কুতুবউদ্দিন আহমেদ
আজকের পত্রিকা: করোনায় ব্যবসা- বাণিজ্য কি ঠিকমতো চলছে?
কুতুবউদ্দিন আহমেদ: করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্যের যতটা খারাপ পরিস্থিতি হবে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তেমনটি হয়নি। এটাকে না ভালো, না খারাপ- এমন বলা যায়। এটা ঠিক আমরা ঝরে যাব না। ব্যবসায় আমরা টিকে আছি, টিকে থাকার চেষ্টা করছি। ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো হতাশা নেই, আমি হতাশ নই। বলতে পারেন আমি আশাবাদী। আর সামনের দিনগুলোতে যদি করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে আরও চাঙা হবে। সামনে সুদিন আছে। আমার ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে টেক্সটাইল মোটামুটি ভালো। মুনাফা করতে না পারলেও লোকসান নেই। তবে আমার হোটেল ব্যবসা ভালো না। করোনায় যেহেতু পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত, তার পুরো প্রভাব পড়েছে আমাদের হোটেল ব্যবসায়। হোটেলে বিদেশি কোনো ক্লায়েন্ট নেই। আমাদের ব্রোকারেজ ব্যবসা ভালো। বাকি সব ব্যবসাই টিকে রয়েছে। ভালোর দিকে আছে। আমরা চালিয়ে নিচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: প্রস্তাবিত বাজেটকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন, কতটা ব্যবসাবান্ধব হলো?
কুতুবউদ্দিন আহমেদ: বাজেটের একটি দিক আমার ভালো লেগেছে। তা হলো, নতুন খাতকে সুবিধা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে গাড়ি, ইলেকট্রনিকস, হোম অ্যাপ্লায়েন্স ইত্যাদি। এতে বিনিয়োগ বাড়বে। বেকারত্ব কমবে। বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। আমদানি বিকল্প শিল্পের জন্য সহায়ক হবে। বাজেটে বিশেষ বিশেষ খাতকে ফোকাস করায় ভালো হয়েছে। এতে খাতগুলো বাড়তি সুবিধা পাবে। ফলে ওই খাতগুলো দাঁড়াতে পারবে। তবে যেগুলো করা দরকার তা হলো, বন্দরের বিভিন্ন চার্জ কমাতে হবে। রেলওয়ের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের মাশুল কমাতে হবে।
আজকের পত্রিকা: রাজস্ব আয়ে আপনাদের ওপর চাপ পড়বে কিনা?
কুতুবউদ্দিন আহমেদ: আসছে অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব পাওয়া কঠিন হবে। আমাদের সবারই আয় কমেছে। অনেকে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়েছে। অনেকের বেতন কমেছে। নতুন করে বিনিয়োগ হচ্ছে না। ব্যাংকে তারল্য পড়ে রয়েছে, তারপরও টাকা খাটাতে চাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। সবাই ওয়েট অ্যান্ড সি অবস্থার মধ্যে আছে। এখন আবার করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সামস্টিক অর্থনীতি যদি ঠিক রাখা যায়, তবে ভালো। না হলে সরকারের পরিকল্পনামতো কর রাজস্ব পাওয়া সহজ হবে না।
আজকের পত্রিকা: আগামী দিনে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করেন?
কুতুবউদ্দিন আহমেদ: দরজিরা যেভাবে যেটুকু কাপড়, সেটুকু দিয়ে জামা বানায়, এখন আমরা এমন ফর্মুলায় চলছি। সরকার প্রণোদনা দেয়াতে আমরা টিকে রয়েছি। বড় কোনো ধাক্কা লাগেনি। পোশাকশিল্পের মালিকেরা তিন–চার মাসের বেতন দিতে পেরেছে। খুব চাপে পড়েনি। তা ছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো রয়েছে। রপ্তানিও মোটামুটি স্বাভাবিক হচ্ছে। অর্ডার আসছে। তবে বাংলাদেশ তৈরি কি না, সেটা হলো বড় বিষয়। মানে সামনে করোনার কী পরিস্থিতি হয়, লকডাউন কঠোর হবে কি না, ইত্যাদির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। লকডাউনের খবর বিদেশে নেতিবাচক বার্তা দেয়। আর যদি করোনা না বাড়ে, লকডাউন না দিতে হয়, আমরা ফ্যাক্টরি চালিয়ে যেতে পারি, তাহলে অর্থনীতি টিকে যাবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ বা সাড়ে ৫ শতাংশ হবে।
আজকের পত্রিকা: করোনায় ব্যবসা- বাণিজ্য কি ঠিকমতো চলছে?
কুতুবউদ্দিন আহমেদ: করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্যের যতটা খারাপ পরিস্থিতি হবে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তেমনটি হয়নি। এটাকে না ভালো, না খারাপ- এমন বলা যায়। এটা ঠিক আমরা ঝরে যাব না। ব্যবসায় আমরা টিকে আছি, টিকে থাকার চেষ্টা করছি। ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো হতাশা নেই, আমি হতাশ নই। বলতে পারেন আমি আশাবাদী। আর সামনের দিনগুলোতে যদি করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে আরও চাঙা হবে। সামনে সুদিন আছে। আমার ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে টেক্সটাইল মোটামুটি ভালো। মুনাফা করতে না পারলেও লোকসান নেই। তবে আমার হোটেল ব্যবসা ভালো না। করোনায় যেহেতু পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত, তার পুরো প্রভাব পড়েছে আমাদের হোটেল ব্যবসায়। হোটেলে বিদেশি কোনো ক্লায়েন্ট নেই। আমাদের ব্রোকারেজ ব্যবসা ভালো। বাকি সব ব্যবসাই টিকে রয়েছে। ভালোর দিকে আছে। আমরা চালিয়ে নিচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: প্রস্তাবিত বাজেটকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন, কতটা ব্যবসাবান্ধব হলো?
কুতুবউদ্দিন আহমেদ: বাজেটের একটি দিক আমার ভালো লেগেছে। তা হলো, নতুন খাতকে সুবিধা দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে গাড়ি, ইলেকট্রনিকস, হোম অ্যাপ্লায়েন্স ইত্যাদি। এতে বিনিয়োগ বাড়বে। বেকারত্ব কমবে। বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। আমদানি বিকল্প শিল্পের জন্য সহায়ক হবে। বাজেটে বিশেষ বিশেষ খাতকে ফোকাস করায় ভালো হয়েছে। এতে খাতগুলো বাড়তি সুবিধা পাবে। ফলে ওই খাতগুলো দাঁড়াতে পারবে। তবে যেগুলো করা দরকার তা হলো, বন্দরের বিভিন্ন চার্জ কমাতে হবে। রেলওয়ের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের মাশুল কমাতে হবে।
আজকের পত্রিকা: রাজস্ব আয়ে আপনাদের ওপর চাপ পড়বে কিনা?
কুতুবউদ্দিন আহমেদ: আসছে অর্থবছরে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব পাওয়া কঠিন হবে। আমাদের সবারই আয় কমেছে। অনেকে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়েছে। অনেকের বেতন কমেছে। নতুন করে বিনিয়োগ হচ্ছে না। ব্যাংকে তারল্য পড়ে রয়েছে, তারপরও টাকা খাটাতে চাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। সবাই ওয়েট অ্যান্ড সি অবস্থার মধ্যে আছে। এখন আবার করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সামস্টিক অর্থনীতি যদি ঠিক রাখা যায়, তবে ভালো। না হলে সরকারের পরিকল্পনামতো কর রাজস্ব পাওয়া সহজ হবে না।
আজকের পত্রিকা: আগামী দিনে কী কী চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করেন?
কুতুবউদ্দিন আহমেদ: দরজিরা যেভাবে যেটুকু কাপড়, সেটুকু দিয়ে জামা বানায়, এখন আমরা এমন ফর্মুলায় চলছি। সরকার প্রণোদনা দেয়াতে আমরা টিকে রয়েছি। বড় কোনো ধাক্কা লাগেনি। পোশাকশিল্পের মালিকেরা তিন–চার মাসের বেতন দিতে পেরেছে। খুব চাপে পড়েনি। তা ছাড়া রেমিট্যান্স প্রবাহ ভালো রয়েছে। রপ্তানিও মোটামুটি স্বাভাবিক হচ্ছে। অর্ডার আসছে। তবে বাংলাদেশ তৈরি কি না, সেটা হলো বড় বিষয়। মানে সামনে করোনার কী পরিস্থিতি হয়, লকডাউন কঠোর হবে কি না, ইত্যাদির ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। লকডাউনের খবর বিদেশে নেতিবাচক বার্তা দেয়। আর যদি করোনা না বাড়ে, লকডাউন না দিতে হয়, আমরা ফ্যাক্টরি চালিয়ে যেতে পারি, তাহলে অর্থনীতি টিকে যাবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ বা সাড়ে ৫ শতাংশ হবে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন বিষয়ে বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক।
৮ দিন আগে২০২৪ সালে সংঘটিত ‘মনসুন রেভল্যুশন’-এর পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নেতৃত্বশূন্যতা ও প্রশাসনিক অচলাবস্থা। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ আহমেদ মুশফিক মোবারক তুলে ধরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণ, আইনশৃঙ্খলা সংকট, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক কর্মসংস্থানের উদ্যোগসহ নানা...
২২ দিন আগেবদরুদ্দীন উমর লেখক, গবেষক ও বামপন্থী রাজনীতিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিপিই ডিগ্রি পান। দেশে ফিরে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। গভর্নর মোনায়েম খানের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদে ১৯৬৮ সালে
২৩ দিন আগেএক বছরেরও কম সময়ে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিসে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে ফুডিবিডি ডট কম। প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজারের বেশি অর্ডার ডেলিভারি করছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের সঙ্গে কাজ করছে সাত হাজারের বেশি রেস্তোরাঁ। ফুডির উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, পরিকল্পনা, অনলাইন ফুড ডেলিভারি সার্ভিস খাতের বর্তমান অবস্থাসহ নানা বিষয়ে আজক
০৬ মে ২০২৫