আমজাদ ইউনুস
ন্যায়পরায়ণতা ব্যক্তিজীবন থেকে সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করে। ন্যায়নীতি ও সুবিচার ইসলামের প্রধান বৈশিষ্ট্য। ইসলাম প্রতিটি কাজকর্মে ন্যায়পরায়ণতার প্রতি গুরুত্বারোপ করে। ইসলাম নির্দেশিত এই ন্যায়পরায়ণতা শুধু নিজের অনুসারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং অন্য ধর্মের অনুসারীদের জানমাল ও ধর্মের ক্ষেত্রেও এই ন্যায়পরায়ণতা প্রদর্শন করার জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোনো সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনো ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করবে না। সুবিচার করবে, এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় করো। তোমরা যা করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত।’ (সুরা মায়েদা: ৮)
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, হকদারদের হক তাদের কাছে পৌঁছে দিতে। তোমরা যখন মানুষের মাঝে বিচার করবে তখন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের কত উত্তম উপদেশই না দিচ্ছেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮)
কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার সর্বাধিক নৈকট্য লাভকারী এবং প্রিয় হবে ন্যায়পরায়ণ রাষ্ট্রপ্রধান। সেদিন সর্বপ্রথম ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহ তাআলার রহমতের ছায়ায় অবস্থান নেবেন। মহান আল্লাহর ডান পাশে জ্যোতির মিম্বরে আরোহণ করবেন। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (রাষ্ট্রপ্রধান)।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর নিকট যারা ন্যায়পরায়ণ, তারা দয়াময়ের ডান পাশে জ্যোতির মিম্বরের ওপর অবস্থান করবে। আর তাঁর উভয় হস্তই ডান। (ওই ন্যায়পরায়ণ তারা) যারা তাদের বিচারে, পরিবারে এবং তার কর্তৃত্ব ও নেতৃত্বাধীন ব্যক্তিবর্গের ব্যাপারে ন্যায়নিষ্ঠ।’ (মুসলিম)
লেখক: আমজাদ ইউনুস, ইসলামবিষয়ক গবেষক
ন্যায়পরায়ণতা ব্যক্তিজীবন থেকে সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করে। ন্যায়নীতি ও সুবিচার ইসলামের প্রধান বৈশিষ্ট্য। ইসলাম প্রতিটি কাজকর্মে ন্যায়পরায়ণতার প্রতি গুরুত্বারোপ করে। ইসলাম নির্দেশিত এই ন্যায়পরায়ণতা শুধু নিজের অনুসারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং অন্য ধর্মের অনুসারীদের জানমাল ও ধর্মের ক্ষেত্রেও এই ন্যায়পরায়ণতা প্রদর্শন করার জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোনো সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনো ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করবে না। সুবিচার করবে, এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় করো। তোমরা যা করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত।’ (সুরা মায়েদা: ৮)
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন, হকদারদের হক তাদের কাছে পৌঁছে দিতে। তোমরা যখন মানুষের মাঝে বিচার করবে তখন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের কত উত্তম উপদেশই না দিচ্ছেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮)
কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার সর্বাধিক নৈকট্য লাভকারী এবং প্রিয় হবে ন্যায়পরায়ণ রাষ্ট্রপ্রধান। সেদিন সর্বপ্রথম ন্যায়পরায়ণ শাসক আল্লাহ তাআলার রহমতের ছায়ায় অবস্থান নেবেন। মহান আল্লাহর ডান পাশে জ্যোতির মিম্বরে আরোহণ করবেন। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না; প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (রাষ্ট্রপ্রধান)।’ (বুখারি)
অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর নিকট যারা ন্যায়পরায়ণ, তারা দয়াময়ের ডান পাশে জ্যোতির মিম্বরের ওপর অবস্থান করবে। আর তাঁর উভয় হস্তই ডান। (ওই ন্যায়পরায়ণ তারা) যারা তাদের বিচারে, পরিবারে এবং তার কর্তৃত্ব ও নেতৃত্বাধীন ব্যক্তিবর্গের ব্যাপারে ন্যায়নিষ্ঠ।’ (মুসলিম)
লেখক: আমজাদ ইউনুস, ইসলামবিষয়ক গবেষক
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান । হজ - ওমরাহকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ছুটে যান মক্কায় । কেননা এই দুই ইবাদতের জন্য সফর করে মক্কায় যাওয়া আবশ্যক । তবে পবিত্র এই সফরে বাধাগ্রস্ত হলে এবং হজে যেতে না পারলে ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে । ইহরাম বাঁধার পর হজ বা ওমরাহ সফরে যেতে
১৭ ঘণ্টা আগেকোনো ধনি ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি, এখন স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারছেন না—তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
১ দিন আগেবছরজুড়ে ঋতুর পালাবদল ও সময়ের বৈচিত্র্য নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর অনন্য দান। একেক মৌসুমে একেক রকম আলো-বাতাস আমরা পাই। শীত ও গ্রীষ্ম বছরের প্রধানতম দুটি ঋতু।
২ দিন আগেইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হজ। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান এবং শারীরিকভাবে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ। ফরজ হজ যথাসম্ভব দ্রুত আদায় করা উচিত।
৩ দিন আগে