সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে ধারণ করা জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র একটি পর্বে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সাক্ষাৎকারে তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত অংশ আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
হানিফ সংকেত: ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাচীন নাট্য সমিতির সঙ্গে আপনার সম্পৃক্ততা ছিল। নাট্য নির্দেশক ও অভিনেতা হিসেবে আপনার কিছু উল্লেখযোগ্য স্মৃতি যদি বলতেন।
মির্জা ফখরুল: ঠাকুরগাঁওয়ে সংস্কৃতির ঐতিহ্য অনেক পুরোনো। এখানে একসময় তেভাগা আন্দোলন হয়েছিল, কৃষক বিদ্রোহ হয়েছিল। রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের অভিষেক উপলক্ষে এই নাট্য সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ঠাকুরগাঁওয়ে নাট্যচর্চা শুরু হয়েছিল তখন থেকে। ফনীন্দ্র ভূষণ পালিতের কথা না বললে অন্যায় হবে। উনি ছিলেন অসাধারণ সৃজনশীল মানুষ। নাটক ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রজীবন থেকে আমি নাটকের সঙ্গে জড়িত। এই ফনীন্দ্র পালিতের হাতেই আমার হাতেখড়ি।
হানিফ সংকেত: সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছাড়া আপনি শিক্ষকতাও করেছেন, পরে রাজনীতিতে এসেছেন। গুণী নাট্যজন, শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ—এই তিনটির মধ্যে কোনটি আপনার কাছে বেশি উপভোগ্য?
মির্জা ফখরুল: নিঃসন্দেহে সাংস্কৃতিক জগৎটাই সবচেয়ে বেশি উপভোগের। রাজনীতিতে সামগ্রিক যে পরিস্থিতি, তাতে ওই জায়গাটা আমাদের সময় ছিল অত্যন্ত চমৎকার, যেখানে আমরা তৃপ্তি পেতাম। ঠাকুরগাঁওয়ের ক্রীড়াজগতেও সব সময় আমি মাঠে থাকতাম। ক্রিকেটার এবং অর্গানাইজারও ছিলাম আমি।
হানিফ সংকেত: তখন একটা মেলবন্ধন ছিল সবার মধ্যে। এখন কি সেটি আছে?
মির্জা ফখরুল: এখন একেবারে সেটা চলে গেছে মনে হয়। আমি সময়টাকে বলি একটা নষ্ট সময়।
হানিফ সংকেত: শুনেছি, খ্যাতিমান চিত্রনায়ক রহমান আপনার মামাতো ভাই হন। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে আপনি অনেক নাটক করেছেন এবং আরেক অভিনেতা আনোয়ার হোসেনের সঙ্গেও অভিনয় করেছেন।
মির্জা ফখরুল: হ্যাঁ, চিত্রনায়ক রহমান আমার মামাতো ভাই হন। আনোয়ার হোসেন সাহেবের সঙ্গে অভিনয় করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। অভিনেত্রী আনোয়ারার সঙ্গেও অভিনয় করার সুযোগ হয়েছে। নাটক পরিচালনা করারও সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।
হানিফ সংকেত: একজন জনপ্রতিনিধির কী কী গুণ থাকা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
মির্জা ফখরুল: প্রথম গুণ, জনগণকে বোঝার ক্ষমতা থাকা উচিত। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, তাঁর একটি স্বপ্ন থাকা উচিত। তৃতীয়টি, সততা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়গুলো থাকলে একজন জনপ্রতিনিধি ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন।
হানিফ সংকেত: শুনেছি, আপনার আরও একটি বিশেষ গুণ রয়েছে, আপনি একজন আবৃত্তিশিল্পী। দর্শকদের জন্য কয়েকটি লাইন কি আবৃত্তি করে শোনানো যাবে?
মির্জা ফখরুল: অবশ্যই। (যদিও সন্ধ্যা আসিছে...অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা)।
হানিফ সংকেত: সবশেষে জানতে চাই, আপনি কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান?
মির্জা ফখরুল: আমি একটি পরিচ্ছন্ন, আনন্দময়, প্রেমময়, সৃষ্টিশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। গণতন্ত্র যদি আনতে পারেন, তাহলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমাদের স্বাধীনতা, কথা বলার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সব সময় সফল করতে হবে। তাহলেই সবকিছু করতে পারবেন।
হানিফ সংকেত: ইত্যাদির দর্শকদের জন্য যদি কিছু বলতেন।
মির্জা ফখরুল: ইত্যাদি আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি অনুষ্ঠান। আপনি কবে থেকে শুরু করেছেন এই অনুষ্ঠান? (হানিফ সংকেতের উত্তর: ১৯৮৯ সালে। ৩৭ বছর হতে চলল।) এই সময়টা আমি প্রায় চেষ্টা করি ইত্যাদি দেখার। সবচেয়ে বেশি দেখতাম যখন আমি জেলে ছিলাম। আপনি একজন সৃজনশীল, প্রজ্ঞাশীল মানুষ। মানুষকে বিনোদনের মাধ্যমে এডুকেট করার অসাধারণ ক্ষমতা আপনার আছে।
হানিফ সংকেত: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সময় দেওয়ার জন্য।
মির্জা ফখরুল: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, সুযোগ দেওয়ার জন্য। ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষজনকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
হানিফ সংকেত: ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাচীন নাট্য সমিতির সঙ্গে আপনার সম্পৃক্ততা ছিল। নাট্য নির্দেশক ও অভিনেতা হিসেবে আপনার কিছু উল্লেখযোগ্য স্মৃতি যদি বলতেন।
মির্জা ফখরুল: ঠাকুরগাঁওয়ে সংস্কৃতির ঐতিহ্য অনেক পুরোনো। এখানে একসময় তেভাগা আন্দোলন হয়েছিল, কৃষক বিদ্রোহ হয়েছিল। রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের অভিষেক উপলক্ষে এই নাট্য সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ঠাকুরগাঁওয়ে নাট্যচর্চা শুরু হয়েছিল তখন থেকে। ফনীন্দ্র ভূষণ পালিতের কথা না বললে অন্যায় হবে। উনি ছিলেন অসাধারণ সৃজনশীল মানুষ। নাটক ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রজীবন থেকে আমি নাটকের সঙ্গে জড়িত। এই ফনীন্দ্র পালিতের হাতেই আমার হাতেখড়ি।
হানিফ সংকেত: সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছাড়া আপনি শিক্ষকতাও করেছেন, পরে রাজনীতিতে এসেছেন। গুণী নাট্যজন, শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ—এই তিনটির মধ্যে কোনটি আপনার কাছে বেশি উপভোগ্য?
মির্জা ফখরুল: নিঃসন্দেহে সাংস্কৃতিক জগৎটাই সবচেয়ে বেশি উপভোগের। রাজনীতিতে সামগ্রিক যে পরিস্থিতি, তাতে ওই জায়গাটা আমাদের সময় ছিল অত্যন্ত চমৎকার, যেখানে আমরা তৃপ্তি পেতাম। ঠাকুরগাঁওয়ের ক্রীড়াজগতেও সব সময় আমি মাঠে থাকতাম। ক্রিকেটার এবং অর্গানাইজারও ছিলাম আমি।
হানিফ সংকেত: তখন একটা মেলবন্ধন ছিল সবার মধ্যে। এখন কি সেটি আছে?
মির্জা ফখরুল: এখন একেবারে সেটা চলে গেছে মনে হয়। আমি সময়টাকে বলি একটা নষ্ট সময়।
হানিফ সংকেত: শুনেছি, খ্যাতিমান চিত্রনায়ক রহমান আপনার মামাতো ভাই হন। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে আপনি অনেক নাটক করেছেন এবং আরেক অভিনেতা আনোয়ার হোসেনের সঙ্গেও অভিনয় করেছেন।
মির্জা ফখরুল: হ্যাঁ, চিত্রনায়ক রহমান আমার মামাতো ভাই হন। আনোয়ার হোসেন সাহেবের সঙ্গে অভিনয় করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। অভিনেত্রী আনোয়ারার সঙ্গেও অভিনয় করার সুযোগ হয়েছে। নাটক পরিচালনা করারও সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।
হানিফ সংকেত: একজন জনপ্রতিনিধির কী কী গুণ থাকা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
মির্জা ফখরুল: প্রথম গুণ, জনগণকে বোঝার ক্ষমতা থাকা উচিত। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, তাঁর একটি স্বপ্ন থাকা উচিত। তৃতীয়টি, সততা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়গুলো থাকলে একজন জনপ্রতিনিধি ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন।
হানিফ সংকেত: শুনেছি, আপনার আরও একটি বিশেষ গুণ রয়েছে, আপনি একজন আবৃত্তিশিল্পী। দর্শকদের জন্য কয়েকটি লাইন কি আবৃত্তি করে শোনানো যাবে?
মির্জা ফখরুল: অবশ্যই। (যদিও সন্ধ্যা আসিছে...অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা)।
হানিফ সংকেত: সবশেষে জানতে চাই, আপনি কেমন বাংলাদেশ দেখতে চান?
মির্জা ফখরুল: আমি একটি পরিচ্ছন্ন, আনন্দময়, প্রেমময়, সৃষ্টিশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। গণতন্ত্র যদি আনতে পারেন, তাহলে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমাদের স্বাধীনতা, কথা বলার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সব সময় সফল করতে হবে। তাহলেই সবকিছু করতে পারবেন।
হানিফ সংকেত: ইত্যাদির দর্শকদের জন্য যদি কিছু বলতেন।
মির্জা ফখরুল: ইত্যাদি আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি অনুষ্ঠান। আপনি কবে থেকে শুরু করেছেন এই অনুষ্ঠান? (হানিফ সংকেতের উত্তর: ১৯৮৯ সালে। ৩৭ বছর হতে চলল।) এই সময়টা আমি প্রায় চেষ্টা করি ইত্যাদি দেখার। সবচেয়ে বেশি দেখতাম যখন আমি জেলে ছিলাম। আপনি একজন সৃজনশীল, প্রজ্ঞাশীল মানুষ। মানুষকে বিনোদনের মাধ্যমে এডুকেট করার অসাধারণ ক্ষমতা আপনার আছে।
হানিফ সংকেত: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সময় দেওয়ার জন্য।
মির্জা ফখরুল: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, সুযোগ দেওয়ার জন্য। ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষজনকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।
সংস্কারের জন্য অনেকগুলো কমিশন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার। আজ বুধবার প্রতিবেদন দিচ্ছে তারা। কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন...
১৮ দিন আগেপ্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, সংস্কার ও বছরের শেষ নাগাদ বা আগামী বছরের প্রথমার্ধে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়ার কোনো ঘাটতি নেই। গত ২৯ ডিসেম্বর (২০২৪) ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় বাং
০৭ জানুয়ারি ২০২৫নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আন্তসীমান্ত জ্বালানি বাণিজ্য সবার জন্যই লাভজনক হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, দেশগুলোর মধ্যে জ্বালানি বিনিময় আরও গতিশীল হলেই বাজার পরিপক্ব হবে। তখন সবার জন্যই লাভজনক...
০২ জানুয়ারি ২০২৫সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ও পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। তিনি সার্ক পোভার্টি কমিশনের সদস্য এবং বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় পরামর্শক ছিলেন।
০২ জানুয়ারি ২০২৫