মুফতি আবু দারদা
মুমিন বান্দা আল্লাহ ছাড়া আর কাউকেই ভয় করে না। সত্য বলায় কখনো কার্পণ্য করে না। ন্যায়ের পথে চলতে দ্বিধা করে না। সব সময় সাহস ও বীরত্বের সঙ্গে আল্লাহর দেওয়া দায়িত্বগুলো পালন করে। মানুষের পাশে দাঁড়ায়। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে।
মহানবী (সা.) সাহাবিদের সাহসের পাঠ শিখিয়েছেন। উবাদাহ ইবনে সামিত (রা.) বলেন, ‘যেখানেই থাকি না কেন, সত্যের ওপর দৃঢ় থাকব।’ অথবা বলেছিলেন, সত্য কথা বলব এবং আল্লাহর কাজে কোনো নিন্দুকের নিন্দার ভয় করব না।’ (বুখারি: ৭২০০)
বিপরীতে ভীরুতা ও কাপুরুষতা ইসলাম সমর্থন করে না। এগুলো ইমানকে ত্রুটিযুক্ত করে। মানুষকে সত্য থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। মহানবী (সা.) সর্বদা এই ত্রুটিগুলো থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন। মুসআব (রহ.) থেকে বর্ণিত, সাআদ (রা.) পাঁচটি জিনিস থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করার নির্দেশ দিতেন এবং তিনি এগুলো মহানবী (সা.)-এর সূত্রে বর্ণনা করতেন। সেগুলোর মধ্যে একটি হলো কাপুরুষতা। (বুখারি: ৬৩৬৫)
সত্যের পথে অটল-অবিচল ও সাহসী মানুষকেই ভালোবাসেন আল্লাহ তাআলা। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, ‘শক্তিমান মুমিন ব্যক্তি দুর্বল মুমিন ব্যক্তির চেয়ে উত্তম এবং আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। অবশ্য উভয়ের মধ্যে কল্যাণ আছে। তোমাদের জন্য উপকারী প্রতিটি উত্তম কাজের প্রতি আগ্রহী হও এবং অলস হোয়ো না।’ (ইবনে মাজাহ: ৪১৬৮)
আমাদের উচিত, অলসতা, দুর্বলতা ও ভীরুতার জাল ছিঁড়ে শক্তি-সামর্থ্য, সাহসিকতা ও বীরত্ব অর্জন করা।
মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
মুমিন বান্দা আল্লাহ ছাড়া আর কাউকেই ভয় করে না। সত্য বলায় কখনো কার্পণ্য করে না। ন্যায়ের পথে চলতে দ্বিধা করে না। সব সময় সাহস ও বীরত্বের সঙ্গে আল্লাহর দেওয়া দায়িত্বগুলো পালন করে। মানুষের পাশে দাঁড়ায়। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে।
মহানবী (সা.) সাহাবিদের সাহসের পাঠ শিখিয়েছেন। উবাদাহ ইবনে সামিত (রা.) বলেন, ‘যেখানেই থাকি না কেন, সত্যের ওপর দৃঢ় থাকব।’ অথবা বলেছিলেন, সত্য কথা বলব এবং আল্লাহর কাজে কোনো নিন্দুকের নিন্দার ভয় করব না।’ (বুখারি: ৭২০০)
বিপরীতে ভীরুতা ও কাপুরুষতা ইসলাম সমর্থন করে না। এগুলো ইমানকে ত্রুটিযুক্ত করে। মানুষকে সত্য থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। মহানবী (সা.) সর্বদা এই ত্রুটিগুলো থেকে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতেন। মুসআব (রহ.) থেকে বর্ণিত, সাআদ (রা.) পাঁচটি জিনিস থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করার নির্দেশ দিতেন এবং তিনি এগুলো মহানবী (সা.)-এর সূত্রে বর্ণনা করতেন। সেগুলোর মধ্যে একটি হলো কাপুরুষতা। (বুখারি: ৬৩৬৫)
সত্যের পথে অটল-অবিচল ও সাহসী মানুষকেই ভালোবাসেন আল্লাহ তাআলা। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, ‘শক্তিমান মুমিন ব্যক্তি দুর্বল মুমিন ব্যক্তির চেয়ে উত্তম এবং আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। অবশ্য উভয়ের মধ্যে কল্যাণ আছে। তোমাদের জন্য উপকারী প্রতিটি উত্তম কাজের প্রতি আগ্রহী হও এবং অলস হোয়ো না।’ (ইবনে মাজাহ: ৪১৬৮)
আমাদের উচিত, অলসতা, দুর্বলতা ও ভীরুতার জাল ছিঁড়ে শক্তি-সামর্থ্য, সাহসিকতা ও বীরত্ব অর্জন করা।
মুফতি আবু দারদা, ইসলামবিষয়ক গবেষক
জীবন ও মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর হাতে। কিন্তু কার মৃত্যু কেমনভাবে ঘটবে এবং সেই মৃত্যু কী মর্যাদা বহন করবে—ইসলাম তা ব্যাখ্যা করেছে অত্যন্ত মানবিক ও অর্থপূর্ণভাবে। বিশেষ করে যে মৃত্যুগুলোতে রয়েছে শারীরিক কষ্ট, আত্মত্যাগ ও ধৈর্যের পরীক্ষার ছাপ; ইসলাম সেগুলোর জন্য রেখেছে বিশেষ পুরস্কার ও মর্যাদা।
২ মিনিট আগেরোগী গুরুতর অসুস্থ হোক কিংবা কম। তাকে সান্ত্বনা দেওয়া। হতাশ না করা কিংবা ভয় না দেখানো। অসুস্থ ব্যক্তিকে কী বলে সান্ত্বনা দিতে হয় তা হাদিস অনুসন্ধান পাওয়া যায়। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এক বেদুইনের ঘরে প্রবেশ করলেন তার রোগের খোঁজখবর নিতে। তিনি বললেন—‘তোমার চিন্তার...
১৩ মিনিট আগেমৃত্যু যদি প্রস্তুতির সুযোগ ছাড়াই হঠাৎ আসে, তখন সেটি হয়ে উঠতে পারে অনুতাপের কারণ। যদি কেউ পাপের মধ্যে লিপ্ত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করে—বিশেষ করে হঠাৎ মৃত্যু হয়, তবে তা বড় বিপদের কারণ। কেননা, এতে তাওবার সুযোগ নেই, সংশোধনের অবকাশ থাকে না, কারও কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও থাকে না।
৩০ মিনিট আগেজীবিকার তাগিদে মানুষ নিজ বাসস্থান থেকে দূরে থাকে। যে যেখানেই থাকুক নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখার বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে জোর নির্দেশ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘...আর আল্লাহ যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আদেশ করেছেন, যারা তা অক্ষুণ্ন রাখে...
৪ ঘণ্টা আগে