আওয়ামী লীগের নবগঠিত সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন তৃতীয় মেয়াদে খাগড়াছড়ি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। দায়িত্ব গ্রহণের প্রাক্কালে পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, পাহাড়ের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসন, উন্নয়ন ও সরকারের সুফল পাহাড়ের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে কুজেন্দ্র লালের চিন্তাভাবনা জানতে তাঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথোপকথন হয়েছে আজকের পত্রিকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বান্দরবান প্রতিনিধি এস বাসু দাশ।
বান্দরবান প্রতিনিধি
আজকের পত্রিকা: কেমন আছেন?
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা: ভালো আছি।
আজকের পত্রিকা: পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে আপনি কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করবেন?
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা: আপনারা সকলে জানেন যে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বেশ আন্তরিক। তিনি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ’৯৭ সালের দোসরা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেন। সেই অবধি পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি-শৃঙ্খলা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সবকিছু বজায় রেখেছেন। শান্তি চুক্তির অনেক ধারা-উপধারা রয়েছে, অনেকগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে, অনেকগুলো চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কারণেই আমাকে বৃহত্তর পরিসরে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি অবশ্যই চেষ্টা করব, সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ, পাহাড়ের সকলকে নিয়ে শান্তি চুক্তির যা অবশিষ্ট রয়েছে, তা পুরোপুরি যাতে বাস্তবায়ন করতে পারি, এটাই প্রথমে থাকবে।
আজকের পত্রিকা: পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিসহ (জেএসএস) বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের অভিযোগ, পার্বত্য শান্তি চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা: যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলেই তো, আমরা যথাযথ বাস্তবায়নের জন্যই কাজ করব। আমার বিশ্বাস যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য অঞ্চলের জন্য খুবই আন্তরিক। সেখানে (পার্বত্য জেলায়) বসবাস করা মানুষের প্রতি তিনি খুব আন্তরিক, হৃদয়বান, সহানুভূতিশীল। পার্বত্য শান্তি চুক্তি তিনি করেছেন। সুতরাং, তিনিই সহানুভূতির সঙ্গে পার্বত্যবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে সহযোগিতা করবেন।
আজকের পত্রিকা: পাহাড়ে সংঘাত কমাতে কোন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন?
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা: দেখবেন আপনারা, কীভাবে সংঘাত কমানো যায়। পাহাড়ে সংঘাত, পাহাড়ে অশান্তি থাকুক কেউ চাই না। পাহাড়ের উন্নয়নের ধারা বাধাগ্রস্ত হোক, কেউ চাই না। আমরা সকলে মিলে সংঘাত বন্ধ করার চেষ্টা করব।
আজকের পত্রিকা: তিন পার্বত্য জেলার উন্নয়নে সুষম বণ্টন নিশ্চিত করবেন কি না?
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা: অবশ্যই করব। এখানে পাহাড়িসহ বিভিন্ন ধর্ম ও বিভিন্ন বর্ণ, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছে। অবশ্যই সেটা আগে দেখার বিষয়। সকলের অধিকার রয়েছে বেঁচে থাকার। সকলের উন্নয়নের ভাগীদার ও অংশীদার হওয়ার অধিকার রয়েছে। সে জন্য আমি সকল জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে, সুষম বণ্টনের ক্ষেত্রে, আমি খুবই সতর্ক থাকব।
আজকের পত্রিকা: পাহাড়ের মানুষের জন্য আপনার বার্তা কী?
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা: পাহাড়ের সব জনগোষ্ঠীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, ধন্যবাদ জানাই। আমার এত দূর আসার পেছনে তাদের ভূমিকা রয়েছে। তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আমি কাজ করব, আমি দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বলছি, বাংলাদেশের অপরাপর অঞ্চলের যে উন্নয়নের ধারা, সেই উন্নয়নের ধারার সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীকে সম্পৃক্ত রাখতে ভূমিকা রাখব।
আজকের পত্রিকা: আপনাকে ধন্যবাদ।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা: আপনাকেও ধন্যবাদ।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বর্তমানে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০১৪ সাল থেকে টানা তিনবার এ আসনে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান করা হয়। এর আগে তিনি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ১৯৬৩ সালের ৪ নভেম্বর খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করেন।
আজকের পত্রিকা: কেমন আছেন?
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা: ভালো আছি।
আজকের পত্রিকা: পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে আপনি কী কী উদ্যোগ গ্রহণ করবেন?
