মুফতি আবু দারদা

রমজান বছরের সেরা মাস। এই মাসের অসংখ্য ফজিলতের কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) রজব ও শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য তৈরি হতেন। নবুওয়াতের পরপরই রোজা ফরজ করা হয়নি। বরং দ্বিতীয় হিজরিতেই রমজানের রোজা ফরজ করা হয়।
রমজানের রোজা ইসলামের পাঁচটি রুকনের একটি। রমজান মাসব্যাপী রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। মহানবী (সা.)-এর আগের জাতিদের জন্যও রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছিল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনেরা, তোমাদের জন্য রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের আগের মানুষের জন্য, যেন তোমরা আল্লাহভীতি অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
ইসলামপূর্ব আরবেও মানুষ রোজা রাখত। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘জাহেলি যুগে কুরাইশরা আশুরার রোজা পালন করত এবং আল্লাহর রাসুল (সা.)-ও এই রোজা পালন করতেন। যখন তিনি মদিনায় আসেন, তখনো এই রোজা পালন করেন এবং তা পালনের নির্দেশ দেন। বেশির ভাগ ফকিহ ও মুহাদ্দিসের মতে, রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ওয়াজিব ছিল, যা পরবর্তী সময়ে নফলে পরিণত হয়। যখন রমজানের রোজা ফরজ করা হলো, তখন আশুরার রোজা ঐচ্ছিক করে দেওয়া হলো। যার ইচ্ছা সে পালন করবে আর যার ইচ্ছা পালন করবে না।’ (বুখারি: ২০০২)
দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে রমজানের রোজা ফরজ করা হয়। ইমাম নববী (রহ.) লেখেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মোট ৯ বছর রমজানের রোজা রেখেছেন। কেননা তা দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে ফরজ হয়। আর নবী (সা.) একাদশ হিজরির রবিউল আউয়ালে ইন্তেকাল করেন।’ (আল-মাজমুআ: ৬ / ২৫০)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

রমজান বছরের সেরা মাস। এই মাসের অসংখ্য ফজিলতের কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) রজব ও শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য তৈরি হতেন। নবুওয়াতের পরপরই রোজা ফরজ করা হয়নি। বরং দ্বিতীয় হিজরিতেই রমজানের রোজা ফরজ করা হয়।
রমজানের রোজা ইসলামের পাঁচটি রুকনের একটি। রমজান মাসব্যাপী রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। মহানবী (সা.)-এর আগের জাতিদের জন্যও রোজা রাখা ফরজ করা হয়েছিল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনেরা, তোমাদের জন্য রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের আগের মানুষের জন্য, যেন তোমরা আল্লাহভীতি অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
ইসলামপূর্ব আরবেও মানুষ রোজা রাখত। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘জাহেলি যুগে কুরাইশরা আশুরার রোজা পালন করত এবং আল্লাহর রাসুল (সা.)-ও এই রোজা পালন করতেন। যখন তিনি মদিনায় আসেন, তখনো এই রোজা পালন করেন এবং তা পালনের নির্দেশ দেন। বেশির ভাগ ফকিহ ও মুহাদ্দিসের মতে, রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার আগে আশুরার রোজা ওয়াজিব ছিল, যা পরবর্তী সময়ে নফলে পরিণত হয়। যখন রমজানের রোজা ফরজ করা হলো, তখন আশুরার রোজা ঐচ্ছিক করে দেওয়া হলো। যার ইচ্ছা সে পালন করবে আর যার ইচ্ছা পালন করবে না।’ (বুখারি: ২০০২)
দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে রমজানের রোজা ফরজ করা হয়। ইমাম নববী (রহ.) লেখেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) মোট ৯ বছর রমজানের রোজা রেখেছেন। কেননা তা দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে ফরজ হয়। আর নবী (সা.) একাদশ হিজরির রবিউল আউয়ালে ইন্তেকাল করেন।’ (আল-মাজমুআ: ৬ / ২৫০)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০২ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৩ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৪ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৭ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

রমজান বছরের সেরা মাস। এই মাসের অসংখ্য ফজিলতের কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) রজব ও শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য তৈরি হতেন। নবুওয়াতের পরপরই রোজা ফরজ করা হয়নি। বরং দ্বিতীয় হিজরিতেই রমজানের রোজা ফরজ করা হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেআবরার নাঈম

মক্কার ১৩০ কিলোমিটার দূরে কাদিদের নিকটবর্তী মুশাল্লাল নামের স্থান। সেখানেই উম্মে মাবাদ খুজইয়ার বাড়ি। উম্মে মাবাদ হলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, অতিথিপরায়ণ এক বিদুষী নারী—যিনি নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে থাকতেন মুসাফিরদের মেহমানদারি করার জন্য।
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন। উম্মে মাবাদ বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আপনাকে দেওয়ার মতো কিছু থাকলে এতটুকু কার্পণ্য করতাম না।’
পালের বকরিগুলোও ছিল দুধশূন্য। এ সময় তাঁবুর এক কোণে নবী (সা.) জীর্ণশীর্ণ এক বকরি দেখে বললেন, ‘এটা কেমন?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘শারীরিক দুর্বলতায় এটি পালের পেছনে পড়ে গেছে।’
নবী (সা.) বললেন, ‘এটি কি দুধ দেয়?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এটা তার পক্ষে অসম্ভব।’
নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি আমাকে এটার দুধ দোহনের অনুমতি দেবে?’ তিনি বললেন, ‘আমার পিতামাতা আপনার ওপর কোরবান হোক! আপনি এটার মধ্যে দুধ দেখলে নির্বিঘ্নে দোহন করুন।’
নবী (সা.) বকরিটিকে কাছে এনে ওলানে তাঁর হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন।
শুরু হলো নবীজি (সা.)-এর মুজিজা। বকরিটি সঙ্গে সঙ্গে পা ছড়িয়ে দিল। দুধে ওলান ভরে গেল। নবী (সা.) বড় দেখে পাত্র চাইলেন। পাত্র আনা হলো। নবী (সা.) দুধ দোহালেন। প্রথমে উম্মে মাবাদ পান করে তৃপ্ত হলেন। পরে একে একে সবাই। সবশেষে নবীজি (সা.) নিজেও পান করে পরিতৃপ্ত হলেন। এরপর আবারও সেই পাত্রভর্তি দুধ দোহন করে বাড়িতে রেখে যাত্রা শুরু করলেন।
খানিক বাদে আবু মাবাদ বাড়িতে এসে পাত্রভর্তি দুধ দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘বকরির পাল তো ছিল দূরে। ঘরেও নেই দুধেল বকরি! তবে দুধ পেলে কোথায়?’
তখন উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এ তো সেই বরকতের হাতের ছোঁয়া, যিনি অল্প সময়ের জন্য আমার মেহমান হয়েছিলেন।’
উম্মে মাবাদ খুব সুনিপুণভাবে স্বামীর কাছে নবীজির বর্ণনা দিলেন। আবু মাবাদ বললেন, ‘আল্লাহর কসম! তিনি তো সেই কুরাইশি ব্যক্তি—যাঁর কথা ইতিপূর্বে বহুত শুনেছি। শত্রুরা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। খুব শখ ছিল তাঁর সঙ্গ দেওয়া। কখনো এ সুযোগ এলে তা হাতছাড়া করব না।’ (আর রাহিকুল মাখতুম: ২৮৯-২৯০, মুসতাদরাকে হাকেম: ৪৩২৬)

মক্কার ১৩০ কিলোমিটার দূরে কাদিদের নিকটবর্তী মুশাল্লাল নামের স্থান। সেখানেই উম্মে মাবাদ খুজইয়ার বাড়ি। উম্মে মাবাদ হলেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন, অতিথিপরায়ণ এক বিদুষী নারী—যিনি নিজ বাড়ির আঙিনায় বসে থাকতেন মুসাফিরদের মেহমানদারি করার জন্য।
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন। উম্মে মাবাদ বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আপনাকে দেওয়ার মতো কিছু থাকলে এতটুকু কার্পণ্য করতাম না।’
পালের বকরিগুলোও ছিল দুধশূন্য। এ সময় তাঁবুর এক কোণে নবী (সা.) জীর্ণশীর্ণ এক বকরি দেখে বললেন, ‘এটা কেমন?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘শারীরিক দুর্বলতায় এটি পালের পেছনে পড়ে গেছে।’
নবী (সা.) বললেন, ‘এটি কি দুধ দেয়?’ উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এটা তার পক্ষে অসম্ভব।’
নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি আমাকে এটার দুধ দোহনের অনুমতি দেবে?’ তিনি বললেন, ‘আমার পিতামাতা আপনার ওপর কোরবান হোক! আপনি এটার মধ্যে দুধ দেখলে নির্বিঘ্নে দোহন করুন।’
নবী (সা.) বকরিটিকে কাছে এনে ওলানে তাঁর হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আল্লাহর নিকট দোয়া করলেন।
শুরু হলো নবীজি (সা.)-এর মুজিজা। বকরিটি সঙ্গে সঙ্গে পা ছড়িয়ে দিল। দুধে ওলান ভরে গেল। নবী (সা.) বড় দেখে পাত্র চাইলেন। পাত্র আনা হলো। নবী (সা.) দুধ দোহালেন। প্রথমে উম্মে মাবাদ পান করে তৃপ্ত হলেন। পরে একে একে সবাই। সবশেষে নবীজি (সা.) নিজেও পান করে পরিতৃপ্ত হলেন। এরপর আবারও সেই পাত্রভর্তি দুধ দোহন করে বাড়িতে রেখে যাত্রা শুরু করলেন।
খানিক বাদে আবু মাবাদ বাড়িতে এসে পাত্রভর্তি দুধ দেখে অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘বকরির পাল তো ছিল দূরে। ঘরেও নেই দুধেল বকরি! তবে দুধ পেলে কোথায়?’
তখন উম্মে মাবাদ বললেন, ‘এ তো সেই বরকতের হাতের ছোঁয়া, যিনি অল্প সময়ের জন্য আমার মেহমান হয়েছিলেন।’
উম্মে মাবাদ খুব সুনিপুণভাবে স্বামীর কাছে নবীজির বর্ণনা দিলেন। আবু মাবাদ বললেন, ‘আল্লাহর কসম! তিনি তো সেই কুরাইশি ব্যক্তি—যাঁর কথা ইতিপূর্বে বহুত শুনেছি। শত্রুরা তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। খুব শখ ছিল তাঁর সঙ্গ দেওয়া। কখনো এ সুযোগ এলে তা হাতছাড়া করব না।’ (আর রাহিকুল মাখতুম: ২৮৯-২৯০, মুসতাদরাকে হাকেম: ৪৩২৬)

রমজান বছরের সেরা মাস। এই মাসের অসংখ্য ফজিলতের কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) রজব ও শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য তৈরি হতেন। নবুওয়াতের পরপরই রোজা ফরজ করা হয়নি। বরং দ্বিতীয় হিজরিতেই রমজানের রোজা ফরজ করা হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
২১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন অত্যন্ত হাস্যোজ্জ্বল ও মিশুক স্বভাবের মানুষ। সাহাবায়ে-কেরামের সঙ্গে তিনি কখনো হালকা রসিকতা করতেন; কিন্তু কখনোই তাঁর মুখ থেকে অসত্য বা আঘাতমূলক কোনো কথা বের হতো না। হাদিস শরিফে নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আমি তো মজা করেও সত্য ছাড়া কিছু বলি না।’ (জামে তিরমিজি: ১৯৯০)। এই হাদিসে শিক্ষণীয় বিষয় হলো—মজার মধ্যেও সত্যতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই হাস্যরসের নামে মিথ্যা, গালি কিংবা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেন, যা ইসলামে নিষিদ্ধ।
হাসি-কৌতুক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে হৃদয়ের কোমলতা নষ্ট হয়ে যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘অতিরিক্ত হাসি হৃদয়কে মেরে ফেলে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৯৩)। অনবরত হাসাহাসি ও কৌতুক অনুচিত কাজ। ইসলাম মানুষকে আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেনি; বরং আনন্দকে করেছে সংযমের মাধ্যমে সুন্দর ও অর্থবহ। কারও দোষ, আকৃতি, জাতি, ভাষা বা আর্থিক অবস্থা নিয়ে উপহাস করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! কোনো সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করে। হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা হুজুরাত: ১১)
বর্তমান সময়ে বিনোদনের নামে টিভি-অনুষ্ঠান, ইউটিউব-ভিডিও কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশালীন কৌতুক ছড়িয়ে পড়ছে। প্র্যাংকের নামে অন্যের সম্মান নষ্ট করতেও মানুষের দ্বিধাবোধ হচ্ছে না। অথচ একজন মুমিনের হাসি-কৌতুক হওয়া উচিত বিনয়ী, শালীন ও কল্যাণমুখী, যা কাউকে আঘাত না করে; বরং ভালোবাসা ও সম্প্রীতি বাড়ায়।
অতএব একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে আমাদের জন্য হাসি-কৌতুকে পরিমিতি বোধ বজায় রাখা জরুরি।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।

রমজান বছরের সেরা মাস। এই মাসের অসংখ্য ফজিলতের কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) রজব ও শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য তৈরি হতেন। নবুওয়াতের পরপরই রোজা ফরজ করা হয়নি। বরং দ্বিতীয় হিজরিতেই রমজানের রোজা ফরজ করা হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৪ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৫ মিনিট | ০৫: ২০ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২২ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

রমজান বছরের সেরা মাস। এই মাসের অসংখ্য ফজিলতের কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। মহানবী (সা.) রজব ও শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নিতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য তৈরি হতেন। নবুওয়াতের পরপরই রোজা ফরজ করা হয়নি। বরং দ্বিতীয় হিজরিতেই রমজানের রোজা ফরজ করা হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৩ ঘণ্টা আগে
হিজরতের উদ্দেশ্যে নবী (সা.) মক্কা থেকে বেরিয়ে তিন দিন পর্যন্ত সওর গুহায় আত্মগোপনে ছিলেন। শত্রুর ভয় কেটে গেলে নবী (সা.) তাঁর সঙ্গী আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে মদিনার পথে রওনা হন। পথিমধ্যে অল্প সময় উম্মে মাবাদের বাড়িতে অবস্থান করেন। নবী (সা.) উম্মে মাবাদের নিকট মেহমানদারি তলব করেন।
১০ ঘণ্টা আগে
হাসি মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। এটি মনকে প্রফুল্ল রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং পারস্পরিক সম্পর্ককে মধুর করে তোলে। জীবনের অন্যান্য বিষয়ের মতো হাসি-কৌতুকেও পরিমিতি বোধের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। কেননা অতিরিক্ত হাসি যেমন হৃদয়কে কঠোর করে, তেমনি অশালীন রসিকতা মানুষের চরিত্র ও মর্যাদাকে কলুষিত করে তোলে।
২১ ঘণ্টা আগে