ইসলাম ডেস্ক
হজরত ফাতিমা (রা.) মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চতুর্থ কন্যা। বিবি খদিজার গর্ভে ৬০৫ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় তাঁর জন্ম হয়। মায়ের সঙ্গেই ইসলামের সূচনালগ্নে ইসলাম গ্রহণ করেন। ৬২২ সালে মহানবী (সা.)-এর হিজরতের কিছুদিন পর তিনি পরিবারের অন্যদের সঙ্গে মদিনায় চলে যান।
ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলি (রা.) ৪০০ দিরহাম মূল্যের একটি লোহার বর্মের বিনিময়ে তাঁকে বিয়ে করেছিলেন। তখন ফাতিমার বয়স ছিল সাড়ে ১৫ বা ১৮ বছর। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি হজরত আলির সংসার করেন। তাঁদের দাম্পত্যজীবন প্রায় নয় বছর স্থায়ী ছিল। তাঁদের সংসারে চার সন্তান—হাসান, হোসাইন, জয়নব ও উম্মে কুলসুম।
ফাতিমা (রা.) বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নেন এবং মুসলিম যোদ্ধাদের চিকিৎসক ও সেবকের দায়িত্ব পালন করেন। মহানবী (সা.)-এর মৃত্যুর পর তিনি শোকগাঁথা রচনা করেছিলেন। যার কয়েক পঙক্তির বঙ্গানুবাদ এরকম—
‘মাটিতে শায়িত আমার বাবাকে কেউ এসে বলে যান:
আমার করুণ রোদন, আর্তি আপনি শুনতে পান?
এতটা কঠিন সময় আমার’ পর হলো সম্পাত
এমন বিপদ দিনকে ঘিরলে দিন হয়ে যেত রাত। …’
(নবীজির জন্য ফাতিমার এলিজি, অনুবাদ: আবদুল্লাহ মাহমুদ নজীব)
মহানবী (সা.) ফাতিমার শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৃষ্টিজগতের মধ্যে চারজন নারী শ্রেষ্ঠ। তাঁরা হলেন, মারইয়াম বিনতে ইমরান, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া, খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ও ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ।’ (তিরমিজি: ৩৮৭৪; আহমাদ: ১২৪১৪)
অন্য হাদিসে হজরত ফাতিমাকে জান্নাতে নারীদের নেতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘জান্নাতবাসী নারীদের সর্দার ফাতিমা।’ (বুখারি, কানজুল উম্মাল, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া)
এক হাদিসে মহানবী (সা.) তাঁকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘হে ফাতিমা, আল্লাহ তোমার খুশিতে খুশি হন এবং তোমার অসন্তুষ্টিতে অসন্তুষ্ট হন।’ (তাহযিব আত-তাহযিব: ১২ / ৪৪২; আল-ইসাবা: ৪ / ৩৬৬)
এ ছাড়া ফাতিমা (রা.)–এর আরও অসংখ্য ফজিলত ও মর্যাদার কথা হাদিসে এসেছে।
ইতিহাসবিদ আল-ওয়াকিদির মতে, হজরত ফাতিমা (রা.) ১১ হিজরির ৩ রমজান ইন্তেকাল করেন। হজরত আব্বাস (রা.) তাঁর জানাজার নামাজে ইমামতি করেন। চাচা আকিলের বাড়ির এক কোণে তাঁকে সমাহিত করা হয়। (আস-সাহাবিয়াত: ১৫৩)
আরও খবর পড়ুন:
হজরত ফাতিমা (রা.) মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চতুর্থ কন্যা। বিবি খদিজার গর্ভে ৬০৫ খ্রিষ্টাব্দে মক্কায় তাঁর জন্ম হয়। মায়ের সঙ্গেই ইসলামের সূচনালগ্নে ইসলাম গ্রহণ করেন। ৬২২ সালে মহানবী (সা.)-এর হিজরতের কিছুদিন পর তিনি পরিবারের অন্যদের সঙ্গে মদিনায় চলে যান।
ইসলামের চতুর্থ খলিফা হজরত আলি (রা.) ৪০০ দিরহাম মূল্যের একটি লোহার বর্মের বিনিময়ে তাঁকে বিয়ে করেছিলেন। তখন ফাতিমার বয়স ছিল সাড়ে ১৫ বা ১৮ বছর। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি হজরত আলির সংসার করেন। তাঁদের দাম্পত্যজীবন প্রায় নয় বছর স্থায়ী ছিল। তাঁদের সংসারে চার সন্তান—হাসান, হোসাইন, জয়নব ও উম্মে কুলসুম।
ফাতিমা (রা.) বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নেন এবং মুসলিম যোদ্ধাদের চিকিৎসক ও সেবকের দায়িত্ব পালন করেন। মহানবী (সা.)-এর মৃত্যুর পর তিনি শোকগাঁথা রচনা করেছিলেন। যার কয়েক পঙক্তির বঙ্গানুবাদ এরকম—
‘মাটিতে শায়িত আমার বাবাকে কেউ এসে বলে যান:
আমার করুণ রোদন, আর্তি আপনি শুনতে পান?
এতটা কঠিন সময় আমার’ পর হলো সম্পাত
এমন বিপদ দিনকে ঘিরলে দিন হয়ে যেত রাত। …’
(নবীজির জন্য ফাতিমার এলিজি, অনুবাদ: আবদুল্লাহ মাহমুদ নজীব)
মহানবী (সা.) ফাতিমার শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা দিয়েছেন। আনাস বিন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সৃষ্টিজগতের মধ্যে চারজন নারী শ্রেষ্ঠ। তাঁরা হলেন, মারইয়াম বিনতে ইমরান, ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া, খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ ও ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ।’ (তিরমিজি: ৩৮৭৪; আহমাদ: ১২৪১৪)
অন্য হাদিসে হজরত ফাতিমাকে জান্নাতে নারীদের নেতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘জান্নাতবাসী নারীদের সর্দার ফাতিমা।’ (বুখারি, কানজুল উম্মাল, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া)
এক হাদিসে মহানবী (সা.) তাঁকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘হে ফাতিমা, আল্লাহ তোমার খুশিতে খুশি হন এবং তোমার অসন্তুষ্টিতে অসন্তুষ্ট হন।’ (তাহযিব আত-তাহযিব: ১২ / ৪৪২; আল-ইসাবা: ৪ / ৩৬৬)
এ ছাড়া ফাতিমা (রা.)–এর আরও অসংখ্য ফজিলত ও মর্যাদার কথা হাদিসে এসেছে।
ইতিহাসবিদ আল-ওয়াকিদির মতে, হজরত ফাতিমা (রা.) ১১ হিজরির ৩ রমজান ইন্তেকাল করেন। হজরত আব্বাস (রা.) তাঁর জানাজার নামাজে ইমামতি করেন। চাচা আকিলের বাড়ির এক কোণে তাঁকে সমাহিত করা হয়। (আস-সাহাবিয়াত: ১৫৩)
আরও খবর পড়ুন:
পবিত্র কোরআন মানবজাতির জন্য আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার। কোরআনের স্পর্শ ছাড়া মানবজনম অর্থহীন। কোরআন সফলতার মৌলিক পাথেয়। কোরআন সঠিক পথের দিশারি। হাজার বছর ধরে কোরআন এর দেখানো বিমল পথে অটল থেকে সফলতার মানজিলে পৌঁছে গিয়েছে অসংখ্য মানুষ। কোরআনের এই স্নিগ্ধ অফুরন্ত ঝরণাধারা সবার জন্যই অবারিত।
১ ঘণ্টা আগেআমাদের এই আধুনিক সমাজ থেকে সভ্যতা, নৈতিকতা ও আদর্শ দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে, বিলুপ্ত হচ্ছে। এই প্রজন্মের কাছে—ছোট ও বড়র মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। নেই বড়দের সম্মান আর ছোটদের স্নেহ। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহের বিষয়ে অনেক গুরুত্ব করেছেন। হাদিসে এসেছে, ‘যে আমাদের ছোটদের স্নেহ করে...
৫ ঘণ্টা আগেজানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
৬ ঘণ্টা আগেপৃথিবীর ইতিহাসে শাসকশ্রেণির ভূমিকা সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পষ্ট। শাসকের সুশাসন যেমন একটি জাতিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে, তেমনি অন্যায়ের শাসন জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে শাসক ও শাসিত উভয়ের জন্যই পথনির্দেশনা প্রদান করেছে।
৭ ঘণ্টা আগে