মো. আবু তালহা তারীফ
কথা বলার ক্ষমতা আল্লাহর একটি মহান নিয়ামত। কথার মাধ্যমে মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে, সমাজে সম্পর্ক তৈরি করতে পারে এবং পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।
আমাদের কথার প্রতিটি শব্দ লিপিবদ্ধ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তা লিপিবদ্ধ করার কাজে সচেতন পাহারাদার ফেরেশতা তার নিকটে রয়েছে।’ (সুরা কাফ: ১৮)
এই আয়াত আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমাদের কথার জন্য আমাদের জবাবদিহি করতে হবে। অতিরিক্ত কথা বলার পরিণাম খারাপ হতে পারে।
অতিরিক্ত কথা বলার ক্ষতিকর প্রভাব
অনেক সময় আমরা মনে করি, বেশি কথা বললে মানুষ আমাদের ভালো বুঝবে অথবা এটা আমাদের আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন। কিন্তু বাস্তবে, অতিরিক্ত কথা বলার ফলে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে অশান্তি এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বেশি কথা বলার কারণে। উদাহরণস্বরূপ—
বিখ্যাত হাদিসগ্রন্থ ‘জামে তিরমিজি’তে বর্ণিত আছে, এক সাহাবি রাসুল (সা.) থেকে জানতে চাইলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি আমার ক্ষেত্রে কী সবচেয়ে বেশি আশঙ্কাজনক বিষয় মনে করেন?’ তখন রাসুল (সা.) নিজের জিহ্বা ধরে বললেন, ‘এটাই সবচেয়ে আশঙ্কাজনক।’ এটি প্রমাণ করে, কথার মাধ্যমে মানবজীবনে কত ধরনের বিপদ সৃষ্টি হতে পারে।
সঠিকভাবে কথা বলার পথ
কথা বললে শুধু নিজের কথা বললেই হবে না, প্রথমে অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা জরুরি। তারপর, সত্য যাচাই করে এবং সতর্কভাবে, নম্রভাবে কথা বলতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রতিটি শব্দই লিপিবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং সেগুলো আমাদের জীবনের প্রতিফলন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে।’ (সহিহ্ বুখারি)
এটি স্পষ্টভাবে আমাদের নির্দেশ দেয়, সঠিকভাবে কথা বলতে হবে। এবং যদি কথার মাধ্যমে কোনো ভালো উদ্দেশ্য না হয়, তবে চুপ থাকা ভালো।
কথা কম বলা মুক্তির পথ
কথা কম বলা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ। কম কথা বললে, মানুষের মধ্যে কম শত্রুতা তৈরি হয়, আর সংগতিপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমাদের কথা এবং কাজের মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে, এবং যখন কোনো উপকারী কিছু বলার না থাকে, তখন চুপ থাকাই উত্তম।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে নীরব থাকে, সে মুক্তি পায়।’ (জামে তিরমিজি)
এই হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, কথাবার্তায় অতিরিক্ত রকমের আলোচনা না করাই আমাদের মুক্তির জন্য সবচেয়ে ভালো। যখন আমাদের কথার মাধ্যমে কোনো উপকারিতা নেই, তখন চুপ থাকা সঠিক পথ।
কথা বলা একটি মহান নিয়ামত, কিন্তু সেই নিয়ামতকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা আমাদের দায়িত্ব। অতিরিক্ত কথা বলা শুধু ব্যক্তিগতভাবে নয়, সামাজিকভাবেও নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের উচিত, কথার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা, সত্য কথা বলা এবং অন্যের প্রতি সদয় হওয়া। কম কথা বলা এবং নিজের কাজ ও কথার মধ্যে সমন্বয় রেখে চলা, আমাদের জীবনে শান্তি এবং মুক্তি আনবে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
কথা বলার ক্ষমতা আল্লাহর একটি মহান নিয়ামত। কথার মাধ্যমে মানুষ মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে, সমাজে সম্পর্ক তৈরি করতে পারে এবং পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে।
আমাদের কথার প্রতিটি শব্দ লিপিবদ্ধ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তা লিপিবদ্ধ করার কাজে সচেতন পাহারাদার ফেরেশতা তার নিকটে রয়েছে।’ (সুরা কাফ: ১৮)
এই আয়াত আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমাদের কথার জন্য আমাদের জবাবদিহি করতে হবে। অতিরিক্ত কথা বলার পরিণাম খারাপ হতে পারে।
অতিরিক্ত কথা বলার ক্ষতিকর প্রভাব
অনেক সময় আমরা মনে করি, বেশি কথা বললে মানুষ আমাদের ভালো বুঝবে অথবা এটা আমাদের আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন। কিন্তু বাস্তবে, অতিরিক্ত কথা বলার ফলে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হতে পারে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে অশান্তি এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে বেশি কথা বলার কারণে। উদাহরণস্বরূপ—
বিখ্যাত হাদিসগ্রন্থ ‘জামে তিরমিজি’তে বর্ণিত আছে, এক সাহাবি রাসুল (সা.) থেকে জানতে চাইলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি আমার ক্ষেত্রে কী সবচেয়ে বেশি আশঙ্কাজনক বিষয় মনে করেন?’ তখন রাসুল (সা.) নিজের জিহ্বা ধরে বললেন, ‘এটাই সবচেয়ে আশঙ্কাজনক।’ এটি প্রমাণ করে, কথার মাধ্যমে মানবজীবনে কত ধরনের বিপদ সৃষ্টি হতে পারে।
সঠিকভাবে কথা বলার পথ
কথা বললে শুধু নিজের কথা বললেই হবে না, প্রথমে অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা জরুরি। তারপর, সত্য যাচাই করে এবং সতর্কভাবে, নম্রভাবে কথা বলতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রতিটি শব্দই লিপিবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং সেগুলো আমাদের জীবনের প্রতিফলন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে।’ (সহিহ্ বুখারি)
এটি স্পষ্টভাবে আমাদের নির্দেশ দেয়, সঠিকভাবে কথা বলতে হবে। এবং যদি কথার মাধ্যমে কোনো ভালো উদ্দেশ্য না হয়, তবে চুপ থাকা ভালো।
কথা কম বলা মুক্তির পথ
কথা কম বলা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ। কম কথা বললে, মানুষের মধ্যে কম শত্রুতা তৈরি হয়, আর সংগতিপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমাদের কথা এবং কাজের মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে, এবং যখন কোনো উপকারী কিছু বলার না থাকে, তখন চুপ থাকাই উত্তম।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে নীরব থাকে, সে মুক্তি পায়।’ (জামে তিরমিজি)
এই হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, কথাবার্তায় অতিরিক্ত রকমের আলোচনা না করাই আমাদের মুক্তির জন্য সবচেয়ে ভালো। যখন আমাদের কথার মাধ্যমে কোনো উপকারিতা নেই, তখন চুপ থাকা সঠিক পথ।
কথা বলা একটি মহান নিয়ামত, কিন্তু সেই নিয়ামতকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা আমাদের দায়িত্ব। অতিরিক্ত কথা বলা শুধু ব্যক্তিগতভাবে নয়, সামাজিকভাবেও নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আমাদের উচিত, কথার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা, সত্য কথা বলা এবং অন্যের প্রতি সদয় হওয়া। কম কথা বলা এবং নিজের কাজ ও কথার মধ্যে সমন্বয় রেখে চলা, আমাদের জীবনে শান্তি এবং মুক্তি আনবে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
মাশাআল্লাহ বলা শুধু একটি সুন্দর অভ্যাস নয়, এর পেছনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ আল্লাহর ওপর বিশ্বাস এবং শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়ার আশাবাদ। বদ নজর বা খারাপ দৃষ্টির ক্ষতি থেকে আমাদের এবং আমাদের প্রিয়জনদের রক্ষা করার জন্য এই শব্দটি খুবই কার্যকর। শয়তান আমাদের ভালোর প্রতি হিংসা করতে পারে, তাই...
৪ ঘণ্টা আগেবদনজর বা খারাপ দৃষ্টি এমন একটি অভিশাপ যা মানুষের জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। এটি কারও সৌন্দর্য, ধন-সম্পদ, বা জীবনের যেকোনো ভালো কিছু দেখে বা জেনে হিংসা থেকে উদ্ভূত হয়। ইসলামে বদনজরের অস্তিত্ব এবং এর প্রভাব সম্পর্কে স্পষ্ট আলোকপাত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেনামাজ ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ এবং মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শুধু একটি আনুষ্ঠানিক ইবাদত নয়; বরং মুমিনের আত্মিক প্রশান্তি, চারিত্রিক পরিশুদ্ধি ও জীবনের ভারসাম্য রক্ষার একটি মহান উপায়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
১৪ ঘণ্টা আগেআমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
২ দিন আগে