মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
নিরাপদ জীবনযাপনে সচেতনতার বিকল্প নেই। দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ ভেবেচিন্তে সচেতনভাবে করার জোর তাগিদ দেয় ইসলাম। এ বিষয়ে হাদিসে মহানবী (স.)-এর মৌলিক দিকনির্দেশনা বিবৃত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘ইমানদার ব্যক্তি একই গর্তে দুবার দংশিত হয় না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬১৩৩)
আলোচ্য হাদিসে মহানবী (স.) মোমিনদের সতর্ক ও সচেতন জীবনযাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। এই সতর্কতা মোমিনের পার্থিব-অপার্থিব উভয় জীবনের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। মোমিন যেমন পাপের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে নিজেকে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, তেমনি বৈষয়িক ব্যাপারেও সে মানুষের ধোঁকা ও প্রতারণা থেকে বেঁচে থাকবে। একইভাবে মোমিন অন্যদের প্রতারিত করবে না। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘(ইসলামে) ক্ষতি করা ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৩৪১)
হাদিস বিশারদরা আলোচ্য হাদিসের দুই ধরনের ব্যাখ্যা করেছেন। তবে উভয় ব্যাখ্যা একত্রেও গ্রহণ করা সম্ভব।
এক. রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে পাপ পরিহার ও পাপের ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। মোমিন সতর্ক থাকবে, যেন সে কোনো পাপ কাজে জড়িয়ে না পড়ে। আর কোনো পাপ সংঘটিত হলে তার পুনরাবৃত্তি পরিহার করবে এবং তা থেকে তওবা করে ফিরে আসবে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ অবশ্যই সেই সব লোকের তওবা কবুল করবেন, যারা ভুলবশত মন্দ কাজ করে এবং সত্বর তওবা করে। এরাই তারা, আল্লাহ যাদের তওবা কবুল করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। তওবা তাদের জন্য নয়, যারা আজীবন মন্দ কাজ করে, অবশেষে তাদের কারও মৃত্যু উপস্থিত হলে সে বলে, আমি এখন তওবা করছি এবং তওবা তাদের জন্যও নয়, যাদের মৃত্যু হয় কাফির অবস্থায়। এরাই তারা, যাদের জন্য প্রস্তুত করেছি মর্মন্তুদ শাস্তি।’ (সুরা-৪: নিসা, আয়াত: ১৭-১৮)
দুই. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) আলোচ্য হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘মোমিন হবে বিচক্ষণ ও সচেতন। তার ভেতর কোনো প্রকার অসচেতনতা থাকবে না, যাতে সে বারবার প্রতারিত না হয়। কেউ কেউ বলেন, মোমিন দুনিয়ায় কোনো অপরাধ করার পর শাস্তি হলে তাকে পরকালে শাস্তি দেওয়া হবে না। আমি বলি, ব্যাপকার্থে এ ব্যাখ্যা গ্রহণ করা সম্ভব। তবে মূল উদ্দেশ্য অসচেতনতা থেকে সতর্ক করা এবং স্বভাবজাত বুদ্ধি ও বিচক্ষণতা ব্যবহার করা।’ (ফাতহুল বারি: ১০/৫৩০)
প্রাত্যহিক জীবনে সচেতনতা ইমানের দাবি। মোমিন তার ইহকালীন ও পরকালীন উভয় জীবনের ব্যাপারে সতর্ক ও সচেতন থাকবেন। একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করবেন না। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের উপদেশ দিচ্ছেন তোমরা যদি মোমিন হও, তবে কখনো অনুরূপ আচরণের পুনরাবৃত্তি করো না।’ (সুরা-২৪: নুর, আয়াত: ১৭)
সুতরাং মোমিন সেসব স্বভাব-চরিত্র পরিহার করবে, যা তার ভেতর অসচেতনতা তৈরি করে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘ধৈর্য ও স্থিরতা আল্লাহর পক্ষ থেকে আর তাড়াহুড়া শয়তানের পক্ষ থেকে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২০১২)
লেখক: মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
নিরাপদ জীবনযাপনে সচেতনতার বিকল্প নেই। দৈনন্দিন জীবনের সব কাজ ভেবেচিন্তে সচেতনভাবে করার জোর তাগিদ দেয় ইসলাম। এ বিষয়ে হাদিসে মহানবী (স.)-এর মৌলিক দিকনির্দেশনা বিবৃত হয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘ইমানদার ব্যক্তি একই গর্তে দুবার দংশিত হয় না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬১৩৩)
আলোচ্য হাদিসে মহানবী (স.) মোমিনদের সতর্ক ও সচেতন জীবনযাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। এই সতর্কতা মোমিনের পার্থিব-অপার্থিব উভয় জীবনের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য। মোমিন যেমন পাপের পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে নিজেকে বারবার ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, তেমনি বৈষয়িক ব্যাপারেও সে মানুষের ধোঁকা ও প্রতারণা থেকে বেঁচে থাকবে। একইভাবে মোমিন অন্যদের প্রতারিত করবে না। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘(ইসলামে) ক্ষতি করা ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৩৪১)
হাদিস বিশারদরা আলোচ্য হাদিসের দুই ধরনের ব্যাখ্যা করেছেন। তবে উভয় ব্যাখ্যা একত্রেও গ্রহণ করা সম্ভব।
এক. রাসুলুল্লাহ (সা.) আলোচ্য হাদিসে পাপ পরিহার ও পাপের ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। মোমিন সতর্ক থাকবে, যেন সে কোনো পাপ কাজে জড়িয়ে না পড়ে। আর কোনো পাপ সংঘটিত হলে তার পুনরাবৃত্তি পরিহার করবে এবং তা থেকে তওবা করে ফিরে আসবে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ অবশ্যই সেই সব লোকের তওবা কবুল করবেন, যারা ভুলবশত মন্দ কাজ করে এবং সত্বর তওবা করে। এরাই তারা, আল্লাহ যাদের তওবা কবুল করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। তওবা তাদের জন্য নয়, যারা আজীবন মন্দ কাজ করে, অবশেষে তাদের কারও মৃত্যু উপস্থিত হলে সে বলে, আমি এখন তওবা করছি এবং তওবা তাদের জন্যও নয়, যাদের মৃত্যু হয় কাফির অবস্থায়। এরাই তারা, যাদের জন্য প্রস্তুত করেছি মর্মন্তুদ শাস্তি।’ (সুরা-৪: নিসা, আয়াত: ১৭-১৮)
দুই. হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) আলোচ্য হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, ‘মোমিন হবে বিচক্ষণ ও সচেতন। তার ভেতর কোনো প্রকার অসচেতনতা থাকবে না, যাতে সে বারবার প্রতারিত না হয়। কেউ কেউ বলেন, মোমিন দুনিয়ায় কোনো অপরাধ করার পর শাস্তি হলে তাকে পরকালে শাস্তি দেওয়া হবে না। আমি বলি, ব্যাপকার্থে এ ব্যাখ্যা গ্রহণ করা সম্ভব। তবে মূল উদ্দেশ্য অসচেতনতা থেকে সতর্ক করা এবং স্বভাবজাত বুদ্ধি ও বিচক্ষণতা ব্যবহার করা।’ (ফাতহুল বারি: ১০/৫৩০)
প্রাত্যহিক জীবনে সচেতনতা ইমানের দাবি। মোমিন তার ইহকালীন ও পরকালীন উভয় জীবনের ব্যাপারে সতর্ক ও সচেতন থাকবেন। একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করবেন না। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ তোমাদের উপদেশ দিচ্ছেন তোমরা যদি মোমিন হও, তবে কখনো অনুরূপ আচরণের পুনরাবৃত্তি করো না।’ (সুরা-২৪: নুর, আয়াত: ১৭)
সুতরাং মোমিন সেসব স্বভাব-চরিত্র পরিহার করবে, যা তার ভেতর অসচেতনতা তৈরি করে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘ধৈর্য ও স্থিরতা আল্লাহর পক্ষ থেকে আর তাড়াহুড়া শয়তানের পক্ষ থেকে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ২০১২)
লেখক: মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
১৮ ঘণ্টা আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
২ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
২ দিন আগে