আবদুল আযীয কাসেমি

দরুদ শব্দটি মূলত ফারসি। এর আরবি শব্দটি হলো—সালাত ও সালাম। প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠানো বা দরুদ শরিফ পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। এতে মূলত নবীজির জন্য রহমতের প্রার্থনা করা হয়। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যেন তাঁর রাসুলকে রহমতের চাদরে জড়িয়ে নেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি “সালাত” পাঠান। হে ইমানদারগণ, তোমরাও তাঁর প্রতি সালাত পাঠাও এবং পাঠাও অধিক পরিমাণে সালাম।’ (আল আহযাব: ৫৫)
মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ বা সালাত-সালাম পাঠানোর অর্থ দয়া ও অনুগ্রহের সঙ্গে নবীর প্রশংসা ও মর্যাদা জ্ঞাপন। সালাত প্রেরণকারীর অবস্থান হিসেবে সালাতের অর্থ উদ্দেশিত হবে। পুত্রের প্রতি পিতার যে ধরনের ভালোবাসা ও অনুগ্রহ হবে, পিতার প্রতি পুত্রের সে ধরনের হবে না। আর ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা ও অনুগ্রহের রূপ উল্লিখিত দুজন থেকেও ভিন্ন হবে। দরুদ ও সালাতের বিষয়টিও তেমন। উলামায়ে কেরাম বলেন, আল্লাহর সালাত হচ্ছে রহমত পাঠানো, ফেরেশতাদের সালাত হচ্ছে ইস্তিগফার করা, আর মুমিনদের সালাত হচ্ছে দোয়া করা।
হাদিস শরিফে এসেছে, মহানবী (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠাবে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি দশবার রহমত পঠাবেন।’ (মুসলিম)
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় শাহ আবদুল কাদির (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার কাছে তাঁর নবীর জন্য এবং সেই সঙ্গে তাঁর পরিবার-পরিজনের জন্য রহমত নাজিলের দোয়া কবুল হয়। এতে তাঁর প্রতি তাঁর মর্যাদানুপাতিক রহমত বর্ষিত হয়। আর একবারের দোয়ার ফলে দোয়াকারীর প্রতি দশবার রহমত বর্ষিত হয়। এখন যার যত মন চায়, ততটুকু অর্জন করুক।’ (তাফসিরে উসমানি)
আল্লামা হালিমি (রহ.) বলেন, ‘নবীজির প্রতি দরুদ পাঠানোর উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়ন এবং আমাদের ওপর নবীজির অধিকার পূর্ণ করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা।’
ইমাম ইযযুদ্দিন ইবনে আবদুস সালাম আরও যোগ করে বলেন, ‘নবীজির জন্য আমাদের দরুদ পাঠ তাঁর জন্য সুপারিশ করা নয়। কেননা আমাদের মতো লোকজন নবীজির মতো মহান ব্যক্তির জন্য কী-ইবা সুপারিশ করতে পারে। তবে আল্লাহ তাআলা আমাদের আদেশ দিয়েছেন, যিনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন তাঁর অনুগ্রহের বদলা দিতে। যদি আমরা এর বদলা দিতে অক্ষম হই, তবে যেন তাঁর জন্য প্রার্থনা করার মাধ্যমে বদলা দেওয়ার চেষ্টা করি। আল্লাহ তাআলা যেহেতু আমাদের অক্ষমতার কথা জানেন, তাই তিনি নবীজির প্রতি দরুদ পাঠানোর নির্দেশ করেছেন।’
ইমাম ইবনুল আরাবি (রহ.) বলেন, ‘দরুদ পাঠের উপকার তিনিই লাভ করেন, যিনি দরুদ পাঠান। কেননা দরুদ পাঠ থেকে বোঝা যায়, তাঁর আকিদা-বিশ্বাস শুদ্ধ, তাঁর নিয়ত একনিষ্ঠ এবং নবীজির প্রতি রয়েছে তাঁর ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ আনুগত্য।’ (ফাতহুল মুলহিম: ৩/ ৩৩৩)
নবীজির প্রতি আমরা দরুদ পড়ব না কেন? তিনি তো সমগ্র মানবতার জন্যই রহমত। উম্মতের প্রতি তাঁর দরদ-মায়া ছিল অপরিসীম। তাঁর মতো মহত্তম মানুষের আগমন পৃথিবীতে কখনো ঘটেনি এবং ঘটবেও না। পৃথিবীতে টিকে থাকা তাবৎ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করেছেন। মানুষকে বের করে এনেছেন মূর্খতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোয়। প্রাণহীন প্রতিমাপূজা থেকে তিনি মানুষকে দেখিয়েছেন বিশুদ্ধ তাওহিদের পথ। তাঁর হাত ধরেই মূর্খতার যুগের মানুষগুলো পরিণত হয়েছিলেন সোনার মানুষে। তাঁরা শুধু নিজেরাই খাঁটি হননি; তাঁদের মাধ্যমে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ পেয়েছে পথের দিশা। এসবের পেছনের কারিগর তিনি। তাঁর নিরলস পরিশ্রম, আত্মত্যাগ ও কোরবানির ফলে আমরা দীনের পথে চলতে পারছি।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

দরুদ শব্দটি মূলত ফারসি। এর আরবি শব্দটি হলো—সালাত ও সালাম। প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠানো বা দরুদ শরিফ পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। এতে মূলত নবীজির জন্য রহমতের প্রার্থনা করা হয়। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যেন তাঁর রাসুলকে রহমতের চাদরে জড়িয়ে নেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি “সালাত” পাঠান। হে ইমানদারগণ, তোমরাও তাঁর প্রতি সালাত পাঠাও এবং পাঠাও অধিক পরিমাণে সালাম।’ (আল আহযাব: ৫৫)
মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ বা সালাত-সালাম পাঠানোর অর্থ দয়া ও অনুগ্রহের সঙ্গে নবীর প্রশংসা ও মর্যাদা জ্ঞাপন। সালাত প্রেরণকারীর অবস্থান হিসেবে সালাতের অর্থ উদ্দেশিত হবে। পুত্রের প্রতি পিতার যে ধরনের ভালোবাসা ও অনুগ্রহ হবে, পিতার প্রতি পুত্রের সে ধরনের হবে না। আর ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা ও অনুগ্রহের রূপ উল্লিখিত দুজন থেকেও ভিন্ন হবে। দরুদ ও সালাতের বিষয়টিও তেমন। উলামায়ে কেরাম বলেন, আল্লাহর সালাত হচ্ছে রহমত পাঠানো, ফেরেশতাদের সালাত হচ্ছে ইস্তিগফার করা, আর মুমিনদের সালাত হচ্ছে দোয়া করা।
হাদিস শরিফে এসেছে, মহানবী (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠাবে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি দশবার রহমত পঠাবেন।’ (মুসলিম)
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় শাহ আবদুল কাদির (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার কাছে তাঁর নবীর জন্য এবং সেই সঙ্গে তাঁর পরিবার-পরিজনের জন্য রহমত নাজিলের দোয়া কবুল হয়। এতে তাঁর প্রতি তাঁর মর্যাদানুপাতিক রহমত বর্ষিত হয়। আর একবারের দোয়ার ফলে দোয়াকারীর প্রতি দশবার রহমত বর্ষিত হয়। এখন যার যত মন চায়, ততটুকু অর্জন করুক।’ (তাফসিরে উসমানি)
আল্লামা হালিমি (রহ.) বলেন, ‘নবীজির প্রতি দরুদ পাঠানোর উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়ন এবং আমাদের ওপর নবীজির অধিকার পূর্ণ করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা।’
ইমাম ইযযুদ্দিন ইবনে আবদুস সালাম আরও যোগ করে বলেন, ‘নবীজির জন্য আমাদের দরুদ পাঠ তাঁর জন্য সুপারিশ করা নয়। কেননা আমাদের মতো লোকজন নবীজির মতো মহান ব্যক্তির জন্য কী-ইবা সুপারিশ করতে পারে। তবে আল্লাহ তাআলা আমাদের আদেশ দিয়েছেন, যিনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন তাঁর অনুগ্রহের বদলা দিতে। যদি আমরা এর বদলা দিতে অক্ষম হই, তবে যেন তাঁর জন্য প্রার্থনা করার মাধ্যমে বদলা দেওয়ার চেষ্টা করি। আল্লাহ তাআলা যেহেতু আমাদের অক্ষমতার কথা জানেন, তাই তিনি নবীজির প্রতি দরুদ পাঠানোর নির্দেশ করেছেন।’
ইমাম ইবনুল আরাবি (রহ.) বলেন, ‘দরুদ পাঠের উপকার তিনিই লাভ করেন, যিনি দরুদ পাঠান। কেননা দরুদ পাঠ থেকে বোঝা যায়, তাঁর আকিদা-বিশ্বাস শুদ্ধ, তাঁর নিয়ত একনিষ্ঠ এবং নবীজির প্রতি রয়েছে তাঁর ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ আনুগত্য।’ (ফাতহুল মুলহিম: ৩/ ৩৩৩)
নবীজির প্রতি আমরা দরুদ পড়ব না কেন? তিনি তো সমগ্র মানবতার জন্যই রহমত। উম্মতের প্রতি তাঁর দরদ-মায়া ছিল অপরিসীম। তাঁর মতো মহত্তম মানুষের আগমন পৃথিবীতে কখনো ঘটেনি এবং ঘটবেও না। পৃথিবীতে টিকে থাকা তাবৎ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করেছেন। মানুষকে বের করে এনেছেন মূর্খতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোয়। প্রাণহীন প্রতিমাপূজা থেকে তিনি মানুষকে দেখিয়েছেন বিশুদ্ধ তাওহিদের পথ। তাঁর হাত ধরেই মূর্খতার যুগের মানুষগুলো পরিণত হয়েছিলেন সোনার মানুষে। তাঁরা শুধু নিজেরাই খাঁটি হননি; তাঁদের মাধ্যমে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ পেয়েছে পথের দিশা। এসবের পেছনের কারিগর তিনি। তাঁর নিরলস পরিশ্রম, আত্মত্যাগ ও কোরবানির ফলে আমরা দীনের পথে চলতে পারছি।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
আবদুল আযীয কাসেমি

দরুদ শব্দটি মূলত ফারসি। এর আরবি শব্দটি হলো—সালাত ও সালাম। প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠানো বা দরুদ শরিফ পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। এতে মূলত নবীজির জন্য রহমতের প্রার্থনা করা হয়। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যেন তাঁর রাসুলকে রহমতের চাদরে জড়িয়ে নেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি “সালাত” পাঠান। হে ইমানদারগণ, তোমরাও তাঁর প্রতি সালাত পাঠাও এবং পাঠাও অধিক পরিমাণে সালাম।’ (আল আহযাব: ৫৫)
মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ বা সালাত-সালাম পাঠানোর অর্থ দয়া ও অনুগ্রহের সঙ্গে নবীর প্রশংসা ও মর্যাদা জ্ঞাপন। সালাত প্রেরণকারীর অবস্থান হিসেবে সালাতের অর্থ উদ্দেশিত হবে। পুত্রের প্রতি পিতার যে ধরনের ভালোবাসা ও অনুগ্রহ হবে, পিতার প্রতি পুত্রের সে ধরনের হবে না। আর ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা ও অনুগ্রহের রূপ উল্লিখিত দুজন থেকেও ভিন্ন হবে। দরুদ ও সালাতের বিষয়টিও তেমন। উলামায়ে কেরাম বলেন, আল্লাহর সালাত হচ্ছে রহমত পাঠানো, ফেরেশতাদের সালাত হচ্ছে ইস্তিগফার করা, আর মুমিনদের সালাত হচ্ছে দোয়া করা।
হাদিস শরিফে এসেছে, মহানবী (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠাবে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি দশবার রহমত পঠাবেন।’ (মুসলিম)
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় শাহ আবদুল কাদির (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার কাছে তাঁর নবীর জন্য এবং সেই সঙ্গে তাঁর পরিবার-পরিজনের জন্য রহমত নাজিলের দোয়া কবুল হয়। এতে তাঁর প্রতি তাঁর মর্যাদানুপাতিক রহমত বর্ষিত হয়। আর একবারের দোয়ার ফলে দোয়াকারীর প্রতি দশবার রহমত বর্ষিত হয়। এখন যার যত মন চায়, ততটুকু অর্জন করুক।’ (তাফসিরে উসমানি)
