Ajker Patrika

‘কালোটাকায় চাঙা আবাসন খাত’

ফারুক মেহেদী
‘কালোটাকায় চাঙা আবাসন খাত’

আবাসন খাতে করোনার প্রভাব কী? বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ কতটা কাজে লাগল? এসব বিষয়ে কথা বলেছেন দেশের আবাসন খাতের উদ্যোক্তা ও এ খাতের শীর্ষ সংগঠন রিহ্যাবের প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামীন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক মেহেদী। 

আজকের পত্রিকা: ব্যবসা-বাণিজ্যে করোনার প্রভাব কীভাবে মোকাবিলা করছেন?

আলমগীর শামসুল আলামীন: গেল বছরের শুরুর দিকে করোনা আঘাত হানার পর থেকেই সরকারকে নানান পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। এতে কমবেশি আমাদের সবারই ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সব খাতেই এর প্রভাব পড়েছে। করোনা মোকাবিলায় আমরাও প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন পদক্ষেপে সাড়া দিয়েছি। এর মধ্যেও সীমিত পরিসরে শিল্পকারখানা চালিয়ে যেতে হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা মিলকারখানা, কনস্ট্রাকশন চালিয়ে যাচ্ছি। শ্রমিক-কর্মচারীদের সচেতন করেছি। তাঁরাও এখন সবকিছু মেনে কাজ করছেন।

আজকের পত্রিকা: আবাসন খাতের পরিস্থিতি কেমন?

আলমগীর শামসুল আলামীন: প্রথম দিকে যখন করোনা আসে, তখন ভাবছিলাম সব ধ্বংস হয়ে যাবে। ব্যবসা-বাণিজ্য আর টিকবে না। পরে প্রধানমন্ত্রী দ্রুততার সঙ্গে ব্যবসায়ীদের পাশে এসে দাঁড়ালেন। প্রণোদনা ঘোষণা করলেন। বাজেটে জমি ও ফ্ল্যাট নিবন্ধন ফি কমালেন। ব্যাংকঋণের সুদ কমানো হলো। করপোরেট কর কমল। লোটাকা আবাসনে বিনিয়োগের সুযোগ দিলেন। এতে আবাসন খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আমরা যে ধসের আশঙ্কা করেছিলাম, সেটা হয়নি। বলা যায়, আমরা টিকে গেছি। প্রধানমন্ত্রীর ত্বরিত এসব পদক্ষেপেই ব্যবসা রক্ষা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমরা ব্যবসায়ী সমাজ কৃতজ্ঞ।

আজকের পত্রিকা: বাজেটে আবাসন খাতে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ কতটা কাজে লেগেছে?

আলমগীর শামসুল আলামীন: বাজেটে আবাসন খাতে কালোটাকার সুযোগ বিশাল কাজে এসেছে। বিদায়ী অর্থবছরের ১০ মাসের যে তথ্য, তাতে দেখা যায় শুধু আবাসন খাতেই ৫ হাজার কোটি কালোটাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এ খাতটি চাঙা হয়েছে। এ সুযোগ নতুন অর্থবছরেও বহাল রয়েছে। আমরা মনে করি, এটা সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত যে জরিমানা ছাড়া আগের মতো মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে আবাসন খাতে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। এটা অব্যাহত রাখায় আমি মনে করি, এ খাতে বিপুল বিনিয়োগ হবে সামনের দিনগুলোতে। না হলে বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যেত। এখন দেশের টাকা দেশেই থাকবে, এটা সবার জন্যই ভালো।

আজকের পত্রিকা: সামনে কী চ্যালেঞ্জ দেখছেন?

আলমগীর শামসুল আলামীন: সামনে লকডাউনসহ করোনার প্রকোপ অব্যাহত থাকলে কিছু চ্যালেঞ্জ তো মোকাবিলা করতেই হবে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করব, কীভাবে করলে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল থাকবে, মানুষের জীবন-জীবিকা ধরে রাখা যাবে, এসব বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্বের অন্য দেশ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী পদক্ষেপে বাংলাদেশ ভালোভাবেই তা মোকাবিলা করেছে। আমরা আশা করি, সামনেও তিনি এমনভাবে দিকনির্দেশনা দেবেন, যাতে মানুষের জীবন-জীবিকা টিকে থাকে, ব্যবসা-বাণিজ্যও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা যায়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইতিহাস দরজায় কড়া নেড়ে বলছে, ১৯৭১ থেকে পাকিস্তান কি শেখেনি কিছুই

‘আমাদের মরদেহ বাড়িতে নিয়ো না’

কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের খামারবাড়ি অবরোধের ঘোষণা

মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মীর পিঠে পাড়া দিয়ে অটোরিকশায় শহর ঘোরাল ছাত্রদল, সঙ্গে উচ্চ স্বরে গান

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত