মাওলানা ইসমাইল নাজিম
কোনো সাবালক ও মানসিকভাবে সুস্থ মানুষ যদি কোরবানির জন্য নির্ধারিত তিন দিন তথা জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হন, তা হলে তাঁর জন্য কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব। জাকাতের নিসাব হলো, দৈনন্দিন জীবনযাপনের প্রয়োজনের ব্যয় ও ঋণ থেকে অতিরিক্ত সাড়ে ৭ ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা বা এর সমমূল্যের টাকা বা অন্য কোনো সম্পদ থাকা। তবে জাকাতের মতো কোরবানির ক্ষেত্রে এক বছর পর্যন্ত এই পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকা জরুরি নয়।
কোরবানি একটি সুনির্দিষ্ট ইবাদত। তাই কোরআন-হাদিসের বিবরণ ও সাহাবিদের আমল অনুযায়ী এই বিধান পালন করতে হবে। এতে পশু জবাইয়ের পরিবর্তে টাকা দান করে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ কোরবানির বিধান প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকে প্রতিবছরই মহানবী (সা.) পশুই কোরবানি করেছেন। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) নিয়মিত কোরবানি করেছেন, কোনো বছরই বাদ দেননি। (আল-ইসতিজকার: ১৫/১৬৩-১৬৪)
সাহাবিদেরও কোরবানি করতে আদেশ দিয়েছেন। এমনকি বিভিন্ন সাহাবির মধ্যে কোরবানির পশুও বণ্টন করেছেন। হজরত আলী (রা.)কে মৃত্যুর আগে বলে যান যে, তিনি যেন প্রতিবছর তাঁর জন্য কোরবানি করেন। আলী (রা.) প্রতিবছরই মহানবী (সা.)-এর জন্য কোরবানি করতেন।
তাই সামর্থ্যবানদের জন্য কোরবানি করা আবশ্যক। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি না করলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। মহানবী (সা.) এমন ব্যক্তিদের ব্যাপারে হাদিসে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করবে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ (মুসনাদে আহমদ: ২/৩২১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
কোনো সাবালক ও মানসিকভাবে সুস্থ মানুষ যদি কোরবানির জন্য নির্ধারিত তিন দিন তথা জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে জাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হন, তা হলে তাঁর জন্য কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব। জাকাতের নিসাব হলো, দৈনন্দিন জীবনযাপনের প্রয়োজনের ব্যয় ও ঋণ থেকে অতিরিক্ত সাড়ে ৭ ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা বা এর সমমূল্যের টাকা বা অন্য কোনো সম্পদ থাকা। তবে জাকাতের মতো কোরবানির ক্ষেত্রে এক বছর পর্যন্ত এই পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকা জরুরি নয়।
কোরবানি একটি সুনির্দিষ্ট ইবাদত। তাই কোরআন-হাদিসের বিবরণ ও সাহাবিদের আমল অনুযায়ী এই বিধান পালন করতে হবে। এতে পশু জবাইয়ের পরিবর্তে টাকা দান করে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ কোরবানির বিধান প্রবর্তিত হওয়ার পর থেকে প্রতিবছরই মহানবী (সা.) পশুই কোরবানি করেছেন। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) নিয়মিত কোরবানি করেছেন, কোনো বছরই বাদ দেননি। (আল-ইসতিজকার: ১৫/১৬৩-১৬৪)
সাহাবিদেরও কোরবানি করতে আদেশ দিয়েছেন। এমনকি বিভিন্ন সাহাবির মধ্যে কোরবানির পশুও বণ্টন করেছেন। হজরত আলী (রা.)কে মৃত্যুর আগে বলে যান যে, তিনি যেন প্রতিবছর তাঁর জন্য কোরবানি করেন। আলী (রা.) প্রতিবছরই মহানবী (সা.)-এর জন্য কোরবানি করতেন।
তাই সামর্থ্যবানদের জন্য কোরবানি করা আবশ্যক। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি না করলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। মহানবী (সা.) এমন ব্যক্তিদের ব্যাপারে হাদিসে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করবে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।’ (মুসনাদে আহমদ: ২/৩২১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
জীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
৩ ঘণ্টা আগেন্যায়পরায়ণতার গুরুত্ব অপরিসীম। শাসকের মৌলিক দায়িত্ব কর্তব্য হলো ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে জনগণের অধিকার আদায় এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। মহান রব পবিত্র কোরআনে ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন।
২১ ঘণ্টা আগেআমাদের জীবনে গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে সহজ এবং সঠিক উপায় হলো ইস্তিগফার—আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। প্রতিটি মুসলমানের উচিত, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ইস্তিগফারের আমল করাটা যেন এক প্রাকৃতিক অভ্যাস হয়ে ওঠে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও নিয়মিত এই আমলটি পালন করতেন।
১ দিন আগেঅজু দৈনন্দিন জীবনে একাধিকবার ফিরে আসা এক পবিত্র চর্চা। যাঁরা অজুকে গুরুত্ব দেন, নিয়মিত অজু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করেন, তাঁদের জন্য রয়েছে দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তির প্রতিশ্রুতি। অজু নামাজের পূর্বশর্ত।
১ দিন আগে