কাউসার লাবীব

ঈদ মানে আনন্দের বাঁধনহারা ঢেউ। ঈদ মানে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে আপন করে নেওয়া। ঈদ মানে ত্যাগের মহিমায় নিজেকে শাণিত করা। ঈদ আসে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে। সংযম আর সবরের মাস শেষে ঈদ আসে ভালোবাসার মালা নিয়ে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে ঈদ। তাই তো ঈদ এত খুশির, এত আনন্দের। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি জাতির উৎসব আছে, আমাদের উৎসব হলো এই দুই ঈদ।’ (সহিহ্ বুখারি: ৯০৪)
ঈদের শাব্দিক অর্থ আনন্দ। আর ফিতর বলতে বোঝায় রোজার সমাপ্তি। বছর ঘুরে আবার এসেছে ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের বন্যা। মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈদুল ফিতরের দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ঈদ ভ্রাতৃত্ব, সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে শামিল হওয়ার চেতনায় উজ্জীবিত করে। বিভেদমুক্ত জীবনের উপলব্ধি ঈদ। পরস্পর বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হয়ে ওঠার উপলক্ষ ঈদ। তাই ভ্রাতৃত্ববোধের পরম তৃপ্তি নিয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করার উৎসব বলা হয় একে।
ঈদের ছোঁয়ায় আমাদের চারপাশে আসে সাজসাজ রব। বাঁকা চাঁদের হাসিতে আকাশে বয় আনন্দের হিমেল বায়ু। ঘরে ঘরে নানা পদের খাবারের আয়োজন হয়। ফিরনি-সেমাই, গোশত এবং কোরমা-পোলাও ঘ্রাণ ছড়ায়। সবাই সাধ্যমতো ভালো পোশাক পরে। মায়ের গায়ে নতুন শাড়ি, বোনের মেহেদিরাঙা হাতে চুড়ির মিষ্টি আওয়াজ, বাবার মাথায় টুপি আর ভাইয়ের পরনে রঙিন পাঞ্জাবি ঈদের আনন্দে যুক্ত করে বাড়তি আমেজ। আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরাও এ আনন্দের অংশীদার হয়। একে অপরের বাড়িতে যায়। খোঁজখবর নেয়। কুশল বিনিময় করে।
ঈদে সবচেয়ে মজা করে শিশুরা। পাড়া-মহল্লাজুড়ে তাদের ছুটোছুটি বেড়ে যায়। বড়দের কাছ থেকে সালামি পেয়ে খুশির ঢেউয়ে নাচন তোলে তারা। ধনী-দরিদ্র সবাই এ দিনটি সাধ্য অনুযায়ী আনন্দের সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করে। মসজিদে-ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করে সব শ্রেণির মানুষ। মানুষের পুনর্মিলনী ঘটে। আলিঙ্গন-কোলাকুলিতে সম্প্রীতির আদান-প্রদান হয়। উৎসবের আমেজ বিরাজ করে সবখানে। ঈদের এই চিত্র যুগ যুগ ধরে চলে আসা সংস্কৃতির অংশ। ঈদ আমাদের হাসতে শেখায়, ভালোবাসতে শেখায়।
ঈদের দিন আনন্দের বাঁধনহারা ঢেউয়ে আমরা উৎসবে মেতে উঠি। খুশির নৌকায় পাল তুলে সুখের দেশে নোঙর করি। তবে আমেজের জোয়ারে কখনো অপ্রত্যাশিতভাবে জড়িয়ে পড়ি আল্লাহর অবাধ্যতায়। ইসলামের নিষিদ্ধ কাজে গা ভাসাই। একজন বিশ্বাসী বান্দা হিসেবে এটি কখনোই কাম্য নয়। উৎসবের সাগরে ভেসে আল্লাহর অবাধ্যতায় গা ভেজানো ঈদের শিক্ষা নয়।
ঈদুল ফিতর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঈদে আমাদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। তাই নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে বিজাতীয় আচরণে মেতে ওঠা উচিত নয়। কেননা ঈদ নিছক আনন্দের উপলক্ষ নয়, এটি একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। ঈদুল ফিতর পরিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে জীবনকে নতুন করে সাজানোর উৎসব। তাই ঈদের আনন্দে যেন আল্লাহর দেওয়া বিধান লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তবেই আনন্দের পাশাপাশি ঈদ হয়ে উঠবে আধ্যাত্মিকতার মোহনা। এতে উৎসবের আমেজ থাকবে, থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টিও। ঈদ আসবে, ঈদ চলে যাবে। কিন্তু কোনোভাবেই মহান রবের অপছন্দের পথে পা বাড়ানো যাবে না। তাহলে আনন্দের পাশাপাশি আমরা আল্লাহর তাআলার ক্ষমাও পেয়ে যাব।
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘যখন ঈদের দিন তথা ঈদুল ফিতরের দিন আসে, তখন আল্লাহ বান্দাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সঙ্গে গর্ব করেন। বলেন, হে আমার ফেরেশতারা, যে শ্রমিক তার কর্ম পূর্ণ করেছে, তার বিনিময় কী? তাঁরা বলেন, তাদের বিনিময় হলো পারিশ্রমিক পরিপূর্ণরূপে প্রদান করা। আল্লাহ বলেন, হে আমার ফেরেশতারা, আমার বান্দা-বান্দিরা তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করেছে। তারপর দোয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছে। আমার সম্মান, করুণা, মাহাত্ম্য ও উচ্চ মর্যাদার শপথ, আমি তাদের দোয়া কবুল করব। এরপর আল্লাহ বলেন, তোমরা ফিরে যাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম এবং তোমাদের মন্দ আমলগুলো নেকি দিয়ে পরিবর্তন করে দিলাম। তখন তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে যায়।’ (খুতবাতুল আহকাম, পৃষ্ঠা: ১৬২-১৬৬)
ঈদের কেনাকাটাসহ সবকিছুতেই অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করা দরকার। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা কোনোভাবেই অপব্যয় কোরো না, নিশ্চয়ই অপব্যয়কারী শয়তানের ভাই। (সুরা বনি ইসরাইল: ২৬-২৭)
পাড়া-মহল্লা, শহর-বন্দরের কোথাও কোথাও ঈদের দিন জুয়া-লটারির আয়োজন বসে। এগুলো শরিয়তবিরোধী কাজ। এসব থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদি, ভাগ্য-নির্ধারক তিরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিহার করো, যাতে সফলকাম হও। (সুরা মায়িদা: ৯০)
ঈদুল ফিতর আমাদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রতির মেলবন্ধন তৈরি করুক। সবার জীবনে বয়ে আসুক অনাবিল সুখ। উৎসবের আমেজে ঈদ হোক রঙিন। আসুন হতাশা-নিরাশা আর দুঃখ-কষ্ট পেছনে ফেলে একপ্রাণে গেয়ে উঠি–
‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ,
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।’

ঈদ মানে আনন্দের বাঁধনহারা ঢেউ। ঈদ মানে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে আপন করে নেওয়া। ঈদ মানে ত্যাগের মহিমায় নিজেকে শাণিত করা। ঈদ আসে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে। সংযম আর সবরের মাস শেষে ঈদ আসে ভালোবাসার মালা নিয়ে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে ঈদ। তাই তো ঈদ এত খুশির, এত আনন্দের। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি জাতির উৎসব আছে, আমাদের উৎসব হলো এই দুই ঈদ।’ (সহিহ্ বুখারি: ৯০৪)
ঈদের শাব্দিক অর্থ আনন্দ। আর ফিতর বলতে বোঝায় রোজার সমাপ্তি। বছর ঘুরে আবার এসেছে ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের বন্যা। মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈদুল ফিতরের দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ঈদ ভ্রাতৃত্ব, সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে শামিল হওয়ার চেতনায় উজ্জীবিত করে। বিভেদমুক্ত জীবনের উপলব্ধি ঈদ। পরস্পর বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হয়ে ওঠার উপলক্ষ ঈদ। তাই ভ্রাতৃত্ববোধের পরম তৃপ্তি নিয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করার উৎসব বলা হয় একে।
ঈদের ছোঁয়ায় আমাদের চারপাশে আসে সাজসাজ রব। বাঁকা চাঁদের হাসিতে আকাশে বয় আনন্দের হিমেল বায়ু। ঘরে ঘরে নানা পদের খাবারের আয়োজন হয়। ফিরনি-সেমাই, গোশত এবং কোরমা-পোলাও ঘ্রাণ ছড়ায়। সবাই সাধ্যমতো ভালো পোশাক পরে। মায়ের গায়ে নতুন শাড়ি, বোনের মেহেদিরাঙা হাতে চুড়ির মিষ্টি আওয়াজ, বাবার মাথায় টুপি আর ভাইয়ের পরনে রঙিন পাঞ্জাবি ঈদের আনন্দে যুক্ত করে বাড়তি আমেজ। আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরাও এ আনন্দের অংশীদার হয়। একে অপরের বাড়িতে যায়। খোঁজখবর নেয়। কুশল বিনিময় করে।
ঈদে সবচেয়ে মজা করে শিশুরা। পাড়া-মহল্লাজুড়ে তাদের ছুটোছুটি বেড়ে যায়। বড়দের কাছ থেকে সালামি পেয়ে খুশির ঢেউয়ে নাচন তোলে তারা। ধনী-দরিদ্র সবাই এ দিনটি সাধ্য অনুযায়ী আনন্দের সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করে। মসজিদে-ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করে সব শ্রেণির মানুষ। মানুষের পুনর্মিলনী ঘটে। আলিঙ্গন-কোলাকুলিতে সম্প্রীতির আদান-প্রদান হয়। উৎসবের আমেজ বিরাজ করে সবখানে। ঈদের এই চিত্র যুগ যুগ ধরে চলে আসা সংস্কৃতির অংশ। ঈদ আমাদের হাসতে শেখায়, ভালোবাসতে শেখায়।
ঈদের দিন আনন্দের বাঁধনহারা ঢেউয়ে আমরা উৎসবে মেতে উঠি। খুশির নৌকায় পাল তুলে সুখের দেশে নোঙর করি। তবে আমেজের জোয়ারে কখনো অপ্রত্যাশিতভাবে জড়িয়ে পড়ি আল্লাহর অবাধ্যতায়। ইসলামের নিষিদ্ধ কাজে গা ভাসাই। একজন বিশ্বাসী বান্দা হিসেবে এটি কখনোই কাম্য নয়। উৎসবের সাগরে ভেসে আল্লাহর অবাধ্যতায় গা ভেজানো ঈদের শিক্ষা নয়।
ঈদুল ফিতর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঈদে আমাদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। তাই নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে বিজাতীয় আচরণে মেতে ওঠা উচিত নয়। কেননা ঈদ নিছক আনন্দের উপলক্ষ নয়, এটি একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। ঈদুল ফিতর পরিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে জীবনকে নতুন করে সাজানোর উৎসব। তাই ঈদের আনন্দে যেন আল্লাহর দেওয়া বিধান লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তবেই আনন্দের পাশাপাশি ঈদ হয়ে উঠবে আধ্যাত্মিকতার মোহনা। এতে উৎসবের আমেজ থাকবে, থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টিও। ঈদ আসবে, ঈদ চলে যাবে। কিন্তু কোনোভাবেই মহান রবের অপছন্দের পথে পা বাড়ানো যাবে না। তাহলে আনন্দের পাশাপাশি আমরা আল্লাহর তাআলার ক্ষমাও পেয়ে যাব।
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘যখন ঈদের দিন তথা ঈদুল ফিতরের দিন আসে, তখন আল্লাহ বান্দাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সঙ্গে গর্ব করেন। বলেন, হে আমার ফেরেশতারা, যে শ্রমিক তার কর্ম পূর্ণ করেছে, তার বিনিময় কী? তাঁরা বলেন, তাদের বিনিময় হলো পারিশ্রমিক পরিপূর্ণরূপে প্রদান করা। আল্লাহ বলেন, হে আমার ফেরেশতারা, আমার বান্দা-বান্দিরা তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করেছে। তারপর দোয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছে। আমার সম্মান, করুণা, মাহাত্ম্য ও উচ্চ মর্যাদার শপথ, আমি তাদের দোয়া কবুল করব। এরপর আল্লাহ বলেন, তোমরা ফিরে যাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম এবং তোমাদের মন্দ আমলগুলো নেকি দিয়ে পরিবর্তন করে দিলাম। তখন তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে যায়।’ (খুতবাতুল আহকাম, পৃষ্ঠা: ১৬২-১৬৬)
ঈদের কেনাকাটাসহ সবকিছুতেই অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করা দরকার। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা কোনোভাবেই অপব্যয় কোরো না, নিশ্চয়ই অপব্যয়কারী শয়তানের ভাই। (সুরা বনি ইসরাইল: ২৬-২৭)
পাড়া-মহল্লা, শহর-বন্দরের কোথাও কোথাও ঈদের দিন জুয়া-লটারির আয়োজন বসে। এগুলো শরিয়তবিরোধী কাজ। এসব থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদি, ভাগ্য-নির্ধারক তিরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিহার করো, যাতে সফলকাম হও। (সুরা মায়িদা: ৯০)
ঈদুল ফিতর আমাদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রতির মেলবন্ধন তৈরি করুক। সবার জীবনে বয়ে আসুক অনাবিল সুখ। উৎসবের আমেজে ঈদ হোক রঙিন। আসুন হতাশা-নিরাশা আর দুঃখ-কষ্ট পেছনে ফেলে একপ্রাণে গেয়ে উঠি–
‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ,
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।’
কাউসার লাবীব

ঈদ মানে আনন্দের বাঁধনহারা ঢেউ। ঈদ মানে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে আপন করে নেওয়া। ঈদ মানে ত্যাগের মহিমায় নিজেকে শাণিত করা। ঈদ আসে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে। সংযম আর সবরের মাস শেষে ঈদ আসে ভালোবাসার মালা নিয়ে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে ঈদ। তাই তো ঈদ এত খুশির, এত আনন্দের। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি জাতির উৎসব আছে, আমাদের উৎসব হলো এই দুই ঈদ।’ (সহিহ্ বুখারি: ৯০৪)
ঈদের শাব্দিক অর্থ আনন্দ। আর ফিতর বলতে বোঝায় রোজার সমাপ্তি। বছর ঘুরে আবার এসেছে ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের বন্যা। মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈদুল ফিতরের দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ঈদ ভ্রাতৃত্ব, সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে শামিল হওয়ার চেতনায় উজ্জীবিত করে। বিভেদমুক্ত জীবনের উপলব্ধি ঈদ। পরস্পর বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হয়ে ওঠার উপলক্ষ ঈদ। তাই ভ্রাতৃত্ববোধের পরম তৃপ্তি নিয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করার উৎসব বলা হয় একে।
ঈদের ছোঁয়ায় আমাদের চারপাশে আসে সাজসাজ রব। বাঁকা চাঁদের হাসিতে আকাশে বয় আনন্দের হিমেল বায়ু। ঘরে ঘরে নানা পদের খাবারের আয়োজন হয়। ফিরনি-সেমাই, গোশত এবং কোরমা-পোলাও ঘ্রাণ ছড়ায়। সবাই সাধ্যমতো ভালো পোশাক পরে। মায়ের গায়ে নতুন শাড়ি, বোনের মেহেদিরাঙা হাতে চুড়ির মিষ্টি আওয়াজ, বাবার মাথায় টুপি আর ভাইয়ের পরনে রঙিন পাঞ্জাবি ঈদের আনন্দে যুক্ত করে বাড়তি আমেজ। আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরাও এ আনন্দের অংশীদার হয়। একে অপরের বাড়িতে যায়। খোঁজখবর নেয়। কুশল বিনিময় করে।
ঈদে সবচেয়ে মজা করে শিশুরা। পাড়া-মহল্লাজুড়ে তাদের ছুটোছুটি বেড়ে যায়। বড়দের কাছ থেকে সালামি পেয়ে খুশির ঢেউয়ে নাচন তোলে তারা। ধনী-দরিদ্র সবাই এ দিনটি সাধ্য অনুযায়ী আনন্দের সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করে। মসজিদে-ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করে সব শ্রেণির মানুষ। মানুষের পুনর্মিলনী ঘটে। আলিঙ্গন-কোলাকুলিতে সম্প্রীতির আদান-প্রদান হয়। উৎসবের আমেজ বিরাজ করে সবখানে। ঈদের এই চিত্র যুগ যুগ ধরে চলে আসা সংস্কৃতির অংশ। ঈদ আমাদের হাসতে শেখায়, ভালোবাসতে শেখায়।
ঈদের দিন আনন্দের বাঁধনহারা ঢেউয়ে আমরা উৎসবে মেতে উঠি। খুশির নৌকায় পাল তুলে সুখের দেশে নোঙর করি। তবে আমেজের জোয়ারে কখনো অপ্রত্যাশিতভাবে জড়িয়ে পড়ি আল্লাহর অবাধ্যতায়। ইসলামের নিষিদ্ধ কাজে গা ভাসাই। একজন বিশ্বাসী বান্দা হিসেবে এটি কখনোই কাম্য নয়। উৎসবের সাগরে ভেসে আল্লাহর অবাধ্যতায় গা ভেজানো ঈদের শিক্ষা নয়।
ঈদুল ফিতর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঈদে আমাদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। তাই নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে বিজাতীয় আচরণে মেতে ওঠা উচিত নয়। কেননা ঈদ নিছক আনন্দের উপলক্ষ নয়, এটি একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। ঈদুল ফিতর পরিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে জীবনকে নতুন করে সাজানোর উৎসব। তাই ঈদের আনন্দে যেন আল্লাহর দেওয়া বিধান লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তবেই আনন্দের পাশাপাশি ঈদ হয়ে উঠবে আধ্যাত্মিকতার মোহনা। এতে উৎসবের আমেজ থাকবে, থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টিও। ঈদ আসবে, ঈদ চলে যাবে। কিন্তু কোনোভাবেই মহান রবের অপছন্দের পথে পা বাড়ানো যাবে না। তাহলে আনন্দের পাশাপাশি আমরা আল্লাহর তাআলার ক্ষমাও পেয়ে যাব।
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘যখন ঈদের দিন তথা ঈদুল ফিতরের দিন আসে, তখন আল্লাহ বান্দাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সঙ্গে গর্ব করেন। বলেন, হে আমার ফেরেশতারা, যে শ্রমিক তার কর্ম পূর্ণ করেছে, তার বিনিময় কী? তাঁরা বলেন, তাদের বিনিময় হলো পারিশ্রমিক পরিপূর্ণরূপে প্রদান করা। আল্লাহ বলেন, হে আমার ফেরেশতারা, আমার বান্দা-বান্দিরা তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করেছে। তারপর দোয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছে। আমার সম্মান, করুণা, মাহাত্ম্য ও উচ্চ মর্যাদার শপথ, আমি তাদের দোয়া কবুল করব। এরপর আল্লাহ বলেন, তোমরা ফিরে যাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম এবং তোমাদের মন্দ আমলগুলো নেকি দিয়ে পরিবর্তন করে দিলাম। তখন তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে যায়।’ (খুতবাতুল আহকাম, পৃষ্ঠা: ১৬২-১৬৬)
ঈদের কেনাকাটাসহ সবকিছুতেই অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করা দরকার। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা কোনোভাবেই অপব্যয় কোরো না, নিশ্চয়ই অপব্যয়কারী শয়তানের ভাই। (সুরা বনি ইসরাইল: ২৬-২৭)
পাড়া-মহল্লা, শহর-বন্দরের কোথাও কোথাও ঈদের দিন জুয়া-লটারির আয়োজন বসে। এগুলো শরিয়তবিরোধী কাজ। এসব থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদি, ভাগ্য-নির্ধারক তিরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিহার করো, যাতে সফলকাম হও। (সুরা মায়িদা: ৯০)
ঈদুল ফিতর আমাদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রতির মেলবন্ধন তৈরি করুক। সবার জীবনে বয়ে আসুক অনাবিল সুখ। উৎসবের আমেজে ঈদ হোক রঙিন। আসুন হতাশা-নিরাশা আর দুঃখ-কষ্ট পেছনে ফেলে একপ্রাণে গেয়ে উঠি–
‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ,
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।’

ঈদ মানে আনন্দের বাঁধনহারা ঢেউ। ঈদ মানে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে আপন করে নেওয়া। ঈদ মানে ত্যাগের মহিমায় নিজেকে শাণিত করা। ঈদ আসে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে। সংযম আর সবরের মাস শেষে ঈদ আসে ভালোবাসার মালা নিয়ে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে ঈদ। তাই তো ঈদ এত খুশির, এত আনন্দের। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘প্রতিটি জাতির উৎসব আছে, আমাদের উৎসব হলো এই দুই ঈদ।’ (সহিহ্ বুখারি: ৯০৪)
ঈদের শাব্দিক অর্থ আনন্দ। আর ফিতর বলতে বোঝায় রোজার সমাপ্তি। বছর ঘুরে আবার এসেছে ঈদুল ফিতর। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ঘরে ঘরে বইছে আনন্দের বন্যা। মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈদুল ফিতরের দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ঈদ ভ্রাতৃত্ব, সহানুভূতি, সহমর্মিতা ও ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে শামিল হওয়ার চেতনায় উজ্জীবিত করে। বিভেদমুক্ত জীবনের উপলব্ধি ঈদ। পরস্পর বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী হয়ে ওঠার উপলক্ষ ঈদ। তাই ভ্রাতৃত্ববোধের পরম তৃপ্তি নিয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন করার উৎসব বলা হয় একে।
ঈদের ছোঁয়ায় আমাদের চারপাশে আসে সাজসাজ রব। বাঁকা চাঁদের হাসিতে আকাশে বয় আনন্দের হিমেল বায়ু। ঘরে ঘরে নানা পদের খাবারের আয়োজন হয়। ফিরনি-সেমাই, গোশত এবং কোরমা-পোলাও ঘ্রাণ ছড়ায়। সবাই সাধ্যমতো ভালো পোশাক পরে। মায়ের গায়ে নতুন শাড়ি, বোনের মেহেদিরাঙা হাতে চুড়ির মিষ্টি আওয়াজ, বাবার মাথায় টুপি আর ভাইয়ের পরনে রঙিন পাঞ্জাবি ঈদের আনন্দে যুক্ত করে বাড়তি আমেজ। আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরাও এ আনন্দের অংশীদার হয়। একে অপরের বাড়িতে যায়। খোঁজখবর নেয়। কুশল বিনিময় করে।
