ইকবাল হোসেন
চট্টগ্রাম: রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো এক দিনের বিষয় নয়। লম্বা সময় ধরে এর চর্চা করতে হবে। কোনো ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কতটা শক্তিশালী হবে—সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির মায়ের গর্ভ থেকে শুরু করে শিশুকালের পরিচর্যার ওপর। পরিচর্যার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে খাবার ব্যবস্থাপনা। দীর্ঘ সময় ধরে সঠিক খাবার খেলে তবেই রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে খাবারে সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ অনেক খাবারেই এসব পাওয়া যায়।
অঙ্কুরিত বীজ
অঙ্কুরিত ছোলা, গম, যব—সবকিছুতেই মিনারেলের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকে। এগুলোতে আয়রন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, মাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফোলেট পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। এসেনশিয়াল এমাইনো অ্যাসিডের সবই থাকে অঙ্কুরিত বীজে। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন সকালে কিছু অঙ্কুরিত বীজ খেতে।
লাল চাল-লাল আটা
লাল চাল ও আটায় থাকে সেলেনিয়াম। এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। লাল চাল ছাড়াও কিছু সামুদ্রিক মাছ, টার্কি, চিংড়ি, ডিম প্রভৃতিতে সেলেনিয়াম রয়েছে।
জিংক
রক্তের শ্বেতকণিকার সংখ্যা ঠিক রাখতে সহায়তা করে জিংক। শরীরে জিংকের ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও কমে যেতে পারে। বাদাম, শিম, মাংস, ডিম, মটরশুঁটি, কাঁঠালের বিচি, দুধ এবং দুধ থেকে তৈরি খাবারে জিংকের পরিমাণ বেশি থাকে।
ম্যাগনেশিয়াম
ক্লোরোফিলের অন্যতম উপাদান ম্যাগনেশিয়াম। সবুজ পাতা বা কাণ্ডবিশিষ্ট যেকোনো শাকসবজিতেই ম্যাগনেশিয়াম বেশি থাকে। গাঢ় সবুজ শাকসবজি, কলা, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, কাঠ বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ প্রভৃতিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম আছে।
ভিটামিন সি
শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ভিটামিন সি। শরীরে কাটাছেঁড়া, চর্মরোগ, মাড়ির যত্ন, চুলের যত্ন, কাশি, জ্বর সবকিছু থেকেই আমাদের সুরক্ষা দেয় ভিটামিন সি। এমনকি বর্তমানের মহামারি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধেও ভিটামিন সি-র মেগাডোজ শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে। টকজাতীয় সব দেশি ফল ভিটামিন সি-র উৎস। এর মধ্যে আমলকী, পেয়ারা, জলপাই, লেবু, আমড়া, জাম্বুরা, জাম এবং কাঁচা মরিচে একটু বেশিই ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
ভিটামিন বি১২
শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেই নয়, দ্রুত আরোগ্য লাভেও ভিটামিন বি১২ দারুণ কার্যকর। দুধ, দুধ থেকে তৈরি খাবার, ডিম ও কলিজায় ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। তবে এগুলো প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায় বলে শরীরে জমা থাকে না। সে জন্য আমাদের প্রতিদিন কিছু পরিমাণে ভিটামিন সি ও বি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
ভিটামিন ডি
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ভিটামিন ডি। শরীরে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ করতে ভিটামিন ডি-যুক্ত খাবারের পাশাপাশি শরীরে রোদ লাগাতে হবে। রোদ লাগলে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন ১৫-২০ মিনিট শরীরে রোদ লাগালেই চলবে। এ ছাড়াও তেলযুক্ত মাছ, সামুদ্রিক মাছ, মিঠা পানির মাছ, দুধ, মাশরুম ও ডিমের কুসুম ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার।
লেখক: পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
চট্টগ্রাম: রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানো এক দিনের বিষয় নয়। লম্বা সময় ধরে এর চর্চা করতে হবে। কোনো ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কতটা শক্তিশালী হবে—সেটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির মায়ের গর্ভ থেকে শুরু করে শিশুকালের পরিচর্যার ওপর। পরিচর্যার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে খাবার ব্যবস্থাপনা। দীর্ঘ সময় ধরে সঠিক খাবার খেলে তবেই রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে খাবারে সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ অনেক খাবারেই এসব পাওয়া যায়।
অঙ্কুরিত বীজ
