Ajker Patrika

মেয়ে নেই তবু আছে তার হৃৎকম্পন

মেয়ে নেই তবু আছে তার হৃৎকম্পন

যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ফোর্ট কলিন্স শহরেই বাবা-মায়ের আদরে বেড়ে উঠছিল অ্যারোরা মাস্টার্স। কিন্তু গত ৮ মে বাড়ির আঙিনায় খেলতে গিয়ে একটি দোলনার দড়িতে পেঁচিয়ে যায় তাঁর গলা। পরে তাকে উদ্ধার করে কলোরাডোর শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পাঁচ দিন পর গত ১৩ মে ওই হাসপাতালেই মারা যায় অ্যারোরা। 

মাত্র পাঁচ বছর বয়সী কন্যার মৃত্যুতে এখন শোকে বিহ্বল অ্যারোরার বাবা-মা। এই শোকের মধ্যেও তাঁদের সান্ত্বনা এই যে, কন্যা না থাকলেও তার হৃৎপিণ্ড এখনো রয়ে গেছে পৃথিবীতে এবং এটি এখনো সচল রয়েছে। মেয়ের হৃৎকম্পনকে তাই অনুভব করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। 

অ্যারোরার বাবা টম এবং মা ক্রিস্টাল মাস্টার্স এনবিসি অনুমোদিত একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মৃত্যুর পর মেয়ের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তাঁরা দান করে দিয়েছেন। তাঁরা চান—মেয়ে না থাকলেও তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গে অন্য কারও জীবন বাঁচুক। 
মা ক্রিস্টাল বলেন, ‘আমরা জানি, অ্যারোরার হৃৎপিণ্ড কোথাও না কোথাও এখনো ধুকপুক করছে।’ 

ক্রিস্টাল জানান, দুর্ঘটনার দিন ১৫ মিনিটের চেয়েও কম সময়ের জন্য বাড়ির আঙিনায় ছিল অ্যারোরা। কিন্তু এর মধ্যেই প্রতিবেশী একজন এসে তার দুর্ঘটনার খবর দেয়। পরে বাইরে গিয়ে দেখা যায়, দোলনার দড়িতে গলা পেঁচিয়ে ঝুলছে সে। 
ক্রিস্টাল বলেন, ‘আমি আমার মেয়ের জন্য গর্বিত। আমি আগেও তাকে নিয়ে গর্ব করতাম, এখনো সে একই অনুভূতি দিয়ে যাচ্ছে।’ 

দ্য পিপল জানিয়েছে, অ্যারোরার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ‘ডোনার অ্যালায়েন্স’ নামে একটি সংস্থাকে দান করা হয়েছে। এই সংস্থাটি অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত