Ajker Patrika

স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল খোলা রাখা দরকার

আজকের পত্রিকা
স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল খোলা রাখা দরকার

প্রশ্ন: করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ হোটেল,  আপনারা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত?

ইলিয়াস আহমেদ ভূঁইয়া: দুই বছর ধরে হোটেল বন্ধ। সব রেস্তোরাঁ থেকে শ্রমিক কমাতে হয়েছে। মালিক–শ্রমিকেরা উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত। হোটেল বন্ধ তাই শ্রমিক ছাঁটাই করতেও বাধ্য হয়েছেন মালিকেরা।

প্রশ্ন: আপনাদের কত শ্রমিক বেকার ?

ইলিয়াস আহমেদ ভূঁইয়া:  চট্টগ্রামে ৫ হাজার হোটেল রয়েছে।  এসব হোটেলের সঙ্গে ৩ লাখ শ্রমিক জড়িত।  এরা এখন বেকার।

প্রশ্ন: সরকার কী করতে পারে?

ইলিয়াস আহমেদ ভূঁইয়া: আমরা হোটেল মালিক নেতারা চট্টগ্রামের সাবেক ডিসি ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লিখিত আবেদন  করেছিলাম।  কিন্তু তিনি আমাদের কোনো  সহযোগিতা করেননি।

প্রশ্ন: অনলাইনে বেচাবিক্রি নতুন একটি পদ্ধতি চালু হয়েছে,  এটাতে সাড়া পাচ্ছেন কেমন?

ইলিয়াস আহমেদ ভূঁইয়া: অনলাইনের বেচাবিক্রি দিয়ে আমাদের ব্যবসা পোষাবে না।  হোটেল খোলা রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চালাতে হবে।

প্রশ্ন: আপনাদের লোকসানের পরিমাণ কেমন?

ইলিয়াস আহমেদ ভূঁইয়া: চট্টগ্রাম থেকে  প্রতিবছর ১ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট ও আয়কর পায় সরকার। এ ছাড়াও পরিবেশের ছাড়পত্রের জন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তরকে আরও ৫ শ কোটি টাকা পরিশোধ করেন হোটেল মালিকেরা।  কিন্তু মহামারির এ দুর্যোগে সরকাররে কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছি না।  এখন একটি হোটেল প্রতি মাসে দেড়–দুই লাখ টাকা লোকসান দিচ্ছে। অনেক হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে।

প্রশ্ন: ভবিষ্যতে কী দেখছেন?

ইলিয়াস আহমেদ ভূঁইয়া: লকডাউনে হোটেল খোলা রাখতে হবে।হোটেলে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এটা করতে হবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে। প্রয়োজন এক টেবিলে একজন বা দুই বসতে পারবেন। এভাবে না হলে হোটেল ব্যবসার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বড় বড় ব্যবসায়ী হোটেল ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।  সরকার থেকে সরল সুদে (৪%)  ঋণ পাওয়া জরুরি। বড় হোটেলকে বড় অঙ্কের ঋণ দিতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত