আমজাদ ইউনুস
রমজানের নানাবিধ শিক্ষা ও উপকার রয়েছে। রমজান মানুষের ভেতর-বাহিরকে পরিশীলিত ও পরিশুদ্ধ করে। মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। সব ধরনের অন্যায়, অশোভন, পাপাচার ও যাবতীয় অকল্যাণকর কাজকর্ম থেকে বিরত রাখে। নিচে রমজানের কয়েকটি শিক্ষা তুলে ধরা হলো—
তাকওয়া: রোজার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকওয়া অর্জন করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সব ধরনের অবাধ্যতা ও পাপাচার থেকে দূরে থাকার নামই তাকওয়া। রোজার মাধ্যমে বান্দার মনে আল্লাহর ভয়ভীতি সৃষ্টি হয়। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
সংযম: রোজার মাধ্যমে অশ্লীল ও অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকা যায়। রোজা মানুষকে সংযমী হওয়ার শিক্ষা দেয়। রোজার মাধ্যমে মানুষ ধৈর্য, সংযম ও সহনশীলতার শিক্ষা পেয়ে থাকে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খাওয়া ও পান করা থেকে বিরত থাকার নাম রোজা নয়। বস্তুত রোজা হলো অনর্থক ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা।’ (মুস্তাদরেকে হাকেম) অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেউ যদি তোমাকে গালি দেয় কিংবা তোমার সঙ্গে ঝগড়া করতে আসে, তুমি বলো আমি রোজাদার।’ (সহিহ বুখারি)
সহমর্মিতা: রমজান মানুষকে অসহায় ও গরিবদের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহিত করে। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্পর্ক সুদৃঢ় করার শিক্ষা দেয়। রমজান মাসে প্রতিটি দান-সদকাতেই ৭০ গুণ নেকি পাওয়া যায় এবং তা ফরজ হিসেবে আল্লাহর কাছে গণ্য হয়। দান-সদকার এমন অসামান্য ফজিলত অন্য মাসে কখনোই পাওয়া যাবে না। এ জন্য রাসুল (সা.) রমজানে বেশি বেশি দান করতেন। অন্যদের দান করতে উৎসাহিত করতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) পবিত্র রমজান মাসে বিপুল পরিমাণে দান করতেন। (সুনানে তিরমিজি)
রমজানের নানাবিধ শিক্ষা ও উপকার রয়েছে। রমজান মানুষের ভেতর-বাহিরকে পরিশীলিত ও পরিশুদ্ধ করে। মানুষের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। সব ধরনের অন্যায়, অশোভন, পাপাচার ও যাবতীয় অকল্যাণকর কাজকর্ম থেকে বিরত রাখে। নিচে রমজানের কয়েকটি শিক্ষা তুলে ধরা হলো—
তাকওয়া: রোজার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকওয়া অর্জন করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সব ধরনের অবাধ্যতা ও পাপাচার থেকে দূরে থাকার নামই তাকওয়া। রোজার মাধ্যমে বান্দার মনে আল্লাহর ভয়ভীতি সৃষ্টি হয়। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করো।’ (সুরা বাকারা: ১৮৩)
সংযম: রোজার মাধ্যমে অশ্লীল ও অনর্থক কাজ থেকে বিরত থাকা যায়। রোজা মানুষকে সংযমী হওয়ার শিক্ষা দেয়। রোজার মাধ্যমে মানুষ ধৈর্য, সংযম ও সহনশীলতার শিক্ষা পেয়ে থাকে। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘খাওয়া ও পান করা থেকে বিরত থাকার নাম রোজা নয়। বস্তুত রোজা হলো অনর্থক ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকা।’ (মুস্তাদরেকে হাকেম) অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কেউ যদি তোমাকে গালি দেয় কিংবা তোমার সঙ্গে ঝগড়া করতে আসে, তুমি বলো আমি রোজাদার।’ (সহিহ বুখারি)
সহমর্মিতা: রমজান মানুষকে অসহায় ও গরিবদের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহিত করে। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্পর্ক সুদৃঢ় করার শিক্ষা দেয়। রমজান মাসে প্রতিটি দান-সদকাতেই ৭০ গুণ নেকি পাওয়া যায় এবং তা ফরজ হিসেবে আল্লাহর কাছে গণ্য হয়। দান-সদকার এমন অসামান্য ফজিলত অন্য মাসে কখনোই পাওয়া যাবে না। এ জন্য রাসুল (সা.) রমজানে বেশি বেশি দান করতেন। অন্যদের দান করতে উৎসাহিত করতেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) পবিত্র রমজান মাসে বিপুল পরিমাণে দান করতেন। (সুনানে তিরমিজি)
ইসলাম ধর্ম এমন একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা, যেখানে মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই একজন নিরপরাধ মানুষের জীবন রক্ষা করা ইসলামে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। পাশাপাশি কোনো নির্দোষ প্রাণ হরণ করা ইসলামে শুধু নিষিদ্ধই নয়, বরং একে মানবতার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য...
১০ ঘণ্টা আগেমানুষ স্বভাবতই সমাজবদ্ধ জীব। একাকী জীবন মানব প্রকৃতির সঙ্গে যায় না। সমাজে টিকে থাকতে হলে একজন মানুষের জন্য অন্যের সহযোগিতা অপরিহার্য। জীবনের চলার পথে নানা চ্যালেঞ্জ ও বিপদের সময় একে অপরের পাশে দাঁড়ানোই মানবিকতা ও ধর্মীয় দায়িত্বের প্রতিচ্ছবি। বিশেষত, বিপদগ্রস্ত মানুষ যখন অসহায় হয়ে পড়ে, তখন তার জন্য এ
১১ ঘণ্টা আগেমানুষের জীবনে প্রিয়জনের মৃত্যু এক গভীর শোক ও বেদনার সময়। এমন পরিস্থিতিতে একজন মুমিনের করণীয় কী হবে—ইসলাম সেই পথ নির্দেশনা স্পষ্টভাবে দিয়েছে। ইসলাম স্বাভাবিক আবেগকে দমন করতে বলেনি, বরং ধৈর্য ধারণের শিক্ষা দিয়েছে। প্রিয়জন হারিয়ে চোখের পানি ঝরানো নিষিদ্ধ নয়, কিন্তু শোক প্রকাশের কিছু সীমা-পরিসীমা ইসলামে
১৩ ঘণ্টা আগেমানুষ সামাজিক জীব। তাই সমাজবদ্ধ জীবনে কোনো মানুষের পক্ষে একাকী বসবাস করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রয়োজনে একে অপরের সাহায্য ছাড়া মানুষ চলতে পারে না। তাই বিপৎসংকুল পরিস্থিতিতে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে।
১৫ ঘণ্টা আগে