হেলেনা পারভীন রুমা

স্প্যানিশ পায়েলা
উপকরণ
ছোট টুকরো করা ২০০ গ্রাম মুরগির বুকের মাংস, ১ কাপ আতপ চাল, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ রসুনকুচি, মাঝারি আকারের ১টি করে লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম কিউব করা, আধা কাপ মটরশুঁটি ও গ্রিন বিন, ১ কাপ চিকেন স্টক, ২ টেবিল চামচ চিকেন স্টক পাউডার, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, পায়েলা ফুড কালার, ২ কাপ গরম পানি, লবণ স্বাদমতো, পায়েলা ননস্টিক প্যান।
প্রস্তুত প্রণালি
মুরগির মাংস, চাল ও সবজি ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
পায়েলা প্যান চুলায় দিয়ে হালকা গরম করে অলিভ অয়েল দিয়ে রসুনকুচি হালকা ভেজে নিন। তাতে মুরগির বুকের মাংস সামান্য লবণ দিয়ে ভেজে সবজি দিয়ে একটু নেড়ে চাল দিয়ে দিন। তারপর চিকেন স্টক, গরম পানি ও লেবুর রস দিয়ে ৮ থেকে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। যখন সব মোটামুটি সেদ্ধ হয়ে যাবে তখন ১৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রিহিটেড ওভেনে ৩ মিনিট বেক করে নামিয়ে ফেলুন। পায়েলা ওভেন থেকে নামানোর পর ২ থেকে ৩ মিনিট রেখে দিন। 
তারপর লেবু দিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।
 মাটন রোগান জোশ
মাটন রোগান জোশ
উপকরণ
একটু বড় টুকরো করা ১ কেজি খাসির মাংস, আধা কাপ সরিষার তেল, ২টি তেজপাতা, ৩-৪টি কালো বড় এলাচি, আধা কাপ পেঁয়াজকুচি, আধা কাপ টকদই, ২ টেবিল চামচ করে কাশ্মীরি লাল মরিচগুঁড়ো, রোগান জোশ মসলাগুঁড়ো ও আদাবাটা, ১ টেবিল চামচ রসুনবাটা, ১ চা-চামচ চিনি, লবণ স্বাদমতো, গরম পানি পরিমাণমতো। 
রোগান জোশ মসলা
৬টি সবুজ এলাচি, ২টি দারুচিনির টুকরো, ৪-৫টি লবঙ্গ, ২ চা-চামচ মৌরি, ১ চা-চামচ করে শাহি জিরা ও ধনে, ১ টুকরো জয়ত্রী, আধা চা-চামচ করে কালো গোলমরিচ ও জাফরান একসঙ্গে গ্রাইন্ডারে অথবা পাটায় পিষে গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে রোগান জোশ মসলা।
প্রস্তুত প্রণালি
মাংস ভালো করে ধুয়ে একটি 
পাত্রে ২ টেবিল চামচ লবণ ও ২ কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। তারপর আবার ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার আরেকটি 
পাত্রে টকদই, সব বাটা ও গুঁড়ো মসলা একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
চুলায় একটি প্যানে মাঝারি আঁচে তেল গরম করে তেজপাতা ও কালো এলাচির ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজকুচি বাদামি করে ভেজে নিন। তারপর পানি ঝরিয়ে রাখা মাংস দিয়ে ৮-১০ মিনিট ভাজুন। সামান্য লবণ দিন। ভাজতে ভাজতে মাংস সাদা ভাব থেকে একটু লালচে হয়ে এলে টকদইয়ের সঙ্গে মেশানো মসলা দিয়ে অল্প আঁচে মাংস কষিয়ে নিন। তেল মাংসের ওপরে উঠে এলে ১ কাপ গরম পানি দিয়ে দিন সেদ্ধ হাওয়ার জন্য। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে ১ চা-চামচ করে চিনি ও রোগান জোশের মসলা দিয়ে প্রয়োজনমতো ঝোলের ঘনত্ব রেখে লবণ চেখে নামিয়ে ফেলুন।
পরিবেশন করুন রুটি, পরোটা, নান, সাদা ভাত কিংবা পোলাওয়ের সঙ্গে।
 ব্রকলি ও আমন্ড সালাদ
ব্রকলি ও আমন্ড সালাদ
উপকরণ
লম্বা করে কাটা ২ কাপ ব্রকলি, একটু মোটা করে কাটা আধা কাপ আমন্ড বাদাম, ১ টেবিল চামচ রসুনকুচি, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, আধা চা-চামচ গোলমরিচগুঁড়ো, লবণ স্বাদমতো। সালাদ ড্রেসিংয়ের জন্য লাগবে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ মাস্টার্ড পেস্ট বা সরিষাবাটা, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, আধা চা-চামচ গোলমরিচগুঁড়ো, আধা চা-চামচ মধু।
প্রস্তুত প্রণালি
ব্রকলি গরম পানিতে ২ থেকে ৩ মিনিট ভাপ দিয়ে তুলে ফেলুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে ৪ থেকে 
৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন।
এবার একটি ননস্টিক প্যানে বাদামগুলো একটু টেলে তুলে রাখুন। তারপর প্যানে অলিভ অয়েল একটু গরম করে রসুনকুচি দিয়ে একটু নেড়ে তুলে রাখা ব্রকলি দিয়ে হালকা ভেজে লবণ, গোলমরিচের গুঁড়ো, টেলে রাখা বাদাম দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। 
ড্রেসিংয়ের সব উপকরণ সালাদে মিশিয়ে নিন। তারপর পরিবেশন করুন।

স্প্যানিশ পায়েলা
উপকরণ
ছোট টুকরো করা ২০০ গ্রাম মুরগির বুকের মাংস, ১ কাপ আতপ চাল, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ রসুনকুচি, মাঝারি আকারের ১টি করে লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম কিউব করা, আধা কাপ মটরশুঁটি ও গ্রিন বিন, ১ কাপ চিকেন স্টক, ২ টেবিল চামচ চিকেন স্টক পাউডার, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, পায়েলা ফুড কালার, ২ কাপ গরম পানি, লবণ স্বাদমতো, পায়েলা ননস্টিক প্যান।
প্রস্তুত প্রণালি
মুরগির মাংস, চাল ও সবজি ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
পায়েলা প্যান চুলায় দিয়ে হালকা গরম করে অলিভ অয়েল দিয়ে রসুনকুচি হালকা ভেজে নিন। তাতে মুরগির বুকের মাংস সামান্য লবণ দিয়ে ভেজে সবজি দিয়ে একটু নেড়ে চাল দিয়ে দিন। তারপর চিকেন স্টক, গরম পানি ও লেবুর রস দিয়ে ৮ থেকে ১০ মিনিট জ্বাল দিন। যখন সব মোটামুটি সেদ্ধ হয়ে যাবে তখন ১৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রিহিটেড ওভেনে ৩ মিনিট বেক করে নামিয়ে ফেলুন। পায়েলা ওভেন থেকে নামানোর পর ২ থেকে ৩ মিনিট রেখে দিন। 
তারপর লেবু দিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।
 মাটন রোগান জোশ
মাটন রোগান জোশ
উপকরণ
একটু বড় টুকরো করা ১ কেজি খাসির মাংস, আধা কাপ সরিষার তেল, ২টি তেজপাতা, ৩-৪টি কালো বড় এলাচি, আধা কাপ পেঁয়াজকুচি, আধা কাপ টকদই, ২ টেবিল চামচ করে কাশ্মীরি লাল মরিচগুঁড়ো, রোগান জোশ মসলাগুঁড়ো ও আদাবাটা, ১ টেবিল চামচ রসুনবাটা, ১ চা-চামচ চিনি, লবণ স্বাদমতো, গরম পানি পরিমাণমতো। 
রোগান জোশ মসলা
৬টি সবুজ এলাচি, ২টি দারুচিনির টুকরো, ৪-৫টি লবঙ্গ, ২ চা-চামচ মৌরি, ১ চা-চামচ করে শাহি জিরা ও ধনে, ১ টুকরো জয়ত্রী, আধা চা-চামচ করে কালো গোলমরিচ ও জাফরান একসঙ্গে গ্রাইন্ডারে অথবা পাটায় পিষে গুঁড়ো করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে রোগান জোশ মসলা।
প্রস্তুত প্রণালি
মাংস ভালো করে ধুয়ে একটি 
পাত্রে ২ টেবিল চামচ লবণ ও ২ কাপ পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। তারপর আবার ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার আরেকটি 
পাত্রে টকদই, সব বাটা ও গুঁড়ো মসলা একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
চুলায় একটি প্যানে মাঝারি আঁচে তেল গরম করে তেজপাতা ও কালো এলাচির ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজকুচি বাদামি করে ভেজে নিন। তারপর পানি ঝরিয়ে রাখা মাংস দিয়ে ৮-১০ মিনিট ভাজুন। সামান্য লবণ দিন। ভাজতে ভাজতে মাংস সাদা ভাব থেকে একটু লালচে হয়ে এলে টকদইয়ের সঙ্গে মেশানো মসলা দিয়ে অল্প আঁচে মাংস কষিয়ে নিন। তেল মাংসের ওপরে উঠে এলে ১ কাপ গরম পানি দিয়ে দিন সেদ্ধ হাওয়ার জন্য। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে ১ চা-চামচ করে চিনি ও রোগান জোশের মসলা দিয়ে প্রয়োজনমতো ঝোলের ঘনত্ব রেখে লবণ চেখে নামিয়ে ফেলুন।
পরিবেশন করুন রুটি, পরোটা, নান, সাদা ভাত কিংবা পোলাওয়ের সঙ্গে।
 ব্রকলি ও আমন্ড সালাদ
ব্রকলি ও আমন্ড সালাদ
উপকরণ
লম্বা করে কাটা ২ কাপ ব্রকলি, একটু মোটা করে কাটা আধা কাপ আমন্ড বাদাম, ১ টেবিল চামচ রসুনকুচি, ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, আধা চা-চামচ গোলমরিচগুঁড়ো, লবণ স্বাদমতো। সালাদ ড্রেসিংয়ের জন্য লাগবে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ মাস্টার্ড পেস্ট বা সরিষাবাটা, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, আধা চা-চামচ গোলমরিচগুঁড়ো, আধা চা-চামচ মধু।
প্রস্তুত প্রণালি
ব্রকলি গরম পানিতে ২ থেকে ৩ মিনিট ভাপ দিয়ে তুলে ফেলুন। তারপর ঠান্ডা পানিতে ৪ থেকে 
৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে পানি ঝরিয়ে নিন।
এবার একটি ননস্টিক প্যানে বাদামগুলো একটু টেলে তুলে রাখুন। তারপর প্যানে অলিভ অয়েল একটু গরম করে রসুনকুচি দিয়ে একটু নেড়ে তুলে রাখা ব্রকলি দিয়ে হালকা ভেজে লবণ, গোলমরিচের গুঁড়ো, টেলে রাখা বাদাম দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। 
ড্রেসিংয়ের সব উপকরণ সালাদে মিশিয়ে নিন। তারপর পরিবেশন করুন।


জেন-জি প্রজন্ম মনে করে, কর্মক্ষেত্রে মানবিক হওয়া দুর্বলতা নয়, বরং তা জরুরি। তাদের কাছে কাজের দক্ষতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্থিতি ও আত্মিক স্বচ্ছতা।
৭ ঘণ্টা আগে
চিনাবাদাম কেবল সুস্বাদুই নয়, বরং এটি প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর একটি খাদ্য। দক্ষিণ আমেরিকায় এর উৎপত্তি হলেও এটি আজ বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। চিনাবাদাম আসলে একটি শিমজাতীয় শস্য, ডাল, মটরশুঁটি ও সয়াবিনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
৮ ঘণ্টা আগে
হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এসেছে? রাতের খাবারের পর ডেজার্ট তো রাখতেই হবে। সাধারণ উপায়ে ডেজার্ট তৈরি না করে জাফরানি পায়েস রেঁধে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আপনাদের জন্য জাফরানি পায়েসের রেসিপি এ ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
১১ ঘণ্টা আগে
মহাদেশভিত্তিক তালিকা দেখলে এশিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি গ্যালাপ এ বছরের গ্লোবাল সেফটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে হাঁটা বা ঘোরাফেরার জন্য নিরাপদ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সাধারণ ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সে তালিকায় নেই...
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘সম্প্রতি আমার ব্রেকআপ হয়েছে। কাজে মনোযোগ দিতে পারছি না। সামান্য বিরতি দরকার। আজ বাসা থেকে কাজ করব।’
গুরগাঁওভিত্তিক জীবনসঙ্গী খোঁজার অ্যাপ ‘নট ডেটিং’-এর এক কর্মীর পাঠানো এই ছোট ই-মেইল এখন ভারতজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। করপোরেট ভাষার আড়ালে ঢাকা নয়, ই-মেইলটি ছিল খুবই সরল ও অকপট। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো—প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মুহূর্তের মধ্যেই তাঁর ওই কর্মীর ছুটি মঞ্জুর করেন এবং সেই ই-মেইল অনলাইনে শেয়ার করেন। তিনি লেখেন, ‘এটাই আমার দেখা সবচেয়ে সৎ ছুটির আবেদন।’
এরপরই বিষয়টি ভাইরাল হয় লিংকডইন, এক্স ও ইনস্টাগ্রামে। এক কর্মীর ‘সততা’ ঘিরে শুরু হয় জাতীয় পর্যায়ের বিতর্ক—অফিস কি এখন এমন এক জায়গা, যেখানে ব্রেকআপ বা সম্পর্ক ভাঙার পর ছুটি চাওয়ার মতো আবেগঘন বিষয়ও প্রাপ্য হতে পারে?
এ ভাইরাল ঘটনার প্রতিক্রিয়া দুই মেরুতে বিভক্ত—কেউ সিইওর সিদ্ধান্তকে সহানুভূতিশীল নেতৃত্বের নিদর্শন বলেছেন, কেউ আবার একে পেশাগত সীমারেখা ভাঙা বলে সমালোচনা করেছেন।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে গভীর এক পরিবর্তন—কর্মক্ষেত্রে জেনারেশন জেড বা জেন-জিদের (১৯৯৭–২০১২ সালে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) মানসিকতা ও পেশাগত দৃষ্টিভঙ্গির রূপান্তর।
জেন-জি প্রজন্ম মনে করে, কর্মক্ষেত্রে মানবিক হওয়া দুর্বলতা নয়, বরং তা জরুরি। তাদের কাছে কাজের দক্ষতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্থিতি ও আত্মিক স্বচ্ছতা।
যুক্তরাজ্যের লিগ্যাল অ্যান্ড জেনারেল গ্রুপ প্রোটেকশনের এক জরিপে দেখা গেছে, গত এক বছরে প্রতি তিনজন জেন-জি কর্মীর মধ্যে একজন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগেছেন—যা অন্য যেকোনো বয়সী কর্মীদের তুলনায় বেশি। তাঁরা আগের প্রজন্মের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে মানসিক সহায়তা চাওয়াতেও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
কিন্তু অফিসে কি আবেগের জায়গা থাকা উচিত? দীর্ঘদিন ধরে ‘পেশাদারত্ব’ মানে ছিল ব্যক্তিগত অনুভূতিকে আড়াল করা, অফিসে ব্যক্তিগত সমস্যা না আনা। কিন্তু কোভিড মহামারিপরবর্তী যুগে সেই ধারণা বদলে গেছে। হাইব্রিড ওয়ার্ক, অনলাইন সংযোগ ও ক্রমবর্ধমান বার্নআউটের কারণে কাজ ও ব্যক্তিজীবনের সীমারেখা এখন অনেকটাই মিশে গেছে।
২০২৪ সালে ফিউচার ফোরামের এক জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪২ শতাংশ কর্মী বার্নআউটে ভুগছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে এখন একটি ‘পেশাগত মানসিক অবস্থা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বার্নআউট হলো দীর্ঘস্থায়ী ও অতিরিক্ত চাপ থেকে সৃষ্ট একটি মানসিক, শারীরিক ও আবেগিক অবসন্নতার অবস্থা। এটি সাধারণত কর্মক্ষেত্রের অতিরিক্ত চাপ থেকে আসে, কিন্তু জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও দেখা দিতে পারে। বার্নআউটের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে চরম ক্লান্তি, কাজ থেকে মানসিক দূরত্ব, উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়া এবং হতাশা ও উদ্বেগের অনুভূতি।
এমন প্রেক্ষাপটে, ‘ব্রেকআপ’ বা সম্পর্ক ভাঙার পর ছুটি চাওয়া আসলে কোনো বিলাসিতা নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের বাস্তব প্রতিক্রিয়া। যখন আবেগিক বিপর্যয় মনোযোগ নষ্ট করে, তখন অল্প কিছুদিনের বিরতি দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নয়, বরং আত্মনিয়ন্ত্রণের একটি রূপ হতে পারে।
কিন্তু সব প্রতিষ্ঠান কি এই ছুটি দেবে? সব প্রতিষ্ঠান অবশ্য এমন উদ্যোগে আগ্রহী নয়। অনেক এইচআর বিশেষজ্ঞ সতর্ক করছেন—আবেগঘন কারণকে ‘ছুটির বৈধ অজুহাত’ হিসেবে স্বীকৃতি দিলে নীতিগত জটিলতা ও এর অপব্যবহার হতে পারে।
অনেকে মনে করেন, অতিরিক্ত সহানুভূতি শৃঙ্খলাকে দুর্বল করতে পারে। অন্যদিকে, আধুনিক কর্মসংস্কৃতির সমর্থকেরা বলছেন—সহানুভূতি ও পেশাদারত্ব পরস্পরের বিপরীত নয়, বরং পেশাদারত্বের নতুন রূপ।
ডেলয়েটের ২০২৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ জেন-জি ও মিলেনিয়ালদের ৩৫ শতাংশ কর্মী নিয়মিত মানসিক চাপ অনুভব করেন। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, পারিবারিক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা—এই তিন বিষয় তাদের স্ট্রেসের প্রধান কারণ।
তবে ইতিবাচক দিক হলো, অনেক প্রতিষ্ঠান এখন কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন হতে শুরু করেছে, তবে পুরোদমে খোলামেলা আলোচনা ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে এখনো ঘাটতি রয়ে গেছে।
সম্পর্ক ভাঙা বা মন ভাঙা কেন কাজের ওপর প্রভাব ফেলে
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্পর্ক ভাঙার পর শারীরিক ও মানসিক প্রভাব অনেকটা শোকের মতো। ঘুমের ব্যাঘাত, মনোযোগ হারানো, উদ্যম কমে যাওয়া—সবকিছুই কর্মক্ষমতায় সরাসরি প্রভাব ফেলে।
তা ছাড়া যেসব কর্মী আগে থেকে কাজের চাপ ও মানসিক ক্লান্তিতে ভুগছেন, তাঁদের জন্য ব্রেকআপপরবর্তী পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এ জন্য কিছুদিনের ছুটি অনেক সময় বার্নআউট প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো—সহানুভূতি ও নীতির মধ্যে ভারসাম্য আনা। এ জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু বাস্তবসম্মত পদ্ধতি নিতে পারে। যেমন—আবেগ বা মানসিক কারণে ‘ব্যক্তিগত ছুটি’র সুযোগ রাখা, তবে বিস্তারিত ব্যাখ্যার বাধ্যবাধকতা ছাড়া। এমপ্লয়ি অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের (ইএপি) আওতায় গোপনভাবে মানসিক পরামর্শ সেবা। ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাতে তাঁরা কর্মীদের মানসিক সংকেত বুঝতে পারেন, কিন্তু অযথা ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করেন। ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের পর ধাপে ধাপে কাজে ফেরার সুযোগ রাখা।
মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, এ ধরনের কাঠামো একদিকে কর্মীর মর্যাদা রক্ষা করে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতাও বজায় রাখে। এটি একটি মধ্যপন্থা, যেখানে মানবতা ও শৃঙ্খলা পাশাপাশি চলে।
ব্রেকআপের পর কর্মজীবনে টিকে থাকার উপায়
ব্রেকআপ বা সম্পর্ক ভাঙার পর অফিসের চাপ সামলানো সহজ নয়। বিশেষ করে, জেন-জি প্রজন্মের জন্য, যারা একই সঙ্গে বাস্তবতা, স্বচ্ছতা ও দ্রুতগতির কর্মজীবনের ভার বহন করে। বিশেষজ্ঞরা এমন পরিস্থিতিতে কিছু অবশ্যকরণীয় পরামর্শ দিয়েছেন—
-আবেগের বিষয়টি মেনে নিন—মনোযোগ কমে যাওয়া স্বাভাবিক, তা অস্বীকার নয়, মেনে নিন।
-কাজ ও জীবনের সীমা টানুন—অতিরিক্ত কাজ করে দুঃখ ঢাকার চেষ্টা না করে বিশ্রাম নিন।
-সহায়তা নিন—বিশ্বাসযোগ্য সহকর্মী, বন্ধু বা কাউন্সেলরের সঙ্গে কথা বলুন।
-ফ্লেক্সিবল বিকল্প ব্যবহার করুন—প্রয়োজনে বাসা থেকে কাজ বা স্বল্পমেয়াদি ছুটি নিন।
-রুটিন মেনে চলুন—ঘুম, ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন।
-সৃজনশীলভাবে আবেগ প্রকাশ করুন—লেখা, শিল্পচর্চা বা থেরাপির মাধ্যমে মনোভাব প্রকাশ করুন।
-পেশাদারত্ব বজায় রাখুন—অফিসে পারফরম্যান্সে সাময়িক প্রভাব পড়লে খোলামেলা জানিয়ে দিন।
মনোবিজ্ঞানী বলেন, জেন-জি প্রজন্মের কাছে কর্মক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা মানে আবেগ লুকানো নয়, বরং আবেগের মধ্যেই দৃঢ় হয়ে ওঠা, যাতে ব্যক্তিগত কষ্ট পেশাদার জীবনের বাধা না হয়ে উন্নতির শক্তি হয়ে ওঠে। তাই ব্রেকআপের পর ছুটি চাওয়ার বিষয়টি জেন-জিদের জন্য লজ্জার নয়, বরং এটা কর্মক্ষেত্রে তাদের স্বচ্ছতা ও সততার প্রকাশ।

