ফারুক মেহেদী
করোনায় কেমন চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য? বিনিয়োগ পরিস্থিতিই বা কেমন? সামনে কী চ্যালেঞ্জ আসছে? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মীর গ্রুপের এমডি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট মীর নাসির হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: করোনায় কেমন চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য?
মীর নাসির হোসেন: করোনায় সারা দুনিয়ার মতো বাংলাদেশও বিপর্যস্ত। এর প্রভাবে এখানকার অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ব্যবসা বসে গেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প আক্রান্ত হয়েছে মারাত্মকভাবে। কর্মসংস্থান ব্যাহত হয়েছে। এর মধ্যেও অবশ্য রেমিট্যান্স, অবকাঠামো খাতে বেশ উন্নতি হয়েছে। এখন আবার করোনা বাড়ছে। লকডাউন চলছে। অবশ্য এর বিকল্পও নেই। করোনা পরিস্থিতি কী হবে, এখনো তা ধারণা করা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতি আরও স্থবির হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: করোনা নিয়ন্ত্রণে না এলে কী হবে?
মীর নাসির হোসেন: এখনো টিকার ব্যবস্থা করা যায়নি। মানুষও স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মানছে না। যদি সবার মধ্যে সচেতনতা না আসে, তাহলে পরিণতি আরও খারাপের ঝুঁকি আছে। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কম। আবার যেটুকু আছে, তার পুরোটা খরচও করতে পারে না। আমি মনে করি, সংক্রমণ যতক্ষণ নিয়ন্ত্রণে না আসবে, অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোও কঠিন হবে। যদিও সরকার প্রণোদনা দিয়েছে। তারপরও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ঠিকমতো এর সুবিধা পায়নি। এ খাতে আরও বেশি জোর দেওয়া দরকার ছিল। যে করেই হোক, করোনার সংক্রমণ রোধ করে অর্থনীতিকে মূল স্রোতে নিয়ে আসতে হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। না হলে সামনে অর্থনীতির জন্য বেশ ঝুঁকি আছে।
আজকের পত্রিকা: সামনে বিনিয়োগ পরিস্থিতি কেমন হতে পারে?
মীর নাসির হোসেন: উদ্যোক্তা আছে, সক্ষমতা আছে। তারা বিনিয়োগমুখী। তবে সাহস করছে না। কী হবে, না হবে—এ রকম একটা ভয় আছে সবার মধ্যে। টেক্সটাইল খাতে চাঞ্চল্য আছে। এ খাতে বিনিয়োগ আসছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলেও বেশ সাড়া আছে। সেখানে সুযোগ-সুবিধা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দিতে পারলে বাইরের বিনিয়োগ আসবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, জমি হলো বিনিয়োগের মূল উপকরণ। এসব ঠিকমতো দিতে পারলে আগামী দিনে বিনিয়োগ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেল—সবগুলোর কাজ চলছে। আশা করা যায় আগামী দুই বছরের মধ্যে এগুলো সব চালু হয়ে যাবে। তখন বিনিয়োগ পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। দেশি–বিদেশি উদ্যোক্তারা উৎসাহের সঙ্গে এগিয়ে আসবে বলে মনে করি।
আজকের পত্রিকা: আগামী দিনে কী কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন?
মীর নাসির হোসেন: তারপরও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। বিশেষ করে বন্দর সুবিধা আরও বাড়াতে হবে। বন্দরের সক্ষমতা সন্তোষজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যায়নি। নানান সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ব্যয় এখনো বেশি। পায়রা, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরও এখনো পুরো কার্যকর নয়। বে–টার্মিনালও এখনো প্রস্তুত নয়। সামনের দিনে সি–ট্রান্সপোর্টেশন গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা-চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহন ব্যবস্থাও দক্ষ নয়। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে পণ্য পাঠানোতেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটাই বাস্তবতা। বিদ্যুৎ খাতের উন্নতি হয়েছে। তারপরও সঞ্চালন লাইনে সমস্যা আছে।
করোনায় কেমন চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য? বিনিয়োগ পরিস্থিতিই বা কেমন? সামনে কী চ্যালেঞ্জ আসছে? এসব বিষয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন মীর গ্রুপের এমডি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট মীর নাসির হোসেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী।
আজকের পত্রিকা: করোনায় কেমন চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য?
