তাসনিফ আবীদ
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনের চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়, যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো রসায়নে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)। তাই বন্ধুত্ব হতে হবে ইমানের ভিত্তিতে।
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য, সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে, স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এককথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে।
বন্ধুত্ব নিছক সময় কাটানোর মাধ্যম নয়, বরং এটি মানুষকে গড়ার শক্তিশালী মাধ্যম। একজন প্রকৃত বন্ধু হতে হলে যেমন নিজেকে গড়তে হয়, তেমনি বন্ধু নির্বাচনেও চাই সাবধানতা। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়। তাই চলুন, বন্ধুত্বকে করি পরিশুদ্ধ, সম্পর্ককে করি আল্লাহমুখী।
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনের চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়, যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
কেবল সম্পর্ক নয়, বরং বন্ধুত্ব হতে হবে পরিশুদ্ধ, নীতিনির্ভর ও পরকালমুখী। চলার পথে আমরা সবাই বন্ধুত্ব করি—কখনো রসায়নে, কখনো স্বার্থে, কখনো পরিস্থিতিতে। কিন্তু প্রকৃত বন্ধু কে? যে আমাদের চিন্তা, কর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। ইসলাম তাই কেবল বন্ধুত্ব গড়ে তোলার আহ্বানই দেয়নি, দিয়েছে সচেতনতার দিকনির্দেশনাও।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘ইমানদার পুরুষ এবং ইমানদার নারীরা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদেশ মান্য করে চলে। তাদের প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে।’ (সুরা তাওবা: ৭১)। তাই বন্ধুত্ব হতে হবে ইমানের ভিত্তিতে।
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিরাগ—এটাই মুসলমানের সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে কাউকে ভালোবাসে আল্লাহর জন্য, কাউকে কিছু দেয় আল্লাহর জন্য, কারও সঙ্গে রাগ করে আল্লাহর জন্য, সে তার ইমান পূর্ণ করল।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ্)। এমন বন্ধুত্ব টিকে থাকে দুনিয়া ও আখিরাতে। অন্যদিকে, স্বার্থ, দম্ভ, আভিজাত্য বা জৌলুশের ওপর নির্মিত বন্ধুত্ব টেকে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভালো বন্ধুর কিছু গুণাবলি হলো সে সৎ পরামর্শদাতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণে অভ্যস্ত। নিজে সৎ জীবনযাপন করে এবং অন্যকেও অনৈতিকতা থেকে দূরে রাখে। গোপন কথা গোপন রাখে, বিশ্বাস ভঙ্গ করে না। বিপদে-আপদে পাশে থাকে, অসুস্থতায় খোঁজ নেয়, দাওয়াতে সাড়া দেয়। এককথায়, ভালো বন্ধু আপনার আখিরাতকেও সুন্দর করে।
বন্ধুত্ব নিছক সময় কাটানোর মাধ্যম নয়, বরং এটি মানুষকে গড়ার শক্তিশালী মাধ্যম। একজন প্রকৃত বন্ধু হতে হলে যেমন নিজেকে গড়তে হয়, তেমনি বন্ধু নির্বাচনেও চাই সাবধানতা। আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গড়ে ওঠা সম্পর্কই পরকালের পাথেয়। তাই চলুন, বন্ধুত্বকে করি পরিশুদ্ধ, সম্পর্ককে করি আল্লাহমুখী।
পবিত্র কোরআনে মুমিনের যেসব গুণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে, তার অন্যতম একটি তাকওয়া। তাকওয়া একজন সফল মুমিনের অন্যতম একটি গুণ। পবিত্র কোরআনে তাকওয়া অবলম্বনকারীদের জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে বহুবিধ উপকারের কথা বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি উপকারের কথা তুলে ধরা হলো।
৯ ঘণ্টা আগেআবুত্ তুফায়ল (রা.) বলেন, ‘আমি জিরানাহ্ নামক স্থানে নবী (সা.)-কে মাংস বণ্টন করতে দেখলাম। এমন সময় এক মহিলা এসে তাঁর কাছে পৌঁছালে নবীজি তাঁর জন্য নিজের চাদর বিছিয়ে দিলেন। তিনি ওই চাদরের ওপর বসেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘এ মহিলা কে?’ লোকেরা বলল, ‘তিনি সেই মহিলা, যিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে...
১০ ঘণ্টা আগেধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও আবেগঘন বহুমাত্রিক গুরুত্ব নিয়ে জেরুজালেম শহরে দাঁড়িয়ে আছে মুসলিমদের প্রাণের স্থাপনা মসজিদে আকসা। মসজিদে আকসার পুরো প্রাঙ্গণের আয়তন এক লাখ ৪৪ হাজার বর্গমিটার, যা প্রায় ৩৫ একর জায়গা দখল করে আছে। এর মধ্যে রয়েছে আল-আকসা মসজিদ (সুবিশাল নামাজঘর), কুব্বাতুস সাখরা (ডোম অব দ্য রক)...
১২ ঘণ্টা আগেনামাজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ এক রুকন বা ফরজ বিধান। পুরুষের জন্য দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করা সুন্নতে মুআক্কাদা। তবে কোনো কোনো ইসলামবিষয়ক গবেষক ওয়াজিবও বলেছেন।
১৪ ঘণ্টা আগে