‘সম্প্রতি আমার ব্রেকআপ হয়েছে। কাজে মনোযোগ দিতে পারছি না। সামান্য বিরতি দরকার। আজ বাসা থেকে কাজ করব।’
গুরগাঁওভিত্তিক জীবনসঙ্গী খোঁজার অ্যাপ ‘নট ডেটিং’-এর এক কর্মীর পাঠানো এই ছোট ই-মেইল এখন ভারতজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। করপোরেট ভাষার আড়ালে ঢাকা নয়, ই-মেইলটি ছিল খুবই সরল ও অকপট। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো—প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মুহূর্তের মধ্যেই তাঁর ওই কর্মীর ছুটি মঞ্জুর করেন এবং সেই ই-মেইল অনলাইনে শেয়ার করেন। তিনি লেখেন, ‘এটাই আমার দেখা সবচেয়ে সৎ ছুটির আবেদন।’
এরপরই বিষয়টি ভাইরাল হয় লিংকডইন, এক্স ও ইনস্টাগ্রামে। এক কর্মীর ‘সততা’ ঘিরে শুরু হয় জাতীয় পর্যায়ের বিতর্ক—অফিস কি এখন এমন এক জায়গা, যেখানে ব্রেকআপ বা সম্পর্ক ভাঙার পর ছুটি চাওয়ার মতো আবেগঘন বিষয়ও প্রাপ্য হতে পারে?
এ ভাইরাল ঘটনার প্রতিক্রিয়া দুই মেরুতে বিভক্ত—কেউ সিইওর সিদ্ধান্তকে সহানুভূতিশীল নেতৃত্বের নিদর্শন বলেছেন, কেউ আবার একে পেশাগত সীমারেখা ভাঙা বলে সমালোচনা করেছেন।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে গভীর এক পরিবর্তন—কর্মক্ষেত্রে জেনারেশন জেড বা জেন-জিদের (১৯৯৭–২০১২ সালে জন্ম নেওয়া প্রজন্ম) মানসিকতা ও পেশাগত দৃষ্টিভঙ্গির রূপান্তর।
জেন-জি প্রজন্ম মনে করে, কর্মক্ষেত্রে মানবিক হওয়া দুর্বলতা নয়, বরং তা জরুরি। তাদের কাছে কাজের দক্ষতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্থিতি ও আত্মিক স্বচ্ছতা।
যুক্তরাজ্যের লিগ্যাল অ্যান্ড জেনারেল গ্রুপ প্রোটেকশনের এক জরিপে দেখা গেছে, গত এক বছরে প্রতি তিনজন জেন-জি কর্মীর মধ্যে একজন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগেছেন—যা অন্য যেকোনো বয়সী কর্মীদের তুলনায় বেশি। তাঁরা আগের প্রজন্মের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে মানসিক সহায়তা চাওয়াতেও বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
কিন্তু অফিসে কি আবেগের জায়গা থাকা উচিত? দীর্ঘদিন ধরে ‘পেশাদারত্ব’ মানে ছিল ব্যক্তিগত অনুভূতিকে আড়াল করা, অফিসে ব্যক্তিগত সমস্যা না আনা। কিন্তু কোভিড মহামারিপরবর্তী যুগে সেই ধারণা বদলে গেছে। হাইব্রিড ওয়ার্ক, অনলাইন সংযোগ ও ক্রমবর্ধমান বার্নআউটের কারণে কাজ ও ব্যক্তিজীবনের সীমারেখা এখন অনেকটাই মিশে গেছে।
২০২৪ সালে ফিউচার ফোরামের এক জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪২ শতাংশ কর্মী বার্নআউটে ভুগছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে এখন একটি ‘পেশাগত মানসিক অবস্থা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বার্নআউট হলো দীর্ঘস্থায়ী ও অতিরিক্ত চাপ থেকে সৃষ্ট একটি মানসিক, শারীরিক ও আবেগিক অবসন্নতার অবস্থা। এটি সাধারণত কর্মক্ষেত্রের অতিরিক্ত চাপ থেকে আসে, কিন্তু জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও দেখা দিতে পারে। বার্নআউটের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে চরম ক্লান্তি, কাজ থেকে মানসিক দূরত্ব, উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়া এবং হতাশা ও উদ্বেগের অনুভূতি।
এমন প্রেক্ষাপটে, ‘ব্রেকআপ’ বা সম্পর্ক ভাঙার পর ছুটি চাওয়া আসলে কোনো বিলাসিতা নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের বাস্তব প্রতিক্রিয়া। যখন আবেগিক বিপর্যয় মনোযোগ নষ্ট করে, তখন অল্প কিছুদিনের বিরতি দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নয়, বরং আত্মনিয়ন্ত্রণের একটি রূপ হতে পারে।
কিন্তু সব প্রতিষ্ঠান কি এই ছুটি দেবে? সব প্রতিষ্ঠান অবশ্য এমন উদ্যোগে আগ্রহী নয়। অনেক এইচআর বিশেষজ্ঞ সতর্ক করছেন—আবেগঘন কারণকে ‘ছুটির বৈধ অজুহাত’ হিসেবে স্বীকৃতি দিলে নীতিগত জটিলতা ও এর অপব্যবহার হতে পারে।
অনেকে মনে করেন, অতিরিক্ত সহানুভূতি শৃঙ্খলাকে দুর্বল করতে পারে। অন্যদিকে, আধুনিক কর্মসংস্কৃতির সমর্থকেরা বলছেন—সহানুভূতি ও পেশাদারত্ব পরস্পরের বিপরীত নয়, বরং পেশাদারত্বের নতুন রূপ।
ডেলয়েটের ২০২৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ জেন-জি ও মিলেনিয়ালদের ৩৫ শতাংশ কর্মী নিয়মিত মানসিক চাপ অনুভব করেন। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, পারিবারিক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা—এই তিন বিষয় তাদের স্ট্রেসের প্রধান কারণ।
তবে ইতিবাচক দিক হলো, অনেক প্রতিষ্ঠান এখন কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতন হতে শুরু করেছে, তবে পুরোদমে খোলামেলা আলোচনা ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে এখনো ঘাটতি রয়ে গেছে।
সম্পর্ক ভাঙা বা মন ভাঙা কেন কাজের ওপর প্রভাব ফেলে
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্পর্ক ভাঙার পর শারীরিক ও মানসিক প্রভাব অনেকটা শোকের মতো। ঘুমের ব্যাঘাত, মনোযোগ হারানো, উদ্যম কমে যাওয়া—সবকিছুই কর্মক্ষমতায় সরাসরি প্রভাব ফেলে।
তা ছাড়া যেসব কর্মী আগে থেকে কাজের চাপ ও মানসিক ক্লান্তিতে ভুগছেন, তাঁদের জন্য ব্রেকআপপরবর্তী পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এ জন্য কিছুদিনের ছুটি অনেক সময় বার্নআউট প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো—সহানুভূতি ও নীতির মধ্যে ভারসাম্য আনা। এ জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো কিছু বাস্তবসম্মত পদ্ধতি নিতে পারে। যেমন—আবেগ বা মানসিক কারণে ‘ব্যক্তিগত ছুটি’র সুযোগ রাখা, তবে বিস্তারিত ব্যাখ্যার বাধ্যবাধকতা ছাড়া। এমপ্লয়ি অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের (ইএপি) আওতায় গোপনভাবে মানসিক পরামর্শ সেবা। ব্যবস্থাপকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাতে তাঁরা কর্মীদের মানসিক সংকেত বুঝতে পারেন, কিন্তু অযথা ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করেন। ব্যক্তিগত বিপর্যয়ের পর ধাপে ধাপে কাজে ফেরার সুযোগ রাখা।
মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, এ ধরনের কাঠামো একদিকে কর্মীর মর্যাদা রক্ষা করে, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতাও বজায় রাখে। এটি একটি মধ্যপন্থা, যেখানে মানবতা ও শৃঙ্খলা পাশাপাশি চলে।
ব্রেকআপের পর কর্মজীবনে টিকে থাকার উপায়
ব্রেকআপ বা সম্পর্ক ভাঙার পর অফিসের চাপ সামলানো সহজ নয়। বিশেষ করে, জেন-জি প্রজন্মের জন্য, যারা একই সঙ্গে বাস্তবতা, স্বচ্ছতা ও দ্রুতগতির কর্মজীবনের ভার বহন করে। বিশেষজ্ঞরা এমন পরিস্থিতিতে কিছু অবশ্যকরণীয় পরামর্শ দিয়েছেন—
-আবেগের বিষয়টি মেনে নিন—মনোযোগ কমে যাওয়া স্বাভাবিক, তা অস্বীকার নয়, মেনে নিন।
-কাজ ও জীবনের সীমা টানুন—অতিরিক্ত কাজ করে দুঃখ ঢাকার চেষ্টা না করে বিশ্রাম নিন।
-সহায়তা নিন—বিশ্বাসযোগ্য সহকর্মী, বন্ধু বা কাউন্সেলরের সঙ্গে কথা বলুন।
-ফ্লেক্সিবল বিকল্প ব্যবহার করুন—প্রয়োজনে বাসা থেকে কাজ বা স্বল্পমেয়াদি ছুটি নিন।
-রুটিন মেনে চলুন—ঘুম, ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন।
-সৃজনশীলভাবে আবেগ প্রকাশ করুন—লেখা, শিল্পচর্চা বা থেরাপির মাধ্যমে মনোভাব প্রকাশ করুন।
-পেশাদারত্ব বজায় রাখুন—অফিসে পারফরম্যান্সে সাময়িক প্রভাব পড়লে খোলামেলা জানিয়ে দিন।
মনোবিজ্ঞানী বলেন, জেন-জি প্রজন্মের কাছে কর্মক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা মানে আবেগ লুকানো নয়, বরং আবেগের মধ্যেই দৃঢ় হয়ে ওঠা, যাতে ব্যক্তিগত কষ্ট পেশাদার জীবনের বাধা না হয়ে উন্নতির শক্তি হয়ে ওঠে। তাই ব্রেকআপের পর ছুটি চাওয়ার বিষয়টি জেন-জিদের জন্য লজ্জার নয়, বরং এটা কর্মক্ষেত্রে তাদের স্বচ্ছতা ও সততার প্রকাশ।


