ফারুক মেহেদী
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশটির মূলধারায় কী হারে অংশ নিচ্ছেন? তাঁরা ব্যবসায় কেমন করছেন? দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে তাঁদের মনোভাব কী? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন নিউইয়র্ক মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি–(এমটিএ) ইউনিয়নের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাইম মুন্তাকিম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: আপনি যে প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে আছেন, মূলত এর কাজ কী? সরকারি এই প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশিরা কেমন অবদান রাখছে?
সাইম মুন্তাকিম: এটি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এক শক্তিশালী সংগঠন। এখানে প্রায় ৭০ হাজার কর্মী কাজ করেন। তাঁরা নিউইয়র্ক শহরের সাবওয়ে, ট্রেন চালানো, বাস চলাচল ব্যবস্থাপনাসহ এ-সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রমে যুক্ত। অনেকে আবার এয়ারলাইনসের কর্মীদেরও প্রতিনিধিত্ব করেন। আমরা মূলত আমাদের কর্মীদের বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নিউইয়র্ক রাজ্য সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করি। এখানে অনেক বাংলাদেশি কর্মী কাজ করেন। সংখ্যায় তা প্রায় ২ হাজারের মতো। বলা যায়, এ সংখ্যা বাড়ছে। ভালো কাজে তাঁদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: দেশটির মূলধারার চাকরিতে বাংলাদেশি পেশাজীবীরা কেমন করছে?
সাইম মুন্তাকিম: বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করছেন। যেমন সিটি ট্রান্সপোর্ট ছাড়াও নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ, পোস্টাল বিভাগ, কোর্ট, শ্রম বিভাগ, আবাসন বিভাগ–এ রকম প্রতিটি বিভাগেই বাংলাদেশি পেশাজীবীরা কাজ করছেন, যোগ্যতার প্রমাণ রাখছেন এবং পদোন্নতি পেয়ে আরও ভালো পদেও জায়গা নিচ্ছেন। তাঁদের অনেকে পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সেখানেও মেধা ও যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম শ্রেণির চাকরি নিচ্ছেন। অনেকে বিভিন্ন সিটির বিভিন্ন সংস্থার পরিচালক পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন। কাজের দক্ষতার জন্যই তাঁরা এগিয়ে যাচ্ছেন।
আজকের পত্রিকা: ব্যবসায় কেমন বিনিয়োগ প্রবাসীদের?
সাইম মুন্তাকিম: বাংলাদেশিরা সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে এগিয়ে থাকলেও ব্যবসায় ততটা নন। তবে যাঁরা রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় এসেছেন তাঁরা অপেক্ষাকৃত ভালো করছেন। ব্যবসায় সংখ্যা কম হলেও এখন তা বাড়ছে। বিশেষ করে কুইন্স, ব্রংকস এবং ব্রুকলিনে প্রচুর বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট আছে। অনেকে কনস্ট্রাকশন ও ট্রাভেল ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত আছেন। বলা যায়, ছোট পরিসরে হলেও তাঁরা এখানে ব্যবসার প্রায় প্রতিটি খাতেই জড়িত হচ্ছেন। কেউ অবশ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো বড় খাতেও বিনিয়োগ করেছেন। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে অনেকে আবাসন ও খামারেও বেশ ভালো বিনিয়োগ করছেন।
আজকের পত্রিকা: দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রবাসীদের মনোভাব কী?
সাইম মুন্তাকিম: দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে এখানের প্রবাসীদের আগ্রহ কম। বিগত সময়ে অনেকের তিক্ত অভিজ্ঞতাই এ জন্য দায়ী। ৯০ শতাংশ প্রবাসীই মনে করেন দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নেই এবং তাঁদের বিনিয়োগের কোনো নিশ্চয়তাও নেই। আইনশৃঙ্খলার অবনতি, চাঁদাবাজি এসব কারণে তাঁরা বিনিয়োগে ভয় পান। তাঁদের ব্যক্তিগত ও পুঁজির নিরাপত্তা এবং যেসব নেতিবাচক দিক রয়েছে সেগুলো দূর করা গেলে, আমার ধারণা তাঁরা বিনিয়োগে আসবেন। টাকার সংকট নেই। দরকার নিরাপত্তা ও ইতিবাচক ভাবমূর্তি।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশটির মূলধারায় কী হারে অংশ নিচ্ছেন? তাঁরা ব্যবসায় কেমন করছেন? দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে তাঁদের মনোভাব কী? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন নিউইয়র্ক মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি–(এমটিএ) ইউনিয়নের নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সাইম মুন্তাকিম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: আপনি যে প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে আছেন, মূলত এর কাজ কী? সরকারি এই প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশিরা কেমন অবদান রাখছে?
