ইসলাম ডেস্ক
দান-সদকার মাধ্যমে দানশীল ব্যক্তির সম্পদ পবিত্র হয় এবং তিনি বিপুল সওয়াবের মালিক হন। তবে শর্ত হলো, দান-সদকার সম্পদ বৈধ পথে আয় করতে হবে। হারাম উপার্জন থেকে দান-সদকা, জনকল্যাণ, ধর্মের সেবা বা সমাজসেবা করলে এর বিনিময়ে কোনো সওয়াব পাওয়া যাবে না।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা কেবল পবিত্র বস্তুই কবুল করেন। যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে এক মুষ্টি খেজুরও দান করে, আল্লাহ তা নিজ হাতে গ্রহণ করেন। এরপর তা ওই ব্যক্তির জন্য পরিচর্যা করতে থাকেন—যেমন তোমাদের কেউ উটের বাচ্চার পরিচর্যা করে। ওই সামান্য পরিমাণ খেজুর বাড়তে বাড়তে একসময় পাহাড় পরিমাণ হয়ে যায়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
প্রথমত, অবৈধ পথে আয়ের অনুমতি দেয় না ইসলাম। তবে কেউ আয় করে ফেললে তা নিজের কাছে রাখার অনুমতি নেই; প্রকৃত হকদারের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। হকদারের খোঁজ না পেলে তা দান-সদকার নিয়ত না করে জনকল্যাণে ব্যয় করে দিতে হবে। এতে ওই ব্যক্তির কোনো সওয়াব হবে না। কারণ অবৈধ আয়ে ভালো কাজ করলে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না।
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাআলা পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল করেন না এবং আত্মসাৎকৃত সম্পদের সদকা কবুল করেন না।’ (মুসলিম: ২২৪; তিরমিজি: ০১; নাসায়ি: ১৩৯)
অনেকে বলে, আগে বাছবিচার না করে আয় করে নিই, পরে হাতে প্রচুর টাকা-পয়সা এলে দান-সদকা ও ভালো কাজে ব্যয় করব—আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন এবং বিপুল সওয়াব দেবেন। এমন ধারণা হাদিসের শিক্ষার বিপরীত। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘বান্দা হারাম পথে উপার্জন করবে, এরপর তা থেকে আল্লাহর পথে খরচ করবে এবং তাতে বরকত দেওয়া হবে বা সে তা থেকে সদকা করবে এবং তা কবুল করা হবে—এমন ধারণা অমূলক। বরং ওই ব্যক্তি মৃত্যুর পর সেই সম্পদ রেখে গেলে তা তাকে আরও বেশি জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।...’ (আহমাদ: ৩৬৭২; বাজ্জার: ২০২৬)
দান-সদকার মাধ্যমে দানশীল ব্যক্তির সম্পদ পবিত্র হয় এবং তিনি বিপুল সওয়াবের মালিক হন। তবে শর্ত হলো, দান-সদকার সম্পদ বৈধ পথে আয় করতে হবে। হারাম উপার্জন থেকে দান-সদকা, জনকল্যাণ, ধর্মের সেবা বা সমাজসেবা করলে এর বিনিময়ে কোনো সওয়াব পাওয়া যাবে না।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা কেবল পবিত্র বস্তুই কবুল করেন। যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে এক মুষ্টি খেজুরও দান করে, আল্লাহ তা নিজ হাতে গ্রহণ করেন। এরপর তা ওই ব্যক্তির জন্য পরিচর্যা করতে থাকেন—যেমন তোমাদের কেউ উটের বাচ্চার পরিচর্যা করে। ওই সামান্য পরিমাণ খেজুর বাড়তে বাড়তে একসময় পাহাড় পরিমাণ হয়ে যায়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
প্রথমত, অবৈধ পথে আয়ের অনুমতি দেয় না ইসলাম। তবে কেউ আয় করে ফেললে তা নিজের কাছে রাখার অনুমতি নেই; প্রকৃত হকদারের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। হকদারের খোঁজ না পেলে তা দান-সদকার নিয়ত না করে জনকল্যাণে ব্যয় করে দিতে হবে। এতে ওই ব্যক্তির কোনো সওয়াব হবে না। কারণ অবৈধ আয়ে ভালো কাজ করলে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না।
রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘আল্লাহ তাআলা পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল করেন না এবং আত্মসাৎকৃত সম্পদের সদকা কবুল করেন না।’ (মুসলিম: ২২৪; তিরমিজি: ০১; নাসায়ি: ১৩৯)
অনেকে বলে, আগে বাছবিচার না করে আয় করে নিই, পরে হাতে প্রচুর টাকা-পয়সা এলে দান-সদকা ও ভালো কাজে ব্যয় করব—আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন এবং বিপুল সওয়াব দেবেন। এমন ধারণা হাদিসের শিক্ষার বিপরীত। ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘বান্দা হারাম পথে উপার্জন করবে, এরপর তা থেকে আল্লাহর পথে খরচ করবে এবং তাতে বরকত দেওয়া হবে বা সে তা থেকে সদকা করবে এবং তা কবুল করা হবে—এমন ধারণা অমূলক। বরং ওই ব্যক্তি মৃত্যুর পর সেই সম্পদ রেখে গেলে তা তাকে আরও বেশি জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে।...’ (আহমাদ: ৩৬৭২; বাজ্জার: ২০২৬)
নবী আদম (আ.) থেকে নিয়ে মহানবী (সা.) পর্যন্ত সব নবীর যুগেই কোরবানির বিধান ছিল। (সুরা হজ: ৩৪)। তবে ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত হয়ে আছে হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানির ঘটনা। কেননা তা ছিল কঠিন ত্যাগের অধ্যায়।
৪ ঘণ্টা আগেহাবিল ও কাবিল নামে হজরত আদমের দু’টি সন্তান ছিল। এই দুই ভাইয়ের মধ্যে একবার এক বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এই দ্বন্দ্ব নিরসনে আল্লাহর নামে তাদের কোরবানি করার আদেশ দেন আদম (আ.)। সেটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম কোরবানি।
৭ ঘণ্টা আগেঈদের দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল ঈদের নামাজ আদায় করা। তাই প্রস্তুতি গ্রহণ করে আগে আগে ঈদগাহে চলে যাওয়া উচিত। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে ঈদের জামাত ছুটে গেলে অথবা অংশ বিশেষ না পেলে করণীয় হলো—
৯ ঘণ্টা আগেখুশির বার্তা নিয়ে হাজির হয় ঈদ। ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে। তবে বছরে মাত্র দুইবার এই নামাজ পড়ার ফলে অনেকেরই এর নিয়মকানুন মনে থাকে না। ঈদের নামাজ সংক্রান্ত যেসব বিষয় মনে রাখতে হবে, তা হলো—
১ দিন আগে