কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
প্লাস্টিক সার্জারি এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং অনেকের কাছে প্রয়োজন; আবার অনেকের কাছে ‘এক্সপ্রেশন’। কিছু দেশ এ খাতে স্বাস্থ্যসেবা ও পর্যটনের যুগল মিলনে বিশ্বজুড়ে নাম কুড়িয়েছে। এ জন্য সৌন্দর্যের মানদণ্ড বদলে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, সামাজিক মাধ্যমের প্রভাবেও প্লাস্টিক সার্জারির হার বাড়ছে বলে ধারণা করা হয়। এমনকি আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য অনেকে বেছে নিচ্ছেন এ পথ। এদিকে চাহিদা অনুযায়ী সার্জনও বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, জাপান, ইতালি, স্পেন, গ্রিসে সার্জন ও রোগীর সংখ্যা—দুটোই বেশি। জার্মান অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘স্টাটিস্টা’ প্রকাশিত ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ জন প্লাস্টিক সার্জন রয়েছে, যা বিশ্বের মোট সার্জনের প্রায় ১৭ শতাংশ।
২০২১ সালে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব অ্যাসথেটিক প্ল্যাস্টিক সার্জারি (আইএসএপিএস) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়, জার্মানিতে মোট ১০ লাখ ৮২ হাজার ৮৯২টি কসমেটিক সার্জিক্যাল ও নন-সার্জিক্যাল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ কসমেটিক সার্জারি হয় ব্রাজিলে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রাজিলে প্লাস্টিক সার্জনের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে প্লাস্টিক সার্জনের সংখ্যা প্রতি ১ লাখে ৩ জন। এ সার্জনদের বেশির ভাগ দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে, যা ব্রাজিলের সবচেয়ে ধনী ও জনবহুল অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
বর্তমান বিশ্বে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলে যাচ্ছে। আগে যেখানে মডেলদের মতো চেহারা পেতে হলে জিনগত সহায়তার প্রয়োজন হতো, এখন প্রযুক্তি আর প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে সেটা অনেকটাই সম্ভব। এর মাধ্যমে কেউ চেহারায় সামান্য পরিবর্তন আনতে চান, কেউ আবার পুরো লুকটাই বদলে ফেলেন।
জাপানে চোখের পাতায় সার্জারি জনপ্রিয়
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব অ্যাসথেটিক প্ল্যাস্টিক সার্জারি (আইএসএপিএস) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী মোট ১৩ লাখ চোখের পাতা সার্জারির মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি অংশ দখল করে রয়েছে এশিয়ার দেশগুলো। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চোখের ওপরের পাতা সার্জারি জনপ্রিয় প্রক্রিয়া। এর নাম ডাবল আইলিড সার্জারি। এটি বেশি হয়ে থাকে স্পষ্ট চোখের আকৃতি ও মোনো আইলিড বা চোখের পাতার ওপরের অংশের ফুলে থাকা ভাঁজহীন প্রবণতার কারণে। এ সার্জারির খরচ অঞ্চলভেদে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। এটি নির্ভর করে কোন শহরে সার্জারি করা হচ্ছে এবং সার্জনের খ্যাতি ও স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর মানের ওপর। এশিয়ান বংশোদ্ভূত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সেলিব্রিটি ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখের পাতা সার্জারির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। ২০২৩ সালে জাপান এ বাজারে নেতৃত্ব দেয়। এ বাবদ দেশটি আয় করে প্রায় ৩৬২ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব। আইএসএপিএসের তথ্য অনুসারে, চোখের পাতা সার্জারি বিশ্বব্যাপী শীর্ষ পাঁচটি অ্যাসথেটিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ওপরের দিকেই থাকে এবং জাপানে এটি সবচেয়ে সাধারণ কসমেটিক সার্জারি।