ছোট টুকরো করা ২০০ গ্রাম মুরগির বুকের মাংস, ১ কাপ আতপ চাল, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ রসুনকুচি, মাঝারি আকারের ১টি করে লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম কিউব করা, আধা কাপ মটরশুঁটি ও গ্রিন বিন, ১ কাপ চিকেন স্টক, ২ টেবিল চামচ চিকেন স্টক পাউডার, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, পায়েলা ফুড কালার, ২ কাপ গরম পানি, লব
১১ মার্চ ২০২২
চিনাবাদাম কেবল সুস্বাদুই নয়, বরং এটি প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর একটি খাদ্য। দক্ষিণ আমেরিকায় এর উৎপত্তি হলেও এটি আজ বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। চিনাবাদাম আসলে একটি শিমজাতীয় শস্য, ডাল, মটরশুঁটি ও সয়াবিনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
৮ ঘণ্টা আগে
হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এসেছে? রাতের খাবারের পর ডেজার্ট তো রাখতেই হবে। সাধারণ উপায়ে ডেজার্ট তৈরি না করে জাফরানি পায়েস রেঁধে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আপনাদের জন্য জাফরানি পায়েসের রেসিপি এ ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
১১ ঘণ্টা আগে
মহাদেশভিত্তিক তালিকা দেখলে এশিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি গ্যালাপ এ বছরের গ্লোবাল সেফটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে হাঁটা বা ঘোরাফেরার জন্য নিরাপদ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সাধারণ ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সে তালিকায় নেই...
১৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

চিনাবাদাম কেবল সুস্বাদুই নয়; বরং এটি প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর একটি খাদ্য। দক্ষিণ আমেরিকায় এর উৎপত্তি হলেও এটি আজ বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। চিনাবাদাম আসলে একটি শিমজাতীয় শস্য, ডাল, মটরশুঁটি ও সয়াবিনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর উচ্চ পুষ্টিগুণ এটিকে হৃদ্রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক করে তুলতে পারে। তাই চিনাবাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের খাবার, যা আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
চিনাবাদামের পুষ্টি উপাদানের শক্তি
১০০ গ্রাম কাঁচা চিনবাদামে প্রায় ৫৬৭ ক্যালরি থাকে। উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। এর পুষ্টিগুণ অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এখানে প্রোটিনের মাত্রা ২৫.৮ গ্রাম। ফ্যাট আছে প্রায় ৪৯.২ গ্রাম। তবে সেই ফ্যাটের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যেমন—ওলিক অ্যাসিড ও লিনোলিক অ্যাসিড। এ ছাড়া এখানে কার্বোহাইড্রেট আছে মাত্র ১৬.১ গ্রাম। যার মধ্যে ৮.৫ গ্রাম ফাইবার। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযোগী।

কেন খাদ্যতালিকায় রাখবেন চিনাবাদাম
হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা
চিনাবাদাম হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, কপার, নিয়াসিন বা ভিটামিন বি৩ এবং রেসভেরাট্রলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড; যেমন ওলিক অ্যাসিড রক্তসঞ্চালন নিয়ন্ত্রণে রাখে; যা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
চিনাবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও ওজন বাড়ায় না; বরং গবেষণায় দেখা গেছে, এটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর কারণ এতে থাকা প্রোটিন ও ফাইবার তৃপ্তি বাড়ায়। ফলে অন্যান্য খাবার কম খাওয়া হয়। এটি অন্যান্য সাধারণ নামতা; যেমন রাইস কেকের তুলনায় বেশি সময় পেট ভরা রাখে। সম্পূর্ণ চিনাবাদাম ভালোভাবে চিবিয়ে না খেলে এর কিছু অংশ হজম না হয়ে বেরিয়ে যায়। ফলে ক্যালরি শোষণ কম হয়।

ভিটামিন ও খনিজের উৎস
চিনাবাদাম বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজের উৎস। যেমন বায়োটিন ও ফোলেট, যা গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর মধ্যে কপারের মতো উপাদান আছে, যা হৃদ্রোগের সুরক্ষায় সহায়ক। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক নিয়াসিন আছে। এ ছাড়া আছে ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস; যা হাড়ের বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ‘ই’ও আছে। চিনাবাদামে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা অনেক ফলের মতোই শক্তিশালী।
গলব্লাডার পাথর প্রতিরোধে ভূমিকা
কিছু পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত চিনাবাদাম খেলে গলব্লাডারের পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমতে পারে। যেহেতু গলব্লাডারের পাথর মূলত কোলেস্টেরল দ্বারা গঠিত হয়, তাই কোলেস্টেরল হ্রাসকারী প্রভাব এর পেছনে কাজ করতে পারে।

কিছু সতর্কতা ও খাওয়ার নিয়ম
চিনাবাদাম স্বাস্থ্যকর হলেও কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি—
অ্যালার্জি: চিনাবাদাম খুব সাধারণ এবং মারাত্মক অ্যালার্জেনগুলোর মধ্যে একটি। অ্যালার্জি থাকলে এটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলতে হবে।
অ্যাফ্লাটক্সিন দূষণ: অনুপযুক্ত সংরক্ষণ; যেমন গরম ও আর্দ্র অবস্থা থেকে বাদামে অ্যাফ্লাটক্সিন নামক ছত্রাকজনিত বিষ উৎপন্ন হতে পারে; যা লিভারের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই শুকনো ও ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন এবং ছত্রাক বা তেতো গন্ধযুক্ত বাদাম কখনোই খাবেন না।
অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টস: এতে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড আয়রন ও জিঙ্কের শোষণ সামান্য কমাতে পারে। তবে সুষম খাদ্যে এটি সাধারণত বড় সমস্যা নয়।
খাবেন যেভাবে
দৈনিক ১ থেকে ২ মুঠো বা ৩০-৫০ গ্রাম পরিমাণে চিনাবাদাম খাওয়া নিরাপদ। এটি ভেজানো বা সেদ্ধ করে খেলে অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টসের প্রভাব কমে এবং হজম ভালো হয়।
সূত্র: হেলথলাইন, বিবিসি

চিনাবাদাম কেবল সুস্বাদুই নয়; বরং এটি প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর একটি খাদ্য। দক্ষিণ আমেরিকায় এর উৎপত্তি হলেও এটি আজ বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। চিনাবাদাম আসলে একটি শিমজাতীয় শস্য, ডাল, মটরশুঁটি ও সয়াবিনের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর উচ্চ পুষ্টিগুণ এটিকে হৃদ্রোগ প্রতিরোধ থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক করে তুলতে পারে। তাই চিনাবাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের খাবার, যা আপনার সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
চিনাবাদামের পুষ্টি উপাদানের শক্তি
১০০ গ্রাম কাঁচা চিনবাদামে প্রায় ৫৬৭ ক্যালরি থাকে। উদ্ভিদভিত্তিক প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস। এর পুষ্টিগুণ অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এখানে প্রোটিনের মাত্রা ২৫.৮ গ্রাম। ফ্যাট আছে প্রায় ৪৯.২ গ্রাম। তবে সেই ফ্যাটের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট। যেমন—ওলিক অ্যাসিড ও লিনোলিক অ্যাসিড। এ ছাড়া এখানে কার্বোহাইড্রেট আছে মাত্র ১৬.১ গ্রাম। যার মধ্যে ৮.৫ গ্রাম ফাইবার। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব কম, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপযোগী।

কেন খাদ্যতালিকায় রাখবেন চিনাবাদাম
হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের সুরক্ষা
চিনাবাদাম হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, কপার, নিয়াসিন বা ভিটামিন বি৩ এবং রেসভেরাট্রলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড; যেমন ওলিক অ্যাসিড রক্তসঞ্চালন নিয়ন্ত্রণে রাখে; যা হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আশঙ্কা কমায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
চিনাবাদাম উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও ওজন বাড়ায় না; বরং গবেষণায় দেখা গেছে, এটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর কারণ এতে থাকা প্রোটিন ও ফাইবার তৃপ্তি বাড়ায়। ফলে অন্যান্য খাবার কম খাওয়া হয়। এটি অন্যান্য সাধারণ নামতা; যেমন রাইস কেকের তুলনায় বেশি সময় পেট ভরা রাখে। সম্পূর্ণ চিনাবাদাম ভালোভাবে চিবিয়ে না খেলে এর কিছু অংশ হজম না হয়ে বেরিয়ে যায়। ফলে ক্যালরি শোষণ কম হয়।

ভিটামিন ও খনিজের উৎস
চিনাবাদাম বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজের উৎস। যেমন বায়োটিন ও ফোলেট, যা গর্ভাবস্থায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এর মধ্যে কপারের মতো উপাদান আছে, যা হৃদ্রোগের সুরক্ষায় সহায়ক। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক নিয়াসিন আছে। এ ছাড়া আছে ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস; যা হাড়ের বৃদ্ধি ও রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ‘ই’ও আছে। চিনাবাদামে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা অনেক ফলের মতোই শক্তিশালী।
গলব্লাডার পাথর প্রতিরোধে ভূমিকা
কিছু পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত চিনাবাদাম খেলে গলব্লাডারের পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমতে পারে। যেহেতু গলব্লাডারের পাথর মূলত কোলেস্টেরল দ্বারা গঠিত হয়, তাই কোলেস্টেরল হ্রাসকারী প্রভাব এর পেছনে কাজ করতে পারে।

কিছু সতর্কতা ও খাওয়ার নিয়ম
চিনাবাদাম স্বাস্থ্যকর হলেও কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরি—
অ্যালার্জি: চিনাবাদাম খুব সাধারণ এবং মারাত্মক অ্যালার্জেনগুলোর মধ্যে একটি। অ্যালার্জি থাকলে এটি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলতে হবে।
অ্যাফ্লাটক্সিন দূষণ: অনুপযুক্ত সংরক্ষণ; যেমন গরম ও আর্দ্র অবস্থা থেকে বাদামে অ্যাফ্লাটক্সিন নামক ছত্রাকজনিত বিষ উৎপন্ন হতে পারে; যা লিভারের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই শুকনো ও ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন এবং ছত্রাক বা তেতো গন্ধযুক্ত বাদাম কখনোই খাবেন না।
অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টস: এতে থাকা ফাইটিক অ্যাসিড আয়রন ও জিঙ্কের শোষণ সামান্য কমাতে পারে। তবে সুষম খাদ্যে এটি সাধারণত বড় সমস্যা নয়।
খাবেন যেভাবে
দৈনিক ১ থেকে ২ মুঠো বা ৩০-৫০ গ্রাম পরিমাণে চিনাবাদাম খাওয়া নিরাপদ। এটি ভেজানো বা সেদ্ধ করে খেলে অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টসের প্রভাব কমে এবং হজম ভালো হয়।
সূত্র: হেলথলাইন, বিবিসি


