ইসলাম ডেস্ক
জীবনের প্রয়োজনে আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিতে আমরা হিমশিম খাই। দোটানা ও সিদ্ধান্তহীনতা আমাদের ভোগায়। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) নামাজের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর তৌফিক কামনা করতে বলেছেন তিনি। এই নামাজকে ইসলামের পরিভাষায় সালাতুল ইস্তেখারা বা ইস্তেখারার নামাজ বলা হয়।
দুই রাকাত নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোদুল্যমান কোনো বিষয়ে মন ধাবিত হওয়ার জন্য আশা করা, অর্থাৎ দুটি বিষয়ের মধ্যে কোনটি অধিক কল্যাণকর হবে—এ ব্যাপারে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার নামই ইস্তেখারা। হাদিসে ইস্তেখারার দীর্ঘ দোয়ার আলোচনাও এসেছে। তবে সেই দোয়া না পারলে নিজের ভাষায় একান্ত ইচ্ছার কথা বলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেও কোনো অসুবিধা নেই।
ইস্তিখারার দোয়ার আগে নামাজ আদায়ের কারণ হলো, ইস্তিখারার উদ্দেশ্য একসঙ্গে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ করা। আর এটি পেতে হলে রাজাধিরাজ মহান আল্লাহর দরজায় কড়া নাড়া প্রয়োজন। আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শন, তাঁর স্তুতি জ্ঞাপন ও তাঁর কাছে ধরনা দেওয়ার ক্ষেত্রে নামাজের চেয়ে কার্যকর ও সফল আর কিছু নেই। মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে, আল্লাহকে বলা, আপনি আমার জন্য সেটা সহজ করে দেন।
ইস্তিখারার নামাজের দোয়া জাবের বিন আব্দুল্লাহ্ আল-সুলামি (রা.) বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) তাঁর সাহাবিদের সব বিষয়ে ইস্তিখারা করার শিক্ষা দিতেন; যেভাবে তিনি তাঁদের কোরআনের সুরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো কাজের উদ্যোগ নেবে, তখন সে যেন দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে এবং এরপর ইস্তেখারার দোয়া পড়ে।’ (বুখারি: ৬৮৪১)
জীবনের প্রয়োজনে আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিতে আমরা হিমশিম খাই। দোটানা ও সিদ্ধান্তহীনতা আমাদের ভোগায়। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) নামাজের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর তৌফিক কামনা করতে বলেছেন তিনি। এই নামাজকে ইসলামের পরিভাষায় সালাতুল ইস্তেখারা বা ইস্তেখারার নামাজ বলা হয়।
দুই রাকাত নামাজ আদায় ও বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোদুল্যমান কোনো বিষয়ে মন ধাবিত হওয়ার জন্য আশা করা, অর্থাৎ দুটি বিষয়ের মধ্যে কোনটি অধিক কল্যাণকর হবে—এ ব্যাপারে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার নামই ইস্তেখারা। হাদিসে ইস্তেখারার দীর্ঘ দোয়ার আলোচনাও এসেছে। তবে সেই দোয়া না পারলে নিজের ভাষায় একান্ত ইচ্ছার কথা বলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেও কোনো অসুবিধা নেই।
ইস্তিখারার দোয়ার আগে নামাজ আদায়ের কারণ হলো, ইস্তিখারার উদ্দেশ্য একসঙ্গে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ করা। আর এটি পেতে হলে রাজাধিরাজ মহান আল্লাহর দরজায় কড়া নাড়া প্রয়োজন। আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শন, তাঁর স্তুতি জ্ঞাপন ও তাঁর কাছে ধরনা দেওয়ার ক্ষেত্রে নামাজের চেয়ে কার্যকর ও সফল আর কিছু নেই। মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে, আল্লাহকে বলা, আপনি আমার জন্য সেটা সহজ করে দেন।
ইস্তিখারার নামাজের দোয়া জাবের বিন আব্দুল্লাহ্ আল-সুলামি (রা.) বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) তাঁর সাহাবিদের সব বিষয়ে ইস্তিখারা করার শিক্ষা দিতেন; যেভাবে তিনি তাঁদের কোরআনের সুরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলতেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো কাজের উদ্যোগ নেবে, তখন সে যেন দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে এবং এরপর ইস্তেখারার দোয়া পড়ে।’ (বুখারি: ৬৮৪১)
মানুষ সামাজিক জীব। একা চলা তার স্বভাব নয়। জীবনের চলার পথে তাই একজন প্রকৃত বন্ধুর প্রয়োজন হয়, যে পাশে থাকবে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবাই কি বন্ধুত্বের যোগ্য? ইসলাম এ বিষয়ে দিয়েছে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা।
৩ ঘণ্টা আগেএকটি সাধারণ দৃশ্য আমরা প্রায়শই দেখি—আজান দেওয়ার সময় মুয়াজ্জিন কানে আঙুল প্রবেশ করিয়ে উচ্চ আওয়াজে আজান দিচ্ছেন। অনেকেই এটি আবশ্যক মনে করেন, আবার কেউ কেউ এটিকে ঐচ্ছিক বা বর্জনযোগ্য বলে থাকেন। এই লেখায় আমরা কানে আঙুল দেওয়ার এ পদ্ধতির শরয়ি ভিত্তি, হাদিস, ওলামায়ে কেরামের ব্যাখ্যা এবং সমকালীন...
১৯ ঘণ্টা আগেইতিহাস কখনো নিছক কাহিনি নয়, কখনো কখনো তা হয়ে ওঠে অনুভূতির প্রতীক। মদিনার অদূরে অবস্থিত এক নিঃশব্দ পাহাড় তেমনই এক ইতিহাসের সাক্ষী। এটি শুধু মাটি-পাথরের সমষ্টি নয়; বরং এই পাহাড় ইসলামের প্রথম যুগের বীরত্ব, আত্মত্যাগ, কষ্ট ও ভালোবাসার জীবন্ত স্মারক। রাসুলুল্লাহ (সা.) যাকে বলেছিলেন, ‘উহুদ...
২১ ঘণ্টা আগেজীবনে প্রিয়জন হারানো এক অপূরণীয় বেদনা। এই কঠিন মুহূর্তে মানুষ কীভাবে আচরণ করবে, কেমনভাবে শোক প্রকাশ করবে—সেই বিষয়ে ইসলাম দিয়েছে পরিপূর্ণ দিকনির্দেশনা। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি হলো—শোক প্রকাশে ভারসাম্য রাখা, কষ্টকে অস্বীকার না করা, আবার সীমালঙ্ঘনও না করা।
১ দিন আগে