তুরস্ক ও ব্রাজিলে জনপ্রিয় নাকের সার্জারি
নাকের সার্জারিকে বলা হয় রাইনোপ্লাস্টি। তুরস্ক ও ব্রাজিলে এ সার্জারি জনপ্রিয় কসমেটিক প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম।
কোয়ালিটি কেয়ার গ্লোবালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে তুরস্কে মোট ৮৩ হাজার কসমেটিক সার্জারি করা হয়েছে। এগুলোর ৮৩ দশমিক ১৫ শতাংশই ছিল রাইনোপ্লাস্টি। এ পরিসংখ্যান বলে দেয়, নাকের এই সার্জারি তুরস্কে কত জনপ্রিয়। ‘ইন্টারন্যাশনাল কসমেটিক সার্জারি’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় তুরস্কে রাইনোপ্লাস্টি করানো ৫০০ জনের বেশি মানুষের মতামত সংগ্রহ করা হয়। সেসব মতামত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৯৩ শতাংশ রোগী তাঁদের নাকের চেহারা ও কার্যকারিতার উন্নতি পেয়ে সন্তুষ্ট। যদিও ব্রাজিলে রাইনোপ্লাস্টির নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না, তবে দেশটিতে প্রচুর কসমেটিক সার্জারির কারণে নাকের সার্জারিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়ার ব্যাপকতা স্পষ্ট।
স্ট্যাটিস্টা প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ব্রাজিলে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিকসংখ্যক কসমেটিক সার্জারি করা হয়েছে। এর পরিমাণ ছিল প্রায় ২৪ লাখ! এরপরে ছিল মেক্সিকোর অবস্থান। সে দেশে ৭ দশমিক ৩৪ লাখ সার্জারি করা হয়।
চর্বি কমাতে ব্যস্ত কারা
লাইপোসাকশন একটি জনপ্রিয় কসমেটিক সার্জারি পদ্ধতি। এর মাধ্যমে শরীরের নির্দিষ্ট অংশ থেকে অতিরিক্ত চর্বি অপসারণ করা হয়। এটি সাধারণত পেট, কোমর, ঊরু, বাহু, ঘাড় বা পিঠের মতো স্থানে করা হয়। কারণ, ডায়েট ও ব্যায়াম করেও এসব জায়গার চর্বি কমানো কঠিন। লাইপোসাকশন ওজন কমানোর পদ্ধতি নয়, এটি একটি বডি কনট্যুরিং টেকনিক, যা শরীরের নির্দিষ্ট অংশকে আকৃতি দেয়।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, ২০২০ সালে ভারতে মোট ৬০ হাজার ১২০টি লাইপোসাকশন সম্পন্ন হয়েছে। এ সংখ্যা দেশটির সব কসমেটিক সার্জারির ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ। সে বছর কম্বোডিয়ায় ৩৪ হাজার ৬৫৬টি লাইপোসাকশন হয়, যা দেশটির মোট কসমেটিক সার্জারির ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ভারত বিশ্বে লাইপোসাকশনের সংখ্যায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে। দেশটিতে বিশ্বব্যাপী মোট লাইপোসাকশনের ৩ দশমিক ৯ শতাংশ করানো হয়। এ তালিকায় কলম্বিয়া রয়েছে অষ্টম স্থানে। তারা বিশ্বের মোট ২ দশমিক ৩ শতাংশ লাইপোসাকশন সম্পন্ন করে।
‘পাল সার্জারি ডট কম’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে লাইপোসাকশন সার্জারির সংখ্যায় শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে সে বছর মোট ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৯টি লাইপোসাকশন করা হয়। এটি বৈশ্বিক মোট সংখ্যার ১৭ দশমিক ২ শতাংশ। এরপরেই ছিল ব্রাজিল। তুরস্ক, মেক্সিকো, ভারত, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, ফ্রান্স ও ইরানও বৈশ্বিক লাইপোসাকশন চাহিদা পূরণের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
স্তনের ইমপ্ল্যান্ট যে দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয়
আইএসএপিএসের ২০২৩ সালের গ্লোবাল সার্ভে প্রতিবেদন জানিয়েছে, স্তন ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি জনপ্রিয় গ্রিসে। দেশটিতে হওয়া মোট কসমেটিক সার্জারির মধ্যে ১১ দশমিক ২ শতাংশই ব্রেস্ট অগমেন্টেশন। রোমানিয়ায় হওয়া কসমেটিক সার্জারির ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট। এ তালিকায় বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেক্সিকো। বিশ্বের মোট ব্রেস্ট সার্জারির ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হয় দেশটিতে।