আল্লামা হালিমি (রহ.) বলেন, ‘নবীজির প্রতি দরুদ পাঠানোর উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়ন এবং আমাদের ওপর নবীজির অধিকার পূর্ণ করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা।’
ইমাম ইযযুদ্দিন ইবনে আবদুস সালাম আরও যোগ করে বলেন, ‘নবীজির জন্য আমাদের দরুদ পাঠ তাঁর জন্য সুপারিশ করা নয়। কেননা আমাদের মতো লোকজন নবীজির মতো মহান ব্যক্তির জন্য কী-ইবা সুপারিশ করতে পারে। তবে আল্লাহ তাআলা আমাদের আদেশ দিয়েছেন, যিনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন তাঁর অনুগ্রহের বদলা দিতে। যদি আমরা এর বদলা দিতে অক্ষম হই, তবে যেন তাঁর জন্য প্রার্থনা করার মাধ্যমে বদলা দেওয়ার চেষ্টা করি। আল্লাহ তাআলা যেহেতু আমাদের অক্ষমতার কথা জানেন, তাই তিনি নবীজির প্রতি দরুদ পাঠানোর নির্দেশ করেছেন।’
ইমাম ইবনুল আরাবি (রহ.) বলেন, ‘দরুদ পাঠের উপকার তিনিই লাভ করেন, যিনি দরুদ পাঠান। কেননা দরুদ পাঠ থেকে বোঝা যায়, তাঁর আকিদা-বিশ্বাস শুদ্ধ, তাঁর নিয়ত একনিষ্ঠ এবং নবীজির প্রতি রয়েছে তাঁর ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ আনুগত্য।’ (ফাতহুল মুলহিম: ৩/ ৩৩৩)
নবীজির প্রতি আমরা দরুদ পড়ব না কেন? তিনি তো সমগ্র মানবতার জন্যই রহমত। উম্মতের প্রতি তাঁর দরদ-মায়া ছিল অপরিসীম। তাঁর মতো মহত্তম মানুষের আগমন পৃথিবীতে কখনো ঘটেনি এবং ঘটবেও না। পৃথিবীতে টিকে থাকা তাবৎ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করেছেন। মানুষকে বের করে এনেছেন মূর্খতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোয়। প্রাণহীন প্রতিমাপূজা থেকে তিনি মানুষকে দেখিয়েছেন বিশুদ্ধ তাওহিদের পথ। তাঁর হাত ধরেই মূর্খতার যুগের মানুষগুলো পরিণত হয়েছিলেন সোনার মানুষে। তাঁরা শুধু নিজেরাই খাঁটি হননি; তাঁদের মাধ্যমে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ পেয়েছে পথের দিশা। এসবের পেছনের কারিগর তিনি। তাঁর নিরলস পরিশ্রম, আত্মত্যাগ ও কোরবানির ফলে আমরা দীনের পথে চলতে পারছি।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

দরুদ শব্দটি মূলত ফারসি। এর আরবি শব্দটি হলো—সালাত ও সালাম। প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠানো বা দরুদ শরিফ পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। এতে মূলত নবীজির জন্য রহমতের প্রার্থনা করা হয়। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যেন তাঁর রাসুলকে রহমতের চাদরে জড়িয়ে নেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি “সালাত” পাঠান। হে ইমানদারগণ, তোমরাও তাঁর প্রতি সালাত পাঠাও এবং পাঠাও অধিক পরিমাণে সালাম।’ (আল আহযাব: ৫৫)
মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ বা সালাত-সালাম পাঠানোর অর্থ দয়া ও অনুগ্রহের সঙ্গে নবীর প্রশংসা ও মর্যাদা জ্ঞাপন। সালাত প্রেরণকারীর অবস্থান হিসেবে সালাতের অর্থ উদ্দেশিত হবে। পুত্রের প্রতি পিতার যে ধরনের ভালোবাসা ও অনুগ্রহ হবে, পিতার প্রতি পুত্রের সে ধরনের হবে না। আর ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা ও অনুগ্রহের রূপ উল্লিখিত দুজন থেকেও ভিন্ন হবে। দরুদ ও সালাতের বিষয়টিও তেমন। উলামায়ে কেরাম বলেন, আল্লাহর সালাত হচ্ছে রহমত পাঠানো, ফেরেশতাদের সালাত হচ্ছে ইস্তিগফার করা, আর মুমিনদের সালাত হচ্ছে দোয়া করা।
হাদিস শরিফে এসেছে, মহানবী (সা) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠাবে, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি দশবার রহমত পঠাবেন।’ (মুসলিম)
এ হাদিসের ব্যাখ্যায় শাহ আবদুল কাদির (রহ.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার কাছে তাঁর নবীর জন্য এবং সেই সঙ্গে তাঁর পরিবার-পরিজনের জন্য রহমত নাজিলের দোয়া কবুল হয়। এতে তাঁর প্রতি তাঁর মর্যাদানুপাতিক রহমত বর্ষিত হয়। আর একবারের দোয়ার ফলে দোয়াকারীর প্রতি দশবার রহমত বর্ষিত হয়। এখন যার যত মন চায়, ততটুকু অর্জন করুক।’ (তাফসিরে উসমানি)
আল্লামা হালিমি (রহ.) বলেন, ‘নবীজির প্রতি দরুদ পাঠানোর উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়ন এবং আমাদের ওপর নবীজির অধিকার পূর্ণ করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা।’
ইমাম ইযযুদ্দিন ইবনে আবদুস সালাম আরও যোগ করে বলেন, ‘নবীজির জন্য আমাদের দরুদ পাঠ তাঁর জন্য সুপারিশ করা নয়। কেননা আমাদের মতো লোকজন নবীজির মতো মহান ব্যক্তির জন্য কী-ইবা সুপারিশ করতে পারে। তবে আল্লাহ তাআলা আমাদের আদেশ দিয়েছেন, যিনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন তাঁর অনুগ্রহের বদলা দিতে। যদি আমরা এর বদলা দিতে অক্ষম হই, তবে যেন তাঁর জন্য প্রার্থনা করার মাধ্যমে বদলা দেওয়ার চেষ্টা করি। আল্লাহ তাআলা যেহেতু আমাদের অক্ষমতার কথা জানেন, তাই তিনি নবীজির প্রতি দরুদ পাঠানোর নির্দেশ করেছেন।’
ইমাম ইবনুল আরাবি (রহ.) বলেন, ‘দরুদ পাঠের উপকার তিনিই লাভ করেন, যিনি দরুদ পাঠান। কেননা দরুদ পাঠ থেকে বোঝা যায়, তাঁর আকিদা-বিশ্বাস শুদ্ধ, তাঁর নিয়ত একনিষ্ঠ এবং নবীজির প্রতি রয়েছে তাঁর ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ আনুগত্য।’ (ফাতহুল মুলহিম: ৩/ ৩৩৩)
নবীজির প্রতি আমরা দরুদ পড়ব না কেন? তিনি তো সমগ্র মানবতার জন্যই রহমত। উম্মতের প্রতি তাঁর দরদ-মায়া ছিল অপরিসীম। তাঁর মতো মহত্তম মানুষের আগমন পৃথিবীতে কখনো ঘটেনি এবং ঘটবেও না। পৃথিবীতে টিকে থাকা তাবৎ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করেছেন। মানুষকে বের করে এনেছেন মূর্খতার অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোয়। প্রাণহীন প্রতিমাপূজা থেকে তিনি মানুষকে দেখিয়েছেন বিশুদ্ধ তাওহিদের পথ। তাঁর হাত ধরেই মূর্খতার যুগের মানুষগুলো পরিণত হয়েছিলেন সোনার মানুষে। তাঁরা শুধু নিজেরাই খাঁটি হননি; তাঁদের মাধ্যমে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ পেয়েছে পথের দিশা। এসবের পেছনের কারিগর তিনি। তাঁর নিরলস পরিশ্রম, আত্মত্যাগ ও কোরবানির ফলে আমরা দীনের পথে চলতে পারছি।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

দরুদ শব্দটি মূলত ফারসি। এর আরবি শব্দটি হলো সালাত ও সালাম। প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠানো বা দরুদ শরিফ পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। এতে মূলত নবীজির জন্য রহমতের প্রার্থনা করা হয়। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যেন তাঁর রাসুলকে রহমতের চাদরে জড়িয়ে নেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আ
০১ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

দরুদ শব্দটি মূলত ফারসি। এর আরবি শব্দটি হলো সালাত ও সালাম। প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠানো বা দরুদ শরিফ পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। এতে মূলত নবীজির জন্য রহমতের প্রার্থনা করা হয়। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যেন তাঁর রাসুলকে রহমতের চাদরে জড়িয়ে নেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আ
০১ এপ্রিল ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

দরুদ শব্দটি মূলত ফারসি। এর আরবি শব্দটি হলো সালাত ও সালাম। প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠানো বা দরুদ শরিফ পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। এতে মূলত নবীজির জন্য রহমতের প্রার্থনা করা হয়। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যেন তাঁর রাসুলকে রহমতের চাদরে জড়িয়ে নেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আ
০১ এপ্রিল ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেশরিফ আহমাদ

জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯) তাই আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে, জুমার নামাজ ত্যাগ করে, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা রাসুল (সা.)-কে মিম্বরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ‘মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৬৫)
মুনাফিক ব্যক্তি ছাড়া কোনো মুসলমান ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না। নামাজ আদায়ে বিলম্ব হলে প্রকৃত মুমিনের হৃদয়ে অপরাধপ্রবণতা কাজ করে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশেষ অপারগতা ছাড়া জুমার নামাজ তরক করে, তার নামে মুনাফিক উপাধি লেখা হয় এমন কিতাবে, যার লেখা মোছা যায় না এবং পরিবর্তনও করা যায় না।’ (কিতাবুল উম্ম: ১/২৩৯)
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার সদকা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৫৩)

জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯) তাই আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে, জুমার নামাজ ত্যাগ করে, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা রাসুল (সা.)-কে মিম্বরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ‘মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৬৫)
মুনাফিক ব্যক্তি ছাড়া কোনো মুসলমান ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না। নামাজ আদায়ে বিলম্ব হলে প্রকৃত মুমিনের হৃদয়ে অপরাধপ্রবণতা কাজ করে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশেষ অপারগতা ছাড়া জুমার নামাজ তরক করে, তার নামে মুনাফিক উপাধি লেখা হয় এমন কিতাবে, যার লেখা মোছা যায় না এবং পরিবর্তনও করা যায় না।’ (কিতাবুল উম্ম: ১/২৩৯)
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার সদকা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৫৩)

দরুদ শব্দটি মূলত ফারসি। এর আরবি শব্দটি হলো সালাত ও সালাম। প্রিয় নবী (সা.)-এর প্রতি সালাত ও সালাম পাঠানো বা দরুদ শরিফ পাঠ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। এতে মূলত নবীজির জন্য রহমতের প্রার্থনা করা হয়। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যেন তাঁর রাসুলকে রহমতের চাদরে জড়িয়ে নেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আ
০১ এপ্রিল ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে