Ajker Patrika

পরকালের সবচেয়ে অসহায় ব্যক্তি কে

মাহমুদ হাসান ফাহিম
আপডেট : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৭: ৫২
Thumbnail image

আমরা সাধারণত ধন-সম্পদ ও টাকাপয়সার মাধ্যমে ধনী কিংবা অসহায় নির্ণয় করি। এটিই দুনিয়ার রীতি। তবে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে ধনী বা অসহায় যাচাই করা হবে নিষ্ঠার সঙ্গে করা আমলের মাধ্যমে। তবে শুধু আমল বা ইবাদত করলেই কিয়ামতের মাঠে পার পাওয়া যাবে না, মানুষের প্রতি অন্যায়-অনাচার থেকেও পবিত্র হতে হবে। কোনো অনাচার করে থাকলে মৃত্যুর আগেই ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কি বলতে পারো, অসহায় কে?’ তাঁরা বললেন, ‘আমাদের মধ্যে যার টাকাপয়সা, ধন-সম্পদ নেই, সেই তো দরিদ্র-অসহায়।’ তখন তিনি বললেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে প্রকৃত অসহায় সেই ব্যক্তি, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোজা ও জাকাত নিয়ে আসবে; অথচ তার অবস্থা এমন যে দুনিয়াতে সে কাউকে গালি দিয়েছে, কারও নামে অপবাদ দিয়েছে, কারও ধন-সম্পদ আত্মসাৎ করেছে, কাউকে হত্যা করেছে বা মেরেছে। ওই সব (ভুক্তভোগী) ব্যক্তিকে তার নেক আমল থেকে (ক্ষতিপূরণ) দিয়ে দেওয়া হবে। এরপরও প্রাপ্য পূরণ করা না গেলে ঋণ হিসেবে ভুক্তভোগীর পাপের একাংশ দিয়ে দেওয়া হবে এবং ওই ব্যক্তিকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’ (সহিহ মুসলিম: ৬৩৪৩; সুনানে তিরমিজি: ২৪১৮)

সুতরাং যত ইবাদতই করি না কেন, অন্যের অধিকারের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কোনো অন্যায় যেন না হয়ে যায় এই ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আর রক্তপাতের মতো ভয়াবহ গুনাহ করার তো প্রশ্নই আসে না। কখনো কোনো অন্যায়-অবিচার হয়ে গেলে, তৎক্ষণাৎ তা মাফ করিয়ে নিতে রাসুল (সা.) উম্মতকে পরামর্শ দিয়েছেন।

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত