মুফতি খালিদ কাসেমি
আরবি কায়লুলা শব্দের অর্থ দিবানিদ্রা, ভাতঘুম। দুপুরের খাবার গ্রহণ করার পর কিছুক্ষণ শোয়াকে কায়লুলা বলা হয়; ঘুম আসুক বা না আসুক। (উমদাতুল কারি) কায়লুলা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। সাহাবিরাও এই সুন্নত পালন করতেন। এর জন্য শুধু শোয়া যথেষ্ট; ঘুমানো আবশ্যক নয়।
দুপুরের খাবার গ্রহণ করার পর কিছুক্ষণ বিশ্রামের রয়েছে অনেক উপকারিতা। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক সতেজ হয়। মানসিক চাপ কমে। দীর্ঘসময় ধরে মস্তিষ্ক কর্মোদ্যম থাকে। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এক হাদিসে মহানবী (সা.) কায়লুলার উপকারিতা এভাবে বর্ণনা করে বলেছেন, ‘তোমরা সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে দিনে রোজা রাখার জন্য এবং দিনে বিশ্রামের মাধ্যমে রাতে নামাজ পড়ার জন্য সামর্থ্য অর্জন করো।’ (ইবনে মাজাহ) সাহাবিরা সাধারণত শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিনে জোহরের নামাজের আগে খাবার গ্রহণ করে কায়লুলা করতেন। তবে শুক্রবারের ব্যাপারে বিভিন্ন বর্ণনায় পাওয়া যায়। সেদিন তাঁরা জুমার নামাজের পর খাবার গ্রহণ করতেন; এরপর কায়লুলা করতেন।
হজরত সাহল (রা.) বর্ণনা করেন, ‘জুমার নামাজের পরই আমরা কায়লুলা করতাম এবং দুপুরের খাবার গ্রহণ করতাম।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে, আনাস (রা.) বলতেন, ‘আমরা সকাল সকাল জুমায় যেতাম; এরপর নামাজ শেষে কায়লুলা করতাম।’ (বুখারি) জোহরের নামাজের আগে খাবার গ্রহণ করে কায়লুলা করা উত্তম। তবে জোহরের পর খাবার গ্রহণ করে কায়লুলার নিয়তে শোয়ার মাধ্যমেও কায়লুলার সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আরবি কায়লুলা শব্দের অর্থ দিবানিদ্রা, ভাতঘুম। দুপুরের খাবার গ্রহণ করার পর কিছুক্ষণ শোয়াকে কায়লুলা বলা হয়; ঘুম আসুক বা না আসুক। (উমদাতুল কারি) কায়লুলা মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। সাহাবিরাও এই সুন্নত পালন করতেন। এর জন্য শুধু শোয়া যথেষ্ট; ঘুমানো আবশ্যক নয়।
দুপুরের খাবার গ্রহণ করার পর কিছুক্ষণ বিশ্রামের রয়েছে অনেক উপকারিতা। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক সতেজ হয়। মানসিক চাপ কমে। দীর্ঘসময় ধরে মস্তিষ্ক কর্মোদ্যম থাকে। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এক হাদিসে মহানবী (সা.) কায়লুলার উপকারিতা এভাবে বর্ণনা করে বলেছেন, ‘তোমরা সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে দিনে রোজা রাখার জন্য এবং দিনে বিশ্রামের মাধ্যমে রাতে নামাজ পড়ার জন্য সামর্থ্য অর্জন করো।’ (ইবনে মাজাহ) সাহাবিরা সাধারণত শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিনে জোহরের নামাজের আগে খাবার গ্রহণ করে কায়লুলা করতেন। তবে শুক্রবারের ব্যাপারে বিভিন্ন বর্ণনায় পাওয়া যায়। সেদিন তাঁরা জুমার নামাজের পর খাবার গ্রহণ করতেন; এরপর কায়লুলা করতেন।
হজরত সাহল (রা.) বর্ণনা করেন, ‘জুমার নামাজের পরই আমরা কায়লুলা করতাম এবং দুপুরের খাবার গ্রহণ করতাম।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে, আনাস (রা.) বলতেন, ‘আমরা সকাল সকাল জুমায় যেতাম; এরপর নামাজ শেষে কায়লুলা করতাম।’ (বুখারি) জোহরের নামাজের আগে খাবার গ্রহণ করে কায়লুলা করা উত্তম। তবে জোহরের পর খাবার গ্রহণ করে কায়লুলার নিয়তে শোয়ার মাধ্যমেও কায়লুলার সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমাদের সমাজে অনেকেই বছরের নানা সময়ে নফল রোজা রেখে থাকেন। কিন্তু ইসলামের বিধান অনুযায়ী—বছরের বেশ কিছু দিন রয়েছে, যে দিনগুলোতে রোজা রাখা যায় না। যেমন, ঈদুল আজহা কিংবা ঈদুল ফিতর রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
৮ ঘণ্টা আগেমহানবী (সা.)-এর রওজা জিয়ারত করা এবং সরাসরি তাঁকে সালাম জানানো নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে এর জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু শিষ্টাচার ও আদব। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
১১ ঘণ্টা আগেসামাজিক সম্পর্কের অসামান্য বন্ধন দাওয়াত, যেখানে খাবারের সঙ্গে মিশে যায় আন্তরিকতা, স্নেহ ও ভালোবাসা। দেশ, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এই সংস্কৃতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। এ ছাড়া মেহমানদারি নবী-রাসুলেরও আদর্শ।
১৩ ঘণ্টা আগেনবী আদম (আ.) থেকে নিয়ে মহানবী (সা.) পর্যন্ত সব নবীর যুগেই কোরবানির বিধান ছিল। (সুরা হজ: ৩৪)। তবে ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে আছে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানির ঘটনা। কেননা তা ছিল কঠিন ত্যাগের অধ্যায়।
১ দিন আগে