নাঈমুল হাসান তানযীম
একজন প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় তার আচার-আচরণে প্রকাশ পায়। মুসলমানের অন্যতম গুণ হচ্ছে—সে হবে শান্তিপ্রিয়, অপরের হিতকামী। কখনও তার হাত মুখ দ্বারা কেউ কষ্ট পাবে না। বরং নিরুপদ্রবে জীবনযাপন করবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রকৃত মুসলমান সে-ই, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদে থাকে। আর প্রকৃত মুহাজির (দ্বীন বাঁচানোর উদ্দেশ্যে স্বদেশ ত্যাগকারী) সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর নিষিদ্ধ কর্মসমূহ ত্যাগ করে। (সহিহ্ বুখারি: ৬৪৮৪)
আর যারা অন্যের কষ্টের কারণ হয়, শুধু শুধু অকারণে যারা মানুষকে কষ্ট দেয়—তাদের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা বিনা অপরাধে বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদের কষ্ট দেয়—তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে।’ (সুরা আহজাব: ৫৮)
কারও ক্ষতি করার মাধ্যমে তাকে কষ্ট দেওয়া জঘন্য অপরাধ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কারো জন্য অপরের কোনো প্রকার ক্ষতি করা বৈধ নয়। কোনো দুজনের জন্য প্রতিশোধমূলক পরস্পরকে ক্ষতিগ্রস্ত করাও বৈধ নয়। (মুসনাদে আহমাদ: ২৮৬৫)
মানুষকে কষ্ট দেওয়ার শাস্তি কেমন হবে—তা বলে দিয়েছেন রাসুল (সা.)। খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মানুষকে সবচেয়ে বেশি শাস্তি বা কষ্ট দেয়, কিয়ামতের দিন সে সবচেয়ে বেশি শাস্তি ভোগ করবে। (শুআবুল ইমান, বাইহাকি: ৫৩৫৬)
মানুষকে কষ্ট দেওয়ার শাস্তি কেমন হবে—তা বলে দিয়েছেন রাসুল (সা.)। খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মানুষকে সবচেয়ে বেশি শাস্তি বা কষ্ট দেয়, কিয়ামতের দিন সে সবচেয়ে বেশি শাস্তি ভোগ করবে। (শুআবুল ইমান, বাইহাকি: ৫৩৫৬)
তাই একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো, অপরের কষ্টের কারণ হওয়া থেকে নিজেকে সংযত রাখা। বিশেষ করে যদি আমরা হাত ও মুখকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি, তাহলে তা আমাদের জন্য অধিক সহজতর হবে। কারণ, এই দুই অঙ্গের মাধ্যমেই মানুষ অন্যকে বেশি কষ্ট দিয়ে থাকে।
একজন প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় তার আচার-আচরণে প্রকাশ পায়। মুসলমানের অন্যতম গুণ হচ্ছে—সে হবে শান্তিপ্রিয়, অপরের হিতকামী। কখনও তার হাত মুখ দ্বারা কেউ কষ্ট পাবে না। বরং নিরুপদ্রবে জীবনযাপন করবে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘প্রকৃত মুসলমান সে-ই, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদে থাকে। আর প্রকৃত মুহাজির (দ্বীন বাঁচানোর উদ্দেশ্যে স্বদেশ ত্যাগকারী) সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর নিষিদ্ধ কর্মসমূহ ত্যাগ করে। (সহিহ্ বুখারি: ৬৪৮৪)
আর যারা অন্যের কষ্টের কারণ হয়, শুধু শুধু অকারণে যারা মানুষকে কষ্ট দেয়—তাদের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা বিনা অপরাধে বিশ্বাসী পুরুষ ও নারীদের কষ্ট দেয়—তারা অবশ্যই মিথ্যা অপবাদ এবং স্পষ্ট অপরাধের বোঝা বহন করে।’ (সুরা আহজাব: ৫৮)
কারও ক্ষতি করার মাধ্যমে তাকে কষ্ট দেওয়া জঘন্য অপরাধ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কারো জন্য অপরের কোনো প্রকার ক্ষতি করা বৈধ নয়। কোনো দুজনের জন্য প্রতিশোধমূলক পরস্পরকে ক্ষতিগ্রস্ত করাও বৈধ নয়। (মুসনাদে আহমাদ: ২৮৬৫)
মানুষকে কষ্ট দেওয়ার শাস্তি কেমন হবে—তা বলে দিয়েছেন রাসুল (সা.)। খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মানুষকে সবচেয়ে বেশি শাস্তি বা কষ্ট দেয়, কিয়ামতের দিন সে সবচেয়ে বেশি শাস্তি ভোগ করবে। (শুআবুল ইমান, বাইহাকি: ৫৩৫৬)
