ফারুক মেহেদী
করোনায় কেমন চলছে ব্যবসা? ব্যাটারি খাতের স্থানীয় ও রপ্তানি বাজারে কী প্রভাব? আগোরা কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? এসব নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন সুপারশপ আগোরার উদ্যোক্তা ও রহিমআফরোজ বাংলাদেশের গ্রুপ পরিচালক নিয়াজ রহিম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: করোনায় কেমন চলছে আপনাদের ব্যবসা?
নিয়াজ রহিম: করোনায় প্রায় সব অচল। কেউ ভালো নেই। প্রতিটি খাত ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা তো বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা আর বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে চলি। যারা ওদের পরামর্শ থেকে সরে আসতে পেরেছে, তারা মোটামুটি ভালো। আমরা হলাম গরিব দেশ। আমরা লকডাউন করে আরও শেষ হয়ে যাচ্ছি। যত উন্নয়নশীল দেশ আছে, সবাই লকডাউন করে কঠিন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে কীভাবে করোনার মোকাবিলা করা হবে?
নিয়াজ রহিম: করোনা তো আর চলে যাচ্ছে না। এর সঙ্গে যুদ্ধও করতে পারবেন না। একে মোকাবিলা করেই টিকে থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ইত্যাদি করবেন। জীবন তো বন্ধ করতে পারবেন না। কানাডার মতো দেশে সরকার ভর্তুকি দেয়। জনগণের কাছে খাবার পাঠায়, নগদ টাকা দেয়। আমাদের তো সেই উপায় নেই। এখানে সাধারণ মানুষই গরিব মানুষকে খাওয়াচ্ছে। অর্থনীতি তো একটা চক্র। এক জায়গায় বাধা পড়লে আরেক জায়গায় টান পড়ে।
আজকের পত্রিকা: আপনাদের মূল ব্যবসা তো ব্যাটারি। এ খাতের কী খবর?
নিয়াজ রহিম: ব্যবসা তো খুবই ভালো। তবে এখন করোনার কারণে ভুগছে। বেচাবিক্রি না হওয়ায় আর্থিক একটা বিপর্যয়ে পড়ে যাচ্ছি। নগদ অর্থের প্রবাহ কমে গেছে। আমাদের মূল হলো বিক্রি। বিক্রি না হলে রাজস্ব আসবে না। নগদ টাকা না থাকলে উৎপাদন করতে পারব না। বর্তমানে ব্যবসা প্রায় ৬০ শতাংশ নেই। দেড় বছর ধরে বলা যায় পুরো বাংলাদেশই তো অচল। কোনো প্রয়োজন না হলে কেউ বাইরে যাচ্ছে না। পণ্য কিনছে না। আমরা বিনিয়োগের জন্য খুঁজছি। টাকা পাচ্ছি না।
আজকের পত্রিকা: ব্যাটারির রপ্তানি বাজারের কী অবস্থা?
নিয়াজ রহিম: আমাদের ব্যাটারির রপ্তানি বাজারও বিশাল। প্রায় ৭৩টা দেশে আমাদের ব্যাটারি রপ্তানি হয়। রপ্তানি অর্ডার অনেক। তবে চাহিদামতো পণ্য উৎপাদন করতে পারছি না। সরবরাহও দিতে পারছি না। তারল্য সংকট প্রকট। ব্যাংকঋণ পাওয়া যাচ্ছে না। তা ছাড়া আয় না থাকলে ঋণ নিয়ে কী হবে? তা তো সুদসহ ফেরত দিতে হবে। এটা নিয়ে কেউ কথা বলছে না। আমরা নীরবে শেষ হয়ে যাচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: সুপারশপ আগোরা কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?
নিয়াজ রহিম: বন্ধ হচ্ছে না। আমরা আগোরা ছেড়ে দিচ্ছি। এটা এখন মীনাবাজার কর্তৃপক্ষ চালাবে। আমরা আর সুপারশপে থাকছি না, এখান থেকে বের হয়ে যাচ্ছি। আমি অসুস্থ হওয়ার পর সময় দিতে পারিনি। আর এটা হলো সার্বক্ষণিক ব্যবসা। সময় না দিতে পারলে এটাকে টেকানো কঠিন। আগোরা তো একটা ডিসপ্লে। এর পেছনে আছে বিশাল সাপ্লাই চেইন। মাঠ পর্যায় থেকে এখানে পণ্য চলে আসে বাধাহীনভাবে।
করোনায় কেমন চলছে ব্যবসা? ব্যাটারি খাতের স্থানীয় ও রপ্তানি বাজারে কী প্রভাব? আগোরা কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? এসব নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন সুপারশপ আগোরার উদ্যোক্তা ও রহিমআফরোজ বাংলাদেশের গ্রুপ পরিচালক নিয়াজ রহিম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: করোনায় কেমন চলছে আপনাদের ব্যবসা?
নিয়াজ রহিম: করোনায় প্রায় সব অচল। কেউ ভালো নেই। প্রতিটি খাত ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা তো বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা আর বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে চলি। যারা ওদের পরামর্শ থেকে সরে আসতে পেরেছে, তারা মোটামুটি ভালো। আমরা হলাম গরিব দেশ। আমরা লকডাউন করে আরও শেষ হয়ে যাচ্ছি। যত উন্নয়নশীল দেশ আছে, সবাই লকডাউন করে কঠিন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে।
আজকের পত্রিকা: তাহলে কীভাবে করোনার মোকাবিলা করা হবে?
নিয়াজ রহিম: করোনা তো আর চলে যাচ্ছে না। এর সঙ্গে যুদ্ধও করতে পারবেন না। একে মোকাবিলা করেই টিকে থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মাস্ক পরতে হবে, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে ইত্যাদি করবেন। জীবন তো বন্ধ করতে পারবেন না। কানাডার মতো দেশে সরকার ভর্তুকি দেয়। জনগণের কাছে খাবার পাঠায়, নগদ টাকা দেয়। আমাদের তো সেই উপায় নেই। এখানে সাধারণ মানুষই গরিব মানুষকে খাওয়াচ্ছে। অর্থনীতি তো একটা চক্র। এক জায়গায় বাধা পড়লে আরেক জায়গায় টান পড়ে।
আজকের পত্রিকা: আপনাদের মূল ব্যবসা তো ব্যাটারি। এ খাতের কী খবর?
নিয়াজ রহিম: ব্যবসা তো খুবই ভালো। তবে এখন করোনার কারণে ভুগছে। বেচাবিক্রি না হওয়ায় আর্থিক একটা বিপর্যয়ে পড়ে যাচ্ছি। নগদ অর্থের প্রবাহ কমে গেছে। আমাদের মূল হলো বিক্রি। বিক্রি না হলে রাজস্ব আসবে না। নগদ টাকা না থাকলে উৎপাদন করতে পারব না। বর্তমানে ব্যবসা প্রায় ৬০ শতাংশ নেই। দেড় বছর ধরে বলা যায় পুরো বাংলাদেশই তো অচল। কোনো প্রয়োজন না হলে কেউ বাইরে যাচ্ছে না। পণ্য কিনছে না। আমরা বিনিয়োগের জন্য খুঁজছি। টাকা পাচ্ছি না।
আজকের পত্রিকা: ব্যাটারির রপ্তানি বাজারের কী অবস্থা?
নিয়াজ রহিম: আমাদের ব্যাটারির রপ্তানি বাজারও বিশাল। প্রায় ৭৩টা দেশে আমাদের ব্যাটারি রপ্তানি হয়। রপ্তানি অর্ডার অনেক। তবে চাহিদামতো পণ্য উৎপাদন করতে পারছি না। সরবরাহও দিতে পারছি না। তারল্য সংকট প্রকট। ব্যাংকঋণ পাওয়া যাচ্ছে না। তা ছাড়া আয় না থাকলে ঋণ নিয়ে কী হবে? তা তো সুদসহ ফেরত দিতে হবে। এটা নিয়ে কেউ কথা বলছে না। আমরা নীরবে শেষ হয়ে যাচ্ছি।
আজকের পত্রিকা: সুপারশপ আগোরা কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?
নিয়াজ রহিম: বন্ধ হচ্ছে না। আমরা আগোরা ছেড়ে দিচ্ছি। এটা এখন মীনাবাজার কর্তৃপক্ষ চালাবে। আমরা আর সুপারশপে থাকছি না, এখান থেকে বের হয়ে যাচ্ছি। আমি অসুস্থ হওয়ার পর সময় দিতে পারিনি। আর এটা হলো সার্বক্ষণিক ব্যবসা। সময় না দিতে পারলে এটাকে টেকানো কঠিন। আগোরা তো একটা ডিসপ্লে। এর পেছনে আছে বিশাল সাপ্লাই চেইন। মাঠ পর্যায় থেকে এখানে পণ্য চলে আসে বাধাহীনভাবে।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ২৩ জুন। দীর্ঘ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। বর্তমানে বিভাগটির ইমেরিটাস অধ্যাপক। মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ অধ্যাপক চৌধুরী নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
২২ জুন ২০২৫‘বাংলাদেশের মানুষ যদি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ কিংবা অনুপাতভিত্তিক ভোটব্যবস্থা বুঝত! উল্টো তারা বলবে, আমরা এসব বুঝি না! আমি তোমাকে ভোট দেব, কয় টাকা দেবে? সহজ ভাষায় বললে বিষয়টি তা-ই—তুমি টাকা দাও, আমি ভোট দেব—দেশে ভোটের চর্চা এমনই।’
১৫ জুন ২০২৫গত বছর জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে (আইসিটি) মামলার বিচার প্রক্রিয়াসহ নানা দিক নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী
১১ জুন ২০২৫ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ। বর্তমানে তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন বিষয়ে বেসরকারি উদ্যোগে গঠিত নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক।
০১ জুন ২০২৫