ঈদে সবচেয়ে মজা করে শিশুরা। পাড়া-মহল্লাজুড়ে তাদের ছুটোছুটি বেড়ে যায়। বড়দের কাছ থেকে সালামি পেয়ে খুশির ঢেউয়ে নাচন তোলে তারা। ধনী-দরিদ্র সবাই এ দিনটি সাধ্য অনুযায়ী আনন্দের সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করে। মসজিদে-ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করে সব শ্রেণির মানুষ। মানুষের পুনর্মিলনী ঘটে। আলিঙ্গন-কোলাকুলিতে সম্প্রীতির আদান-প্রদান হয়। উৎসবের আমেজ বিরাজ করে সবখানে। ঈদের এই চিত্র যুগ যুগ ধরে চলে আসা সংস্কৃতির অংশ। ঈদ আমাদের হাসতে শেখায়, ভালোবাসতে শেখায়।
ঈদের দিন আনন্দের বাঁধনহারা ঢেউয়ে আমরা উৎসবে মেতে উঠি। খুশির নৌকায় পাল তুলে সুখের দেশে নোঙর করি। তবে আমেজের জোয়ারে কখনো অপ্রত্যাশিতভাবে জড়িয়ে পড়ি আল্লাহর অবাধ্যতায়। ইসলামের নিষিদ্ধ কাজে গা ভাসাই। একজন বিশ্বাসী বান্দা হিসেবে এটি কখনোই কাম্য নয়। উৎসবের সাগরে ভেসে আল্লাহর অবাধ্যতায় গা ভেজানো ঈদের শিক্ষা নয়।
ঈদুল ফিতর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঈদে আমাদের রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। তাই নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে বিজাতীয় আচরণে মেতে ওঠা উচিত নয়। কেননা ঈদ নিছক আনন্দের উপলক্ষ নয়, এটি একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। ঈদুল ফিতর পরিশুদ্ধ আত্মা নিয়ে জীবনকে নতুন করে সাজানোর উৎসব। তাই ঈদের আনন্দে যেন আল্লাহর দেওয়া বিধান লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তবেই আনন্দের পাশাপাশি ঈদ হয়ে উঠবে আধ্যাত্মিকতার মোহনা। এতে উৎসবের আমেজ থাকবে, থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টিও। ঈদ আসবে, ঈদ চলে যাবে। কিন্তু কোনোভাবেই মহান রবের অপছন্দের পথে পা বাড়ানো যাবে না। তাহলে আনন্দের পাশাপাশি আমরা আল্লাহর তাআলার ক্ষমাও পেয়ে যাব।
প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘যখন ঈদের দিন তথা ঈদুল ফিতরের দিন আসে, তখন আল্লাহ বান্দাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সঙ্গে গর্ব করেন। বলেন, হে আমার ফেরেশতারা, যে শ্রমিক তার কর্ম পূর্ণ করেছে, তার বিনিময় কী? তাঁরা বলেন, তাদের বিনিময় হলো পারিশ্রমিক পরিপূর্ণরূপে প্রদান করা। আল্লাহ বলেন, হে আমার ফেরেশতারা, আমার বান্দা-বান্দিরা তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করেছে। তারপর দোয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছে। আমার সম্মান, করুণা, মাহাত্ম্য ও উচ্চ মর্যাদার শপথ, আমি তাদের দোয়া কবুল করব। এরপর আল্লাহ বলেন, তোমরা ফিরে যাও, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম এবং তোমাদের মন্দ আমলগুলো নেকি দিয়ে পরিবর্তন করে দিলাম। তখন তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে যায়।’ (খুতবাতুল আহকাম, পৃষ্ঠা: ১৬২-১৬৬)
ঈদের কেনাকাটাসহ সবকিছুতেই অপচয় ও অপব্যয় পরিহার করা দরকার। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা কোনোভাবেই অপব্যয় কোরো না, নিশ্চয়ই অপব্যয়কারী শয়তানের ভাই। (সুরা বনি ইসরাইল: ২৬-২৭)
পাড়া-মহল্লা, শহর-বন্দরের কোথাও কোথাও ঈদের দিন জুয়া-লটারির আয়োজন বসে। এগুলো শরিয়তবিরোধী কাজ। এসব থেকে বিরত থাকা কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদি, ভাগ্য-নির্ধারক তিরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কাজ। সুতরাং তোমরা তা পরিহার করো, যাতে সফলকাম হও। (সুরা মায়িদা: ৯০)
ঈদুল ফিতর আমাদের আত্মশুদ্ধি, সংযম, সৌহার্দ্য ও সম্প্রতির মেলবন্ধন তৈরি করুক। সবার জীবনে বয়ে আসুক অনাবিল সুখ। উৎসবের আমেজে ঈদ হোক রঙিন। আসুন হতাশা-নিরাশা আর দুঃখ-কষ্ট পেছনে ফেলে একপ্রাণে গেয়ে উঠি–
‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ,
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।’

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ মিনিট আগে
পিতা-মাতা মানুষের জীবনের অমূল্য সম্পদ। সন্তানের প্রতি তাঁদের স্নেহ, ভালোবাসা, ত্যাগ ও মমতার প্রতিদান কোনো কিছু দিয়েই পরিশোধ করা সম্ভব নয়। তাই সন্তানের অন্যতম বড় দায়িত্ব হলো পিতা-মাতার জন্য দোয়া করা। দোয়াই জীবিত অবস্থায় তাঁদের জন্য শান্তি এনে দেয় এবং মৃত্যুর পরও অব্যাহত সওয়াবের উৎস হয়ে থাকে।
৭ ঘণ্টা আগে
দাম্পত্যজীবন আল্লাহর বিশেষ উপহার। আর বৈবাহিক জীবনে সচেতন স্ত্রী পাওয়া পরম সৌভাগ্যের। একজন সহানুভূতিশীল স্ত্রী শুধু জীবনসঙ্গিনীই নন, স্বামীর জন্য নির্ভরতার জায়গা। এমন স্ত্রীর উপস্থিতি একটি ঘরে এনে দেয় শান্তি ও ভালোবাসার উষ্ণতা।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৬ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৭ মিনিট | ০৬: ০৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২১ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৪: ৪৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৬ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৭ মিনিট | ০৬: ০৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ১৯ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২১ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৪: ৪৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ঈদ মানে আনন্দের বাঁধনহারা ঢেউ। ঈদ মানে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে আপন করে নেওয়া। ঈদ মানে ত্যাগের মহিমায় নিজেকে শাণিত করা। ঈদ আসে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে। সংযম আর সবরের মাস শেষে ঈদ আসে ভালোবাসার মালা নিয়ে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে ঈদ। তাই তো ঈদ এত খুশির, এত আনন্দের।
২৮ মার্চ ২০২৫
পিতা-মাতা মানুষের জীবনের অমূল্য সম্পদ। সন্তানের প্রতি তাঁদের স্নেহ, ভালোবাসা, ত্যাগ ও মমতার প্রতিদান কোনো কিছু দিয়েই পরিশোধ করা সম্ভব নয়। তাই সন্তানের অন্যতম বড় দায়িত্ব হলো পিতা-মাতার জন্য দোয়া করা। দোয়াই জীবিত অবস্থায় তাঁদের জন্য শান্তি এনে দেয় এবং মৃত্যুর পরও অব্যাহত সওয়াবের উৎস হয়ে থাকে।
৭ ঘণ্টা আগে
দাম্পত্যজীবন আল্লাহর বিশেষ উপহার। আর বৈবাহিক জীবনে সচেতন স্ত্রী পাওয়া পরম সৌভাগ্যের। একজন সহানুভূতিশীল স্ত্রী শুধু জীবনসঙ্গিনীই নন, স্বামীর জন্য নির্ভরতার জায়গা। এমন স্ত্রীর উপস্থিতি একটি ঘরে এনে দেয় শান্তি ও ভালোবাসার উষ্ণতা।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেশরিফ আহমাদ

পিতা-মাতা মানুষের জীবনের অমূল্য সম্পদ। সন্তানের প্রতি তাঁদের স্নেহ, ভালোবাসা, ত্যাগ ও মমতার প্রতিদান কোনো কিছু দিয়েই পরিশোধ করা সম্ভব নয়। তাই সন্তানের অন্যতম বড় দায়িত্ব হলো পিতা-মাতার জন্য দোয়া করা। দোয়াই জীবিত অবস্থায় তাঁদের জন্য শান্তি এনে দেয় এবং মৃত্যুর পরও অব্যাহত সওয়াবের উৎস হয়ে থাকে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন মানুষ মারা যায় তখন তিন প্রকার আমল ব্যতীত তাঁর সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। এক. সদকায়ে জারিয়া। দুই. এমন ইলম—যার দ্বারা উপকার সাধিত হয়। তিন. নেককার সন্তান—যে তার জন্য দোয়া করতে থাকে। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৩১)
কোরআনে পিতা-মাতার জন্য তিনটি দোয়া বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে দোয়া করা উত্তম।
এক. রহমতের দোয়া: ‘রাব্বির হামহুমা কামা রব্বাইয়ানি সগিরা।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, তাদের প্রতি দয়া করুন, যেমন তারা আমাকে শৈশবে লালন-পালন করেছেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৪)
দুই. ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া: ‘রব্বানাগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াক্কুমুল হিসাব।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, রোজ কেয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
তিন. সবার জন্য দোয়া: ‘রাব্বিগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত। ওয়ালা তাজিদিজ জা-লিমিনা ইল্লা তাবারা।’ অর্থ: ‘হে আমার রব, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ইমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষদের ক্ষমা করুন আর আপনি জালিমদের ধ্বংস ছাড়া কিছু বাড়িয়ে দেবেন না। (সুরা নুহ: ২৮)
সন্তান যখন পিতা-মাতার জন্য দোয়া করে আল্লাহ তাআলা তখন তাৎক্ষণিকভাবে কবুল করেন এবং তাঁদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন। তাই সন্তানদের উচিত দোয়া কবুলের মুহূর্তগুলোতে তাঁদের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা। অন্তত দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে দোয়ায় তাঁদের স্মরণ রাখা। আল্লাহ তাআলা সবাইকে নিয়মিত দোয়া করার তাওফিক দান করুন।

পিতা-মাতা মানুষের জীবনের অমূল্য সম্পদ। সন্তানের প্রতি তাঁদের স্নেহ, ভালোবাসা, ত্যাগ ও মমতার প্রতিদান কোনো কিছু দিয়েই পরিশোধ করা সম্ভব নয়। তাই সন্তানের অন্যতম বড় দায়িত্ব হলো পিতা-মাতার জন্য দোয়া করা। দোয়াই জীবিত অবস্থায় তাঁদের জন্য শান্তি এনে দেয় এবং মৃত্যুর পরও অব্যাহত সওয়াবের উৎস হয়ে থাকে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন মানুষ মারা যায় তখন তিন প্রকার আমল ব্যতীত তাঁর সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। এক. সদকায়ে জারিয়া। দুই. এমন ইলম—যার দ্বারা উপকার সাধিত হয়। তিন. নেককার সন্তান—যে তার জন্য দোয়া করতে থাকে। (সহিহ্ মুসলিম: ১৬৩১)
কোরআনে পিতা-মাতার জন্য তিনটি দোয়া বিশেষভাবে উল্লেখ রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে দোয়া করা উত্তম।
এক. রহমতের দোয়া: ‘রাব্বির হামহুমা কামা রব্বাইয়ানি সগিরা।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, তাদের প্রতি দয়া করুন, যেমন তারা আমাকে শৈশবে লালন-পালন করেছেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৪)
দুই. ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া: ‘রব্বানাগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াক্কুমুল হিসাব।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক, রোজ কেয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১)
তিন. সবার জন্য দোয়া: ‘রাব্বিগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া ওয়ালিমান দাখালা বাইতিয়া মুমিনাও ওয়ালিল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত। ওয়ালা তাজিদিজ জা-লিমিনা ইল্লা তাবারা।’ অর্থ: ‘হে আমার রব, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে, যে আমার ঘরে ইমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষদের ক্ষমা করুন আর আপনি জালিমদের ধ্বংস ছাড়া কিছু বাড়িয়ে দেবেন না। (সুরা নুহ: ২৮)
সন্তান যখন পিতা-মাতার জন্য দোয়া করে আল্লাহ তাআলা তখন তাৎক্ষণিকভাবে কবুল করেন এবং তাঁদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন। তাই সন্তানদের উচিত দোয়া কবুলের মুহূর্তগুলোতে তাঁদের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা। অন্তত দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে দোয়ায় তাঁদের স্মরণ রাখা। আল্লাহ তাআলা সবাইকে নিয়মিত দোয়া করার তাওফিক দান করুন।

ঈদ মানে আনন্দের বাঁধনহারা ঢেউ। ঈদ মানে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে আপন করে নেওয়া। ঈদ মানে ত্যাগের মহিমায় নিজেকে শাণিত করা। ঈদ আসে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে। সংযম আর সবরের মাস শেষে ঈদ আসে ভালোবাসার মালা নিয়ে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে ঈদ। তাই তো ঈদ এত খুশির, এত আনন্দের।
২৮ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ মিনিট আগে
দাম্পত্যজীবন আল্লাহর বিশেষ উপহার। আর বৈবাহিক জীবনে সচেতন স্ত্রী পাওয়া পরম সৌভাগ্যের। একজন সহানুভূতিশীল স্ত্রী শুধু জীবনসঙ্গিনীই নন, স্বামীর জন্য নির্ভরতার জায়গা। এমন স্ত্রীর উপস্থিতি একটি ঘরে এনে দেয় শান্তি ও ভালোবাসার উষ্ণতা।
১৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

দাম্পত্যজীবন আল্লাহর বিশেষ উপহার। আর বৈবাহিক জীবনে সচেতন স্ত্রী পাওয়া পরম সৌভাগ্যের। একজন সহানুভূতিশীল স্ত্রী শুধু জীবনসঙ্গিনীই নন, স্বামীর জন্য নির্ভরতার জায়গা। এমন স্ত্রীর উপস্থিতি একটি ঘরে এনে দেয় শান্তি ও ভালোবাসার উষ্ণতা।
সংসারের খুঁটিনাটি কাজে তাঁর যত্ন, সন্তান লালনে নিষ্ঠা এবং স্বামীর প্রতি সহযোগিতা সংসারকে করে সহজ ও সুখকর। সংসারের ছন্দ, জীবনের ভারসাম্যও আসে তাঁর অনুরণনে।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে প্রথম ও ঘনিষ্ঠতম সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন। আল্লাহ তাআলা যখন হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করলেন, তখন তাঁর হৃদয়ের প্রশান্তির জন্য বানালেন হজরত হাওয়া (আ.)-কে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন, ‘হে মানবকুল, তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের একটি মাত্র ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তা থেকে তাঁর জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এরপর সেই দুজন থেকে বহু নর-নারীর বিস্তার ঘটিয়েছেন।’ (সুরা নিসা: ১)
দাম্পত্যজীবনের বন্ধনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তিনিই পানি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। এরপর মানুষের মাঝে বংশীয় সম্পর্ক ও বৈবাহিক আত্মীয় সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। তোমার প্রতিপালক সবকিছু করতে সক্ষম।’ (সুরা ফুরকান: ৫৪)
ক্ষণস্থায়ী এই জীবনে স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের সহায়ক ও পরিপূরক। কোরআনের ভাষায়, ‘তারা তোমাদের আবরণ এবং তোমরা তাদের আবরণ।’ (সুরা বাকারা: ১৮৭)
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে নিজেদের সঠিক বোঝাপড়া জীবনে এনে দেয় প্রশান্তি ও প্রেমের ছায়া। বেলা শেষে স্বামীর উপস্থিতি স্ত্রীর জন্য হয় আশ্রয়ের মতো। আর দিনভর হাজারো চাপে পুরুষ যখন ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফেরে, তখন তাঁর মনে প্রশান্তির বাতাস বয়ে যায় স্ত্রীর সংস্পর্শে।