মানুষকে কষ্ট দেওয়ার শাস্তি কেমন হবে—তা বলে দিয়েছেন রাসুল (সা.)। খালেদ বিন ওয়ালিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মানুষকে সবচেয়ে বেশি শাস্তি বা কষ্ট দেয়, কিয়ামতের দিন সে সবচেয়ে বেশি শাস্তি ভোগ করবে। (শুআবুল ইমান, বাইহাকি: ৫৩৫৬)
তাই একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো, অপরের কষ্টের কারণ হওয়া থেকে নিজেকে সংযত রাখা। বিশেষ করে যদি আমরা হাত ও মুখকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি, তাহলে তা আমাদের জন্য অধিক সহজতর হবে। কারণ, এই দুই অঙ্গের মাধ্যমেই মানুষ অন্যকে বেশি কষ্ট দিয়ে থাকে।
নামাজ ইসলামের অনন্য বিধান। পাশাপাশি এটি এমন এক অনুশীলন, যা মানুষের শরীর, মন আর আত্মাকে একসঙ্গে সুস্থ রাখে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)। এই আয়াত যেমন নৈতিকতার শিক্ষা দেয়, তেমনি এর মধ্যে লুকিয়ে আছে শারীরিক ও মানসিক কল্যাণের...
১ ঘণ্টা আগেমানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
নামাজ ইসলামের অনন্য বিধান। পাশাপাশি এটি এমন এক অনুশীলন, যা মানুষের শরীর, মন আর আত্মাকে একসঙ্গে সুস্থ রাখে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)। এই আয়াত যেমন নৈতিকতার শিক্ষা দেয়, তেমনি এর মধ্যে লুকিয়ে আছে শারীরিক ও মানসিক কল্যাণের গভীর ইঙ্গিত।
শরীরচর্চার স্বাভাবিক রূপ: নামাজের সময় দাঁড়ানো, রুকু, সিজদা, বসা—প্রতিটি ভঙ্গিই যেন শরীরচর্চার একটি স্বাভাবিক ধারা। এতে শরীরের প্রায় সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালিত হয়। রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, পেশি ও জয়েন্ট সচল থাকে। মেরুদণ্ড সোজা রাখার অভ্যাসও গড়ে ওঠে। প্রতিদিন পাঁচবার এই অনুশীলন শরীরকে রাখে ফিট, ক্লান্তি দূর করে, মনেও আনে হালকা প্রশান্তি।
রক্ত সঞ্চালন ও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা: রুকুর সময় কোমর ও পিঠের অংশে রক্তপ্রবাহ সঠিকভাবে হয়। এতে হাড়ের জোড়াগুলো নমনীয় থাকে। সিজদার সময় মাথা নত করে রাখলে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়—এই সময়ে মস্তিষ্ক যেন নতুন শক্তি পায়। ফলে স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ হয়, মনোযোগ বাড়ে, কাজের দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়লে মন হয় সতেজ ও শান্ত।
শ্বাসযন্ত্র ও অন্তঃস্রাব ব্যবস্থার উন্নতি: নামাজের প্রতিটি ভঙ্গি শ্বাসপ্রশ্বাসকে নিয়ন্ত্রিত রাখে। ফলে ফুসফুস ভালোভাবে কাজ করে, শরীরে অক্সিজেনের গ্রহণ বাড়ে। রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে। এই নিয়ন্ত্রিত ছন্দে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ, বিশেষ করে পাচনতন্ত্র ও অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি সুসমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে।
দেহভঙ্গির ভারসাম্য রক্ষা: নামাজ নিয়মিত আদায় করলে দেহভঙ্গি ঠিক থাকে। রুকু ও সিজদার পুনরাবৃত্তিতে পিঠ ও ঘাড়ের স্নায়ু সচল হয়। কিন্তু যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করেন বা কম নড়াচড়া করেন, তাঁদের শরীর ধীরে ধীরে জড় হয়ে পড়ে। ফলে পেশি টান হারায়, মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বাঁক নষ্ট হয়। এতে শরীরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে অসুস্থতার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
নিদ্রার মান উন্নয়ন: রাতে এশার নামাজের পর যে প্রশান্তি তৈরি হয়, তা ঘুমের জন্য উপকারী। মন স্থির হয়, শরীর শান্ত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, সিজদা ও ধ্যানমগ্ন অবস্থায় মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা ঘুমকে গভীর করে, উদ্বেগও কমায়।
অজু-পরিচ্ছন্নতা ও জীবনীশক্তির প্রতীক: অজু কেবল ইবাদতের প্রস্তুতি নয়, এটি পরিচ্ছন্নতারও অংশ। দিনে একাধিকবার মুখ, হাত, পা ধোয়ার ফলে শরীর থাকে সতেজ, রক্ত সঞ্চালন হয় স্বাভাবিক। জীবাণু ধুয়ে যায়, ত্বক হয় মসৃণ, মুখে আসে উজ্জ্বলতা। সবচেয়ে বড় কথা, এতে জাগে এক অন্তর্গত পবিত্রতার অনুভব। নবী করিম (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন অজু করা ব্যক্তিদের মুখমণ্ডল আলোকিত থাকবে, এটাই তার আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য।
মানসিক প্রশান্তি ও আত্মিক সংযোগ: নামাজে যখন মানুষ সকল চিন্তা ফেলে সিজদায় মাথা রাখে, তখন সে নিজের অস্তিত্বকে মহান স্রষ্টার হাতে সমর্পণ করে। এই আত্মসমর্পণ থেকেই জন্ম নেয় প্রশান্তি, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধৈর্যের সঙ্গে সাহায্য প্রার্থনা করো নামাজের মাধ্যমে।’ (সুরা বাকারা: ৪৫)। এই ধৈর্য ও মনোযোগ মানুষকে মানসিক দৃঢ়তা দেয়, তাকে রাখে ইতিবাচক পথে।
নামাজ আসলে শরীরচর্চা, ধ্যান ও আত্মার সংযোগ—এই তিনের অনন্য সমন্বয়। নামাজ দেহে আনে প্রাণশক্তি, মনে আনে প্রশান্তি, আত্মায় জাগায় আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা। তবে মনে রাখা দরকার, নামাজ মূলত ইবাদত, ব্যায়াম তার অনুষঙ্গ মাত্র। উদ্দেশ্য শুধু শারীরিক ফিটনেস নয়, বরং আল্লাহর আদেশ পালন ও তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন।
যে ব্যক্তি মনোযোগ ও নিয়মিতভাবে নামাজ আদায় করেন, সে প্রকৃত অর্থেই পায় শরীরের সুস্থতা, মনের শান্তি আর আত্মার মুক্তি।
লেখক: আসাদুজ্জামান খান মুকুল, শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক
নামাজ ইসলামের অনন্য বিধান। পাশাপাশি এটি এমন এক অনুশীলন, যা মানুষের শরীর, মন আর আত্মাকে একসঙ্গে সুস্থ রাখে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)। এই আয়াত যেমন নৈতিকতার শিক্ষা দেয়, তেমনি এর মধ্যে লুকিয়ে আছে শারীরিক ও মানসিক কল্যাণের গভীর ইঙ্গিত।
শরীরচর্চার স্বাভাবিক রূপ: নামাজের সময় দাঁড়ানো, রুকু, সিজদা, বসা—প্রতিটি ভঙ্গিই যেন শরীরচর্চার একটি স্বাভাবিক ধারা। এতে শরীরের প্রায় সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালিত হয়। রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, পেশি ও জয়েন্ট সচল থাকে। মেরুদণ্ড সোজা রাখার অভ্যাসও গড়ে ওঠে। প্রতিদিন পাঁচবার এই অনুশীলন শরীরকে রাখে ফিট, ক্লান্তি দূর করে, মনেও আনে হালকা প্রশান্তি।
রক্ত সঞ্চালন ও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা: রুকুর সময় কোমর ও পিঠের অংশে রক্তপ্রবাহ সঠিকভাবে হয়। এতে হাড়ের জোড়াগুলো নমনীয় থাকে। সিজদার সময় মাথা নত করে রাখলে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়—এই সময়ে মস্তিষ্ক যেন নতুন শক্তি পায়। ফলে স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ হয়, মনোযোগ বাড়ে, কাজের দক্ষতাও বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়লে মন হয় সতেজ ও শান্ত।
শ্বাসযন্ত্র ও অন্তঃস্রাব ব্যবস্থার উন্নতি: নামাজের প্রতিটি ভঙ্গি শ্বাসপ্রশ্বাসকে নিয়ন্ত্রিত রাখে। ফলে ফুসফুস ভালোভাবে কাজ করে, শরীরে অক্সিজেনের গ্রহণ বাড়ে। রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে। এই নিয়ন্ত্রিত ছন্দে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ, বিশেষ করে পাচনতন্ত্র ও অন্তঃস্রাবী গ্রন্থি সুসমন্বিতভাবে কাজ করতে পারে।
দেহভঙ্গির ভারসাম্য রক্ষা: নামাজ নিয়মিত আদায় করলে দেহভঙ্গি ঠিক থাকে। রুকু ও সিজদার পুনরাবৃত্তিতে পিঠ ও ঘাড়ের স্নায়ু সচল হয়। কিন্তু যারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করেন বা কম নড়াচড়া করেন, তাঁদের শরীর ধীরে ধীরে জড় হয়ে পড়ে। ফলে পেশি টান হারায়, মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বাঁক নষ্ট হয়। এতে শরীরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে অসুস্থতার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
নিদ্রার মান উন্নয়ন: রাতে এশার নামাজের পর যে প্রশান্তি তৈরি হয়, তা ঘুমের জন্য উপকারী। মন স্থির হয়, শরীর শান্ত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, সিজদা ও ধ্যানমগ্ন অবস্থায় মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা ঘুমকে গভীর করে, উদ্বেগও কমায়।
অজু-পরিচ্ছন্নতা ও জীবনীশক্তির প্রতীক: অজু কেবল ইবাদতের প্রস্তুতি নয়, এটি পরিচ্ছন্নতারও অংশ। দিনে একাধিকবার মুখ, হাত, পা ধোয়ার ফলে শরীর থাকে সতেজ, রক্ত সঞ্চালন হয় স্বাভাবিক। জীবাণু ধুয়ে যায়, ত্বক হয় মসৃণ, মুখে আসে উজ্জ্বলতা। সবচেয়ে বড় কথা, এতে জাগে এক অন্তর্গত পবিত্রতার অনুভব। নবী করিম (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন অজু করা ব্যক্তিদের মুখমণ্ডল আলোকিত থাকবে, এটাই তার আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য।
মানসিক প্রশান্তি ও আত্মিক সংযোগ: নামাজে যখন মানুষ সকল চিন্তা ফেলে সিজদায় মাথা রাখে, তখন সে নিজের অস্তিত্বকে মহান স্রষ্টার হাতে সমর্পণ করে। এই আত্মসমর্পণ থেকেই জন্ম নেয় প্রশান্তি, আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘ধৈর্যের সঙ্গে সাহায্য প্রার্থনা করো নামাজের মাধ্যমে।’ (সুরা বাকারা: ৪৫)। এই ধৈর্য ও মনোযোগ মানুষকে মানসিক দৃঢ়তা দেয়, তাকে রাখে ইতিবাচক পথে।
নামাজ আসলে শরীরচর্চা, ধ্যান ও আত্মার সংযোগ—এই তিনের অনন্য সমন্বয়। নামাজ দেহে আনে প্রাণশক্তি, মনে আনে প্রশান্তি, আত্মায় জাগায় আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা। তবে মনে রাখা দরকার, নামাজ মূলত ইবাদত, ব্যায়াম তার অনুষঙ্গ মাত্র। উদ্দেশ্য শুধু শারীরিক ফিটনেস নয়, বরং আল্লাহর আদেশ পালন ও তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন।
যে ব্যক্তি মনোযোগ ও নিয়মিতভাবে নামাজ আদায় করেন, সে প্রকৃত অর্থেই পায় শরীরের সুস্থতা, মনের শান্তি আর আত্মার মুক্তি।
লেখক: আসাদুজ্জামান খান মুকুল, শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক
একজন প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় তার আচার-আচরণে প্রকাশ পায়। মুসলমানের অন্যতম গুণ হচ্ছে—সে হবে শান্তিপ্রিয়, অপরের হিতকামী। কখনও তার হাত মুখ দ্বারা কেউ কষ্ট পাবে না। বরং নিরুপদ্রবে জীবনযাপন করবে।
২৫ মে ২০২৫মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগেফয়জুল্লাহ রিয়াদ
মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইমানদার পুরুষদের কেবল ভরণপোষণের দায়িত্ব দেননি, বরং নারীদের সঙ্গে হৃদ্যতা, স্নেহ ও সম্মানের আচরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহারকে উত্তম চরিত্রের নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আর আমি আমার পরিবারের কাছে তোমাদের সবার চেয়ে উত্তম।’ (জামে তিরমিজি)
ইসলাম আগমনের পূর্বে নারীদের কোনো মর্যাদা ছিল না। আরব সমাজে কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়ার কুপ্রথা ছিল। সেই অন্ধকার যুগে ইসলাম নারীদের দিয়েছে সম্মান, অধিকার ও নিরাপত্তা। শিক্ষা, উত্তরাধিকার, বিয়ে ও মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রেও ইসলাম নারীর যথাযোগ্য অধিকার নিশ্চিত করেছে।
হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীদের কাচের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কাচ যেমন ভঙ্গুর, তেমনি নারীর মনও কোমল; ভালোবাসা ও যত্নেই তারা টিকে থাকে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তুমি যদি তা সোজা করতে চাও, তা ভেঙে যাবে; আর যদি ছেড়ে দাও, বাঁকাই থাকবে। তাই তাদের সদুপদেশ দাও।’ (সহিহ বুখারি)
একজন পুরুষের উচিত নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় কোমল ভাষা ব্যবহার করা, পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া এবং তাকে মানসিক প্রশান্তি দেওয়া। কারণ পরিবারে ভালোবাসা ও স্থিতি আসে পারস্পরিক সম্মান ও উত্তম আচরণের মাধ্যমে। স্ত্রীকে জীবনের সহযাত্রী হিসেবে দেখা এবং তার সঙ্গে উত্তম আচরণ করাই ইমানদারের বৈশিষ্ট্য।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
মানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
এই আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইমানদার পুরুষদের কেবল ভরণপোষণের দায়িত্ব দেননি, বরং নারীদের সঙ্গে হৃদ্যতা, স্নেহ ও সম্মানের আচরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। মহানবী (সা.) নারীদের প্রতি সদ্ব্যবহারকে উত্তম চরিত্রের নিদর্শন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই উত্তম, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আর আমি আমার পরিবারের কাছে তোমাদের সবার চেয়ে উত্তম।’ (জামে তিরমিজি)
ইসলাম আগমনের পূর্বে নারীদের কোনো মর্যাদা ছিল না। আরব সমাজে কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দেওয়ার কুপ্রথা ছিল। সেই অন্ধকার যুগে ইসলাম নারীদের দিয়েছে সম্মান, অধিকার ও নিরাপত্তা। শিক্ষা, উত্তরাধিকার, বিয়ে ও মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রেও ইসলাম নারীর যথাযোগ্য অধিকার নিশ্চিত করেছে।
হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) নারীদের কাচের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কাচ যেমন ভঙ্গুর, তেমনি নারীর মনও কোমল; ভালোবাসা ও যত্নেই তারা টিকে থাকে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তুমি যদি তা সোজা করতে চাও, তা ভেঙে যাবে; আর যদি ছেড়ে দাও, বাঁকাই থাকবে। তাই তাদের সদুপদেশ দাও।’ (সহিহ বুখারি)
একজন পুরুষের উচিত নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় কোমল ভাষা ব্যবহার করা, পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া এবং তাকে মানসিক প্রশান্তি দেওয়া। কারণ পরিবারে ভালোবাসা ও স্থিতি আসে পারস্পরিক সম্মান ও উত্তম আচরণের মাধ্যমে। স্ত্রীকে জীবনের সহযাত্রী হিসেবে দেখা এবং তার সঙ্গে উত্তম আচরণ করাই ইমানদারের বৈশিষ্ট্য।
লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।
একজন প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় তার আচার-আচরণে প্রকাশ পায়। মুসলমানের অন্যতম গুণ হচ্ছে—সে হবে শান্তিপ্রিয়, অপরের হিতকামী। কখনও তার হাত মুখ দ্বারা কেউ কষ্ট পাবে না। বরং নিরুপদ্রবে জীবনযাপন করবে।
২৫ মে ২০২৫নামাজ ইসলামের অনন্য বিধান। পাশাপাশি এটি এমন এক অনুশীলন, যা মানুষের শরীর, মন আর আত্মাকে একসঙ্গে সুস্থ রাখে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)। এই আয়াত যেমন নৈতিকতার শিক্ষা দেয়, তেমনি এর মধ্যে লুকিয়ে আছে শারীরিক ও মানসিক কল্যাণের...
১ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৮ মিনিট |
আসর | ০৩: ৪৯ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ৩০ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
---|---|---|
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪২ মিনিট |
ফজর | ০৪: ৪৩ মিনিট | ০৫: ৫৮ মিনিট |
জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৪৮ মিনিট |
আসর | ০৩: ৪৯ মিনিট | ০৫: ২৫ মিনিট |
মাগরিব | ০৫: ২৭ মিনিট | ০৬: ৪১ মিনিট |
এশা | ০৬: ৪২ মিনিট | ০৪: ৪২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।
একজন প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় তার আচার-আচরণে প্রকাশ পায়। মুসলমানের অন্যতম গুণ হচ্ছে—সে হবে শান্তিপ্রিয়, অপরের হিতকামী। কখনও তার হাত মুখ দ্বারা কেউ কষ্ট পাবে না। বরং নিরুপদ্রবে জীবনযাপন করবে।
২৫ মে ২০২৫নামাজ ইসলামের অনন্য বিধান। পাশাপাশি এটি এমন এক অনুশীলন, যা মানুষের শরীর, মন আর আত্মাকে একসঙ্গে সুস্থ রাখে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)। এই আয়াত যেমন নৈতিকতার শিক্ষা দেয়, তেমনি এর মধ্যে লুকিয়ে আছে শারীরিক ও মানসিক কল্যাণের...
১ ঘণ্টা আগেমানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
৯ ঘণ্টা আগেএকটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
১ দিন আগেশাব্বির আহমদ
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে, এমনকি রাস্তায় চলাচল এবং এর ব্যবস্থাপনায়ও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। ইসলাম নিরাপদ সড়ক ও জনপথ গড়ে তোলাকে যেমন রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে দেখে, আবার এটিকে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হিসেবেও চিহ্নিত করে।
নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলাকে নবী (সা.) ইমানের শাখা বলে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে...। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি)।
এমনকি রাস্তা থেকে কাঁটা, ময়লা বা প্রতিবন্ধকতা সরানোকে ইসলামে সদকা বা দান হিসেবে গণ্য করা হয়েছে; যা পরকালে একজন মুমিনের ক্ষমা ও জান্নাত পাওয়ার অসিলা হতে পারে। এ ছাড়া সড়ক দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা এবং যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ইসলামে সুস্পষ্ট জুলুম ও গুনাহের কাজ।
ইসলাম ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সুষ্ঠু যান চলাচল নিশ্চিত করাকে বিশেষ সওয়াব লাভের উপায় হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়ে তুলতে ট্রাফিক পুলিশ, চালক ও সাধারণ নাগরিক—সবারই দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
চালকদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে—বেপরোয়া গতি, অদক্ষতা বা অসতর্কতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটানো গুরুতর অপরাধ। আর ইচ্ছাকৃত বা স্বেচ্ছায় হত্যাকাণ্ডের পরিণাম যেমন জাহান্নাম, তেমনি অসতর্কতাবশত কাউকে হত্যা করলে সে জন্যও কঠিন শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ইসলামে।
সাধারণ নাগরিকদের কর্তব্য হলো চলাচলের সময় রাস্তার প্রধান হকগুলো মেনে চলা। যেমন, দৃষ্টি সংযত রাখা, কাউকে কষ্ট না দেওয়া, নিজে সালাম দেওয়া, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া, অন্ধ, বৃদ্ধ, শিশু বা বিপদে পড়া ব্যক্তিকে সাহায্য করা।
আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের উচিত সড়ক নিরাপদ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা, অযথা কাউকে হয়রানি না করা, অসদুপায় গ্রহণের সুযোগ কাউকে না দেওয়া, নিজেও গ্রহণ না করা, আইনের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত করা।
একজন প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় তার আচার-আচরণে প্রকাশ পায়। মুসলমানের অন্যতম গুণ হচ্ছে—সে হবে শান্তিপ্রিয়, অপরের হিতকামী। কখনও তার হাত মুখ দ্বারা কেউ কষ্ট পাবে না। বরং নিরুপদ্রবে জীবনযাপন করবে।
২৫ মে ২০২৫নামাজ ইসলামের অনন্য বিধান। পাশাপাশি এটি এমন এক অনুশীলন, যা মানুষের শরীর, মন আর আত্মাকে একসঙ্গে সুস্থ রাখে। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)। এই আয়াত যেমন নৈতিকতার শিক্ষা দেয়, তেমনি এর মধ্যে লুকিয়ে আছে শারীরিক ও মানসিক কল্যাণের...
১ ঘণ্টা আগেমানবসমাজের অর্ধেক অংশ হলো নারী। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কন্যা, বোন, স্ত্রী ও মা হিসেবে নারীরা মানুষের জীবনে অপরিসীম প্রভাব রাখে। তাই তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা তাদের (নারীদের) সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে জীবনযাপন করো।’ (সুরা নিসা: ১৯)
৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগে