ আরও অনেকেই পলকা ডটের পোশাক পরে বেবি বাম্পের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। কখনো টপস, ওভারসাইজড পোশাক কিংবা ম্যাক্সিতে দেখা গেছে তাঁদের। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, পলকা ডটের আরামদায়ক পোশাক কতটা জনপ্রিয়।
এই গরমে এবং রোজার দিনগুলোতে যাঁরা নিয়মিত অফিস করছেন তাঁরাও পলকা ডটের পোশাক পরতে পারেন। সাদা, নীল, হালকা বাদামি, আকাশি রঙের কাপড়ে এ ধরনের নকশা আপনাকে আরাম দেবে। তা ছাড়া এবার ঈদে টানা আট দিনের সরকারি ছুটি আছে। এই ছুটিতে যাঁরা গ্রামে বা বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাবেন, তাঁরা সুতি ও লিনেন ফেব্রিকসের ওপর পলকা ডটের পোশাক ব্যবহার করতে পারেন। কক্সবাজার কিংবা সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে গেলেও পরতে পারেন পলকা ডটের গাউন, কামিজ কিংবা স্লিভলেস টপসের সঙ্গে কাফতান।
পুরুষেরাও বেছে নিতে পারেন মিনি পলকা ডটের শার্ট ও পাঞ্জাবি। জিনস কিংবা ডেনিমের প্যান্টের সঙ্গে মানিয়ে যাবে এগুলো।
কোথায় পাবেন
পলকা ডট প্রিন্টের গজ কাপড়, টপস, কাফতান, কামিজ, শার্ট, পাঞ্জাবি, শিশুদের পোশাক পাবেন বিভিন্ন শপিং মল ও মার্কেটে; বিশেষ করে ঢাকার নিউমার্কেট, গাউছিয়া, মৌচাক মার্কেট, সুবাস্তু নজর ভ্যালি শপিং কমপ্লেক্স, পিংক সিটি, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, টোকিও স্কয়ার, কৃষি মার্কেট, শ্যামলী স্কয়ার, সীমান্ত স্কয়ারে পছন্দের পলকা ডট প্রিন্টের পোশাক পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া আড়ং, অঞ্জন’স, লা রিভ, রঙ বাংলাদেশ, দেশাল, সারা, সেইলর, আর্ট, কায়া, এমব্রেলাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডে পাওয়া যাবে পলকা ডটের পোশাক। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাকের দোকান কিংবা সুপার মার্কেটে পাওয়া যাবে এই নকশার কাপড় কিংবা পোশাক।
দক্ষ অভিনয় প্রতিভা ও সৌন্দর্যের জন্য পৃথিবীব্যাপী এলিজাবেথ টেলরের নাম উল্লেখযোগ্য। ফ্যাশন সচেতন এ নারী তাঁর সময়ে পলকা ডটের পোশাক পরতে ভালোবাসতেন। পলকা ডটের পোশাকে নিজেকে ফুটিয়ে তুলতেন প্রিন্সেস ডায়ানা ও অড্রে হেপবার্নও। পঞ্চাশের দশকে পলকা ডটের পোশাক সবার নজর কাড়লেও, পরে এই ধারা অব্যাহত থাকে। অবশ্য এসবেরও আগে, ত্রিশের দশকের দিকে, ১৯২৬ সালে মিস আমেরিকা নরমা স্মলউড প্রথম পলকা ডট নকশার সাঁতারের পোশাক পরেন। তারপর ধীরে ধীরে পলকা ডট পোশাকে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।
সময় নদীর স্রোতের মতো আপন মনে চলতে থাকে, বইতে থাকে। ফ্যাশনও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়। শাখা-প্রশাখা গজায়। তবে আবারও ফিরে আসে নতুন প্রজন্মের কাছে। এখন এই নকশার পোশাক হয়ে গেছে সব সময়ের, সব মানুষের। কেবল নারীর পোশাকের নকশায় পলকা ডট সীমাবদ্ধ নেই। পুরুষের শার্ট, পাঞ্জাবিতেও থাকছে এ নকশা। তবু এর আবেদন এতটুকুনও কমছে না; বরং বেড়েই চলছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পলকা ডট নখের ডিজাইন, স্কার্ফ, হেয়ার ব্যান্ড, স্ক্রানচিজ, শাড়ি, গজ কাপড়, শার্ট এমনকি হিজাবে জনপ্রিয়তা পায়। সুতি, লিনেন, সিল্ক ও জর্জেটের কাপড়ে পলকা ডট খুব ভালোভাবে মানিয়ে যায়।
সারার প্রধান ডিজাইনার শামীম রহমান বলেন, ‘পলকা ডট ফোক আর্ট থেকে এসেছে। আমরা শিশুদের পোশাকে এ নকশা ব্যবহার করে থাকি। আমাদের সংগ্রহে পলকা ডটের ফ্রক, টপস, কামিজ, হিজাব এবং ছেলেদের শার্ট, পাঞ্জাবি ও ফতুয়া আছে।’
আগডুম বাগডুমের স্বত্বাধিকারী নূর নাহা নিশাত জানান, পলকা ডট কখনো ট্রেন্ডের বাইরে যায় না। এটি সব সময় পরা যায়। যেকোনো বয়সী নারীর কাছে পলকা ডটের পোশাক গ্রহণযোগ্যতা পায়।
নিশাত বলেন, ‘আমরা শিফন জর্জেট, ওয়েটলেস জর্জেট ও চেরি জর্জেটের ফেব্রিকে পলকা ডট রেখেছি। এগুলো খুব ভালো বিক্রি হচ্ছে। তরুণীদের বেশ সাড়া পাচ্ছি।’