কসমেটিক সার্জারির রাজধানী দক্ষিণ কোরিয়া
আইএসএপিএস প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতি এক হাজারজনে ৮ দশমিক ৯টি সার্জারি হয়। এ হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। দেশটিতে ৩০ বছরের নিচে প্রতি তিনজন নারীর একজন অন্তত একবার সার্জারি করিয়েছেন! বিজনেস অব ফ্যাশন ও আইএসএপিএসের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় কসমেটিক সার্জারি করানো মানুষদের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বিদেশি। দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্জারিগুলোর মধ্যে রয়েছে ডাবল আইলিড সার্জারি, যা চোখ বড় দেখানোর জন্য করা হয়। রাইনোপ্লাস্টি ও ভি-লাইন ফেস কনট্যুরিং, যা দিয়ে মুখের গঠন ছোট করা হয়।
সূত্র: স্ট্যাটিস্টা, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব অ্যাসথেটিক মেডিকেল প্র্যাকটিশনার, স্টারস ইনসাইডার
প্লাস্টিক সার্জারি এখন আর বিলাসিতা নয়, বরং অনেকের কাছে প্রয়োজন; আবার অনেকের কাছে ‘এক্সপ্রেশন’। কিছু দেশ এ খাতে স্বাস্থ্যসেবা ও পর্যটনের যুগল মিলনে বিশ্বজুড়ে নাম কুড়িয়েছে। এ জন্য সৌন্দর্যের মানদণ্ড বদলে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, সামাজিক মাধ্যমের প্রভাবেও প্লাস্টিক সার্জারির হার বাড়ছে বলে ধারণা করা হয়। এমনকি আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য অনেকে বেছে নিচ্ছেন এ পথ। এদিকে চাহিদা অনুযায়ী সার্জনও বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, জাপান, ইতালি, স্পেন, গ্রিসে সার্জন ও রোগীর সংখ্যা—দুটোই বেশি। জার্মান অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘স্টাটিস্টা’ প্রকাশিত ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ জন প্লাস্টিক সার্জন রয়েছে, যা বিশ্বের মোট সার্জনের প্রায় ১৭ শতাংশ।
২০২১ সালে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব অ্যাসথেটিক প্ল্যাস্টিক সার্জারি (আইএসএপিএস) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়, জার্মানিতে মোট ১০ লাখ ৮২ হাজার ৮৯২টি কসমেটিক সার্জিক্যাল ও নন-সার্জিক্যাল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। স্ট্যাটিস্টার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ কসমেটিক সার্জারি হয় ব্রাজিলে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রাজিলে প্লাস্টিক সার্জনের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে প্লাস্টিক সার্জনের সংখ্যা প্রতি ১ লাখে ৩ জন। এ সার্জনদের বেশির ভাগ দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে, যা ব্রাজিলের সবচেয়ে ধনী ও জনবহুল অঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
বর্তমান বিশ্বে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বদলে যাচ্ছে। আগে যেখানে মডেলদের মতো চেহারা পেতে হলে জিনগত সহায়তার প্রয়োজন হতো, এখন প্রযুক্তি আর প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে সেটা অনেকটাই সম্ভব। এর মাধ্যমে কেউ চেহারায় সামান্য পরিবর্তন আনতে চান, কেউ আবার পুরো লুকটাই বদলে ফেলেন।
জাপানে চোখের পাতায় সার্জারি জনপ্রিয়
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব অ্যাসথেটিক প্ল্যাস্টিক সার্জারি (আইএসএপিএস) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী মোট ১৩ লাখ চোখের পাতা সার্জারির মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি অংশ দখল করে রয়েছে এশিয়ার দেশগুলো। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে চোখের ওপরের পাতা সার্জারি জনপ্রিয় প্রক্রিয়া। এর নাম ডাবল আইলিড সার্জারি। এটি বেশি হয়ে থাকে স্পষ্ট চোখের আকৃতি ও মোনো আইলিড বা চোখের পাতার ওপরের অংশের ফুলে থাকা ভাঁজহীন প্রবণতার কারণে। এ সার্জারির খরচ অঞ্চলভেদে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। এটি নির্ভর করে কোন শহরে সার্জারি করা হচ্ছে এবং সার্জনের খ্যাতি ও স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর মানের ওপর। এশিয়ান বংশোদ্ভূত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সেলিব্রিটি ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চোখের পাতা সার্জারির প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। ২০২৩ সালে জাপান এ বাজারে নেতৃত্ব দেয়। এ বাবদ দেশটি আয় করে প্রায় ৩৬২ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার রাজস্ব। আইএসএপিএসের তথ্য অনুসারে, চোখের পাতা সার্জারি বিশ্বব্যাপী শীর্ষ পাঁচটি অ্যাসথেটিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ওপরের দিকেই থাকে এবং জাপানে এটি সবচেয়ে সাধারণ কসমেটিক সার্জারি।
তুরস্ক ও ব্রাজিলে জনপ্রিয় নাকের সার্জারি
নাকের সার্জারিকে বলা হয় রাইনোপ্লাস্টি। তুরস্ক ও ব্রাজিলে এ সার্জারি জনপ্রিয় কসমেটিক প্রক্রিয়াগুলোর মধ্যে অন্যতম।
কোয়ালিটি কেয়ার গ্লোবালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে তুরস্কে মোট ৮৩ হাজার কসমেটিক সার্জারি করা হয়েছে। এগুলোর ৮৩ দশমিক ১৫ শতাংশই ছিল রাইনোপ্লাস্টি। এ পরিসংখ্যান বলে দেয়, নাকের এই সার্জারি তুরস্কে কত জনপ্রিয়। ‘ইন্টারন্যাশনাল কসমেটিক সার্জারি’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় তুরস্কে রাইনোপ্লাস্টি করানো ৫০০ জনের বেশি মানুষের মতামত সংগ্রহ করা হয়। সেসব মতামত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৯৩ শতাংশ রোগী তাঁদের নাকের চেহারা ও কার্যকারিতার উন্নতি পেয়ে সন্তুষ্ট। যদিও ব্রাজিলে রাইনোপ্লাস্টির নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না, তবে দেশটিতে প্রচুর কসমেটিক সার্জারির কারণে নাকের সার্জারিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়ার ব্যাপকতা স্পষ্ট।
স্ট্যাটিস্টা প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ব্রাজিলে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে সর্বাধিকসংখ্যক কসমেটিক সার্জারি করা হয়েছে। এর পরিমাণ ছিল প্রায় ২৪ লাখ! এরপরে ছিল মেক্সিকোর অবস্থান। সে দেশে ৭ দশমিক ৩৪ লাখ সার্জারি করা হয়।
চর্বি কমাতে ব্যস্ত কারা
লাইপোসাকশন একটি জনপ্রিয় কসমেটিক সার্জারি পদ্ধতি। এর মাধ্যমে শরীরের নির্দিষ্ট অংশ থেকে অতিরিক্ত চর্বি অপসারণ করা হয়। এটি সাধারণত পেট, কোমর, ঊরু, বাহু, ঘাড় বা পিঠের মতো স্থানে করা হয়। কারণ, ডায়েট ও ব্যায়াম করেও এসব জায়গার চর্বি কমানো কঠিন। লাইপোসাকশন ওজন কমানোর পদ্ধতি নয়, এটি একটি বডি কনট্যুরিং টেকনিক, যা শরীরের নির্দিষ্ট অংশকে আকৃতি দেয়।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, ২০২০ সালে ভারতে মোট ৬০ হাজার ১২০টি লাইপোসাকশন সম্পন্ন হয়েছে। এ সংখ্যা দেশটির সব কসমেটিক সার্জারির ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ। সে বছর কম্বোডিয়ায় ৩৪ হাজার ৬৫৬টি লাইপোসাকশন হয়, যা দেশটির মোট কসমেটিক সার্জারির ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ। ভারত বিশ্বে লাইপোসাকশনের সংখ্যায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে। দেশটিতে বিশ্বব্যাপী মোট লাইপোসাকশনের ৩ দশমিক ৯ শতাংশ করানো হয়। এ তালিকায় কলম্বিয়া রয়েছে অষ্টম স্থানে। তারা বিশ্বের মোট ২ দশমিক ৩ শতাংশ লাইপোসাকশন সম্পন্ন করে।
