মুহাম্মদ হোসাইন সবুজ
ঢাকা: সেন্ট মার্টিন যেতে পারিনি কয়েক বছর। এর মধ্যে কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্ট মার্টিনের জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস চালু হয়েছে। ভাবলাম, এ জাহাজে করে একবার যাওয়া দরকার। দু–তিনজন যাব ভাবলেও শেষ পর্যন্ত দেখা গেল সাতজনের ছোটখাটো দল হয়ে গেছি আমরা। অক্টোবরের মাঝামাঝি এক রাতে বাসে করে খুব ভোরে পৌঁছালাম কক্সবাজার।
জাহাজে আমাদের আসন ছিল দোতলার ‘গ্লাডিওলাসে’। বাঁকখালী নদী পার হয়ে যখন সমুদ্রে পড়ল জাহাজ, তখন সামান্য দুলুনি অনুভব হয়েছিল। তেমন ভয়ংকর কিছু নয়, তাতেই অবশ্য নিচতলায় যারা বসেছিলেন তাঁদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমরা বেশির ভাগ সময় জাহাজের সামনে বসে কাটালাম।
ছেঁড়া দ্বীপে স্নোরকেলিং করার মজা একেবারে অন্যরকম। আমাদের মূল চাওয়াটা ছিল সে মজাটা নেওয়া। দুপুরে আলু ভর্তা, ডাল, সামুদ্রিক তেলাপিয়া মাছ ভাজা আর সাদা কোরাল মাছের তরকারি দিয়ে ভরপেট খাবার খেয়ে আমরা চলে গেলাম স্নোরকেলিংয়ের জন্য। আমরা দুটো স্নোরকেলিং সেট অতিরিক্ত ভাড়া নিলাম ঘণ্টা ৩০০ টাকা করে। এবার নেমে পড়লাম ছোট্ট একটা লেগুনে। ভাটা চলছে, স্নোরকেলিংয়ের জন্য উপযুক্ত সময়, তবে আকাশে রোদ কম আবার গত রাতের বৃষ্টিতে পানি একটু ঘোলা। তবুও ভালোই দেখা যাচ্ছিল। প্রথমে আমি নেমে একধাপ ঘুরে এলাম। তারপর নামল রিমন। আমরা দুজন আগে থেকেই স্নোরকেলিং জানি। এবার একজন একজন করে দলের সবাইকে স্নোরকেলিং শিখিয়ে দিলাম। এমন মজা পেয়ে গেল তারা আর পানি থেকে ওঠার নাম নেই।
স্নোরকেলিংয়ে পানির নিচে মাছের ঝাঁক দেখাটা দারুণ অভিজ্ঞতার বিষয়। এ যাত্রায় মাছের বড় একটা ঝাঁক চোখে পড়েছিল রিমনের। সেই আমাকে ডিরেকশন দেওয়ার পর আমি ঝাঁপ দিয়ে পড়ে ওই ঝাঁকের মাত্র তিনটা মাছ দেখতে পাই। এক কেজি ওজনের তিনটা লাক্ষা গোত্রের মাছ। এ ছাড়া সামুদ্রিক কই, অ্যাঞ্জেল ফিশ, সামুদ্রিক তেলাপিয়াসহ অসংখ্য মাছ দেখতে পাই। জীবিত কিছু কোরালেরও দেখা পাই সেখানে। বৃষ্টির পানিতে পানি ঘোলা থাকায় ভালো করে পানির নিচে কিছুই দেখা গেল না। ফিরে এসে সমুদ্রের পাড়ে রাখা কটে ঘুম দিলাম একটা। সন্ধ্যার পর ঘুম ভাঙল। তাঁবু যেহেতু আছে তাই নির্দ্বিধায় সৈকতে তাঁবু ফেলব ভাবছিলাম। একটু পরে দেখি জোয়ারে সব তলিয়ে গেলে। শুধু একটা উঁচু বাড়িতে পানি ঢোকেনি।
এবার ফেরার পালা। ঘাটে এসে নাশতা করে সেখান থেকে ফিরে ঘাটে এসে দেখি শেষ ট্রলার ছেড়ে যাচ্ছে। দৌড়ে ট্রলারে উঠলাম আমরা। শাহপরীর দ্বীপের কাছে আসার পর ট্রলারটি নষ্ট হয়ে সমুদ্রে অসহায়ভাবে ভাসতে থাকলাম আমরা। একটু পরে টেকনাফ থেকে ছেড়ে আসা ট্রলারের থেকে মেকানিক ও কিছু পার্টস ধার করে সচল করা গেল আমাদের ট্রলার। ঝুঁকি না বাড়িয়ে শাহপরীর দ্বীপে নেমে সেখান থেকেই সিএনজি করে কক্সবাজার এলাম। সেখান থেকে রাতের গাড়িতে ঢাকা। এভাবেই শেষ হলো সেন্ট মার্টিন অ্যাডভেঞ্চার।
মনে রাখবেন
ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে হবে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার জন্য। সেখান থেকে জাহাজে সেন্ট মার্টিন। আগে থেকেই সব ব্যবস্থা করে রাখা যায় বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরকে কাজে লাগিয়ে। সেন্ট মার্টিন গিয়ে কোনো ধরনের অপচনশীল দ্রব্য পানিতে/দ্বীপে ফেলবেন না। স্নোরকেলিং করতে হলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরে পানিতে নামবেন। কোনোভাবেই যাতে জীবিত কোরালের ক্ষতি না হয় সেটা লক্ষ রাখবেন।
ঢাকা: সেন্ট মার্টিন যেতে পারিনি কয়েক বছর। এর মধ্যে কক্সবাজার থেকে সরাসরি সেন্ট মার্টিনের জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেস চালু হয়েছে। ভাবলাম, এ জাহাজে করে একবার যাওয়া দরকার। দু–তিনজন যাব ভাবলেও শেষ পর্যন্ত দেখা গেল সাতজনের ছোটখাটো দল হয়ে গেছি আমরা। অক্টোবরের মাঝামাঝি এক রাতে বাসে করে খুব ভোরে পৌঁছালাম কক্সবাজার।
জাহাজে আমাদের আসন ছিল দোতলার ‘গ্লাডিওলাসে’। বাঁকখালী নদী পার হয়ে যখন সমুদ্রে পড়ল জাহাজ, তখন সামান্য দুলুনি অনুভব হয়েছিল। তেমন ভয়ংকর কিছু নয়, তাতেই অবশ্য নিচতলায় যারা বসেছিলেন তাঁদের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমরা বেশির ভাগ সময় জাহাজের সামনে বসে কাটালাম।
ছেঁড়া দ্বীপে স্নোরকেলিং করার মজা একেবারে অন্যরকম। আমাদের মূল চাওয়াটা ছিল সে মজাটা নেওয়া। দুপুরে আলু ভর্তা, ডাল, সামুদ্রিক তেলাপিয়া মাছ ভাজা আর সাদা কোরাল মাছের তরকারি দিয়ে ভরপেট খাবার খেয়ে আমরা চলে গেলাম স্নোরকেলিংয়ের জন্য। আমরা দুটো স্নোরকেলিং সেট অতিরিক্ত ভাড়া নিলাম ঘণ্টা ৩০০ টাকা করে। এবার নেমে পড়লাম ছোট্ট একটা লেগুনে। ভাটা চলছে, স্নোরকেলিংয়ের জন্য উপযুক্ত সময়, তবে আকাশে রোদ কম আবার গত রাতের বৃষ্টিতে পানি একটু ঘোলা। তবুও ভালোই দেখা যাচ্ছিল। প্রথমে আমি নেমে একধাপ ঘুরে এলাম। তারপর নামল রিমন। আমরা দুজন আগে থেকেই স্নোরকেলিং জানি। এবার একজন একজন করে দলের সবাইকে স্নোরকেলিং শিখিয়ে দিলাম। এমন মজা পেয়ে গেল তারা আর পানি থেকে ওঠার নাম নেই।
স্নোরকেলিংয়ে পানির নিচে মাছের ঝাঁক দেখাটা দারুণ অভিজ্ঞতার বিষয়। এ যাত্রায় মাছের বড় একটা ঝাঁক চোখে পড়েছিল রিমনের। সেই আমাকে ডিরেকশন দেওয়ার পর আমি ঝাঁপ দিয়ে পড়ে ওই ঝাঁকের মাত্র তিনটা মাছ দেখতে পাই। এক কেজি ওজনের তিনটা লাক্ষা গোত্রের মাছ। এ ছাড়া সামুদ্রিক কই, অ্যাঞ্জেল ফিশ, সামুদ্রিক তেলাপিয়াসহ অসংখ্য মাছ দেখতে পাই। জীবিত কিছু কোরালেরও দেখা পাই সেখানে। বৃষ্টির পানিতে পানি ঘোলা থাকায় ভালো করে পানির নিচে কিছুই দেখা গেল না। ফিরে এসে সমুদ্রের পাড়ে রাখা কটে ঘুম দিলাম একটা। সন্ধ্যার পর ঘুম ভাঙল। তাঁবু যেহেতু আছে তাই নির্দ্বিধায় সৈকতে তাঁবু ফেলব ভাবছিলাম। একটু পরে দেখি জোয়ারে সব তলিয়ে গেলে। শুধু একটা উঁচু বাড়িতে পানি ঢোকেনি।
এবার ফেরার পালা। ঘাটে এসে নাশতা করে সেখান থেকে ফিরে ঘাটে এসে দেখি শেষ ট্রলার ছেড়ে যাচ্ছে। দৌড়ে ট্রলারে উঠলাম আমরা। শাহপরীর দ্বীপের কাছে আসার পর ট্রলারটি নষ্ট হয়ে সমুদ্রে অসহায়ভাবে ভাসতে থাকলাম আমরা। একটু পরে টেকনাফ থেকে ছেড়ে আসা ট্রলারের থেকে মেকানিক ও কিছু পার্টস ধার করে সচল করা গেল আমাদের ট্রলার। ঝুঁকি না বাড়িয়ে শাহপরীর দ্বীপে নেমে সেখান থেকেই সিএনজি করে কক্সবাজার এলাম। সেখান থেকে রাতের গাড়িতে ঢাকা। এভাবেই শেষ হলো সেন্ট মার্টিন অ্যাডভেঞ্চার।
মনে রাখবেন
ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে হবে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার জন্য। সেখান থেকে জাহাজে সেন্ট মার্টিন। আগে থেকেই সব ব্যবস্থা করে রাখা যায় বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরকে কাজে লাগিয়ে। সেন্ট মার্টিন গিয়ে কোনো ধরনের অপচনশীল দ্রব্য পানিতে/দ্বীপে ফেলবেন না। স্নোরকেলিং করতে হলে অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট পরে পানিতে নামবেন। কোনোভাবেই যাতে জীবিত কোরালের ক্ষতি না হয় সেটা লক্ষ রাখবেন।
জুতা ডিজাইনে আলিম লতিফের রয়েছে ব্যতিক্রমী দৃষ্টিভঙ্গি। আলিম লতিফ বিশ্বাস করেন, জুতা কখনোই লৈঙ্গিকভিত্ত ছিল না। রাজা চতুর্দশ লুই থেকে শুরু করে গ্ল্যাম রকের যুগ পর্যন্ত, পুরুষেরা প্ল্যাটফর্ম জুতা (উঁচু হিলযুক্ত) পরতেন। কিন্তু হঠাৎ করে কেন তা হারিয়ে গেল? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে তিনি তাঁর ব্র্যান্ড
৪ ঘণ্টা আগেকত নামে ডাকবেন তাকে। গুগলে সন্ধান করলে চমকে উঠতে হবে। এর নাম দেখাবে হেয়ার আইল্যান্ড। মনে হবে, আটলান্টিক মহাসাগর কিংবা ক্যারিবীয় কোনো নির্জন দ্বীপের নাম দেখছেন। কিন্তু আপনার ভুল ভাঙবে স্থানীয়দের ডাকা নামটি শুনলে। বুঝবেন, আপনি আছেন কলাগাছিয়ার চরে।
৩ দিন আগেযতই উন্মুক্ত হচ্ছে, ততই যেন পুরো পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে সৌদি আরব। দেশটাই একটা চমকজাগানিয়া। মরুভূমি, প্রাচীন বৃক্ষের বন, প্রাচীন জনপদ ও সংস্কৃতি—সবই আছে সৌদি আরবে। আছে নিওম নামের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিলাসবহুল মেগাসিটি।
৩ দিন আগেচীনে চলছে বসন্ত উৎসব কিংবা চান্দ্র নববর্ষের আনন্দমুখর আয়োজন। সারা দেশে এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী প্রথা, বাহারি খাবার, সজ্জা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং নানান রীতি-রেওয়াজের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হচ্ছে।
৩ দিন আগে