মীর নাসির হোসেন: করোনায় সারা দুনিয়ার মতো বাংলাদেশও বিপর্যস্ত। এর প্রভাবে এখানকার অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ব্যবসা বসে গেছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প আক্রান্ত হয়েছে মারাত্মকভাবে। কর্মসংস্থান ব্যাহত হয়েছে। এর মধ্যেও অবশ্য রেমিট্যান্স, অবকাঠামো খাতে বেশ উন্নতি হয়েছে। এখন আবার করোনা বাড়ছে। লকডাউন চলছে। অবশ্য এর বিকল্পও নেই। করোনা পরিস্থিতি কী হবে, এখনো তা ধারণা করা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে অর্থনীতি আরও স্থবির হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: করোনা নিয়ন্ত্রণে না এলে কী হবে?
মীর নাসির হোসেন: এখনো টিকার ব্যবস্থা করা যায়নি। মানুষও স্বাস্থ্যবিধি ঠিকমতো মানছে না। যদি সবার মধ্যে সচেতনতা না আসে, তাহলে পরিণতি আরও খারাপের ঝুঁকি আছে। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কম। আবার যেটুকু আছে, তার পুরোটা খরচও করতে পারে না। আমি মনে করি, সংক্রমণ যতক্ষণ নিয়ন্ত্রণে না আসবে, অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোও কঠিন হবে। যদিও সরকার প্রণোদনা দিয়েছে। তারপরও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ঠিকমতো এর সুবিধা পায়নি। এ খাতে আরও বেশি জোর দেওয়া দরকার ছিল। যে করেই হোক, করোনার সংক্রমণ রোধ করে অর্থনীতিকে মূল স্রোতে নিয়ে আসতে হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। না হলে সামনে অর্থনীতির জন্য বেশ ঝুঁকি আছে।
আজকের পত্রিকা: সামনে বিনিয়োগ পরিস্থিতি কেমন হতে পারে?
মীর নাসির হোসেন: উদ্যোক্তা আছে, সক্ষমতা আছে। তারা বিনিয়োগমুখী। তবে সাহস করছে না। কী হবে, না হবে—এ রকম একটা ভয় আছে সবার মধ্যে। টেক্সটাইল খাতে চাঞ্চল্য আছে। এ খাতে বিনিয়োগ আসছে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলেও বেশ সাড়া আছে। সেখানে সুযোগ-সুবিধা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় দিতে পারলে বাইরের বিনিয়োগ আসবে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, জমি হলো বিনিয়োগের মূল উপকরণ। এসব ঠিকমতো দিতে পারলে আগামী দিনে বিনিয়োগ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেল—সবগুলোর কাজ চলছে। আশা করা যায় আগামী দুই বছরের মধ্যে এগুলো সব চালু হয়ে যাবে। তখন বিনিয়োগ পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। দেশি–বিদেশি উদ্যোক্তারা উৎসাহের সঙ্গে এগিয়ে আসবে বলে মনে করি।
আজকের পত্রিকা: আগামী দিনে কী কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন?
মীর নাসির হোসেন: তারপরও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। বিশেষ করে বন্দর সুবিধা আরও বাড়াতে হবে। বন্দরের সক্ষমতা সন্তোষজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যায়নি। নানান সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ব্যয় এখনো বেশি। পায়রা, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরও এখনো পুরো কার্যকর নয়। বে–টার্মিনালও এখনো প্রস্তুত নয়। সামনের দিনে সি–ট্রান্সপোর্টেশন গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা-চট্টগ্রাম পণ্য পরিবহন ব্যবস্থাও দক্ষ নয়। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে পণ্য পাঠানোতেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এটাই বাস্তবতা। বিদ্যুৎ খাতের উন্নতি হয়েছে। তারপরও সঞ্চালন লাইনে সমস্যা আছে।
বাংলাদেশি তরুণ ওমর আহমেদ বর্তমানে বেলজিয়ামের ইএএসপিডি ব্রাসেলসের ইইউ প্রজেক্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত। বেলজিয়ামে উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কাজ, বাংলাদেশিদের সুযোগ ও প্রস্তুতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন নাদিম মজিদ।
২২ মার্চ ২০২৫ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব একজন প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ এবং জননীতি বিশ্লেষক। তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। সম্প্রতি তথ্য খাতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অর্চি হক।
১৭ মার্চ ২০২৫অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস পূর্ণ হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি। এ সময়ে দেশের অর্থনীতির অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আজকের পত্রিকার বাণিজ্য সম্পাদক শাহ আলম খান।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে ধারণ করা জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র একটি পর্বে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সাক্ষাৎকারে তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত অংশ আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