‘পাল সার্জারি ডট কম’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে লাইপোসাকশন সার্জারির সংখ্যায় শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে সে বছর মোট ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৯টি লাইপোসাকশন করা হয়। এটি বৈশ্বিক মোট সংখ্যার ১৭ দশমিক ২ শতাংশ। এরপরেই ছিল ব্রাজিল। তুরস্ক, মেক্সিকো, ভারত, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, ফ্রান্স ও ইরানও বৈশ্বিক লাইপোসাকশন চাহিদা পূরণের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
স্তনের ইমপ্ল্যান্ট যে দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয়
আইএসএপিএসের ২০২৩ সালের গ্লোবাল সার্ভে প্রতিবেদন জানিয়েছে, স্তন ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি জনপ্রিয় গ্রিসে। দেশটিতে হওয়া মোট কসমেটিক সার্জারির মধ্যে ১১ দশমিক ২ শতাংশই ব্রেস্ট অগমেন্টেশন। রোমানিয়ায় হওয়া কসমেটিক সার্জারির ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট। এ তালিকায় বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেক্সিকো। বিশ্বের মোট ব্রেস্ট সার্জারির ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হয় দেশটিতে।
কসমেটিক সার্জারির রাজধানী দক্ষিণ কোরিয়া
আইএসএপিএস প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতি এক হাজারজনে ৮ দশমিক ৯টি সার্জারি হয়। এ হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। দেশটিতে ৩০ বছরের নিচে প্রতি তিনজন নারীর একজন অন্তত একবার সার্জারি করিয়েছেন! বিজনেস অব ফ্যাশন ও আইএসএপিএসের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ায় কসমেটিক সার্জারি করানো মানুষদের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বিদেশি। দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্জারিগুলোর মধ্যে রয়েছে ডাবল আইলিড সার্জারি, যা চোখ বড় দেখানোর জন্য করা হয়। রাইনোপ্লাস্টি ও ভি-লাইন ফেস কনট্যুরিং, যা দিয়ে মুখের গঠন ছোট করা হয়।
সূত্র: স্ট্যাটিস্টা, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব অ্যাসথেটিক মেডিকেল প্র্যাকটিশনার, স্টারস ইনসাইডার
একা ভ্রমণ করলেও আপনি কিন্তু একা নন। কিছু কার্যকর কৌশল অবলম্বন করলে পৌঁছে যেতে পারেন স্থানীয় সংস্কৃতির খুব কাছাকাছি, আর গড়ে তুলতে পারেন বন্ধুত্বের এক অনন্য সেতুবন্ধ। দূর করতে পারেন নিঃসঙ্গতা। পেতে পারেন আত্ম-আবিষ্কারের সুযোগ। এই আত্ম-আবিষ্কারে বড় সহচর হতে পারে একজন নতুন বন্ধু।
৩ ঘণ্টা আগেবছরে কাজ করতে হবে মোট ১৮৫ দিন! বিষয়টি ধারণা করতে পারেন এই একুশ শতকে এসে? কিন্তু বাস্তবে একটা সময় মানুষ বছরে ১৮৫ দিনই কাজ করতেন। সে কাজ হতো দিনে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। আর এখন? জেনে নিন চমকপ্রদ তথ্য।
৬ ঘণ্টা আগেধূমপান শুধু ক্যানসার নয়, আরও অনেক রোগের কারণ। ধূমপানের কারণে সবচেয়ে বেশি হয় ফুসফুসের ক্যানসার। বিভিন্ন সূত্রে মানুষ তামাকের ক্ষতি সম্পর্কে জানে। কিন্তু ধূমপান ছাড়ার পর শরীরে কী ঘটে এবং ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি কতটা কমে, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি নেপাল সরকার ঘোষণা করেছে, দেশের দূরবর্তী পশ্চিমাঞ্চলের ৯৭টি পাহাড়ে চূড়ায় ওঠার ফি আগামী দুই বছরের জন্য সম্পূর্ণ মওকুফ থাকবে। এই ৯৭টি পাহাড়ের মধ্যে ২০টি নেপালের একেবারে সুদূর পশ্চিম প্রদেশে এবং ৭৭টি কার্নালি প্রদেশে অবস্থিত। এই অঞ্চলগুলোকে নেপালের কম উন্নত ও দরিদ্র এলাকা হিসেবে ধরা হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে