মুফতি আবু দারদা
রমজান বছরের সেরা মাস। এই মাসের অসংখ্য ফজিলতের কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) রজব ও শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য তৈরি হতেন। নবুওয়াতের পরপরই রোজা ফরজ করা হয়নি। বরং দ্বিতীয় হিজরিতেই রমজানের রোজা ফরজ করা হয়।
রমজানের রোজা ইসলামের পাঁচটি রুকনের একটি। রমজান মাসব্যাপী রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। মহানবী (সা.)-এর আগের জাতিদের জন্যও রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছিল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনেরা, তোমাদের জন্য রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের আগের মানুষের জন্য, যেন তোমরা আল্লাহভীতি অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
ইসলামপূর্ব আরবেও মানুষ রোজা রাখত। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘জাহেলি যুগে কুরাইশরা আশুরার রোজা পালন করত এবং আল্লাহর রাসুল (সা.)-ও এই রোজা পালন করতেন। যখন তিনি মদিনায় আসেন, তখনো এই রোজা পালন করেন এবং তা পালনের নির্দেশ দেন। বেশির ভাগ ফকিহ ও মুহাদ্দিসের মতে, রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ওয়াজিব ছিল, যা পরবর্তী সময়ে নফলে পরিণত হয়। যখন রমজানের রোজা ফরজ করা হলো, তখন আশুরার রোজা ঐচ্ছিক করে দেওয়া হলো। যার ইচ্ছা সে পালন করবে আর যার ইচ্ছা পালন করবে না।’ (বুখারি: ২০০২)
দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে রমজানের রোজা ফরজ করা হয়। ইমাম নববী (রহ.) লেখেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মোট ৯ বছর রমজানের রোজা রেখেছেন। কেননা তা দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে ফরজ হয়। আর নবী (সা.) একাদশ হিজরির রবিউল আউয়ালে ইন্তেকাল করেন।’ (আল-মাজমুআ: ৬ / ২৫০)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
রমজান বছরের সেরা মাস। এই মাসের অসংখ্য ফজিলতের কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) রজব ও শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য তৈরি হতেন। নবুওয়াতের পরপরই রোজা ফরজ করা হয়নি। বরং দ্বিতীয় হিজরিতেই রমজানের রোজা ফরজ করা হয়।
রমজানের রোজা ইসলামের পাঁচটি রুকনের একটি। রমজান মাসব্যাপী রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। মহানবী (সা.)-এর আগের জাতিদের জন্যও রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছিল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনেরা, তোমাদের জন্য রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের আগের মানুষের জন্য, যেন তোমরা আল্লাহভীতি অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
ইসলামপূর্ব আরবেও মানুষ রোজা রাখত। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘জাহেলি যুগে কুরাইশরা আশুরার রোজা পালন করত এবং আল্লাহর রাসুল (সা.)-ও এই রোজা পালন করতেন। যখন তিনি মদিনায় আসেন, তখনো এই রোজা পালন করেন এবং তা পালনের নির্দেশ দেন। বেশির ভাগ ফকিহ ও মুহাদ্দিসের মতে, রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ওয়াজিব ছিল, যা পরবর্তী সময়ে নফলে পরিণত হয়। যখন রমজানের রোজা ফরজ করা হলো, তখন আশুরার রোজা ঐচ্ছিক করে দেওয়া হলো। যার ইচ্ছা সে পালন করবে আর যার ইচ্ছা পালন করবে না।’ (বুখারি: ২০০২)
দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে রমজানের রোজা ফরজ করা হয়। ইমাম নববী (রহ.) লেখেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মোট ৯ বছর রমজানের রোজা রেখেছেন। কেননা তা দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে ফরজ হয়। আর নবী (সা.) একাদশ হিজরির রবিউল আউয়ালে ইন্তেকাল করেন।’ (আল-মাজমুআ: ৬ / ২৫০)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
বিয়ের অন্যতম উদ্দেশ্য একটি আদর্শ পরিবার গঠন। যে পরিবারের সদস্যরা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর আদেশগুলো পালন করবে, নিষেধসমূহ থেকে বেঁচে থাকবে।
৭ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান । হজ - ওমরাহকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ছুটে যান মক্কায় । কেননা এই দুই ইবাদতের জন্য সফর করে মক্কায় যাওয়া আবশ্যক । তবে পবিত্র এই সফরে বাধাগ্রস্ত হলে এবং হজে যেতে না পারলে ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে । ইহরাম বাঁধার পর হজ বা ওমরাহ সফরে যেতে
১ দিন আগেকোনো ধনি ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি, এখন স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারছেন না—তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
২ দিন আগেবছরজুড়ে ঋতুর পালাবদল ও সময়ের বৈচিত্র্য নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর অনন্য দান। একেক মৌসুমে একেক রকম আলো-বাতাস আমরা পাই। শীত ও গ্রীষ্ম বছরের প্রধানতম দুটি ঋতু।
২ দিন আগে