মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: আমাদের বাড়ির ছাদে পানি জমিয়ে রাখার জন্য একটি ট্যাংক আছে। অজু-গোসল ও টয়লেটের কাজে ওই পানি ব্যবহার করা হয়। কয়েক দিন আগে ট্যাংকের ভেতরে একটি মরা ইঁদুর পাই আমরা। সেটি ফুলে-ফেটে গেছে। এখন আমার প্রশ্ন হলো, ইঁদুরটির কারণে ট্যাংকের সব পানি কি অপবিত্র হয়ে যাবে? এ ক্ষেত্রে করণীয় কী?
শেখ হামিদুল্লাহ, বরিশাল
উত্তর: পানির ট্যাংকটি যদি ১০০ বর্গহাত বা এর চেয়ে বড় হয়, তাহলে তাতে অপবিত্র বস্তু পড়লে পানির রং, স্বাদ ও গন্ধ পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত পানি অপবিত্র হবে না। তবে যদি পানির উল্লিখিত তিন বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আসে, তাহলে পানি অপবিত্র হয়ে যাবে। অপবিত্র বস্তুটি বের করার পর পুরো পানি বের করে ট্যাংক পরিষ্কার করতে হবে।
আর পানির ট্যাংক যদি ১০০ বর্গহাতের চেয়ে ছোট হয়, তাহলে অপবিত্র বস্তু পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ট্যাংকের সব পানি অপবিত্র হয়ে যাবে। এই পানি দিয়ে অজু-গোসল কিছুই করা বৈধ হবে না। এই পরিস্থিতিতে ট্যাংকের পানি দুইভাবে পবিত্র করা যাবে। এক. অপবিত্র বস্তুটি বের করার পর ট্যাংকের সব পানি বের করে ফেলতে হবে।
দুই. অপবিত্র বস্তুটি বের করার পর পাইপ বা নলের মাধ্যমে বেশি করে পানি প্রবাহিত করে দিতে হবে, যাতে সব অপবিত্র পানি বের হয়ে যায়। (ফাতাওয়া শামি: ১ / ১৯৫; আহসানুল ফাতাওয়া: ২ / ৪৯; আলাতে জাদিদা কি শারয়ি আহকাম: ১৯৬)
আর প্রশ্নে উল্লিখিত ইঁদুরটি কখন ট্যাংকে পড়েছে, তা জানা না থাকলে সতর্কতা হিসেবে তিন দিন তিন রাতের নামাজ কাজা আদায় করে নিতে হবে। (ফাতওয়া কাসেমিয়া: ৫/১৫১)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
প্রশ্ন: আমাদের বাড়ির ছাদে পানি জমিয়ে রাখার জন্য একটি ট্যাংক আছে। অজু-গোসল ও টয়লেটের কাজে ওই পানি ব্যবহার করা হয়। কয়েক দিন আগে ট্যাংকের ভেতরে একটি মরা ইঁদুর পাই আমরা। সেটি ফুলে-ফেটে গেছে। এখন আমার প্রশ্ন হলো, ইঁদুরটির কারণে ট্যাংকের সব পানি কি অপবিত্র হয়ে যাবে? এ ক্ষেত্রে করণীয় কী?
শেখ হামিদুল্লাহ, বরিশাল
উত্তর: পানির ট্যাংকটি যদি ১০০ বর্গহাত বা এর চেয়ে বড় হয়, তাহলে তাতে অপবিত্র বস্তু পড়লে পানির রং, স্বাদ ও গন্ধ পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত পানি অপবিত্র হবে না। তবে যদি পানির উল্লিখিত তিন বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আসে, তাহলে পানি অপবিত্র হয়ে যাবে। অপবিত্র বস্তুটি বের করার পর পুরো পানি বের করে ট্যাংক পরিষ্কার করতে হবে।
আর পানির ট্যাংক যদি ১০০ বর্গহাতের চেয়ে ছোট হয়, তাহলে অপবিত্র বস্তু পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ট্যাংকের সব পানি অপবিত্র হয়ে যাবে। এই পানি দিয়ে অজু-গোসল কিছুই করা বৈধ হবে না। এই পরিস্থিতিতে ট্যাংকের পানি দুইভাবে পবিত্র করা যাবে। এক. অপবিত্র বস্তুটি বের করার পর ট্যাংকের সব পানি বের করে ফেলতে হবে।
দুই. অপবিত্র বস্তুটি বের করার পর পাইপ বা নলের মাধ্যমে বেশি করে পানি প্রবাহিত করে দিতে হবে, যাতে সব অপবিত্র পানি বের হয়ে যায়। (ফাতাওয়া শামি: ১ / ১৯৫; আহসানুল ফাতাওয়া: ২ / ৪৯; আলাতে জাদিদা কি শারয়ি আহকাম: ১৯৬)
আর প্রশ্নে উল্লিখিত ইঁদুরটি কখন ট্যাংকে পড়েছে, তা জানা না থাকলে সতর্কতা হিসেবে তিন দিন তিন রাতের নামাজ কাজা আদায় করে নিতে হবে। (ফাতওয়া কাসেমিয়া: ৫/১৫১)
উত্তর দিয়েছেন, মুফতি ইশমাম আহমেদ, শিক্ষক ও ফতোয়া গবেষক
ইসলামের দৃষ্টিতে যেকোনো ধরনের জুলুম-নির্যাতন হারাম। আর তা যদি হয় নারী নির্যাতন, তবে তা আরও গর্হিত ও নিন্দনীয় কাজ। শুধু এটুকুই নয়, নির্যাতনের পক্ষে সহায়ক সব ধরনের উপকরণ-উপাদানও ইসলামে নিষিদ্ধ।
৪ ঘণ্টা আগেসন্তান-সন্তুতি, সম্পদ বা অনুসারীর সংখ্যাধিক্যে মুগ্ধতা—এসব প্রকৃত মুমিনের জন্য একপ্রকার আত্মপ্রবঞ্চনা। সত্যিকারের ইমানদার ব্যক্তি শত্রুর মোকাবিলায় বাহিনীর সংখ্যা দেখে আত্মতুষ্ট হয় না এবং সংখ্যার স্বল্পতা নিয়ে দুশ্চিন্তাও করে না।
১৬ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ আল-লাওয়াতি আল-তাঞ্জি, সংক্ষেপে ইবনে বতুতা, ছিলেন মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুসলিম পর্যটক, বিচারক ও ভূগোলবিদ। তিনি ১৩০৪ খ্রিষ্টাব্দে (৭০৩ হিজরি) মরক্কোর তাঞ্জিয়ারে জন্মগ্রহণ করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেরাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’
২১ ঘণ্টা আগে