ছোট টুকরো করা ২০০ গ্রাম মুরগির বুকের মাংস, ১ কাপ আতপ চাল, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ রসুনকুচি, মাঝারি আকারের ১টি করে লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম কিউব করা, আধা কাপ মটরশুঁটি ও গ্রিন বিন, ১ কাপ চিকেন স্টক, ২ টেবিল চামচ চিকেন স্টক পাউডার, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, পায়েলা ফুড কালার, ২ কাপ গরম পানি, লব
১১ মার্চ ২০২২
জেন-জি প্রজন্ম মনে করে, কর্মক্ষেত্রে মানবিক হওয়া দুর্বলতা নয়, বরং তা জরুরি। তাদের কাছে কাজের দক্ষতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্থিতি ও আত্মিক স্বচ্ছতা।
৭ ঘণ্টা আগে
হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এসেছে? রাতের খাবারের পর ডেজার্ট তো রাখতেই হবে। সাধারণ উপায়ে ডেজার্ট তৈরি না করে জাফরানি পায়েস রেঁধে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আপনাদের জন্য জাফরানি পায়েসের রেসিপি এ ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
১১ ঘণ্টা আগে
মহাদেশভিত্তিক তালিকা দেখলে এশিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি গ্যালাপ এ বছরের গ্লোবাল সেফটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে হাঁটা বা ঘোরাফেরার জন্য নিরাপদ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সাধারণ ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সে তালিকায় নেই...
১৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এসেছে? রাতের খাবারের পর ডেজার্ট তো রাখতেই হবে। সাধারণ উপায়ে ডেজার্ট তৈরি না করে জাফরানি পায়েস রেঁধে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আপনাদের জন্য জাফরানি পায়েসের রেসিপি এ ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
উপকরণ
দুধ ১ লিটার, পোলাওয়ের চাল ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, চিনি ৩ থেকে ৪ কাপ, জাফরান এক চিমটি, কাঠবাদাম কুচি ১০টি, পেস্তাবাদাম কুচি ১০টি, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ এবং ঘি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি
একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে কাজুবাদাম ও পেস্তাবাদাম ভেজে কুচি করে রাখতে হবে। এবার আরেকটি পাত্রে দুধ ও চাল একসঙ্গে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে নিতে হবে ফুটে ওঠার আগে পর্যন্ত। ফুটে গেলে জ্বাল কমিয়ে দিতে হবে এবং রান্না করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দুধ কমে অর্ধেক হয়ে যায়। দুধ কমে অর্ধেক হলে দিতে হবে চিনি ও বাদাম বাটা। নিচে যেন লেগে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এ পর্যায়ে বারবার নেড়ে দিতে হবে। দুধের পরিমাণ তিন ভাগের এক ভাগ হয়ে গেলে দুধে ভেজানো জাফরান মিশিয়ে নিতে হবে এবং অর্ধেক বাদাম কুচি দিয়ে একটু পরে নামিয়ে নিতে হবে। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে জাফরান, বাদাম কুচি ও গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা অথবা গরম-গরম পরিবেশন করতে হবে।

হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এসেছে? রাতের খাবারের পর ডেজার্ট তো রাখতেই হবে। সাধারণ উপায়ে ডেজার্ট তৈরি না করে জাফরানি পায়েস রেঁধে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আপনাদের জন্য জাফরানি পায়েসের রেসিপি এ ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
উপকরণ
দুধ ১ লিটার, পোলাওয়ের চাল ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ, চিনি ৩ থেকে ৪ কাপ, জাফরান এক চিমটি, কাঠবাদাম কুচি ১০টি, পেস্তাবাদাম কুচি ১০টি, কাজুবাদাম বাটা ১ টেবিল চামচ এবং ঘি ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি
একটি প্যানে ঘি গরম করে তাতে কাজুবাদাম ও পেস্তাবাদাম ভেজে কুচি করে রাখতে হবে। এবার আরেকটি পাত্রে দুধ ও চাল একসঙ্গে মিশিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে নিতে হবে ফুটে ওঠার আগে পর্যন্ত। ফুটে গেলে জ্বাল কমিয়ে দিতে হবে এবং রান্না করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত দুধ কমে অর্ধেক হয়ে যায়। দুধ কমে অর্ধেক হলে দিতে হবে চিনি ও বাদাম বাটা। নিচে যেন লেগে না যায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। এ পর্যায়ে বারবার নেড়ে দিতে হবে। দুধের পরিমাণ তিন ভাগের এক ভাগ হয়ে গেলে দুধে ভেজানো জাফরান মিশিয়ে নিতে হবে এবং অর্ধেক বাদাম কুচি দিয়ে একটু পরে নামিয়ে নিতে হবে। পরিবেশন পাত্রে ঢেলে জাফরান, বাদাম কুচি ও গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা অথবা গরম-গরম পরিবেশন করতে হবে।


ছোট টুকরো করা ২০০ গ্রাম মুরগির বুকের মাংস, ১ কাপ আতপ চাল, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ রসুনকুচি, মাঝারি আকারের ১টি করে লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম কিউব করা, আধা কাপ মটরশুঁটি ও গ্রিন বিন, ১ কাপ চিকেন স্টক, ২ টেবিল চামচ চিকেন স্টক পাউডার, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, পায়েলা ফুড কালার, ২ কাপ গরম পানি, লব
১১ মার্চ ২০২২
জেন-জি প্রজন্ম মনে করে, কর্মক্ষেত্রে মানবিক হওয়া দুর্বলতা নয়, বরং তা জরুরি। তাদের কাছে কাজের দক্ষতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্থিতি ও আত্মিক স্বচ্ছতা।
৭ ঘণ্টা আগে
চিনাবাদাম কেবল সুস্বাদুই নয়, বরং এটি প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর একটি খাদ্য। দক্ষিণ আমেরিকায় এর উৎপত্তি হলেও এটি আজ বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। চিনাবাদাম আসলে একটি শিমজাতীয় শস্য, ডাল, মটরশুঁটি ও সয়াবিনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
৮ ঘণ্টা আগে
মহাদেশভিত্তিক তালিকা দেখলে এশিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি গ্যালাপ এ বছরের গ্লোবাল সেফটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে হাঁটা বা ঘোরাফেরার জন্য নিরাপদ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সাধারণ ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সে তালিকায় নেই...
১৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

রাতে একা একা ঘুরে বেড়াতে আপনি কি নিরাপদ বোধ করেন? বেশির ভাগ মানুষ এ প্রশ্নে নেতিবাচক উত্তর দেবেন। কিন্তু বিশ্বে এমন অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে রাতে একা হাঁটতে বের হওয়া বা ঘোরাফেরা করা নিরাপদ। মহাদেশভিত্তিক তালিকা দেখলে এশিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি গ্যালাপ এ বছরের গ্লোবাল সেফটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে হাঁটা বা ঘোরাফেরার জন্য নিরাপদ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সাধারণ ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সে তালিকায় নেই বাংলাদেশ, ভারত কিংবা নেপাল, ভুটানের মতো দেশগুলোর নাম।
১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ১ লাখ ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে করা এ সমীক্ষাটি বিশ্বজুড়ে জনসাধারণের নিরাপত্তা আস্থার একটি চিত্র তুলে ধরেছে। কিছু দেশ লিঙ্গনির্বিশেষে নিরাপত্তার প্রায় সর্বজনীন আস্থা বজায় রেখেছে। আর কিছু দেশে লিঙ্গবৈষম্য ও লিঙ্গভিত্তিক অপরাধের চিত্র রয়েছে। অন্ধকার হওয়ার পর যে দেশের বাসিন্দারা বেশি সুরক্ষিত বোধ করে, তেমন শীর্ষ ৩০টি দেশের নাম রয়েছে এ তালিকায়।
সর্বোচ্চ নিরাপদ দেশগুলো
এ তালিকায় সবচেয়ে নিরাপদ দেশ সিঙ্গাপুর। দেশটির ৯৮ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটা নিরাপদ বলে মনে করেন। অপরাধের কম হার, আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং সামাজিক শৃঙ্খলা এর কারণ। সিঙ্গাপুরের পরই রয়েছে তাজিকিস্তান। দেশটির ৯৫ শতাংশ মানুষ রাতে একা চলাফেরা করার ক্ষেত্রে সুরক্ষিত বোধ করেন। সীমিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার নিয়েও এ দেশের বাসিন্দারা পুলিশি ব্যবস্থা এবং শক্তিশালী সামাজিক বন্ধনের মধ্যে আবদ্ধ।
এর পরই রয়েছে ওমান ও চীন। এ দুটি দেশের ৯৪ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা রাস্তায় হাঁটতে নিরাপদ বোধ করেন। শান্তি ও আতিথেয়তার জন্য খ্যাত ওমানের খ্যাতি রাতের রাস্তায়ও প্রসারিত। ধারাবাহিক পুলিশিং ও কম অপরাধপ্রবণতা দেশটির নাগরিকদের রাতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এমন মনোভাবের অন্যতম কারণ। এদিকে চীনে অনেক বাসিন্দা, বিশেষ করে প্রধান শহর ও পরিবহন কেন্দ্রগুলোতে রাতে একা ঘোরাফেরা করার ক্ষেত্রে নিরাপদ বোধ করার কথা জানান। দেশটিতে জননিরাপত্তার জন্য ব্যাপক পুলিশিং ও নজরদারির ব্যবস্থা আছে। এরপরই রয়েছে সৌদি আরব। দেশটির ৯৩ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটতে নিরাপদ বোধ করেন। শহুরে নিরাপত্তা ও গণ-অবকাঠামোতে চলমান বিনিয়োগের পাশাপাশি সৌদি আরব ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।

তালিকায় এরপর একসঙ্গে রয়েছে কুয়েত, নরওয়ে ও হংকং—এই তিনটি দেশ ও অঞ্চল। এসব দেশ ও অঞ্চলের ৯১ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটতে বের হলে নিরাপদ বোধ করেন। এশিয়ার অন্যতম নিরাপদ শহর, কার্যকর পুলিশি ব্যবস্থা, নির্ভরযোগ্য পরিবহন ও শক্তিশালী নাগরিক শৃঙ্খলা, অন্ধকার নামার পরও এসব দেশ ও অঞ্চলের বাসিন্দাদের সুরক্ষিত বোধ করতে সহায়তা করে। কুয়েতের নাগরিকদের নিরাপত্তার এই উচ্চ অনুভূতি এসেছে মূলত সামাজিক সংহতি ও দৃশ্যমান আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কারণে। নরওয়ের সামাজিক আস্থা এবং কম অপরাধের হার দেশটিকে ইউরোপের অন্যতম নিরাপদ দেশ করে তুলেছে। চমৎকারভাবে সজ্জিত আলোকিত রাস্তা ও সামাজিক সতর্কতা নরওয়েজিয়ানদের সূর্যাস্তের পরও অবাধে চলাচলের জন্য উৎসাহিত করে।
তালিকায় এরপর রয়েছে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ দুটি দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের সুরক্ষিত মনে করেন। বাহরাইনের আধুনিক পুলিশি ব্যবস্থা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ওপর ব্যাপক আস্থা সৃষ্টি করেছে। এদিকে পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ শহুরে পরিবেশের জন্য পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইউএইর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আস্থা বজায় রেখে এখানকার বাসিন্দা ও পর্যটক উভয়ই রাতে নিরাপদ বোধ করেন।

নব্বই শতাংশের নিচে যে দেশগুলো
কসোভো ও ডেনমার্কের ৮৯ শতাংশ মানুষ নিজেদের রাতের রাস্তায় নিরাপদ মনে করেন। কসোভোর দ্রুত উন্নয়ন ও ক্রমবর্ধমান সামাজিক সংহতি নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়িয়েছে। উন্নত অবকাঠামো এবং সামাজিক কর্মসূচি নাগরিকদের আগের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত বোধ করতে সহায়তা করে। ডেনমার্ক অধিবাসীদের সমতা ও নাগরিকদের দায়িত্বজ্ঞানের ওপর জোর দেয়। এ দুটি কারণে দেশটির শক্তিশালী নিরাপত্তা রেকর্ডের ভিত্তি। দেশটির শহরগুলোতে চমৎকার আলো এবং পুলিশের সক্রিয় উপস্থিতি রাতের পথচারীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে।
ভিয়েতনাম, সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডের ৮৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, তাঁরা রাতের রাস্তায় নিরাপদ। ভিয়েতনামের শহুরে এলাকাগুলো, বিশেষ করে সক্রিয় রাতের অর্থনীতি এবং দৃশ্যমান নিরাপত্তা টহলের কারণে নিরাপদ। সুইজারল্যান্ডের কার্যকর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সুশৃঙ্খল শহরগুলো স্থিতিশীল ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে। এর সংরক্ষিত অবকাঠামো রাতের নিরাপত্তার প্রতি শক্তিশালী জন-আস্থা বজায় রাখতে অবদান রেখেছে। বিশ্বে সর্বনিম্ন অপরাধপ্রবণতার হার যেসব দেশে, সেগুলোর মধ্যে আইসল্যান্ড অন্যতম। কম অপরাধপ্রবণতা ও সরকারের প্রতি উচ্চ জন-আস্থা রাতে একা হাঁটা দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে ফিনল্যান্ডে। বাসিন্দারা কার্যকর পুলিশিং এবং শক্তিশালী কল্যাণমূলক ব্যবস্থার কৃতিত্ব দেয় তাদের নিরাপত্তার অনুভূতির জন্য।
তাইওয়ান, মন্টেনেগ্রো ও এল সালভাদরের ৮৭ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা বাইরে নিরাপদ বোধ করেন। একসময় অপরাধের উচ্চ হারের জন্য কুখ্যাত ছিল এল সালভাদর। তবে সেখানে বড় আকারের নিরাপত্তা সংস্কারের কারণে জননিরাপত্তায় বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে, যা এই অঞ্চলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্যতম উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। অন্যদিকে তাইওয়ানে কম অপরাধপ্রবণতা, কার্যকর পুলিশিং এবং শক্তিশালী নাগরিক সুবিধা এশিয়ায় নিরাপত্তার ধারণার সর্বোচ্চ জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। এমনকি এ ধারা ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকায়ও বিদ্যমান।
মন্টেনেগ্রোর শান্ত জীবনযাত্রা এবং সম্প্রদায়কেন্দ্রিক সংস্কৃতি নিরাপত্তার অনুভূতিকে বাড়িয়ে তুলেছে। উজবেকিস্তানের ৮৬ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তাকে নিরাপদ মনে করেন। নিরাপত্তা ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগ দেশটিতে জন-আস্থা বাড়িয়েছে। স্থানীয়রা অন্ধকার নামার পর শহর ও গ্রামাঞ্চলে ঘোরাফেরায় নিজেদের সুরক্ষিত বোধ করার কথা জানান। এরপরই রয়েছে আর্মেনিয়া। দেশটির ৮৫ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের নিরাপদ মনে করেন। অন্যদিকে অস্ট্রিয়া ও স্লোভেনিয়ার ৮৪ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের নিরাপদ বলে মনে করেন।
ইন্দোনেশিয়া ও এস্তোনিয়ার ৮৩ শতাংশ মানুষ রাতে নিজেদের নিরাপদ ভাবেন। মিসর, জর্জিয়া ও নেদারল্যান্ডসের ৮২ শতাংশ এবং স্পেন ও সুইডেনের ৮১ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা চলাচলে নিজেদের নিরাপদ মনে করেন।
নিজের দেশে নিরাপত্তা নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

রাতে একা একা ঘুরে বেড়াতে আপনি কি নিরাপদ বোধ করেন? বেশির ভাগ মানুষ এ প্রশ্নে নেতিবাচক উত্তর দেবেন। কিন্তু বিশ্বে এমন অনেক দেশ রয়েছে, যেখানে রাতে একা হাঁটতে বের হওয়া বা ঘোরাফেরা করা নিরাপদ। মহাদেশভিত্তিক তালিকা দেখলে এশিয়ায় এমন দেশের সংখ্যা বেশি। সম্প্রতি গ্যালাপ এ বছরের গ্লোবাল সেফটি রিপোর্ট অনুযায়ী রাতে হাঁটা বা ঘোরাফেরার জন্য নিরাপদ দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি করা হয়েছে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তার সাধারণ ধারণাগুলোর ওপর নির্ভর করে। এশিয়ার দেশ হওয়া সত্ত্বেও সে তালিকায় নেই বাংলাদেশ, ভারত কিংবা নেপাল, ভুটানের মতো দেশগুলোর নাম।
১৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ১ লাখ ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে করা এ সমীক্ষাটি বিশ্বজুড়ে জনসাধারণের নিরাপত্তা আস্থার একটি চিত্র তুলে ধরেছে। কিছু দেশ লিঙ্গনির্বিশেষে নিরাপত্তার প্রায় সর্বজনীন আস্থা বজায় রেখেছে। আর কিছু দেশে লিঙ্গবৈষম্য ও লিঙ্গভিত্তিক অপরাধের চিত্র রয়েছে। অন্ধকার হওয়ার পর যে দেশের বাসিন্দারা বেশি সুরক্ষিত বোধ করে, তেমন শীর্ষ ৩০টি দেশের নাম রয়েছে এ তালিকায়।
সর্বোচ্চ নিরাপদ দেশগুলো
এ তালিকায় সবচেয়ে নিরাপদ দেশ সিঙ্গাপুর। দেশটির ৯৮ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটা নিরাপদ বলে মনে করেন। অপরাধের কম হার, আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং সামাজিক শৃঙ্খলা এর কারণ। সিঙ্গাপুরের পরই রয়েছে তাজিকিস্তান। দেশটির ৯৫ শতাংশ মানুষ রাতে একা চলাফেরা করার ক্ষেত্রে সুরক্ষিত বোধ করেন। সীমিত রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার নিয়েও এ দেশের বাসিন্দারা পুলিশি ব্যবস্থা এবং শক্তিশালী সামাজিক বন্ধনের মধ্যে আবদ্ধ।
এর পরই রয়েছে ওমান ও চীন। এ দুটি দেশের ৯৪ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা রাস্তায় হাঁটতে নিরাপদ বোধ করেন। শান্তি ও আতিথেয়তার জন্য খ্যাত ওমানের খ্যাতি রাতের রাস্তায়ও প্রসারিত। ধারাবাহিক পুলিশিং ও কম অপরাধপ্রবণতা দেশটির নাগরিকদের রাতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এমন মনোভাবের অন্যতম কারণ। এদিকে চীনে অনেক বাসিন্দা, বিশেষ করে প্রধান শহর ও পরিবহন কেন্দ্রগুলোতে রাতে একা ঘোরাফেরা করার ক্ষেত্রে নিরাপদ বোধ করার কথা জানান। দেশটিতে জননিরাপত্তার জন্য ব্যাপক পুলিশিং ও নজরদারির ব্যবস্থা আছে। এরপরই রয়েছে সৌদি আরব। দেশটির ৯৩ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটতে নিরাপদ বোধ করেন। শহুরে নিরাপত্তা ও গণ-অবকাঠামোতে চলমান বিনিয়োগের পাশাপাশি সৌদি আরব ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ দেশগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।

তালিকায় এরপর একসঙ্গে রয়েছে কুয়েত, নরওয়ে ও হংকং—এই তিনটি দেশ ও অঞ্চল। এসব দেশ ও অঞ্চলের ৯১ শতাংশ মানুষ রাতে রাস্তায় হাঁটতে বের হলে নিরাপদ বোধ করেন। এশিয়ার অন্যতম নিরাপদ শহর, কার্যকর পুলিশি ব্যবস্থা, নির্ভরযোগ্য পরিবহন ও শক্তিশালী নাগরিক শৃঙ্খলা, অন্ধকার নামার পরও এসব দেশ ও অঞ্চলের বাসিন্দাদের সুরক্ষিত বোধ করতে সহায়তা করে। কুয়েতের নাগরিকদের নিরাপত্তার এই উচ্চ অনুভূতি এসেছে মূলত সামাজিক সংহতি ও দৃশ্যমান আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কারণে। নরওয়ের সামাজিক আস্থা এবং কম অপরাধের হার দেশটিকে ইউরোপের অন্যতম নিরাপদ দেশ করে তুলেছে। চমৎকারভাবে সজ্জিত আলোকিত রাস্তা ও সামাজিক সতর্কতা নরওয়েজিয়ানদের সূর্যাস্তের পরও অবাধে চলাচলের জন্য উৎসাহিত করে।
তালিকায় এরপর রয়েছে বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ দুটি দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের সুরক্ষিত মনে করেন। বাহরাইনের আধুনিক পুলিশি ব্যবস্থা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ওপর ব্যাপক আস্থা সৃষ্টি করেছে। এদিকে পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ শহুরে পরিবেশের জন্য পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইউএইর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আস্থা বজায় রেখে এখানকার বাসিন্দা ও পর্যটক উভয়ই রাতে নিরাপদ বোধ করেন।

নব্বই শতাংশের নিচে যে দেশগুলো
কসোভো ও ডেনমার্কের ৮৯ শতাংশ মানুষ নিজেদের রাতের রাস্তায় নিরাপদ মনে করেন। কসোভোর দ্রুত উন্নয়ন ও ক্রমবর্ধমান সামাজিক সংহতি নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়িয়েছে। উন্নত অবকাঠামো এবং সামাজিক কর্মসূচি নাগরিকদের আগের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত বোধ করতে সহায়তা করে। ডেনমার্ক অধিবাসীদের সমতা ও নাগরিকদের দায়িত্বজ্ঞানের ওপর জোর দেয়। এ দুটি কারণে দেশটির শক্তিশালী নিরাপত্তা রেকর্ডের ভিত্তি। দেশটির শহরগুলোতে চমৎকার আলো এবং পুলিশের সক্রিয় উপস্থিতি রাতের পথচারীদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে।
ভিয়েতনাম, সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও ফিনল্যান্ডের ৮৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন, তাঁরা রাতের রাস্তায় নিরাপদ। ভিয়েতনামের শহুরে এলাকাগুলো, বিশেষ করে সক্রিয় রাতের অর্থনীতি এবং দৃশ্যমান নিরাপত্তা টহলের কারণে নিরাপদ। সুইজারল্যান্ডের কার্যকর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সুশৃঙ্খল শহরগুলো স্থিতিশীল ও নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে। এর সংরক্ষিত অবকাঠামো রাতের নিরাপত্তার প্রতি শক্তিশালী জন-আস্থা বজায় রাখতে অবদান রেখেছে। বিশ্বে সর্বনিম্ন অপরাধপ্রবণতার হার যেসব দেশে, সেগুলোর মধ্যে আইসল্যান্ড অন্যতম। কম অপরাধপ্রবণতা ও সরকারের প্রতি উচ্চ জন-আস্থা রাতে একা হাঁটা দৈনন্দিন রুটিনে পরিণত হয়েছে ফিনল্যান্ডে। বাসিন্দারা কার্যকর পুলিশিং এবং শক্তিশালী কল্যাণমূলক ব্যবস্থার কৃতিত্ব দেয় তাদের নিরাপত্তার অনুভূতির জন্য।
তাইওয়ান, মন্টেনেগ্রো ও এল সালভাদরের ৮৭ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা বাইরে নিরাপদ বোধ করেন। একসময় অপরাধের উচ্চ হারের জন্য কুখ্যাত ছিল এল সালভাদর। তবে সেখানে বড় আকারের নিরাপত্তা সংস্কারের কারণে জননিরাপত্তায় বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে, যা এই অঞ্চলে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অন্যতম উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন। অন্যদিকে তাইওয়ানে কম অপরাধপ্রবণতা, কার্যকর পুলিশিং এবং শক্তিশালী নাগরিক সুবিধা এশিয়ায় নিরাপত্তার ধারণার সর্বোচ্চ জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। এমনকি এ ধারা ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকায়ও বিদ্যমান।
মন্টেনেগ্রোর শান্ত জীবনযাত্রা এবং সম্প্রদায়কেন্দ্রিক সংস্কৃতি নিরাপত্তার অনুভূতিকে বাড়িয়ে তুলেছে। উজবেকিস্তানের ৮৬ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তাকে নিরাপদ মনে করেন। নিরাপত্তা ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগ দেশটিতে জন-আস্থা বাড়িয়েছে। স্থানীয়রা অন্ধকার নামার পর শহর ও গ্রামাঞ্চলে ঘোরাফেরায় নিজেদের সুরক্ষিত বোধ করার কথা জানান। এরপরই রয়েছে আর্মেনিয়া। দেশটির ৮৫ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের নিরাপদ মনে করেন। অন্যদিকে অস্ট্রিয়া ও স্লোভেনিয়ার ৮৪ শতাংশ মানুষ রাতের রাস্তায় নিজেদের নিরাপদ বলে মনে করেন।
ইন্দোনেশিয়া ও এস্তোনিয়ার ৮৩ শতাংশ মানুষ রাতে নিজেদের নিরাপদ ভাবেন। মিসর, জর্জিয়া ও নেদারল্যান্ডসের ৮২ শতাংশ এবং স্পেন ও সুইডেনের ৮১ শতাংশ মানুষ রাতের বেলা চলাচলে নিজেদের নিরাপদ মনে করেন।
নিজের দেশে নিরাপত্তা নিয়ে আপনার ভাবনা কী?
সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার


ছোট টুকরো করা ২০০ গ্রাম মুরগির বুকের মাংস, ১ কাপ আতপ চাল, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ রসুনকুচি, মাঝারি আকারের ১টি করে লাল ও সবুজ ক্যাপসিকাম কিউব করা, আধা কাপ মটরশুঁটি ও গ্রিন বিন, ১ কাপ চিকেন স্টক, ২ টেবিল চামচ চিকেন স্টক পাউডার, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, পায়েলা ফুড কালার, ২ কাপ গরম পানি, লব
১১ মার্চ ২০২২
জেন-জি প্রজন্ম মনে করে, কর্মক্ষেত্রে মানবিক হওয়া দুর্বলতা নয়, বরং তা জরুরি। তাদের কাছে কাজের দক্ষতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্থিতি ও আত্মিক স্বচ্ছতা।
৭ ঘণ্টা আগে
চিনাবাদাম কেবল সুস্বাদুই নয়, বরং এটি প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর একটি খাদ্য। দক্ষিণ আমেরিকায় এর উৎপত্তি হলেও এটি আজ বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। চিনাবাদাম আসলে একটি শিমজাতীয় শস্য, ডাল, মটরশুঁটি ও সয়াবিনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
৮ ঘণ্টা আগে
হঠাৎ বাড়িতে অতিথি এসেছে? রাতের খাবারের পর ডেজার্ট তো রাখতেই হবে। সাধারণ উপায়ে ডেজার্ট তৈরি না করে জাফরানি পায়েস রেঁধে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন। আপনাদের জন্য জাফরানি পায়েসের রেসিপি এ ছবি পাঠিয়েছেন ‘সেরা রাঁধুনি ১৪২৭’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রানারআপ ও রন্ধনশিল্পী মরিয়ম হোসেন নূপুর।
১১ ঘণ্টা আগে