আবরার নাঈম
ইবাদতের মৌসুম রমজানে রয়েছে এমন এক ফজিলতপূর্ণ রাত, পবিত্র কোরআনের ভাষায় যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই রাতকে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর বলা হয়। কদর অর্থ মর্যাদা, সম্মান, ভাগ্য ইত্যাদি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা কৌতূহলোদ্দীপক ভাষায় শবে কদরের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তুমি কি জানো, শবে কদর কী? শবে কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা কদর: ২ ও ৩)
শবে কদর রমজানের কোন দিন, তা নির্দিষ্ট নয়। আমাদের দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬ রমজান দিবাগত রাতে শবে কদর পালন করা হয়। তবে এভাবে দিন-তারিখ নির্ধারণ করে শবে কদর পালন করা হাদিসের আলোকে যথাযথ নয়। কারণ হাদিসে উল্লেখ আছে, রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বিজোড় রাতই শবে কদর হতে পারে। অর্থাৎ, তা নির্দিষ্ট নয়। একেক বছর একেক রাত শবে কদর হতে পারে। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের খোঁজ করো।’ (বুখারি: ২০১৭)
অবশ্য কোনো কোনো হাদিসে কয়েকটি দিনের দিকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে নিশ্চিত করে বলা হয়নি কোন রাতটি শবে কদর। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তা (শবে কদর) রমজানের শেষ দশকে অনুসন্ধান করো। শবে কদর নবম, সপ্তম বা পঞ্চম রাত হয়ে থাকে।’ (বুখারি: ২০২১)
যে রাত হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, সেই রাতে ইবাদতের প্রতিদান কী পরিমাণ হবে, তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সঙ্গে সওয়াব লাভের আশায় রোজা রাখে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াব লাভের আশায় শবে কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ২০১৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইবাদতের মৌসুম রমজানে রয়েছে এমন এক ফজিলতপূর্ণ রাত, পবিত্র কোরআনের ভাষায় যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই রাতকে লাইলাতুল কদর বা শবে কদর বলা হয়। কদর অর্থ মর্যাদা, সম্মান, ভাগ্য ইত্যাদি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা কৌতূহলোদ্দীপক ভাষায় শবে কদরের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তুমি কি জানো, শবে কদর কী? শবে কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা কদর: ২ ও ৩)
শবে কদর রমজানের কোন দিন, তা নির্দিষ্ট নয়। আমাদের দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬ রমজান দিবাগত রাতে শবে কদর পালন করা হয়। তবে এভাবে দিন-তারিখ নির্ধারণ করে শবে কদর পালন করা হাদিসের আলোকে যথাযথ নয়। কারণ হাদিসে উল্লেখ আছে, রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বিজোড় রাতই শবে কদর হতে পারে। অর্থাৎ, তা নির্দিষ্ট নয়। একেক বছর একেক রাত শবে কদর হতে পারে। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের খোঁজ করো।’ (বুখারি: ২০১৭)
অবশ্য কোনো কোনো হাদিসে কয়েকটি দিনের দিকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে নিশ্চিত করে বলা হয়নি কোন রাতটি শবে কদর। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তা (শবে কদর) রমজানের শেষ দশকে অনুসন্ধান করো। শবে কদর নবম, সপ্তম বা পঞ্চম রাত হয়ে থাকে।’ (বুখারি: ২০২১)
যে রাত হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, সেই রাতে ইবাদতের প্রতিদান কী পরিমাণ হবে, তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সঙ্গে সওয়াব লাভের আশায় রোজা রাখে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াব লাভের আশায় শবে কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ২০১৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
জানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১ ঘণ্টা আগেপৃথিবীর ইতিহাসে শাসকশ্রেণির ভূমিকা সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পষ্ট। শাসকের সুশাসন যেমন একটি জাতিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে, তেমনি অন্যায়ের শাসন জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে শাসক ও শাসিত উভয়ের জন্যই পথনির্দেশনা প্রদান করেছে।
২ ঘণ্টা আগেবিয়ে মানবজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যা শুধু পারিবারিক বন্ধন নয়—ধর্মীয়, সামাজিক এবং নৈতিক দায়িত্বও বটে। ইসলামে বিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক স্থাপনের বৈধ উপায় হওয়ার পাশাপাশি, এটি এক বরকতময় ইবাদতও। মহানবী (সা.) বলেন, ‘বিয়ে আমার সুন্নত। অতএব যে আমার সুন্নত পালন থেকে বিরত থাকবে, সে আমার অনুসারীদের
৬ ঘণ্টা আগেইসলাম ধর্ম এমন একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যেখানে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই একজন নিরপরাধ মানুষের জীবন রক্ষা করা ইসলামে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পাশাপাশি কোনো নির্দোষ প্রাণ হরণ করা ইসলামে শুধু নিষিদ্ধই নয়, বরং একে মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য...
১৯ ঘণ্টা আগে