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা: আপনারা সকলে জানেন যে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বেশ আন্তরিক। তিনি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ’৯৭ সালের দোসরা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদন করেন। সেই অবধি পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি-শৃঙ্খলা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সবকিছু বজায় রেখেছেন। শান্তি চুক্তির অনেক ধারা-উপধারা রয়েছে, অনেকগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে, অনেকগুলো চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কারণেই আমাকে বৃহত্তর পরিসরে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি অবশ্যই চেষ্টা করব, সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ, পাহাড়ের সকলকে নিয়ে শান্তি চুক্তির যা অবশিষ্ট রয়েছে, তা পুরোপুরি যাতে বাস্তবায়ন করতে পারি, এটাই প্রথমে থাকবে।
আজকের পত্রিকা: পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিসহ (জেএসএস) বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের অভিযোগ, পার্বত্য শান্তি চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা: যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলেই তো, আমরা যথাযথ বাস্তবায়নের জন্যই কাজ করব। আমার বিশ্বাস যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য অঞ্চলের জন্য খুবই আন্তরিক। সেখানে (পার্বত্য জেলায়) বসবাস করা মানুষের প্রতি তিনি খুব আন্তরিক, হৃদয়বান, সহানুভূতিশীল। পার্বত্য শান্তি চুক্তি তিনি করেছেন। সুতরাং, তিনিই সহানুভূতির সঙ্গে পার্বত্যবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করতে সহযোগিতা করবেন।
আজকের পত্রিকা: পাহাড়ে সংঘাত কমাতে কোন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন?
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা: দেখবেন আপনারা, কীভাবে সংঘাত কমানো যায়। পাহাড়ে সংঘাত, পাহাড়ে অশান্তি থাকুক কেউ চাই না। পাহাড়ের উন্নয়নের ধারা বাধাগ্রস্ত হোক, কেউ চাই না। আমরা সকলে মিলে সংঘাত বন্ধ করার চেষ্টা করব।
আজকের পত্রিকা: তিন পার্বত্য জেলার উন্নয়নে সুষম বণ্টন নিশ্চিত করবেন কি না?
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা: অবশ্যই করব। এখানে পাহাড়িসহ বিভিন্ন ধর্ম ও বিভিন্ন বর্ণ, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছে। অবশ্যই সেটা আগে দেখার বিষয়। সকলের অধিকার রয়েছে বেঁচে থাকার। সকলের উন্নয়নের ভাগীদার ও অংশীদার হওয়ার অধিকার রয়েছে। সে জন্য আমি সকল জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে, সুষম বণ্টনের ক্ষেত্রে, আমি খুবই সতর্ক থাকব।
আজকের পত্রিকা: পাহাড়ের মানুষের জন্য আপনার বার্তা কী?
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা: পাহাড়ের সব জনগোষ্ঠীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই, ধন্যবাদ জানাই। আমার এত দূর আসার পেছনে তাদের ভূমিকা রয়েছে। তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আমি কাজ করব, আমি দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বলছি, বাংলাদেশের অপরাপর অঞ্চলের যে উন্নয়নের ধারা, সেই উন্নয়নের ধারার সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীকে সম্পৃক্ত রাখতে ভূমিকা রাখব।
আজকের পত্রিকা: আপনাকে ধন্যবাদ।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা: আপনাকেও ধন্যবাদ।
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বর্তমানে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০১৪ সাল থেকে টানা তিনবার এ আসনে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান করা হয়। এর আগে তিনি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ১৯৬৩ সালের ৪ নভেম্বর খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় জন্ম গ্রহণ করেন।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে বিভাগটির ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
২২ জুন ২০২৫‘বাংলাদেশের মানুষ যদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ কিংবা অনুপাতভিত্তিক ভোটব্যবস্থা বুঝত! উল্টো তারা বলবে, আমরা এসব বুঝি না! আমি তোমাকে ভোট দেব, কয় টাকা দেবে? সহজ ভাষায় বললে বিষয়টি তা-ই—তুমি টাকা দাও, আমি ভোট দেব—দেশে ভোটের চর্চা এমনই।’
১৫ জুন ২০২৫গত বছর জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মামলার বিচার প্রক্রিয়াসহ নানা দিক নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
১১ জুন ২০২৫ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন বিষয়ে বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক।
০১ জুন ২০২৫