ঘরে পরার জন্য ম্যাক্সি, কাফতান কিনলেও বেছে নিতে পারেন পলকা ডটের নকশার পোশাক। ২০২০ সালে যখন করোনার থাবায় পুরো বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়ে, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে তখন লকডাউন চলছে, সে সময় বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা বেবি বাম্পসহ পলকা ডটের পোশাক পরা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে বেশ আলোচিত হন। তার আগে কারিনা কাপুর, মিরা রাজপুত কাপুর, নেহা ধুপিয়াসহ আরও অনেকেই পলকা ডটের পোশাক পরে বেবি বাম্পের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। কখনো টপস, ওভারসাইজড পোশাক কিংবা ম্যাক্সিতে দেখা গেছে তাঁদের। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে, পলকা ডটের আরামদায়ক পোশাক কতটা জনপ্রিয়।
এই গরমে এবং রোজার দিনগুলোতে যাঁরা নিয়মিত অফিস করছেন তাঁরাও পলকা ডটের পোশাক পরতে পারেন। সাদা, নীল, হালকা বাদামি, আকাশি রঙের কাপড়ে এ ধরনের নকশা আপনাকে আরাম দেবে। তা ছাড়া এবার ঈদে টানা আট দিনের সরকারি ছুটি আছে। এই ছুটিতে যাঁরা গ্রামে বা বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাবেন, তাঁরা সুতি ও লিনেন ফেব্রিকসের ওপর পলকা ডটের পোশাক ব্যবহার করতে পারেন। কক্সবাজার কিংবা সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে গেলেও পরতে পারেন পলকা ডটের গাউন, কামিজ কিংবা স্লিভলেস টপসের সঙ্গে কাফতান।
পুরুষেরাও বেছে নিতে পারেন মিনি পলকা ডটের শার্ট ও পাঞ্জাবি। জিনস কিংবা ডেনিমের প্যান্টের সঙ্গে মানিয়ে যাবে এগুলো।
কোথায় পাবেন
পলকা ডট প্রিন্টের গজ কাপড়, টপস, কাফতান, কামিজ, শার্ট, পাঞ্জাবি, শিশুদের পোশাক পাবেন বিভিন্ন শপিং মল ও মার্কেটে; বিশেষ করে ঢাকার নিউমার্কেট, গাউছিয়া, মৌচাক মার্কেট, সুবাস্তু নজর ভ্যালি শপিং কমপ্লেক্স, পিংক সিটি, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, টোকিও স্কয়ার, কৃষি মার্কেট, শ্যামলী স্কয়ার, সীমান্ত স্কয়ারে পছন্দের পলকা ডট প্রিন্টের পোশাক পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া আড়ং, অঞ্জন’স, লা রিভ, রঙ বাংলাদেশ, দেশাল, সারা, সেইলর, আর্ট, কায়া, এমব্রেলাসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডে পাওয়া যাবে পলকা ডটের পোশাক। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাকের দোকান কিংবা সুপার মার্কেটে পাওয়া যাবে এই নকশার কাপড় কিংবা পোশাক।
বলিউড পাড়ায় নতুন খবর, ‘মা হতে যাচ্ছেন কিয়ারা আদভানি’। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ও কিয়ারা আদভানি দম্পতি ঘোষণা করেছেন, তাঁদের কোল আলো করে সন্তান আসতে চলেছে। এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন এ দম্পতি।
১ দিন আগেআশি কিংবা নব্বইয়ের দশকের বাংলা সিনেমা দেখে এই প্রজন্মের অনেক মেয়েরই চোখ ছানাবড়া হবে। না না, নেতিবাচক অর্থে বলছি না। সে সময় দুই গালে মেয়েরা লালচে আভার ব্লাশন ব্যবহার করত। খানিকটা বাড়তি ব্লাশন ব্যবহারই ছিল সে সময়কার ট্রেন্ড। ওই যে লোকে বলে না, তুষারকন্যার গাল ছিল আপেলের মতো লাল! তাই রাজকুমারীর মতো...
১ দিন আগেবাঙালি কম তেলে রাঁধতে জানে না, এ কথা স্বীকার করতে হবে গড়িমসি করে হলেও। বাড়িতে দাওয়াত রয়েছে মানে কড়াইয়ে নিত্যদিনের তুলনায় একটু বেশি তেল ঢেলে ফেলি। তেল জবজবে খাবার মানে কি সুস্বাদু? আর যদি হয়ও, তবে তা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যকর নয়।
১ দিন আগেঅফিস থেকে ফিরেই যদি হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ ভেসে ওঠে—দল বেঁধে আজ রাতেই বন্ধুরা আসছে আপনার বাড়িতে। তাহলে সবার আগে ঝাড়ু, মপ, ওয়াইপার খুঁজতেই ছুটতে হয়। ঘরটা অন্তত দেখার মতো তো হওয়া চাই! তাড়াহুড়ো না করে ঝটপট যদি কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া যায়, তাহলেই ঘরটা অতিথিদের আগমনের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠবে...
১ দিন আগে