আবদুল আযীয কাসেমি
রমজান মাসে রোজা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। যাদের ওপর রোজা রাখা ফরজ, তাদের জন্য উচিত, যথাযথ হক আদায় করে রোজা রাখার চেষ্টা করা। রোজা যেন কোনোভাবে মাকরুহ না হয়ে যায়—এ ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত। রমজান মাসে অন্য সব ব্যস্ততা ও ঝামেলা এড়িয়ে যত বেশি সম্ভব, নিজেকে ইবাদতে জড়িয়ে রাখা কাম্য। তবে কখনো-কখনো কিছু ব্যস্ততা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। বিশেষত নিজেদের পেশাগত কাজ রেখে পুরোপুরি আমলে মনোযোগী হওয়া সবার জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ জন্য রমজান মাসে অধীনস্থদের কাজ সহজ করে দিতে সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করা হয়েছে। ক্রীতদাসদের কাজের ভার কমিয়ে দেওয়ার জন্য আদেশ করেছিলেন মহানবী (সা.)।
এ রকম একটি অতি জরুরি কাজ হলো রান্নাবান্না। আমাদের ঘরে গৃহিণী মায়েরা ও বধূরা সাধারণত রান্নাবান্নার কাজে জড়িত থাকেন। তেমনি বিভিন্ন হোটেল–রেস্তোরাঁগুলোতেও বাবুর্চিদের রান্নাবান্নার কাজে নিয়োজিত থাকতে হয়। রান্নাবান্না করতে গিয়ে প্রায়ই খাবার চেখে দেখার প্রয়োজন পড়ে। কেননা অনেক হোটেল মালিক ও ম্যানেজার শুধু রান্নাবান্নার জন্য বাবুর্চিদের সঙ্গে এবং অনেক রূঢ় স্বভাবের স্বামীরা স্ত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে থাকেন। ফলে তাঁরা বাধ্য হয়েই এ কাজটি করে থাকেন। মনে রাখতে হবে, এ বিষয়ে সব আলেমই একমত যে, রোজা রেখে বিনা প্রয়োজনে খাবার চেখে দেখা মাকরুহ। এখন প্রশ্ন হলো, প্রয়োজনে খাবার চেখে দেখা যাবে কিনা? গেলেও তার পদ্ধতি কী হবে?
বিশিষ্ট তাবেয়ি হজরত মাসরুক বলেন, আমি ও এক ব্যক্তি হজরত আয়েশা (রা.)–এর কাছে এলাম। সেদিন ছিল আরাফাহর দিন। তিনি আমাদের জন্য কোনো পানীয় আনতে নির্দেশ দিলেন। নির্দেশ পালন করা হলো। গ্লাস আমাদের সামনে রেখে তিনি বললেন, ‘আমি যদি রোজাদার না হতাম, তাহলে অবশ্যই এটির স্বাদ চেখে দেখতাম।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৯২৮২)
এখান থেকে বোঝা গেল, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই এ কাজটি করা যাবে না।
প্রয়োজনের সময় রোজা অবস্থায়ও খাবার চেখে দেখা বৈধ। এ প্রসঙ্গে সাহাবিদের একাধিক বক্তব্য পাওয়া যায়। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, ‘পাতিলের খাবার বা কোনো কিছু চেখে দেখতে অসুবিধা নেই।’ (বুখারি)
আতা ইবনে আবি রাবাহ হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)–এর বক্তব্য উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘রোজা অবস্থায় সিরকা বা এ জাতীয় কিছু চেখে দেখতে কোনো অসুবিধা নেই। যতক্ষণ না সেটা তাঁর গলায় প্রবেশ করে।’ (মুসান্নাফে ইবনু আবি শাইবা: ৯২৭২)
এখান থেকে মূল বিষয়টা আমরা ধরতে পারি। সেটা হলো, রোজা ভাঙার আসল কারণ হলো গলা কিংবা অন্য কোনো পথে খাদ্য বা পানীয় পেটে প্রবেশ করা। সেটা যেভাবেই হোক না কেন, রোজা ভেঙে যাবে। যেহেতু আস্বাদন করার ক্ষেত্রে পেটে কিছু প্রবেশ করে না, তাই রোজারও কোনো অসুবিধা হবে না।
হিশাম হাসান বসরি থেকে বর্ণনা করেছেন, হাসান বলেন, ‘রোজা অবস্থায় মধু বা ঘি জাতীয় কিছু চেখে দেখতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে সঙ্গে সঙ্গে কুলি করে মুখ পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।’ (মুসান্নাফে ইবনু আবি শাইবা: ৯২৭৯)
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন, ‘খাবার চেখে দেখা বর্জন করাটাই আমার মতে অধিক উত্তম। তবে চেখে দেখলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।’ (আল মুগনি: ৪ / ৩৫৯)
রমজান মাসে রোজা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। যাদের ওপর রোজা রাখা ফরজ, তাদের জন্য উচিত, যথাযথ হক আদায় করে রোজা রাখার চেষ্টা করা। রোজা যেন কোনোভাবে মাকরুহ না হয়ে যায়—এ ব্যাপারে সচেতন থাকা উচিত। রমজান মাসে অন্য সব ব্যস্ততা ও ঝামেলা এড়িয়ে যত বেশি সম্ভব, নিজেকে ইবাদতে জড়িয়ে রাখা কাম্য। তবে কখনো-কখনো কিছু ব্যস্ততা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। বিশেষত নিজেদের পেশাগত কাজ রেখে পুরোপুরি আমলে মনোযোগী হওয়া সবার জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ জন্য রমজান মাসে অধীনস্থদের কাজ সহজ করে দিতে সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করা হয়েছে। ক্রীতদাসদের কাজের ভার কমিয়ে দেওয়ার জন্য আদেশ করেছিলেন মহানবী (সা.)।
এ রকম একটি অতি জরুরি কাজ হলো রান্নাবান্না। আমাদের ঘরে গৃহিণী মায়েরা ও বধূরা সাধারণত রান্নাবান্নার কাজে জড়িত থাকেন। তেমনি বিভিন্ন হোটেল–রেস্তোরাঁগুলোতেও বাবুর্চিদের রান্নাবান্নার কাজে নিয়োজিত থাকতে হয়। রান্নাবান্না করতে গিয়ে প্রায়ই খাবার চেখে দেখার প্রয়োজন পড়ে। কেননা অনেক হোটেল মালিক ও ম্যানেজার শুধু রান্নাবান্নার জন্য বাবুর্চিদের সঙ্গে এবং অনেক রূঢ় স্বভাবের স্বামীরা স্ত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে থাকেন। ফলে তাঁরা বাধ্য হয়েই এ কাজটি করে থাকেন। মনে রাখতে হবে, এ বিষয়ে সব আলেমই একমত যে, রোজা রেখে বিনা প্রয়োজনে খাবার চেখে দেখা মাকরুহ। এখন প্রশ্ন হলো, প্রয়োজনে খাবার চেখে দেখা যাবে কিনা? গেলেও তার পদ্ধতি কী হবে?
বিশিষ্ট তাবেয়ি হজরত মাসরুক বলেন, আমি ও এক ব্যক্তি হজরত আয়েশা (রা.)–এর কাছে এলাম। সেদিন ছিল আরাফাহর দিন। তিনি আমাদের জন্য কোনো পানীয় আনতে নির্দেশ দিলেন। নির্দেশ পালন করা হলো। গ্লাস আমাদের সামনে রেখে তিনি বললেন, ‘আমি যদি রোজাদার না হতাম, তাহলে অবশ্যই এটির স্বাদ চেখে দেখতাম।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৯২৮২)
এখান থেকে বোঝা গেল, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই এ কাজটি করা যাবে না।
প্রয়োজনের সময় রোজা অবস্থায়ও খাবার চেখে দেখা বৈধ। এ প্রসঙ্গে সাহাবিদের একাধিক বক্তব্য পাওয়া যায়। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, ‘পাতিলের খাবার বা কোনো কিছু চেখে দেখতে অসুবিধা নেই।’ (বুখারি)
আতা ইবনে আবি রাবাহ হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)–এর বক্তব্য উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘রোজা অবস্থায় সিরকা বা এ জাতীয় কিছু চেখে দেখতে কোনো অসুবিধা নেই। যতক্ষণ না সেটা তাঁর গলায় প্রবেশ করে।’ (মুসান্নাফে ইবনু আবি শাইবা: ৯২৭২)
এখান থেকে মূল বিষয়টা আমরা ধরতে পারি। সেটা হলো, রোজা ভাঙার আসল কারণ হলো গলা কিংবা অন্য কোনো পথে খাদ্য বা পানীয় পেটে প্রবেশ করা। সেটা যেভাবেই হোক না কেন, রোজা ভেঙে যাবে। যেহেতু আস্বাদন করার ক্ষেত্রে পেটে কিছু প্রবেশ করে না, তাই রোজারও কোনো অসুবিধা হবে না।
হিশাম হাসান বসরি থেকে বর্ণনা করেছেন, হাসান বলেন, ‘রোজা অবস্থায় মধু বা ঘি জাতীয় কিছু চেখে দেখতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে সঙ্গে সঙ্গে কুলি করে মুখ পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।’ (মুসান্নাফে ইবনু আবি শাইবা: ৯২৭৯)
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল বলেন, ‘খাবার চেখে দেখা বর্জন করাটাই আমার মতে অধিক উত্তম। তবে চেখে দেখলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।’ (আল মুগনি: ৪ / ৩৫৯)
স্নেহ, ভালোবাসা ও কোমলতা—এই গুণগুলো সমাজকে মানবিক ও শান্তিময় করে তোলে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন এই মানবিক গুণাবলির জীবন্ত আদর্শ। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি তাঁর স্নেহ-মমতা ছিল অতুলনীয়।
১ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআন মানবজাতির জন্য আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার। কোরআনের স্পর্শ ছাড়া মানবজনম অর্থহীন। কোরআন সফলতার মৌলিক পাথেয়। কোরআন সঠিক পথের দিশারি। হাজার বছর ধরে কোরআন এর দেখানো বিমল পথে অটল থেকে সফলতার মানজিলে পৌঁছে গিয়েছে অসংখ্য মানুষ। কোরআনের এই স্নিগ্ধ অফুরন্ত ঝরণাধারা সবার জন্যই অবারিত।
১৫ ঘণ্টা আগেআমাদের এই আধুনিক সমাজ থেকে সভ্যতা, নৈতিকতা ও আদর্শ দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে, বিলুপ্ত হচ্ছে। এই প্রজন্মের কাছে—ছোট ও বড়র মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। নেই বড়দের সম্মান আর ছোটদের স্নেহ। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহের বিষয়ে অনেক গুরুত্ব করেছেন। হাদিসে এসেছে, ‘যে আমাদের ছোটদের স্নেহ করে...
১৮ ঘণ্টা আগেজানাজার নামাজ ফরজে কিফায়া। অর্থাৎ কোনো মুসলমান মারা গেলে মহল্লার অল্পসংখ্যক লোক জানাজার নামাজ আদায় করলে বাকিরা দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাবে। এ ছাড়া একজন মুসলমানের ওপর অন্য মুসলমানের পাঁচটি হক আছে। এর মধ্যে মৃত ব্যক্তির জানাজায় অংশ নেওয়াও একটি হক।
১৯ ঘণ্টা আগে