সাইম মুন্তাকিম: এটি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এক শক্তিশালী সংগঠন। এখানে প্রায় ৭০ হাজার কর্মী কাজ করেন। তাঁরা নিউইয়র্ক শহরের সাবওয়ে, ট্রেন চালানো, বাস চলাচল ব্যবস্থাপনাসহ এ-সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রমে যুক্ত। অনেকে আবার এয়ারলাইনসের কর্মীদেরও প্রতিনিধিত্ব করেন। আমরা মূলত আমাদের কর্মীদের বেতন-ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নিউইয়র্ক রাজ্য সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করি। এখানে অনেক বাংলাদেশি কর্মী কাজ করেন। সংখ্যায় তা প্রায় ২ হাজারের মতো। বলা যায়, এ সংখ্যা বাড়ছে। ভালো কাজে তাঁদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: দেশটির মূলধারার চাকরিতে বাংলাদেশি পেশাজীবীরা কেমন করছে?
সাইম মুন্তাকিম: বাংলাদেশিরা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করছেন। যেমন সিটি ট্রান্সপোর্ট ছাড়াও নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ, পোস্টাল বিভাগ, কোর্ট, শ্রম বিভাগ, আবাসন বিভাগ–এ রকম প্রতিটি বিভাগেই বাংলাদেশি পেশাজীবীরা কাজ করছেন, যোগ্যতার প্রমাণ রাখছেন এবং পদোন্নতি পেয়ে আরও ভালো পদেও জায়গা নিচ্ছেন। তাঁদের অনেকে পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সেখানেও মেধা ও যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রথম শ্রেণির চাকরি নিচ্ছেন। অনেকে বিভিন্ন সিটির বিভিন্ন সংস্থার পরিচালক পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেন। কাজের দক্ষতার জন্যই তাঁরা এগিয়ে যাচ্ছেন।
আজকের পত্রিকা: ব্যবসায় কেমন বিনিয়োগ প্রবাসীদের?
সাইম মুন্তাকিম: বাংলাদেশিরা সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে এগিয়ে থাকলেও ব্যবসায় ততটা নন। তবে যাঁরা রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় এসেছেন তাঁরা অপেক্ষাকৃত ভালো করছেন। ব্যবসায় সংখ্যা কম হলেও এখন তা বাড়ছে। বিশেষ করে কুইন্স, ব্রংকস এবং ব্রুকলিনে প্রচুর বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট আছে। অনেকে কনস্ট্রাকশন ও ট্রাভেল ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত আছেন। বলা যায়, ছোট পরিসরে হলেও তাঁরা এখানে ব্যবসার প্রায় প্রতিটি খাতেই জড়িত হচ্ছেন। কেউ অবশ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের মতো বড় খাতেও বিনিয়োগ করেছেন। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে অনেকে আবাসন ও খামারেও বেশ ভালো বিনিয়োগ করছেন।
আজকের পত্রিকা: দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রবাসীদের মনোভাব কী?
সাইম মুন্তাকিম: দেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে এখানের প্রবাসীদের আগ্রহ কম। বিগত সময়ে অনেকের তিক্ত অভিজ্ঞতাই এ জন্য দায়ী। ৯০ শতাংশ প্রবাসীই মনে করেন দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নেই এবং তাঁদের বিনিয়োগের কোনো নিশ্চয়তাও নেই। আইনশৃঙ্খলার অবনতি, চাঁদাবাজি এসব কারণে তাঁরা বিনিয়োগে ভয় পান। তাঁদের ব্যক্তিগত ও পুঁজির নিরাপত্তা এবং যেসব নেতিবাচক দিক রয়েছে সেগুলো দূর করা গেলে, আমার ধারণা তাঁরা বিনিয়োগে আসবেন। টাকার সংকট নেই। দরকার নিরাপত্তা ও ইতিবাচক ভাবমূর্তি।
বাংলাদেশি তরুণ ওমর আহমেদ বর্তমানে বেলজিয়ামের ইএএসপিডি ব্রাসেলসের ইইউ প্রজেক্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। বেলজিয়ামে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কাজ, বাংলাদেশিদের সুযোগ ও প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন নাদিম মজিদ।
২২ মার্চ ২০২৫ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব একজন প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ এবং জননীতি বিশ্লেষক। তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। সম্প্রতি তথ্য খাতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্চি হক।
১৭ মার্চ ২০২৫অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস পূর্ণ হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ে দেশের অর্থনীতির অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার বাণিজ্য সম্পাদক শাহ আলম খান।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে ধারণ করা জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র একটি পর্বে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সাক্ষাৎকারে তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত অংশ আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