যাকারিয়া মাহমুদ
শাওয়াল আরবি ক্যালেন্ডারের দশম মাস। এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে এ মাস শুরু হতেই মোমিনের হৃদয়ে বয়ে যায় সুখের ফল্গুধারা। রমজানের ক্লান্তি বিদূরিত হয়। মোমিন খুঁজে পায় উৎসবমুখর এক নয়া জীবন।
শাওয়াল মাস নফল ইবাদতের মোক্ষম সময়। কারণ, রমজানে তাকওয়ার যে বৃক্ষের শাখা-প্রশাখা বিস্তার হয় অন্তরে, শাওয়ালে তা থাকে সতেজ, সজীব। ফলে এ মাসের নফল ইবাদতে ইখলাসের গভীরতা থাকে অন্য মাসের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া রমজানে অর্জিত তাকওয়া শাণিত করে এ মাসের নফল ইবাদত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এবং যখন তুমি (ফরজ ইবাদত থেকে) অবসর হবে। (নফল ইবাদতের মাধ্যমে) তোমার রবের দিকে মনোনিবেশ করো।’ (সুরা ইনশিরাহ: ০৮)
শাওয়ালের ছয় রোজা
শাওয়ালের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো—ছয় রোজা। নফল নামাজ যেমন ফরজ নামাজের ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণ। রমজানের ফরজ রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণও শাওয়ালের ছয় রোজা। রোজা ছয়টি রাখতে পারা বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। তদুপরি রমজানের রোজা কবুল হওয়ারও আলামত বিশেষ। রাসুল (সা.) নিজে এই ছয় রোজা রাখতেন এবং সাহাবিদেরও নির্দেশ দিতেন। আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে রমজানের রোজা পূর্ণ করে, অতঃপর শাওয়ালের ছয় রোজা রাখে—সে যেন সারা বছর রোজা রাখল।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৬৪৮)
সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের রোজা দশ মাসের রোজার সমান। আর শাওয়ালের ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান। সুতরাং এই হলো পূর্ণ এক বছরের রোজা।’ (সুনানে নাসায়ি: ২/১৬২)
আইয়ামে বিজের রোজা
শাওয়াল মাসে নফল ইবাদত হিসেবে আইয়ামে বিজের রোজাও রাখা যেতে পারে। আইয়ামে বিজ বলা হয় চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে। নবীজি (সা.) প্রতি মাসে এই তিন দিন রোজা রাখতেন। সাহাবিদেরও রাখার উপদেশ দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.)-কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হে আবদুল্লাহ, তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা রাখবে। কেননা নেক আমলের পরিবর্তে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকি। এভাবে সারা বছরের রোজা (রাখার সওয়াব) হয়ে যায়।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৬১৯)
রমজানের কাজা রোজা
রমজানের রোজা প্রাপ্তবয়স্ক নরনারীর ওপর ফরজ। কেউ ইচ্ছাকৃত বা শরিয়ত-সমর্থিত কোনো কারণ ছাড়া রোজা ভাঙলে, তার ওপর কাফফারা আবশ্যক। এ বিধান স্বতঃসিদ্ধ। তবে কেউ শরিয়ত-সমর্থিত অপারগতায় রোজা ভাঙলে, কাজা আদায় করলেই যথেষ্ট হবে। শরিয়ত-সমর্থিত অপারগতা হলো, নারীদের ঋতুস্রাব ও প্রসব-পরবর্তী স্রাবকাল, সফর, রোজার কারণে প্রাণঘাতী রোগের আশঙ্কা, গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতির ভয়, বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা ইত্যাদি।
রমজানের কাজা রোজা যেকোনো মাসেই আদায় করা যায়। তবে যথাসাধ্য দ্রুত অর্থাৎ শাওয়ালে আদায় করে নেওয়াই উত্তম। কেননা, কাজা ইবাদত আদায়ে যত দেরি হয়, আলস্য ততই বাড়ে। অলসতা এক নিন্দিত অভ্যাস। আল্লাহ তাআলা মুনাফেকের আলামত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘এবং তারা নামাজে আসে অলস অবস্থায়’ (সুরা তাওবা: ৫৪)
রমজানের রোজা যেহেতু নামাজের মতোই ফরজ বিধান, তাই এ ক্ষেত্রেও অলসতা কাম্য নয়।
হজের প্রস্তুতি
শাওয়াল হজের মাসসমূহের একটি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘হজের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস রয়েছে।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আলেমগণ একমত, হজের মাস তিনটি। এর মধ্যে প্রথম মাস হলো শাওয়াল। তাই বলা যায়, শাওয়াল হজের প্রস্তুতি গ্রহণের মাস। ইতিহাসের পাতায় চোখ ফেরালেও আমরা দেখতে পাই, নবীজি (সা.) দশম হিজরির শাওয়াল মাসেই বিদায় হজের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এবং পরবর্তী মাস জিলকদে লক্ষাধিক সাহাবি নিয়ে মক্কার দিকে রওনা হয়েছেন। নবীজি (সা.)-এর ইন্তেকাল পরবর্তী যুগেও মুসলিমগণ এই ধারা জারি রেখেছেন।
বিয়ে
আমাদের সমাজে কেউ কেউ শাওয়াল মাসে বিয়ে করা অশুভ মনে করেন। জাহিলি যুগেও এমন একটি প্রথা ছিল। শুভ-অশুভ দিন দেখে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা ইসলামি বিশ্বাসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এই রীতি সম্পূর্ণ অজ্ঞতাপূর্ণ বিশ্বাস। এই ভ্রান্তি নিরসনের জন্য রাসুল (সা.) হজরত আয়েশা (রা.)-কে এ মাসে বিয়ে করেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) আমাকে শাওয়াল মাসেই বিয়ে করেছেন, শাওয়াল মাসেই বাসর করেছেন। তাঁর অনুগ্রহ লাভে আমার চেয়ে ভাগ্যবান স্ত্রী আর কে আছেন?’ (সহিহ্ মুসলিম: ৩৩৫২)
এ ছাড়া শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নত বা মোস্তাহাব হিসেবে একটি কথা প্রচলিত আছে, সেটিরও কোনো ভিত্তি নেই। এই মাসে বিয়ে করার আলাদা কোনো ফজিলত-মর্যাদার কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়নি। মহানবী (সা.)-এর বিয়েগুলো বছরের বিভিন্ন মাসে হয়েছে। শাওয়াল মাসে তিনি বিয়ে করেছিলেন জাহিলি যুগের কুসংস্কার ভাঙতে। ইসলামে নির্দিষ্ট কোনো মাস, দিন বা সময়ে বিয়ে করার কথা আসেনি। তাই বছরের যেকোনো সময়ে বিয়ে করাই সুন্নতসম্মত।
উল্লিখিত আমলগুলো ছাড়াও, ফরজ পালনের পাশাপাশি যেকোনো নফল আমলে নিমগ্ন হওয়া যেতে পারে শাওয়াল মাসে। যেমন— প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা, রোজকার নফল নামাজ, তাসবিহ-তাহলিল, দান-সদকা ইত্যাদি। এসব ব্যক্তিসংশ্লিষ্ট বিষয়। প্রত্যেকেরই উচিত ফরজ বিধান পালন শেষে অধিক পরিমাণে নফল ইবাদতে মনোনিবেশ করা। কারণ—নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্পসময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
শাওয়াল আরবি ক্যালেন্ডারের দশম মাস। এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে এ মাস শুরু হতেই মোমিনের হৃদয়ে বয়ে যায় সুখের ফল্গুধারা। রমজানের ক্লান্তি বিদূরিত হয়। মোমিন খুঁজে পায় উৎসবমুখর এক নয়া জীবন।
শাওয়াল মাস নফল ইবাদতের মোক্ষম সময়। কারণ, রমজানে তাকওয়ার যে বৃক্ষের শাখা-প্রশাখা বিস্তার হয় অন্তরে, শাওয়ালে তা থাকে সতেজ, সজীব। ফলে এ মাসের নফল ইবাদতে ইখলাসের গভীরতা থাকে অন্য মাসের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া রমজানে অর্জিত তাকওয়া শাণিত করে এ মাসের নফল ইবাদত। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এবং যখন তুমি (ফরজ ইবাদত থেকে) অবসর হবে। (নফল ইবাদতের মাধ্যমে) তোমার রবের দিকে মনোনিবেশ করো।’ (সুরা ইনশিরাহ: ০৮)
শাওয়ালের ছয় রোজা
শাওয়ালের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো—ছয় রোজা। নফল নামাজ যেমন ফরজ নামাজের ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণ। রমজানের ফরজ রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণও শাওয়ালের ছয় রোজা। রোজা ছয়টি রাখতে পারা বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার। তদুপরি রমজানের রোজা কবুল হওয়ারও আলামত বিশেষ। রাসুল (সা.) নিজে এই ছয় রোজা রাখতেন এবং সাহাবিদেরও নির্দেশ দিতেন। আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে রমজানের রোজা পূর্ণ করে, অতঃপর শাওয়ালের ছয় রোজা রাখে—সে যেন সারা বছর রোজা রাখল।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৬৪৮)
সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের রোজা দশ মাসের রোজার সমান। আর শাওয়ালের ছয় রোজা দুই মাসের রোজার সমান। সুতরাং এই হলো পূর্ণ এক বছরের রোজা।’ (সুনানে নাসায়ি: ২/১৬২)
আইয়ামে বিজের রোজা
শাওয়াল মাসে নফল ইবাদত হিসেবে আইয়ামে বিজের রোজাও রাখা যেতে পারে। আইয়ামে বিজ বলা হয় চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখকে। নবীজি (সা.) প্রতি মাসে এই তিন দিন রোজা রাখতেন। সাহাবিদেরও রাখার উপদেশ দিতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.)-কে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘হে আবদুল্লাহ, তোমার জন্য যথেষ্ট যে, তুমি প্রত্যেক মাসে তিন দিন রোজা রাখবে। কেননা নেক আমলের পরিবর্তে তোমার জন্য রয়েছে দশগুণ নেকি। এভাবে সারা বছরের রোজা (রাখার সওয়াব) হয়ে যায়।’ (সহিহ্ মুসলিম: ২৬১৯)
রমজানের কাজা রোজা
রমজানের রোজা প্রাপ্তবয়স্ক নরনারীর ওপর ফরজ। কেউ ইচ্ছাকৃত বা শরিয়ত-সমর্থিত কোনো কারণ ছাড়া রোজা ভাঙলে, তার ওপর কাফফারা আবশ্যক। এ বিধান স্বতঃসিদ্ধ। তবে কেউ শরিয়ত-সমর্থিত অপারগতায় রোজা ভাঙলে, কাজা আদায় করলেই যথেষ্ট হবে। শরিয়ত-সমর্থিত অপারগতা হলো, নারীদের ঋতুস্রাব ও প্রসব-পরবর্তী স্রাবকাল, সফর, রোজার কারণে প্রাণঘাতী রোগের আশঙ্কা, গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতির ভয়, বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা ইত্যাদি।
রমজানের কাজা রোজা যেকোনো মাসেই আদায় করা যায়। তবে যথাসাধ্য দ্রুত অর্থাৎ শাওয়ালে আদায় করে নেওয়াই উত্তম। কেননা, কাজা ইবাদত আদায়ে যত দেরি হয়, আলস্য ততই বাড়ে। অলসতা এক নিন্দিত অভ্যাস। আল্লাহ তাআলা মুনাফেকের আলামত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘এবং তারা নামাজে আসে অলস অবস্থায়’ (সুরা তাওবা: ৫৪)
রমজানের রোজা যেহেতু নামাজের মতোই ফরজ বিধান, তাই এ ক্ষেত্রেও অলসতা কাম্য নয়।
হজের প্রস্তুতি
শাওয়াল হজের মাসসমূহের একটি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘হজের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস রয়েছে।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আলেমগণ একমত, হজের মাস তিনটি। এর মধ্যে প্রথম মাস হলো শাওয়াল। তাই বলা যায়, শাওয়াল হজের প্রস্তুতি গ্রহণের মাস। ইতিহাসের পাতায় চোখ ফেরালেও আমরা দেখতে পাই, নবীজি (সা.) দশম হিজরির শাওয়াল মাসেই বিদায় হজের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এবং পরবর্তী মাস জিলকদে লক্ষাধিক সাহাবি নিয়ে মক্কার দিকে রওনা হয়েছেন। নবীজি (সা.)-এর ইন্তেকাল পরবর্তী যুগেও মুসলিমগণ এই ধারা জারি রেখেছেন।
বিয়ে
আমাদের সমাজে কেউ কেউ শাওয়াল মাসে বিয়ে করা অশুভ মনে করেন। জাহিলি যুগেও এমন একটি প্রথা ছিল। শুভ-অশুভ দিন দেখে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা ইসলামি বিশ্বাসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এই রীতি সম্পূর্ণ অজ্ঞতাপূর্ণ বিশ্বাস। এই ভ্রান্তি নিরসনের জন্য রাসুল (সা.) হজরত আয়েশা (রা.)-কে এ মাসে বিয়ে করেন। উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) আমাকে শাওয়াল মাসেই বিয়ে করেছেন, শাওয়াল মাসেই বাসর করেছেন। তাঁর অনুগ্রহ লাভে আমার চেয়ে ভাগ্যবান স্ত্রী আর কে আছেন?’ (সহিহ্ মুসলিম: ৩৩৫২)
এ ছাড়া শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নত বা মোস্তাহাব হিসেবে একটি কথা প্রচলিত আছে, সেটিরও কোনো ভিত্তি নেই। এই মাসে বিয়ে করার আলাদা কোনো ফজিলত-মর্যাদার কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়নি। মহানবী (সা.)-এর বিয়েগুলো বছরের বিভিন্ন মাসে হয়েছে। শাওয়াল মাসে তিনি বিয়ে করেছিলেন জাহিলি যুগের কুসংস্কার ভাঙতে। ইসলামে নির্দিষ্ট কোনো মাস, দিন বা সময়ে বিয়ে করার কথা আসেনি। তাই বছরের যেকোনো সময়ে বিয়ে করাই সুন্নতসম্মত।
উল্লিখিত আমলগুলো ছাড়াও, ফরজ পালনের পাশাপাশি যেকোনো নফল আমলে নিমগ্ন হওয়া যেতে পারে শাওয়াল মাসে। যেমন— প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা, রোজকার নফল নামাজ, তাসবিহ-তাহলিল, দান-সদকা ইত্যাদি। এসব ব্যক্তিসংশ্লিষ্ট বিষয়। প্রত্যেকেরই উচিত ফরজ বিধান পালন শেষে অধিক পরিমাণে নফল ইবাদতে মনোনিবেশ করা। কারণ—নফল হলো ফরজের ঘাটতি পূরণ। কেয়ামতের দিন অল্পসময়ের নফল আমলও হতে পারে নাজাতের মাধ্যম।
মসজিদুল আকসা ছিল মুসলমানদের একসময়ের কিবলা। ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহর আদেশে মসজিদুল আকসার দিকে ফিরে নামাজ আদায় করা হতো। কিন্তু হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা ছিল কাবার দিকে ফিরে নামাজ আদায়ের। তাই তিনি মক্কায় থাকাকালীন এমন সমান্তরালভাবে নামাজে দাঁড়াতেন—যেন কাবা ও মসজিদুল আকসা সামনে থাকে।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রতিটি নতুন বছর নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা ও নতুন কর্মপ্রেরণা নিয়ে আসে। ক্যালেন্ডারের পাতায় নতুন সংখ্যা যুক্ত হওয়া কেবল সময়ের পরিবর্তন নয়; এটি যেন আত্মশুদ্ধি, জীবন সংশোধন ও নতুনভাবে পথ চলার আহ্বান। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা হওয়া উচিত—নতুন বছরের সূচনা হোক ইমানের আলোয়, তাকওয়ার ছায়ায় এবং নেক
৯ ঘণ্টা আগেকাবাঘরের ৪০ বছর পর নির্মিত হয় মসজিদুল আকসা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সব নবীর যুগেই এই মসজিদের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। আল্লাহর নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে পৃথিবীতে ইসলামের আগমন ঘটে। ইসলামেও মসজিদুল আকসাকে রাখা হয় অনন্য উচ্চতায়। একসময় মুসলমানদের কিবলাও ছিল এই মসজিদ। ইসলামের ইতিহাসে দ্বিতীয় খলিফা হজরত
৯ ঘণ্টা আগেযুদ্ধ, মহামারি ও দুর্যোগের মতো পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ একসঙ্গে মারা গেলে তাদের গণকবর দেওয়া হয়। এ ছাড়া কখনো দেখা যায়, কবর পুরোনো হয়ে গেলে তা খনন করে ওই কবরেই নতুন লাশ দাফন করা হয়। এভাবে একাধিক লাশ এক কবরে দাফন করা এবং পুরোনো কবরের ওপর নতুন কবর দেওয়া জায়েজ আছে কি?
৯ ঘণ্টা আগে