ইজাজুল হক, ঢাকা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় অবস্থিত মিউজিয়াম অব ইসলামিক সিভিলাইজেশন ১৯৯৬ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে। জাদুঘরটি পরে শারজার শাসক শায়খ ড. সুলতান বিন মুহাম্মদ আল-কাসিমির নির্বাহী আদেশে একটি স্থানীয় মার্কেটে পরিণত করা হয়। ২০০৮ সালে ফের জাদুঘরটি নতুনভাবে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করা হয়।
এই জাদুঘরে হিজরি সনের প্রথম শতাব্দী থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত সময়ের পাঁচ হাজারের বেশি ইসলামি সংস্কৃতি-সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। তন্মধ্যে ক্যালিগ্রাফি, খোদাই পাথর, সিরামিক, কয়েন, কাচ, পাণ্ডুলিপি, ধাতব মুদ্রা, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে এসব নিদর্শন সংগ্রহ করা হয়েছে।
সময়কাল অনুসারে সাতটি গ্যালারিতে ভাগ করে এই নিদর্শনগুলো প্রদর্শিত হয়। দর্শনার্থীরা এখানে এসে ইসলামের ইতিহাস, শিল্প, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও ইসলামি যুগের বিভিন্ন আবিষ্কার সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিতে পারেন।
আবু বকর গ্যালারি অব ইসলামিক ফেইথে ইসলামের মূলনীতি এবং পবিত্র কোরআনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে ইসলামের মৌলিক পাঁচ স্তম্ভ, ইসলামি বিশ্বাসের ভিত্তিবিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে এবং হজ ও ওমরাহর আচার-অনুষ্ঠান সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এখানে দর্শক পবিত্র কাবাঘরের নৃতাত্ত্বিক অংশ, কিসওয়াহ বা গিলাফ, কোরআনের বিরল ও ঐতিহাসিক পাণ্ডুলিপিসহ ইউরোপ ও মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন মসজিদের স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গেও পরিচিত হতে পারেন।
ইবনুল-হাইসাম গ্যালারি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে মুসলিম বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ সব বৈজ্ঞানিক সাফল্য ও অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ত্রিমাত্রিক মডেল, অডিও ভিজ্যুয়াল ও বিস্তারিত তথ্যের সাহায্যে এসব আবিষ্কার, উদ্ভাবন ও তত্ত্বের তালিকা দর্শকদের সামনে তুলে ধরার ব্যবস্থা রয়েছে। মধ্যযুগের মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত অ্যাস্ট্রোলেব ও এলিফ্যান্ট ক্লকের নমুনা এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
ইসলামিক আর্টের চারটি গ্যালারির প্রথমটিতে মৃৎশিল্প, ধাতব কাজ, কাঠের খোদাই, পাণ্ডুলিপি এবং কাপড় বোনার ইসলামি ঐতিহ্য দেখানো হয়েছে। এতে ইসলামের শুরু থেকে প্রথম ৭০০ বছরের নিদর্শনগুলো স্থান পেয়েছে। দ্বিতীয়টিতে পরের ৭০০ বছরের গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি শিল্পকর্মগুলো স্থান পেয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে আধুনিক সময়ে ইসলামি শিল্পকলা, ক্যালিগ্রাফি, সামরিক সরঞ্জাম ও কারুশিল্পের উৎকর্ষের কথা।
ইসলামি যুগের বিভিন্ন মুদ্রা প্রদর্শনের জন্য রয়েছে স্বতন্ত্র গ্যালারি। দেড় হাজার বছরের ইসলামের ইতিহাসের বিখ্যাত অনেক শাসকের মুদ্রা এখানে স্থান পেয়েছে, যা সভ্যতার উত্থান-পতনের সাক্ষ্য হয়ে দর্শনার্থীদের চোখে ধরা দেয়। এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে প্রদর্শনীর আয়োজনের জন্য রয়েছে আলাদা গ্যালারি। যেখানে নিয়মিত বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিল্পকলা প্রদর্শনীগুলো হয়ে থাকে।
সূত্র: শারজা মিউজিয়াম ডটএই
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় অবস্থিত মিউজিয়াম অব ইসলামিক সিভিলাইজেশন ১৯৯৬ সালে প্রথম যাত্রা শুরু করে। জাদুঘরটি পরে শারজার শাসক শায়খ ড. সুলতান বিন মুহাম্মদ আল-কাসিমির নির্বাহী আদেশে একটি স্থানীয় মার্কেটে পরিণত করা হয়। ২০০৮ সালে ফের জাদুঘরটি নতুনভাবে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করা হয়।
এই জাদুঘরে হিজরি সনের প্রথম শতাব্দী থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত সময়ের পাঁচ হাজারের বেশি ইসলামি সংস্কৃতি-সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। তন্মধ্যে ক্যালিগ্রাফি, খোদাই পাথর, সিরামিক, কয়েন, কাচ, পাণ্ডুলিপি, ধাতব মুদ্রা, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে এসব নিদর্শন সংগ্রহ করা হয়েছে।
সময়কাল অনুসারে সাতটি গ্যালারিতে ভাগ করে এই নিদর্শনগুলো প্রদর্শিত হয়। দর্শনার্থীরা এখানে এসে ইসলামের ইতিহাস, শিল্প, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান ও ইসলামি যুগের বিভিন্ন আবিষ্কার সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিতে পারেন।
আবু বকর গ্যালারি অব ইসলামিক ফেইথে ইসলামের মূলনীতি এবং পবিত্র কোরআনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে ইসলামের মৌলিক পাঁচ স্তম্ভ, ইসলামি বিশ্বাসের ভিত্তিবিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে এবং হজ ও ওমরাহর আচার-অনুষ্ঠান সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এখানে দর্শক পবিত্র কাবাঘরের নৃতাত্ত্বিক অংশ, কিসওয়াহ বা গিলাফ, কোরআনের বিরল ও ঐতিহাসিক পাণ্ডুলিপিসহ ইউরোপ ও মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন মসজিদের স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গেও পরিচিত হতে পারেন।
ইবনুল-হাইসাম গ্যালারি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে মুসলিম বিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ সব বৈজ্ঞানিক সাফল্য ও অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ত্রিমাত্রিক মডেল, অডিও ভিজ্যুয়াল ও বিস্তারিত তথ্যের সাহায্যে এসব আবিষ্কার, উদ্ভাবন ও তত্ত্বের তালিকা দর্শকদের সামনে তুলে ধরার ব্যবস্থা রয়েছে। মধ্যযুগের মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত অ্যাস্ট্রোলেব ও এলিফ্যান্ট ক্লকের নমুনা এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
ইসলামিক আর্টের চারটি গ্যালারির প্রথমটিতে মৃৎশিল্প, ধাতব কাজ, কাঠের খোদাই, পাণ্ডুলিপি এবং কাপড় বোনার ইসলামি ঐতিহ্য দেখানো হয়েছে। এতে ইসলামের শুরু থেকে প্রথম ৭০০ বছরের নিদর্শনগুলো স্থান পেয়েছে। দ্বিতীয়টিতে পরের ৭০০ বছরের গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি শিল্পকর্মগুলো স্থান পেয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে আধুনিক সময়ে ইসলামি শিল্পকলা, ক্যালিগ্রাফি, সামরিক সরঞ্জাম ও কারুশিল্পের উৎকর্ষের কথা।
ইসলামি যুগের বিভিন্ন মুদ্রা প্রদর্শনের জন্য রয়েছে স্বতন্ত্র গ্যালারি। দেড় হাজার বছরের ইসলামের ইতিহাসের বিখ্যাত অনেক শাসকের মুদ্রা এখানে স্থান পেয়েছে, যা সভ্যতার উত্থান-পতনের সাক্ষ্য হয়ে দর্শনার্থীদের চোখে ধরা দেয়। এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে প্রদর্শনীর আয়োজনের জন্য রয়েছে আলাদা গ্যালারি। যেখানে নিয়মিত বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিল্পকলা প্রদর্শনীগুলো হয়ে থাকে।
সূত্র: শারজা মিউজিয়াম ডটএই
বিয়ের বর-কনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, বিয়েতে কারও পছন্দের ব্যাপারে মানুষ চারটি বিষয় দেখে। যথা—সম্পদ, আভিজাত্য, সৌন্দর্য এবং খোদাভীতি। এর মধ্যে ভাগ্যবান এবং শ্রেষ্ঠ সে, যে একজন ধার্মিক মেয়েকে বিয়ে করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) মানুষকে আরও সতর্ক করে দেন...
১ দিন আগেবাংলা অঞ্চলের হাজার বছরের ইতিহাসে ধর্ম, সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের যে সমন্বয় ঘটেছে, তার মধ্যে ইসলামি স্থাপত্য এক মহিমান্বিত অধ্যায়। কালের গহ্বরে কিছু নিদর্শন হারিয়ে গেলেও, আজও দাঁড়িয়ে থাকা মসজিদের গম্বুজ, মাদ্রাসার মিনার কিংবা মাজারের কারুকাজ ইসলামের প্রসার ও সৃজনশীলতার এক অনুপম সাক্ষ্য বহন করে।
২ দিন আগেপৃথিবীতে আমরা কেউই চাপমুক্ত নই; দুশ্চিন্তা ও হতাশা সবারই থাকে। তবে এটি অস্বাভাবিক মাত্রায় হলে তা মানসিক রোগে রূপ নেয়, যা অনেক শারীরিক রোগেরও কারণ। তাই প্রতিটি মানুষের দুশ্চিন্তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত। চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কোরআন-হাদিসে বেশ কিছু আমলের কথা এসেছে। এখানে ৪টি আমলের কথা আলোচনা করছি।
২ দিন আগেহিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। ইসলামে এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক। মহানবী (সা.) রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি শুরু করতেন। শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রেখে রমজানের জন্য মানসিকভাবে তৈরি হতেন। এ মাসের মধ্যভাগে রয়েছে ফজিলতের রাত শবে বরাত।
২ দিন আগে