আমজাদ ইউনুস
রাগ মানুষের একটি আচরণগত দিক। এর মন্দ প্রভাবই বেশি। রাগী মানুষকে কেউ ভালোবাসে না। এ কারণে রাসুল (সা.) তাঁর উম্মতকে রাগ করতে নিষেধ করেছেন এবং রাগ সংবরণকারীকে শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কুস্তি লড়ে অন্যকে ধরাশায়ী করে সে শক্তিশালী নয়; বরং যে ব্যক্তি রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে-ই প্রকৃত শক্তিশালী।’ (বুখারি) রাগ সংবরণ করার এবং রাগ দূর করার জন্য কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন রাসুল (সা.)। যথা—
আউজুবিল্লাহ পড়া: আউজুবিল্লাহর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে শয়তানের প্ররোচনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়। দুই ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে বসে পরস্পরে গালাগাল করছিল। একজনের চোখ লাল হয়ে যায় এবং শিরা ফুলে ওঠে। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি একটি বাক্য জানি, যদি সে তা পড়ে তবে তার এ অবস্থা কেটে যাবে। বাক্যটি হলো, আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।’ (মুসলিম)
চুপ হয়ে যাওয়া: আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন করো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো।’ (মুসনাদে আহমদ)
শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন: রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কারও রাগ হয় তখন সে যদি দাঁড়ানো থাকে, তবে যেন বসে পড়ে। যদি তাতে রাগ চলে যায় ভালো। আর যদি না যায়, তবে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ)
অজু করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। শয়তান আগুনের তৈরি। পানি দিয়ে আগুন নির্বাপিত হয়। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হবে, সে যেন অজু করে নেয়।’ (আবু দাউদ)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
রাগ মানুষের একটি আচরণগত দিক। এর মন্দ প্রভাবই বেশি। রাগী মানুষকে কেউ ভালোবাসে না। এ কারণে রাসুল (সা.) তাঁর উম্মতকে রাগ করতে নিষেধ করেছেন এবং রাগ সংবরণকারীকে শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কুস্তি লড়ে অন্যকে ধরাশায়ী করে সে শক্তিশালী নয়; বরং যে ব্যক্তি রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে-ই প্রকৃত শক্তিশালী।’ (বুখারি) রাগ সংবরণ করার এবং রাগ দূর করার জন্য কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন রাসুল (সা.)। যথা—
আউজুবিল্লাহ পড়া: আউজুবিল্লাহর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে শয়তানের প্ররোচনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়। দুই ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে বসে পরস্পরে গালাগাল করছিল। একজনের চোখ লাল হয়ে যায় এবং শিরা ফুলে ওঠে। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি একটি বাক্য জানি, যদি সে তা পড়ে তবে তার এ অবস্থা কেটে যাবে। বাক্যটি হলো, আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।’ (মুসলিম)
চুপ হয়ে যাওয়া: আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন করো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো।’ (মুসনাদে আহমদ)
শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন: রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কারও রাগ হয় তখন সে যদি দাঁড়ানো থাকে, তবে যেন বসে পড়ে। যদি তাতে রাগ চলে যায় ভালো। আর যদি না যায়, তবে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ)
অজু করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। শয়তান আগুনের তৈরি। পানি দিয়ে আগুন নির্বাপিত হয়। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হবে, সে যেন অজু করে নেয়।’ (আবু দাউদ)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
রোজার মৌখিক নিয়ত যেকোনো ভাষায় হতে পারে। একান্ত আরবি ভাষায় হওয়া জরুরি নয়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১ / ৩৭৮)। বরং যারা আরবি বোঝে না, তাদের জন্য আরবিতে নিয়ত না করাই কর্তব্য। কারণ নিয়ত পড়া জরুরি নয়, নিয়ত করাই জরুরি।
৭ ঘণ্টা আগেরাসুল (সা.) সাহাবিদের তিনজন নেককার ব্যক্তির গল্প শুনিয়েছিলেন। হাদিসের ভাষ্যে স্পষ্টভাবে তাঁদের নাম ও বাসস্থানের কথা উল্লেখ নেই। তবে তাঁরা যে বনি ইসরাইলের লোক ছিলেন, এ কথার উল্লেখ আছে। এ গল্পে আল্লাহর ভয়, মা–বাবার প্রতি সদাচার, দোয়ার শক্তি এবং সৎকর্মের মহত্ত্ব ফুটে উঠেছে।
৭ ঘণ্টা আগে‘জ্ঞানের তরে শহীদ’ উপাধি পাওয়া এবং বিশ্ববিশ্রুত হাদিস গ্রন্থ ‘সহিহ্ মুসলিম’ রচয়িতা ইমাম মুসলিম বিন হাজ্জাজের খ্যাতি জগতজোড়া। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে হাদিস শাস্ত্রে যোগ হয়েছে অসামান্য সব প্রামাণ্য। আজকের অবসরে সংক্ষেপে এ মহান মনীষীর জীবন নিয়ে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব।
১০ ঘণ্টা আগেনিয়মিত খাওয়াদাওয়া করার সময় যেসব আদব অনুসরণ করতে হয়, তা ইফতারের সময়ও অনুসরণ করা চাই। তবে ইফতারের রয়েছে বিশেষ কিছু সুন্নত ও আদব। যথা— এক. সময় হওয়ার পরপরই ইফতার করা: সূর্যাস্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে কিংবা মাগরিবের আজানের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার শুরু করে দেওয়া সুন্নত।
১৪ ঘণ্টা আগে