পবিত্র কোরআনে তা এসেছে এভাবে, ‘তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকেই সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন; যাতে তোমরা তার কাছে প্রশান্তি লাভ করতে পারো। আর তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা রুম: ২১)

দাম্পত্যজীবন আল্লাহর বিশেষ উপহার। আর বৈবাহিক জীবনে সচেতন স্ত্রী পাওয়া পরম সৌভাগ্যের। একজন সহানুভূতিশীল স্ত্রী শুধু জীবনসঙ্গিনীই নন, স্বামীর জন্য নির্ভরতার জায়গা। এমন স্ত্রীর উপস্থিতি একটি ঘরে এনে দেয় শান্তি ও ভালোবাসার উষ্ণতা।
সংসারের খুঁটিনাটি কাজে তাঁর যত্ন, সন্তান লালনে নিষ্ঠা এবং স্বামীর প্রতি সহযোগিতা সংসারকে করে সহজ ও সুখকর। সংসারের ছন্দ, জীবনের ভারসাম্যও আসে তাঁর অনুরণনে।
মানবসভ্যতার ইতিহাসে প্রথম ও ঘনিষ্ঠতম সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন। আল্লাহ তাআলা যখন হজরত আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করলেন, তখন তাঁর হৃদয়ের প্রশান্তির জন্য বানালেন হজরত হাওয়া (আ.)-কে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন, ‘হে মানবকুল, তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদের একটি মাত্র ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তা থেকে তাঁর জোড়া সৃষ্টি করেছেন। এরপর সেই দুজন থেকে বহু নর-নারীর বিস্তার ঘটিয়েছেন।’ (সুরা নিসা: ১)
দাম্পত্যজীবনের বন্ধনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তিনিই পানি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন। এরপর মানুষের মাঝে বংশীয় সম্পর্ক ও বৈবাহিক আত্মীয় সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। তোমার প্রতিপালক সবকিছু করতে সক্ষম।’ (সুরা ফুরকান: ৫৪)
ক্ষণস্থায়ী এই জীবনে স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের সহায়ক ও পরিপূরক। কোরআনের ভাষায়, ‘তারা তোমাদের আবরণ এবং তোমরা তাদের আবরণ।’ (সুরা বাকারা: ১৮৭)
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে নিজেদের সঠিক বোঝাপড়া জীবনে এনে দেয় প্রশান্তি ও প্রেমের ছায়া। বেলা শেষে স্বামীর উপস্থিতি স্ত্রীর জন্য হয় আশ্রয়ের মতো। আর দিনভর হাজারো চাপে পুরুষ যখন ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফেরে, তখন তাঁর মনে প্রশান্তির বাতাস বয়ে যায় স্ত্রীর সংস্পর্শে।
পবিত্র কোরআনে তা এসেছে এভাবে, ‘তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকেই সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন; যাতে তোমরা তার কাছে প্রশান্তি লাভ করতে পারো। আর তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’ (সুরা রুম: ২১)

ঈদ মানে আনন্দের বাঁধনহারা ঢেউ। ঈদ মানে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে আপন করে নেওয়া। ঈদ মানে ত্যাগের মহিমায় নিজেকে শাণিত করা। ঈদ আসে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে। সংযম আর সবরের মাস শেষে ঈদ আসে ভালোবাসার মালা নিয়ে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে ঈদ। তাই তো ঈদ এত খুশির, এত আনন্দের।
২৮ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ মিনিট আগে
পিতা-মাতা মানুষের জীবনের অমূল্য সম্পদ। সন্তানের প্রতি তাঁদের স্নেহ, ভালোবাসা, ত্যাগ ও মমতার প্রতিদান কোনো কিছু দিয়েই পরিশোধ করা সম্ভব নয়। তাই সন্তানের অন্যতম বড় দায়িত্ব হলো পিতা-মাতার জন্য দোয়া করা। দোয়াই জীবিত অবস্থায় তাঁদের জন্য শান্তি এনে দেয় এবং মৃত্যুর পরও অব্যাহত সওয়াবের উৎস হয়ে থাকে।
৭ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ঈদ মানে আনন্দের বাঁধনহারা ঢেউ। ঈদ মানে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে আপন করে নেওয়া। ঈদ মানে ত্যাগের মহিমায় নিজেকে শাণিত করা। ঈদ আসে সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে। সংযম আর সবরের মাস শেষে ঈদ আসে ভালোবাসার মালা নিয়ে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলে ঈদ। তাই তো ঈদ এত খুশির, এত আনন্দের।
২৮ মার্চ ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৮ মিনিট আগে
পিতা-মাতা মানুষের জীবনের অমূল্য সম্পদ। সন্তানের প্রতি তাঁদের স্নেহ, ভালোবাসা, ত্যাগ ও মমতার প্রতিদান কোনো কিছু দিয়েই পরিশোধ করা সম্ভব নয়। তাই সন্তানের অন্যতম বড় দায়িত্ব হলো পিতা-মাতার জন্য দোয়া করা। দোয়াই জীবিত অবস্থায় তাঁদের জন্য শান্তি এনে দেয় এবং মৃত্যুর পরও অব্যাহত সওয়াবের উৎস হয়ে থাকে।
৭ ঘণ্টা আগে
দাম্পত্যজীবন আল্লাহর বিশেষ উপহার। আর বৈবাহিক জীবনে সচেতন স্ত্রী পাওয়া পরম সৌভাগ্যের। একজন সহানুভূতিশীল স্ত্রী শুধু জীবনসঙ্গিনীই নন, স্বামীর জন্য নির্ভরতার জায়গা। এমন স্ত্রীর উপস্থিতি একটি ঘরে এনে দেয় শান্তি ও ভালোবাসার উষ্ণতা।
১৭ ঘণ্টা আগে