ইজাজুল হক

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়। পবিত্র হজ ঘিরে গড়ে ওঠা জাহিলি যুগের সব কুপ্রথা রহিত হয়। হজ হয়ে ওঠে মহান আল্লাহর একনিষ্ঠ ইবাদত এবং সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বিশ্বসম্মিলন।
শিরক থেকে মুক্তি
জাহিলি যুগে পবিত্র কাবাঘর মূর্তিতে ঠাসা ছিল। মক্কার পৌত্তলিকেরা এসব মূর্তিকে আল্লাহর প্রতিনিধি ভেবে পূজা করত। তাদের এই কাজের সমর্থনে হজের তালবিয়া তথা লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইকের সুমধুর স্লোগানও বিকৃত করে ফেলা হয়। তালবিয়ায় যুক্ত করেছিল পৌত্তলিকতার অনুমোদনসংবলিত কথা—‘আপনি যাদের অনুমোদন দিয়েছেন, তারা ছাড়া আপনার কোনো অংশীদার নেই। আপনি তাদের প্রভু এবং তারা যা কিছুর মালিক তারও প্রভু।’ মক্কা বিজয়ের পরপরই মহানবী (সা.) কাবাঘরকে এসব শিরক থেকে মুক্ত করেন। কাবাঘরের সব মূর্তি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত নিষিদ্ধ করেন। বাতিল করেন সব ধরনের শিরকি কথাবার্তা ও আচার-অনুষ্ঠান।
অনৈতিকতার অবসান
মাদক ও অবাধ যৌনাচার সহজাত ছিল তখন। এসব অনৈতিকতা হজের রীতিনীতিকেও আক্রান্ত করেছিল। হজ ঘিরে গড়ে উঠত অশ্লীলতায় ভরা আনন্দমেলা। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করাকে সওয়াব মনে করা হতো। নারী-পুরুষ উভয়েই সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করত। তারা বলত, ‘আমাদের মায়েরা যেভাবে আমাদের জন্ম দিয়েছে, সেভাবেই আমরা আল্লাহর সামনে হাজির হব।’ ইসলামের আগমনে এসব অসভ্যতা বন্ধ হয়ে যায়। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ করা হয়। পবিত্র কোরআনের আয়াত নাজিল হয়, ‘বলো, যেসব সৌন্দর্য-শোভামণ্ডিত বস্তু (কাপড়) ও পবিত্র জীবিকা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তা কে হারাম করল?’ (সুরা আরাফ: ৩২) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়, ‘হজের সময় কোনো অশ্লীল কাজ ও ঝগড়াবিবাদ করা যাবে না।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
পবিত্র মাসে যুদ্ধ নয়
তখন হানাহানির শেষ ছিল না। হজের মৌসুম হিসেবে পরিচিত চার মাস—শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ ও মহররমেও এসব থামত না। পবিত্র মাসগুলোতেও যুদ্ধ বাধিয়ে তারা বলত, ‘এই মাসে যুদ্ধ করে নিই, আগামী বছর আরেকটি মাস কাফফারা হিসেবে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকব।’ ইসলাম এই মাসগুলোতে যুদ্ধ হারাম করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিষিদ্ধ মাসকে পিছিয়ে দেওয়া কুফরির ওপর আরেক কুফরি কাজ, এর মাধ্যমে কাফিরদের পথভ্রষ্ট করা হয়। এক বছর তারা একটি মাস হালাল করে, আরেক বছর ওই মাসকে হারাম করে, যাতে আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোর সংখ্যা পূর্ণ করা যায়।’ (সুরা তাওবা: ৩৭)
বংশগৌরব নিষিদ্ধ
অন্য সময়ের মতো হজের সময়ও কবিরা গোত্রের বীরদের সাহস, কীর্তি, মর্যাদা, শক্তি ও বদান্যতার প্রশংসা করত। একই সঙ্গে অন্য গোত্রগুলোর কাপুরুষতা, কৃপণতা, দুর্বলতা ইত্যাদি নিয়ে অতিরঞ্জিত বয়ান হাজির করত এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করত। নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে গোত্র সরদাররা এখানে-ওখানে বড় বড় কড়াই বসাত; একের পর এক উট জবাই করত। নিজেদের পূর্বপুরুষদের গুণকীর্তনে নিজেদের ব্যস্ত রাখত। ইসলামে এসব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এরপর যখন হজের আচার-অনুষ্ঠান শেষ করবে, তখন আল্লাহর স্মরণে মশগুল হও, যেমন তোমরা নিজেদের বাপ-দাদাদের স্মরণে মশগুল থাকো; বরং তার চেয়েও বেশি স্মরণ করো।’ (সুরা বাকারা: ২০০)
কোরবানির প্রাণ ইখলাস
কোরবানি আল্লাহর নামেই দেওয়া হতো ঠিক, তবে কোরবানির পশুর মাংস ও রক্ত কাবাঘরের দেয়ালে ছিটানো হতো। তাদের বিশ্বাস ছিল, আল্লাহ রক্ত-মাংস দুটোই চান। আবার অনেকে আল্লাহ ছাড়া দেবতাদের নামে প্রাণী উৎসর্গ করত। ইসলাম এসব নিষিদ্ধ করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে ওগুলোর গোশতও পৌঁছায় না, রক্তও পৌঁছায় না; বরং তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছায়।’ (সুরা হজ: ৩৭) অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং যখন এসব প্রাণী সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে, তখন এগুলোর ওপর (জবাই করার সময়) আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। যখন তা এক পাশে পড়ে যায় (মারা যায়), তখন তা থেকে খাও। যারা (ভিক্ষা না করে) তৃপ্ত থাকে, তাদেরও খাওয়াও এবং যারা আকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা করে, তাদেরও খাওয়াও।’ (সুরা হজ: ৩৬)
অন্যান্য প্রথা
একশ্রেণির ধার্মিক ছিল, যারা হজের পথ পাড়ি দেওয়ার পাথেয় জোগাড় না করেই হজ করতে বেরিয়ে পড়ত। পথে পথে ভিক্ষা করতে করতেই তারা মক্কায় পৌঁছাত। এই ভিক্ষাবৃত্তিকে তারা দীনদারি মনে করত। নবীজি এই কাজও নিষেধ করেন। পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল হয়, ‘তোমরা (হজের জন্য) পাথেয়র ব্যবস্থা করবে। (কারণ পৃথিবীর কোনো ভ্রমণের জন্য পাথেয় না নেওয়া পরকালের পাথেয় নেওয়ার সমার্থক নয়।) আর আল্লাহর ভয়ই (পরকালের) শ্রেষ্ঠ পাথেয়।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
হজের যাত্রাপথে জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্যবসা করা বা অন্য কোনো কাজ করাকে হারাম মনে করা হতো। নবীজি এ ধারণা বাতিল করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কোনো গুনাহ নেই—যদি তোমরা (ব্যবসা ইত্যাদির মাধ্যমে) তোমাদের রবের অনুগ্রহ খোঁজ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৮)
এ ছাড়া পানাহার থেকে বিরত থাকাকে অনেকে হজের অংশ মনে করত। কেউ কেউ হজের সময়জুড়ে কথা বলা থেকেও বিরত থাকত। মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল হাততালি, বাঁশি বাজানো ও শিঙায় ফুঁক দেওয়ার আচারও। এসবও নবীজি বাতিল করে দেন।
সূত্র: আরব নিউজ ও অ্যাবাউট ইসলাম ডটনেট

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়। পবিত্র হজ ঘিরে গড়ে ওঠা জাহিলি যুগের সব কুপ্রথা রহিত হয়। হজ হয়ে ওঠে মহান আল্লাহর একনিষ্ঠ ইবাদত এবং সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বিশ্বসম্মিলন।
শিরক থেকে মুক্তি
জাহিলি যুগে পবিত্র কাবাঘর মূর্তিতে ঠাসা ছিল। মক্কার পৌত্তলিকেরা এসব মূর্তিকে আল্লাহর প্রতিনিধি ভেবে পূজা করত। তাদের এই কাজের সমর্থনে হজের তালবিয়া তথা লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইকের সুমধুর স্লোগানও বিকৃত করে ফেলা হয়। তালবিয়ায় যুক্ত করেছিল পৌত্তলিকতার অনুমোদনসংবলিত কথা—‘আপনি যাদের অনুমোদন দিয়েছেন, তারা ছাড়া আপনার কোনো অংশীদার নেই। আপনি তাদের প্রভু এবং তারা যা কিছুর মালিক তারও প্রভু।’ মক্কা বিজয়ের পরপরই মহানবী (সা.) কাবাঘরকে এসব শিরক থেকে মুক্ত করেন। কাবাঘরের সব মূর্তি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত নিষিদ্ধ করেন। বাতিল করেন সব ধরনের শিরকি কথাবার্তা ও আচার-অনুষ্ঠান।
অনৈতিকতার অবসান
মাদক ও অবাধ যৌনাচার সহজাত ছিল তখন। এসব অনৈতিকতা হজের রীতিনীতিকেও আক্রান্ত করেছিল। হজ ঘিরে গড়ে উঠত অশ্লীলতায় ভরা আনন্দমেলা। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করাকে সওয়াব মনে করা হতো। নারী-পুরুষ উভয়েই সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করত। তারা বলত, ‘আমাদের মায়েরা যেভাবে আমাদের জন্ম দিয়েছে, সেভাবেই আমরা আল্লাহর সামনে হাজির হব।’ ইসলামের আগমনে এসব অসভ্যতা বন্ধ হয়ে যায়। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ করা হয়। পবিত্র কোরআনের আয়াত নাজিল হয়, ‘বলো, যেসব সৌন্দর্য-শোভামণ্ডিত বস্তু (কাপড়) ও পবিত্র জীবিকা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তা কে হারাম করল?’ (সুরা আরাফ: ৩২) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়, ‘হজের সময় কোনো অশ্লীল কাজ ও ঝগড়াবিবাদ করা যাবে না।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
পবিত্র মাসে যুদ্ধ নয়
তখন হানাহানির শেষ ছিল না। হজের মৌসুম হিসেবে পরিচিত চার মাস—শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ ও মহররমেও এসব থামত না। পবিত্র মাসগুলোতেও যুদ্ধ বাধিয়ে তারা বলত, ‘এই মাসে যুদ্ধ করে নিই, আগামী বছর আরেকটি মাস কাফফারা হিসেবে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকব।’ ইসলাম এই মাসগুলোতে যুদ্ধ হারাম করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিষিদ্ধ মাসকে পিছিয়ে দেওয়া কুফরির ওপর আরেক কুফরি কাজ, এর মাধ্যমে কাফিরদের পথভ্রষ্ট করা হয়। এক বছর তারা একটি মাস হালাল করে, আরেক বছর ওই মাসকে হারাম করে, যাতে আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোর সংখ্যা পূর্ণ করা যায়।’ (সুরা তাওবা: ৩৭)
বংশগৌরব নিষিদ্ধ
অন্য সময়ের মতো হজের সময়ও কবিরা গোত্রের বীরদের সাহস, কীর্তি, মর্যাদা, শক্তি ও বদান্যতার প্রশংসা করত। একই সঙ্গে অন্য গোত্রগুলোর কাপুরুষতা, কৃপণতা, দুর্বলতা ইত্যাদি নিয়ে অতিরঞ্জিত বয়ান হাজির করত এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করত। নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে গোত্র সরদাররা এখানে-ওখানে বড় বড় কড়াই বসাত; একের পর এক উট জবাই করত। নিজেদের পূর্বপুরুষদের গুণকীর্তনে নিজেদের ব্যস্ত রাখত। ইসলামে এসব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এরপর যখন হজের আচার-অনুষ্ঠান শেষ করবে, তখন আল্লাহর স্মরণে মশগুল হও, যেমন তোমরা নিজেদের বাপ-দাদাদের স্মরণে মশগুল থাকো; বরং তার চেয়েও বেশি স্মরণ করো।’ (সুরা বাকারা: ২০০)
কোরবানির প্রাণ ইখলাস
কোরবানি আল্লাহর নামেই দেওয়া হতো ঠিক, তবে কোরবানির পশুর মাংস ও রক্ত কাবাঘরের দেয়ালে ছিটানো হতো। তাদের বিশ্বাস ছিল, আল্লাহ রক্ত-মাংস দুটোই চান। আবার অনেকে আল্লাহ ছাড়া দেবতাদের নামে প্রাণী উৎসর্গ করত। ইসলাম এসব নিষিদ্ধ করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে ওগুলোর গোশতও পৌঁছায় না, রক্তও পৌঁছায় না; বরং তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছায়।’ (সুরা হজ: ৩৭) অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং যখন এসব প্রাণী সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে, তখন এগুলোর ওপর (জবাই করার সময়) আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। যখন তা এক পাশে পড়ে যায় (মারা যায়), তখন তা থেকে খাও। যারা (ভিক্ষা না করে) তৃপ্ত থাকে, তাদেরও খাওয়াও এবং যারা আকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা করে, তাদেরও খাওয়াও।’ (সুরা হজ: ৩৬)
অন্যান্য প্রথা
একশ্রেণির ধার্মিক ছিল, যারা হজের পথ পাড়ি দেওয়ার পাথেয় জোগাড় না করেই হজ করতে বেরিয়ে পড়ত। পথে পথে ভিক্ষা করতে করতেই তারা মক্কায় পৌঁছাত। এই ভিক্ষাবৃত্তিকে তারা দীনদারি মনে করত। নবীজি এই কাজও নিষেধ করেন। পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল হয়, ‘তোমরা (হজের জন্য) পাথেয়র ব্যবস্থা করবে। (কারণ পৃথিবীর কোনো ভ্রমণের জন্য পাথেয় না নেওয়া পরকালের পাথেয় নেওয়ার সমার্থক নয়।) আর আল্লাহর ভয়ই (পরকালের) শ্রেষ্ঠ পাথেয়।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
হজের যাত্রাপথে জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্যবসা করা বা অন্য কোনো কাজ করাকে হারাম মনে করা হতো। নবীজি এ ধারণা বাতিল করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কোনো গুনাহ নেই—যদি তোমরা (ব্যবসা ইত্যাদির মাধ্যমে) তোমাদের রবের অনুগ্রহ খোঁজ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৮)
এ ছাড়া পানাহার থেকে বিরত থাকাকে অনেকে হজের অংশ মনে করত। কেউ কেউ হজের সময়জুড়ে কথা বলা থেকেও বিরত থাকত। মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল হাততালি, বাঁশি বাজানো ও শিঙায় ফুঁক দেওয়ার আচারও। এসবও নবীজি বাতিল করে দেন।
সূত্র: আরব নিউজ ও অ্যাবাউট ইসলাম ডটনেট
ইজাজুল হক

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়। পবিত্র হজ ঘিরে গড়ে ওঠা জাহিলি যুগের সব কুপ্রথা রহিত হয়। হজ হয়ে ওঠে মহান আল্লাহর একনিষ্ঠ ইবাদত এবং সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বিশ্বসম্মিলন।
শিরক থেকে মুক্তি
জাহিলি যুগে পবিত্র কাবাঘর মূর্তিতে ঠাসা ছিল। মক্কার পৌত্তলিকেরা এসব মূর্তিকে আল্লাহর প্রতিনিধি ভেবে পূজা করত। তাদের এই কাজের সমর্থনে হজের তালবিয়া তথা লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইকের সুমধুর স্লোগানও বিকৃত করে ফেলা হয়। তালবিয়ায় যুক্ত করেছিল পৌত্তলিকতার অনুমোদনসংবলিত কথা—‘আপনি যাদের অনুমোদন দিয়েছেন, তারা ছাড়া আপনার কোনো অংশীদার নেই। আপনি তাদের প্রভু এবং তারা যা কিছুর মালিক তারও প্রভু।’ মক্কা বিজয়ের পরপরই মহানবী (সা.) কাবাঘরকে এসব শিরক থেকে মুক্ত করেন। কাবাঘরের সব মূর্তি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত নিষিদ্ধ করেন। বাতিল করেন সব ধরনের শিরকি কথাবার্তা ও আচার-অনুষ্ঠান।
অনৈতিকতার অবসান
মাদক ও অবাধ যৌনাচার সহজাত ছিল তখন। এসব অনৈতিকতা হজের রীতিনীতিকেও আক্রান্ত করেছিল। হজ ঘিরে গড়ে উঠত অশ্লীলতায় ভরা আনন্দমেলা। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করাকে সওয়াব মনে করা হতো। নারী-পুরুষ উভয়েই সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করত। তারা বলত, ‘আমাদের মায়েরা যেভাবে আমাদের জন্ম দিয়েছে, সেভাবেই আমরা আল্লাহর সামনে হাজির হব।’ ইসলামের আগমনে এসব অসভ্যতা বন্ধ হয়ে যায়। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ করা হয়। পবিত্র কোরআনের আয়াত নাজিল হয়, ‘বলো, যেসব সৌন্দর্য-শোভামণ্ডিত বস্তু (কাপড়) ও পবিত্র জীবিকা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তা কে হারাম করল?’ (সুরা আরাফ: ৩২) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়, ‘হজের সময় কোনো অশ্লীল কাজ ও ঝগড়াবিবাদ করা যাবে না।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
পবিত্র মাসে যুদ্ধ নয়
তখন হানাহানির শেষ ছিল না। হজের মৌসুম হিসেবে পরিচিত চার মাস—শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ ও মহররমেও এসব থামত না। পবিত্র মাসগুলোতেও যুদ্ধ বাধিয়ে তারা বলত, ‘এই মাসে যুদ্ধ করে নিই, আগামী বছর আরেকটি মাস কাফফারা হিসেবে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকব।’ ইসলাম এই মাসগুলোতে যুদ্ধ হারাম করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিষিদ্ধ মাসকে পিছিয়ে দেওয়া কুফরির ওপর আরেক কুফরি কাজ, এর মাধ্যমে কাফিরদের পথভ্রষ্ট করা হয়। এক বছর তারা একটি মাস হালাল করে, আরেক বছর ওই মাসকে হারাম করে, যাতে আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোর সংখ্যা পূর্ণ করা যায়।’ (সুরা তাওবা: ৩৭)
বংশগৌরব নিষিদ্ধ
অন্য সময়ের মতো হজের সময়ও কবিরা গোত্রের বীরদের সাহস, কীর্তি, মর্যাদা, শক্তি ও বদান্যতার প্রশংসা করত। একই সঙ্গে অন্য গোত্রগুলোর কাপুরুষতা, কৃপণতা, দুর্বলতা ইত্যাদি নিয়ে অতিরঞ্জিত বয়ান হাজির করত এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করত। নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে গোত্র সরদাররা এখানে-ওখানে বড় বড় কড়াই বসাত; একের পর এক উট জবাই করত। নিজেদের পূর্বপুরুষদের গুণকীর্তনে নিজেদের ব্যস্ত রাখত। ইসলামে এসব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এরপর যখন হজের আচার-অনুষ্ঠান শেষ করবে, তখন আল্লাহর স্মরণে মশগুল হও, যেমন তোমরা নিজেদের বাপ-দাদাদের স্মরণে মশগুল থাকো; বরং তার চেয়েও বেশি স্মরণ করো।’ (সুরা বাকারা: ২০০)
কোরবানির প্রাণ ইখলাস
কোরবানি আল্লাহর নামেই দেওয়া হতো ঠিক, তবে কোরবানির পশুর মাংস ও রক্ত কাবাঘরের দেয়ালে ছিটানো হতো। তাদের বিশ্বাস ছিল, আল্লাহ রক্ত-মাংস দুটোই চান। আবার অনেকে আল্লাহ ছাড়া দেবতাদের নামে প্রাণী উৎসর্গ করত। ইসলাম এসব নিষিদ্ধ করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে ওগুলোর গোশতও পৌঁছায় না, রক্তও পৌঁছায় না; বরং তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছায়।’ (সুরা হজ: ৩৭) অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং যখন এসব প্রাণী সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে, তখন এগুলোর ওপর (জবাই করার সময়) আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। যখন তা এক পাশে পড়ে যায় (মারা যায়), তখন তা থেকে খাও। যারা (ভিক্ষা না করে) তৃপ্ত থাকে, তাদেরও খাওয়াও এবং যারা আকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা করে, তাদেরও খাওয়াও।’ (সুরা হজ: ৩৬)
অন্যান্য প্রথা
একশ্রেণির ধার্মিক ছিল, যারা হজের পথ পাড়ি দেওয়ার পাথেয় জোগাড় না করেই হজ করতে বেরিয়ে পড়ত। পথে পথে ভিক্ষা করতে করতেই তারা মক্কায় পৌঁছাত। এই ভিক্ষাবৃত্তিকে তারা দীনদারি মনে করত। নবীজি এই কাজও নিষেধ করেন। পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল হয়, ‘তোমরা (হজের জন্য) পাথেয়র ব্যবস্থা করবে। (কারণ পৃথিবীর কোনো ভ্রমণের জন্য পাথেয় না নেওয়া পরকালের পাথেয় নেওয়ার সমার্থক নয়।) আর আল্লাহর ভয়ই (পরকালের) শ্রেষ্ঠ পাথেয়।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
হজের যাত্রাপথে জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্যবসা করা বা অন্য কোনো কাজ করাকে হারাম মনে করা হতো। নবীজি এ ধারণা বাতিল করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কোনো গুনাহ নেই—যদি তোমরা (ব্যবসা ইত্যাদির মাধ্যমে) তোমাদের রবের অনুগ্রহ খোঁজ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৮)
এ ছাড়া পানাহার থেকে বিরত থাকাকে অনেকে হজের অংশ মনে করত। কেউ কেউ হজের সময়জুড়ে কথা বলা থেকেও বিরত থাকত। মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল হাততালি, বাঁশি বাজানো ও শিঙায় ফুঁক দেওয়ার আচারও। এসবও নবীজি বাতিল করে দেন।
সূত্র: আরব নিউজ ও অ্যাবাউট ইসলাম ডটনেট

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়। পবিত্র হজ ঘিরে গড়ে ওঠা জাহিলি যুগের সব কুপ্রথা রহিত হয়। হজ হয়ে ওঠে মহান আল্লাহর একনিষ্ঠ ইবাদত এবং সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বিশ্বসম্মিলন।
শিরক থেকে মুক্তি
জাহিলি যুগে পবিত্র কাবাঘর মূর্তিতে ঠাসা ছিল। মক্কার পৌত্তলিকেরা এসব মূর্তিকে আল্লাহর প্রতিনিধি ভেবে পূজা করত। তাদের এই কাজের সমর্থনে হজের তালবিয়া তথা লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইকের সুমধুর স্লোগানও বিকৃত করে ফেলা হয়। তালবিয়ায় যুক্ত করেছিল পৌত্তলিকতার অনুমোদনসংবলিত কথা—‘আপনি যাদের অনুমোদন দিয়েছেন, তারা ছাড়া আপনার কোনো অংশীদার নেই। আপনি তাদের প্রভু এবং তারা যা কিছুর মালিক তারও প্রভু।’ মক্কা বিজয়ের পরপরই মহানবী (সা.) কাবাঘরকে এসব শিরক থেকে মুক্ত করেন। কাবাঘরের সব মূর্তি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত নিষিদ্ধ করেন। বাতিল করেন সব ধরনের শিরকি কথাবার্তা ও আচার-অনুষ্ঠান।
অনৈতিকতার অবসান
মাদক ও অবাধ যৌনাচার সহজাত ছিল তখন। এসব অনৈতিকতা হজের রীতিনীতিকেও আক্রান্ত করেছিল। হজ ঘিরে গড়ে উঠত অশ্লীলতায় ভরা আনন্দমেলা। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করাকে সওয়াব মনে করা হতো। নারী-পুরুষ উভয়েই সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করত। তারা বলত, ‘আমাদের মায়েরা যেভাবে আমাদের জন্ম দিয়েছে, সেভাবেই আমরা আল্লাহর সামনে হাজির হব।’ ইসলামের আগমনে এসব অসভ্যতা বন্ধ হয়ে যায়। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ করা হয়। পবিত্র কোরআনের আয়াত নাজিল হয়, ‘বলো, যেসব সৌন্দর্য-শোভামণ্ডিত বস্তু (কাপড়) ও পবিত্র জীবিকা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তা কে হারাম করল?’ (সুরা আরাফ: ৩২) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়, ‘হজের সময় কোনো অশ্লীল কাজ ও ঝগড়াবিবাদ করা যাবে না।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
পবিত্র মাসে যুদ্ধ নয়
তখন হানাহানির শেষ ছিল না। হজের মৌসুম হিসেবে পরিচিত চার মাস—শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ ও মহররমেও এসব থামত না। পবিত্র মাসগুলোতেও যুদ্ধ বাধিয়ে তারা বলত, ‘এই মাসে যুদ্ধ করে নিই, আগামী বছর আরেকটি মাস কাফফারা হিসেবে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকব।’ ইসলাম এই মাসগুলোতে যুদ্ধ হারাম করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিষিদ্ধ মাসকে পিছিয়ে দেওয়া কুফরির ওপর আরেক কুফরি কাজ, এর মাধ্যমে কাফিরদের পথভ্রষ্ট করা হয়। এক বছর তারা একটি মাস হালাল করে, আরেক বছর ওই মাসকে হারাম করে, যাতে আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোর সংখ্যা পূর্ণ করা যায়।’ (সুরা তাওবা: ৩৭)
বংশগৌরব নিষিদ্ধ
অন্য সময়ের মতো হজের সময়ও কবিরা গোত্রের বীরদের সাহস, কীর্তি, মর্যাদা, শক্তি ও বদান্যতার প্রশংসা করত। একই সঙ্গে অন্য গোত্রগুলোর কাপুরুষতা, কৃপণতা, দুর্বলতা ইত্যাদি নিয়ে অতিরঞ্জিত বয়ান হাজির করত এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করত। নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে গোত্র সরদাররা এখানে-ওখানে বড় বড় কড়াই বসাত; একের পর এক উট জবাই করত। নিজেদের পূর্বপুরুষদের গুণকীর্তনে নিজেদের ব্যস্ত রাখত। ইসলামে এসব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এরপর যখন হজের আচার-অনুষ্ঠান শেষ করবে, তখন আল্লাহর স্মরণে মশগুল হও, যেমন তোমরা নিজেদের বাপ-দাদাদের স্মরণে মশগুল থাকো; বরং তার চেয়েও বেশি স্মরণ করো।’ (সুরা বাকারা: ২০০)
কোরবানির প্রাণ ইখলাস
কোরবানি আল্লাহর নামেই দেওয়া হতো ঠিক, তবে কোরবানির পশুর মাংস ও রক্ত কাবাঘরের দেয়ালে ছিটানো হতো। তাদের বিশ্বাস ছিল, আল্লাহ রক্ত-মাংস দুটোই চান। আবার অনেকে আল্লাহ ছাড়া দেবতাদের নামে প্রাণী উৎসর্গ করত। ইসলাম এসব নিষিদ্ধ করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে ওগুলোর গোশতও পৌঁছায় না, রক্তও পৌঁছায় না; বরং তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছায়।’ (সুরা হজ: ৩৭) অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং যখন এসব প্রাণী সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে, তখন এগুলোর ওপর (জবাই করার সময়) আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। যখন তা এক পাশে পড়ে যায় (মারা যায়), তখন তা থেকে খাও। যারা (ভিক্ষা না করে) তৃপ্ত থাকে, তাদেরও খাওয়াও এবং যারা আকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা করে, তাদেরও খাওয়াও।’ (সুরা হজ: ৩৬)
অন্যান্য প্রথা
একশ্রেণির ধার্মিক ছিল, যারা হজের পথ পাড়ি দেওয়ার পাথেয় জোগাড় না করেই হজ করতে বেরিয়ে পড়ত। পথে পথে ভিক্ষা করতে করতেই তারা মক্কায় পৌঁছাত। এই ভিক্ষাবৃত্তিকে তারা দীনদারি মনে করত। নবীজি এই কাজও নিষেধ করেন। পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল হয়, ‘তোমরা (হজের জন্য) পাথেয়র ব্যবস্থা করবে। (কারণ পৃথিবীর কোনো ভ্রমণের জন্য পাথেয় না নেওয়া পরকালের পাথেয় নেওয়ার সমার্থক নয়।) আর আল্লাহর ভয়ই (পরকালের) শ্রেষ্ঠ পাথেয়।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
হজের যাত্রাপথে জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্যবসা করা বা অন্য কোনো কাজ করাকে হারাম মনে করা হতো। নবীজি এ ধারণা বাতিল করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কোনো গুনাহ নেই—যদি তোমরা (ব্যবসা ইত্যাদির মাধ্যমে) তোমাদের রবের অনুগ্রহ খোঁজ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৮)
এ ছাড়া পানাহার থেকে বিরত থাকাকে অনেকে হজের অংশ মনে করত। কেউ কেউ হজের সময়জুড়ে কথা বলা থেকেও বিরত থাকত। মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল হাততালি, বাঁশি বাজানো ও শিঙায় ফুঁক দেওয়ার আচারও। এসবও নবীজি বাতিল করে দেন।
সূত্র: আরব নিউজ ও অ্যাবাউট ইসলাম ডটনেট

স্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

স্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’ (সহিহ বুখারি: ৫৭০৩)
ইসলামের মৌলিক পাঁচ স্তম্ভের তিনটির সঙ্গেই শারীরিক সুস্থতা সম্পর্ক রাখে। নামাজ, রোজা, হজ যথাযথভাবে আদায় করতে হলে সুস্থ থাকা প্রয়োজন। উদাসীনতা বা অবহেলা করে নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করলে কিয়ামতের দিন এ জন্য জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন বান্দাকে নিয়ামত সম্পর্কে প্রথম যে প্রশ্ন করা হবে, তা হলো তার সুস্থতাবিষয়ক। তাকে বলা হবে, আমি কি তোমাকে শারীরিক সুস্থতা দিইনি?’ (সুনানে তিরমিজি)
স্বাস্থ্য সুরক্ষার অন্যতম প্রধান অবলম্বন হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। ইসলাম এ বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘পবিত্রতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ।’ (সহিহ মুসলিম: ২২৩)
নামাজ ইসলামের অন্যতম বিধান। নামাজের জন্য পবিত্রতা প্রথম এবং প্রধান শর্ত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য একজন মুসলমান সারা দিনে পাঁচবার অজু করে। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ বেহেশতের চাবি, আর অজু নামাজের চাবি।’ (সুনানে তিরমিজি: ৪)। এ ছাড়া খাওয়ার আগে-পরে, ঘুমের আগে-পরে, ঘর থেকে বের হওয়ার আগে এবং ঘরে ফেরার পরও অজু করার প্রতি উৎসাহিত করে ইসলাম। এই অজুর ফলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা অর্জন হয়। নিশ্চিত হয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা।
মহানবী (সা.) শারীরিক সুস্থতাকে যথাযথ মূল্যায়ন করার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘মৃত্যু আসার আগে জীবনের, অসুস্থ হওয়ার আগে সুস্থতার, ব্যস্ততা আসার আগে অবসরের, বার্ধক্য আসার আগে যৌবনের এবং দারিদ্র্য আসার আগে সচ্ছলতার সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করো।’ (সহিহুল জামে: ১০৭৭)
সুবিন্যস্ত জীবনচর্চায় আমাদের দিন কাটুক সুস্থতায়।

স্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’ (সহিহ বুখারি: ৫৭০৩)
ইসলামের মৌলিক পাঁচ স্তম্ভের তিনটির সঙ্গেই শারীরিক সুস্থতা সম্পর্ক রাখে। নামাজ, রোজা, হজ যথাযথভাবে আদায় করতে হলে সুস্থ থাকা প্রয়োজন। উদাসীনতা বা অবহেলা করে নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করলে কিয়ামতের দিন এ জন্য জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন বান্দাকে নিয়ামত সম্পর্কে প্রথম যে প্রশ্ন করা হবে, তা হলো তার সুস্থতাবিষয়ক। তাকে বলা হবে, আমি কি তোমাকে শারীরিক সুস্থতা দিইনি?’ (সুনানে তিরমিজি)
স্বাস্থ্য সুরক্ষার অন্যতম প্রধান অবলম্বন হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। ইসলাম এ বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘পবিত্রতা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ।’ (সহিহ মুসলিম: ২২৩)
নামাজ ইসলামের অন্যতম বিধান। নামাজের জন্য পবিত্রতা প্রথম এবং প্রধান শর্ত। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য একজন মুসলমান সারা দিনে পাঁচবার অজু করে। কেননা রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ বেহেশতের চাবি, আর অজু নামাজের চাবি।’ (সুনানে তিরমিজি: ৪)। এ ছাড়া খাওয়ার আগে-পরে, ঘুমের আগে-পরে, ঘর থেকে বের হওয়ার আগে এবং ঘরে ফেরার পরও অজু করার প্রতি উৎসাহিত করে ইসলাম। এই অজুর ফলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা অর্জন হয়। নিশ্চিত হয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা।
মহানবী (সা.) শারীরিক সুস্থতাকে যথাযথ মূল্যায়ন করার কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘মৃত্যু আসার আগে জীবনের, অসুস্থ হওয়ার আগে সুস্থতার, ব্যস্ততা আসার আগে অবসরের, বার্ধক্য আসার আগে যৌবনের এবং দারিদ্র্য আসার আগে সচ্ছলতার সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করো।’ (সহিহুল জামে: ১০৭৭)
সুবিন্যস্ত জীবনচর্চায় আমাদের দিন কাটুক সুস্থতায়।

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়।
১০ মে ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৭ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৮ মিনিট | ০৬: ০৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৭ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৮ মিনিট | ০৬: ০৪ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৫ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৭ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়।
১০ মে ২০২৪
স্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’
৪ ঘণ্টা আগে
তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। আল্লাহ তাআলা তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মোত্তাকি বান্দারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং ভালোবাসার পাত্র।’ (সুরা হুজরাত: ১৩)
তাকওয়া অর্জনের সহজ তিনটি উপায় রয়েছে:
এক. ইখলাসের সঙ্গে ইবাদত করলে অন্তরে তাকওয়া আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের সেই প্রতিপালকের ইবাদত কর; যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা মোত্তাকি হতে পার।’ (সুরা বাকারা: ২১)
দুই. মহান আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ফিকিরের মাধ্যমে হৃদয়ে তাকওয়া সৃষ্টি করা সম্ভব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাত ও দিনের আবর্তনে, আর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মাঝে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তাতে তাকওয়া অবলম্বনকারী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা ইউনুস: ৬)
তিন. নবীজি (সা.)-এর প্রতি নিরেট ভালোবাসা এবং তাঁর অনুসরণের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া অর্জন করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে তাদের আওয়াজ নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তর তাকওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করে নিয়েছেন। তাদের জন্য আছে ক্ষমা আর মহাপুরস্কার।’ (সুরা হুজুরাত: ৩)
যারা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে, তাদের জন্য রয়েছে অনন্য সুসংবাদ। পবিত্র কোরআনে এসেছে, যারা ইমান আনে আর তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে আর আখিরাতেও। আল্লাহর কথার কোনো হেরফের হয় না, এটাই হলো বিরাট সাফল্য। (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের তাকওয়া অর্জন করে জীবন পরিচালনার তৌফিক দিন। আমিন।

তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। আল্লাহ তাআলা তাকওয়া অবলম্বনকারীদের ভালোবাসেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে মোত্তাকি বান্দারা আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় এবং ভালোবাসার পাত্র।’ (সুরা হুজরাত: ১৩)
তাকওয়া অর্জনের সহজ তিনটি উপায় রয়েছে:
এক. ইখলাসের সঙ্গে ইবাদত করলে অন্তরে তাকওয়া আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানুষ, তোমরা তোমাদের সেই প্রতিপালকের ইবাদত কর; যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা মোত্তাকি হতে পার।’ (সুরা বাকারা: ২১)
দুই. মহান আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ফিকিরের মাধ্যমে হৃদয়ে তাকওয়া সৃষ্টি করা সম্ভব। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই রাত ও দিনের আবর্তনে, আর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর মাঝে আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তাতে তাকওয়া অবলম্বনকারী সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা ইউনুস: ৬)
তিন. নবীজি (সা.)-এর প্রতি নিরেট ভালোবাসা এবং তাঁর অনুসরণের মাধ্যমে অন্তরে তাকওয়া অর্জন করা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর রাসুলের সামনে তাদের আওয়াজ নিচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তর তাকওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করে নিয়েছেন। তাদের জন্য আছে ক্ষমা আর মহাপুরস্কার।’ (সুরা হুজুরাত: ৩)
যারা তাকওয়া অর্জন করতে পারবে, তাদের জন্য রয়েছে অনন্য সুসংবাদ। পবিত্র কোরআনে এসেছে, যারা ইমান আনে আর তাকওয়া অবলম্বন করে, তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে আর আখিরাতেও। আল্লাহর কথার কোনো হেরফের হয় না, এটাই হলো বিরাট সাফল্য। (সুরা ইউনুস: ৬৩-৬৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের তাকওয়া অর্জন করে জীবন পরিচালনার তৌফিক দিন। আমিন।

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়।
১০ মে ২০২৪
স্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৪: ৪৬ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৭ মিনিট | ০৬: ০৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০:০০ | ০৪: ৪৬ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৭ মিনিট | ০৬: ০৩ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪২ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৩ মিনিট | ০৫: ১৮ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২০ মিনিট | ০৬: ৩৬ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৬ মিনিট | ০৪: ৪৬ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়।
১০ মে ২০২৪
স্বাস্থ্য আল্লাহর অপার অনুগ্রহ। সুস্থ থাকতে শরীর ও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হয়। নবী করিম (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি নিজে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেন এবং সাহাবাদেরও এতে উৎসাহিত করতেন। এক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার শরীরের হক আছে।’
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
তাকওয়া আত্মার পরিশুদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাকওয়া মানে আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে তাঁর আদেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করা। অন্তরে আল্লাহর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার প্রতিফলন এটি। তাকওয়া অর্জন হলে ব্যক্তি সব ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকতে চায় এবং তার কাজকর্মে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
১ দিন আগে