তানবিরুল হক আবিদ
কোরবানির পশু হিসেবে মোটাতাজা, নাদুসনুদুস ও বিশালদেহী হওয়া ভালো। সে জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো পশু কেনার চেষ্টা করে থাকেন সবাই। আমাদের নবী করিম (সা.) এমনটিই করতেন। হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি মোটা ও শিংওয়ালা সাদা-কালো রঙের ভেড়া কোরবানি করেছেন। তিনি নিজ হাতে তাদের জবাই করেছেন। জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ এবং তাকবির বলেছেন এবং তার পা তাদের ঘাড়ের পাশে রেখেছিলেন। (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৫৪, সহিহ্ মুসলিম: ১৯৬৬)
কোরবানির প্রাণী ক্রেতাদের সামনে আকর্ষণীয় করে তুলতে অনেকে কৃত্রিম উপায়ে পশু মোটাতাজা করে। বিষয়টি মানবিক ও ধর্মীয় উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে খুব অন্যায় ও গর্হিত কাজ হিসেবে বিবেচিত। নিঃসন্দেহে এতে যেমন ধোঁকা ও প্রতারণার আশ্রয় রয়েছে, তেমনি রয়েছে মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক ক্ষতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১০২)
তবে কেউ যদি কোরবানির জন্য কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা পশু ক্রয় করে তাহলে এর মাধ্যমে কোরবানি করা নির্দ্বিধায় জায়েজ হবে। কারণ, পশুতে যেসব ত্রুটির কারণে পশু দ্বারা কোরবানি শুদ্ধ হয় না—মোটাতাজাকরণের লক্ষ্যে ইনজেকশন বা ওষুধ প্রয়োগ করা তার অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই এসব পশু কোরবানির উপযুক্ত বয়স পূর্ণ হলে নির্দ্বিধায় কোরবানি জায়েজ হবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৫ / ৭০, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ১১ / ২০৯)
সাবধানতার বিষয় হলো, ইসলাম জীবজন্তু ও মানবজাতির জন্য কষ্টদায়ক এমন যেকোনো প্রক্রিয়াই কঠোরভাবে নিষেধ করে। কৃত্রিম উপায়ে পশু মোটাতাজা করার ফলে পশুর কষ্ট হয়। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না। কখনো স্ট্রোক করে মারা যায়। তাই অন্য কোনো ক্ষেত্র তো সচেতন থাকতেই হবে, বিশেষ করে কোরবানির মতো একটি মহান ইবাদতের জন্য প্রস্তুতকৃত পশু এসব অসাধু উপায়ে মোটাতাজা করা একেবারেই উচিত নয়।
কোরবানির পশু হিসেবে মোটাতাজা, নাদুসনুদুস ও বিশালদেহী হওয়া ভালো। সে জন্য সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো পশু কেনার চেষ্টা করে থাকেন সবাই। আমাদের নবী করিম (সা.) এমনটিই করতেন। হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দুটি মোটা ও শিংওয়ালা সাদা-কালো রঙের ভেড়া কোরবানি করেছেন। তিনি নিজ হাতে তাদের জবাই করেছেন। জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ এবং তাকবির বলেছেন এবং তার পা তাদের ঘাড়ের পাশে রেখেছিলেন। (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৫৪, সহিহ্ মুসলিম: ১৯৬৬)
কোরবানির প্রাণী ক্রেতাদের সামনে আকর্ষণীয় করে তুলতে অনেকে কৃত্রিম উপায়ে পশু মোটাতাজা করে। বিষয়টি মানবিক ও ধর্মীয় উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে খুব অন্যায় ও গর্হিত কাজ হিসেবে বিবেচিত। নিঃসন্দেহে এতে যেমন ধোঁকা ও প্রতারণার আশ্রয় রয়েছে, তেমনি রয়েছে মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক ক্ষতি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১০২)
তবে কেউ যদি কোরবানির জন্য কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা পশু ক্রয় করে তাহলে এর মাধ্যমে কোরবানি করা নির্দ্বিধায় জায়েজ হবে। কারণ, পশুতে যেসব ত্রুটির কারণে পশু দ্বারা কোরবানি শুদ্ধ হয় না—মোটাতাজাকরণের লক্ষ্যে ইনজেকশন বা ওষুধ প্রয়োগ করা তার অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই এসব পশু কোরবানির উপযুক্ত বয়স পূর্ণ হলে নির্দ্বিধায় কোরবানি জায়েজ হবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৫ / ৭০, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত: ১১ / ২০৯)
সাবধানতার বিষয় হলো, ইসলাম জীবজন্তু ও মানবজাতির জন্য কষ্টদায়ক এমন যেকোনো প্রক্রিয়াই কঠোরভাবে নিষেধ করে। কৃত্রিম উপায়ে পশু মোটাতাজা করার ফলে পশুর কষ্ট হয়। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না। কখনো স্ট্রোক করে মারা যায়। তাই অন্য কোনো ক্ষেত্র তো সচেতন থাকতেই হবে, বিশেষ করে কোরবানির মতো একটি মহান ইবাদতের জন্য প্রস্তুতকৃত পশু এসব অসাধু উপায়ে মোটাতাজা করা একেবারেই উচিত নয়।
মানুষ সামাজিক জীব। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন। আর একটি সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য প্রয়োজন সুশাসন, নৈতিকতা, আইন ও পারস্পরিক সহানুভূতি। কিন্তু যখন সমাজে শৃঙ্খলার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা, শান্তির পরিবর্তে হানাহানি এবং ন্যায়ের পরিবর্তে জুলুমের সয়লাব হয়...
১০ ঘণ্টা আগেমহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট ভাষায় এ কথা বলেও দিয়েছেন। সুরা জারিয়াতের ৫৬ নম্বর আয়াতে এসেছে, ‘আমি জিন ও মানুষ কেবল এ জন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদত করবে।’ আর মানুষের মাধ্যমে ইবাদত তখনই বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব, যখন মানুষ থাকবে জীবন্ত।
১০ ঘণ্টা আগেইতিহাস কেবল কাগজ-কলমে লেখা থাকে না, অনেক সময় তা দাঁড়িয়ে থাকে পাথর আর কাঠের অবিনাশী কীর্তিতে। তেমনই এক নিদর্শন কাঠ-পাথরের এক বিস্ময়কর মসজিদ। নিখাদ হস্তশিল্পে নির্মিত এই মসজিদটি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও স্থাপত্যকলার জীবন্ত সাক্ষী।
১০ ঘণ্টা আগেআমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার মেয়েসন্তান হলে আয়েশা আর ছেলেসন্তান হলে নাম রাখব মুহাম্মদ। বিষয়টি আমার এক বান্ধবীর সঙ্গে বলার পর সে বলল, ‘নবী (সা.)-এর নামে সন্তানের নাম রাখলে এতে নবীজিকে অসম্মান করা হয়।
১০ ঘণ্টা আগে