অঙ্কুরিত ছোলা, গম, যব—সবকিছুতেই মিনারেলের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকে। এগুলোতে আয়রন, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, মাঙ্গানিজ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফোলেট পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। এসেনশিয়াল এমাইনো অ্যাসিডের সবই থাকে অঙ্কুরিত বীজে। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন সকালে কিছু অঙ্কুরিত বীজ খেতে।
লাল চাল-লাল আটা
লাল চাল ও আটায় থাকে সেলেনিয়াম। এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। লাল চাল ছাড়াও কিছু সামুদ্রিক মাছ, টার্কি, চিংড়ি, ডিম প্রভৃতিতে সেলেনিয়াম রয়েছে।
জিংক
রক্তের শ্বেতকণিকার সংখ্যা ঠিক রাখতে সহায়তা করে জিংক। শরীরে জিংকের ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও কমে যেতে পারে। বাদাম, শিম, মাংস, ডিম, মটরশুঁটি, কাঁঠালের বিচি, দুধ এবং দুধ থেকে তৈরি খাবারে জিংকের পরিমাণ বেশি থাকে।
ম্যাগনেশিয়াম
ক্লোরোফিলের অন্যতম উপাদান ম্যাগনেশিয়াম। সবুজ পাতা বা কাণ্ডবিশিষ্ট যেকোনো শাকসবজিতেই ম্যাগনেশিয়াম বেশি থাকে। গাঢ় সবুজ শাকসবজি, কলা, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম, কাঠ বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ প্রভৃতিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম আছে।
ভিটামিন সি
শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ভিটামিন সি। শরীরে কাটাছেঁড়া, চর্মরোগ, মাড়ির যত্ন, চুলের যত্ন, কাশি, জ্বর সবকিছু থেকেই আমাদের সুরক্ষা দেয় ভিটামিন সি। এমনকি বর্তমানের মহামারি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধেও ভিটামিন সি-র মেগাডোজ শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে। টকজাতীয় সব দেশি ফল ভিটামিন সি-র উৎস। এর মধ্যে আমলকী, পেয়ারা, জলপাই, লেবু, আমড়া, জাম্বুরা, জাম এবং কাঁচা মরিচে একটু বেশিই ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
ভিটামিন বি১২
শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেই নয়, দ্রুত আরোগ্য লাভেও ভিটামিন বি১২ দারুণ কার্যকর। দুধ, দুধ থেকে তৈরি খাবার, ডিম ও কলিজায় ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। তবে এগুলো প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায় বলে শরীরে জমা থাকে না। সে জন্য আমাদের প্রতিদিন কিছু পরিমাণে ভিটামিন সি ও বি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
ভিটামিন ডি
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ভিটামিন ডি। শরীরে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ করতে ভিটামিন ডি-যুক্ত খাবারের পাশাপাশি শরীরে রোদ লাগাতে হবে। রোদ লাগলে শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন ১৫-২০ মিনিট শরীরে রোদ লাগালেই চলবে। এ ছাড়াও তেলযুক্ত মাছ, সামুদ্রিক মাছ, মিঠা পানির মাছ, দুধ, মাশরুম ও ডিমের কুসুম ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার।
লেখক: পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল
জুতা ডিজাইনে আলিম লতিফের রয়েছে ব্যতিক্রমী দৃষ্টিভঙ্গি। আলিম লতিফ বিশ্বাস করেন, জুতা কখনোই লিঙ্গভিত্তিক ছিল না। রাজা চতুর্দশ লুই থেকে শুরু করে গ্ল্যাম রকের যুগ পর্যন্ত, পুরুষেরা প্ল্যাটফর্ম জুতা (উঁচু হিলযুক্ত) পরতেন। কিন্তু হঠাৎ করে কেন তা হারিয়ে গেল? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে তিনি তাঁর ব্র্যান্ড
১ ঘণ্টা আগেকত নামে ডাকবেন তাকে। গুগলে সন্ধান করলে চমকে উঠতে হবে। এর নাম দেখাবে হেয়ার আইল্যান্ড। মনে হবে, আটলান্টিক মহাসাগর কিংবা ক্যারিবীয় কোনো নির্জন দ্বীপের নাম দেখছেন। কিন্তু আপনার ভুল ভাঙবে স্থানীয়দের ডাকা নামটি শুনলে। বুঝবেন, আপনি আছেন কলাগাছিয়ার চরে।
২ দিন আগেযতই উন্মুক্ত হচ্ছে, ততই যেন পুরো পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে সৌদি আরব। দেশটাই একটা চমকজাগানিয়া। মরুভূমি, প্রাচীন বৃক্ষের বন, প্রাচীন জনপদ ও সংস্কৃতি—সবই আছে সৌদি আরবে। আছে নিওম নামের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিলাসবহুল মেগাসিটি।
২ দিন আগেচীনে চলছে বসন্ত উৎসব কিংবা চান্দ্র নববর্ষের আনন্দমুখর আয়োজন। সারা দেশে এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী প্রথা, বাহারি খাবার, সজ্জা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং নানান রীতি-রেওয়াজের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে।
২ দিন আগে