অনলাইন ডেস্ক
নিউইয়র্ক শহরের ব্যস্ত রাস্তায় গত ক’দিন ধরে দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রমী এক দৃশ্য। ব্যস্ততম ম্যানহাটনের পথে পথে একটি বুনো টার্কি আপন মনে হাঁটছে, উড়ছে কিংবা ঘুরে বেড়াচ্ছে ছাদে ছাদে। এটি একটি নামও পেয়ে গেছে—অ্যাস্টোরিয়া। শহরের মানুষ অ্যাস্টোরিয়ার এমন সাহসিক অভিযানে এখন রীতিমতো অভিভূত।
অ্যাস্টোরিয়াকে প্রথম দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের এপ্রিলে নিউ ইয়র্কের কুইন্স অংশের লং আইল্যান্ড সিটিতে। এরপর গত বছরের মে মাসে এটি উড়ে আসে ম্যানহাটন অংশে। মাঝখানে কিছুদিন ইস্ট রিভারের রুজভেল্ট আইল্যান্ডে থাকলেও গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই আবার সে ম্যানহাটনে ফিরে এসেছে। এবার যেন কিছু একটার খোঁজে এসেছে সে।
কী খুঁজে বেড়াচ্ছে নিঃসঙ্গ অ্যাস্টোরিয়া—এই প্রশ্নটি এখন অনেকেরই মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। এক শিশু তো প্রশ্নটি করেই ফেলল—ও এখানে কী করছে?
জবাবে অ্যাস্টোরিয়ার দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষক স্টেলা হ্যামিলটন বললেন, ‘সে একজন প্রেমিক খুঁজছে।’ তারপর অ্যাস্টোরিয়ার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন স্টেলা আর বললেন, ‘ওহ সোনা, তুমি এখানে তাকে খুঁজে পাবে না। ওই গাছে উঠে যাও, নিরাপদে থেকো।’
অ্যাস্টোরিয়া কখনো ক্যামেরার সামনে নিজেকে মেলে ধরে, আবার কখনো হুট করে উধাও হয়ে যায়। পথচারীরা তাকে খাওয়াতে আনেন বাদাম, পানি, আরও কত কী। সে কখনো থাকে কোনো বাড়ির ছাদে, কখনো রাস্তায় হাঁটে, কখনো উড়ে গিয়ে গাছে বসে। এসব দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করছেন অনেকেই।
তবে এই অভিযানে বিপদও কম নয়। ডেভিড ব্যারেট নামে এক পাখি বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘অ্যাস্টোরিয়া যত দিন ম্যানহাটনে থাকবে, তত দিন সে ঝুঁকির মুখে। মানুষ যেন তাকে তাড়া না করে বা পুলিশ না ডাকে। কারণ কেউ তাকে ধরতে চাইলে সে ভয় পায় এবং ব্যস্ত রাস্তায় দৌড়ে চলে যেতে পারে।’
শুক্রবার সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—অস্টোরিয়াকে ইতিমধ্যেই একাধিকবার ধরার চেষ্টা করেছে নিউ ইয়র্কের পুলিশ। গত মঙ্গলবার একটি ব্যস্ত রাস্তায় তাকে দৌড়াতে দেখা গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘টার্কিটি উড়ে পালিয়েছে। কেউ আহত হয়নি।’
সারা চেরিসকিন নামে নিউ ইয়র্কের এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘আজকে পুরো রাস্তা বন্ধ করে পানি স্প্রে করে ওকে ধরার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কিন্তু ও উড়ে গাছে চলে যায়।’
মানুষেরা তাকে এক নজর দেখলে কেউ বলেছে—‘ওহ মাই গড, ওই তো সেই টার্কি!’ কেউ আবার খুশি হয়ে বলছে, ‘সাবধানে থেকো, মেয়ে।’
জানা গেছে, ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ম্যানহাটনেরই একটি পার্কের বাসিন্দা ছিল ‘জেল্ডা’ নামে আরেকটি বিখ্যাত বুনো টার্কি। অ্যাস্টোরিয়া যেন তারই উত্তরসূরি হয়ে উঠেছে। তবে সেই জেল্ডার জীবন শেষ হয়েছিল একটি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে।
পাখি বিশেষজ্ঞ ডেভিড ব্যারেট বলেন, ‘রুজভেল্ট আইল্যান্ডে অ্যাস্টোরিয়া পুরুষ টার্কির খোঁজে অনেক দূর দক্ষিণে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু ওখানে বা ম্যানহাটনে কোনো পুরুষ টার্কি নেই। এ যেন অনেকটা নিঃসঙ্গ নিউ ইয়র্কারদের গল্পের মতো—অনেক আশা, কিন্তু শেষে হতাশা।’
নিউইয়র্ক শহরের ব্যস্ত রাস্তায় গত ক’দিন ধরে দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রমী এক দৃশ্য। ব্যস্ততম ম্যানহাটনের পথে পথে একটি বুনো টার্কি আপন মনে হাঁটছে, উড়ছে কিংবা ঘুরে বেড়াচ্ছে ছাদে ছাদে। এটি একটি নামও পেয়ে গেছে—অ্যাস্টোরিয়া। শহরের মানুষ অ্যাস্টোরিয়ার এমন সাহসিক অভিযানে এখন রীতিমতো অভিভূত।
অ্যাস্টোরিয়াকে প্রথম দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের এপ্রিলে নিউ ইয়র্কের কুইন্স অংশের লং আইল্যান্ড সিটিতে। এরপর গত বছরের মে মাসে এটি উড়ে আসে ম্যানহাটন অংশে। মাঝখানে কিছুদিন ইস্ট রিভারের রুজভেল্ট আইল্যান্ডে থাকলেও গত সপ্তাহে হঠাৎ করেই আবার সে ম্যানহাটনে ফিরে এসেছে। এবার যেন কিছু একটার খোঁজে এসেছে সে।
কী খুঁজে বেড়াচ্ছে নিঃসঙ্গ অ্যাস্টোরিয়া—এই প্রশ্নটি এখন অনেকেরই মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। এক শিশু তো প্রশ্নটি করেই ফেলল—ও এখানে কী করছে?
জবাবে অ্যাস্টোরিয়ার দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষক স্টেলা হ্যামিলটন বললেন, ‘সে একজন প্রেমিক খুঁজছে।’ তারপর অ্যাস্টোরিয়ার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন স্টেলা আর বললেন, ‘ওহ সোনা, তুমি এখানে তাকে খুঁজে পাবে না। ওই গাছে উঠে যাও, নিরাপদে থেকো।’
অ্যাস্টোরিয়া কখনো ক্যামেরার সামনে নিজেকে মেলে ধরে, আবার কখনো হুট করে উধাও হয়ে যায়। পথচারীরা তাকে খাওয়াতে আনেন বাদাম, পানি, আরও কত কী। সে কখনো থাকে কোনো বাড়ির ছাদে, কখনো রাস্তায় হাঁটে, কখনো উড়ে গিয়ে গাছে বসে। এসব দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করছেন অনেকেই।
তবে এই অভিযানে বিপদও কম নয়। ডেভিড ব্যারেট নামে এক পাখি বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ‘অ্যাস্টোরিয়া যত দিন ম্যানহাটনে থাকবে, তত দিন সে ঝুঁকির মুখে। মানুষ যেন তাকে তাড়া না করে বা পুলিশ না ডাকে। কারণ কেউ তাকে ধরতে চাইলে সে ভয় পায় এবং ব্যস্ত রাস্তায় দৌড়ে চলে যেতে পারে।’
শুক্রবার সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—অস্টোরিয়াকে ইতিমধ্যেই একাধিকবার ধরার চেষ্টা করেছে নিউ ইয়র্কের পুলিশ। গত মঙ্গলবার একটি ব্যস্ত রাস্তায় তাকে দৌড়াতে দেখা গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘টার্কিটি উড়ে পালিয়েছে। কেউ আহত হয়নি।’
সারা চেরিসকিন নামে নিউ ইয়র্কের এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘আজকে পুরো রাস্তা বন্ধ করে পানি স্প্রে করে ওকে ধরার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কিন্তু ও উড়ে গাছে চলে যায়।’
মানুষেরা তাকে এক নজর দেখলে কেউ বলেছে—‘ওহ মাই গড, ওই তো সেই টার্কি!’ কেউ আবার খুশি হয়ে বলছে, ‘সাবধানে থেকো, মেয়ে।’
জানা গেছে, ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ম্যানহাটনেরই একটি পার্কের বাসিন্দা ছিল ‘জেল্ডা’ নামে আরেকটি বিখ্যাত বুনো টার্কি। অ্যাস্টোরিয়া যেন তারই উত্তরসূরি হয়ে উঠেছে। তবে সেই জেল্ডার জীবন শেষ হয়েছিল একটি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে।
পাখি বিশেষজ্ঞ ডেভিড ব্যারেট বলেন, ‘রুজভেল্ট আইল্যান্ডে অ্যাস্টোরিয়া পুরুষ টার্কির খোঁজে অনেক দূর দক্ষিণে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু ওখানে বা ম্যানহাটনে কোনো পুরুষ টার্কি নেই। এ যেন অনেকটা নিঃসঙ্গ নিউ ইয়র্কারদের গল্পের মতো—অনেক আশা, কিন্তু শেষে হতাশা।’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ বিষয়ে নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে বলেছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হিন্দু সংখ্যালঘুদের পদ্ধতিগত নিপীড়নের অংশ। আগের ঘটনাগুলোর অপরাধীরা শাস্তি ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছে।’
৩ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের কর্মকর্তারা ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানের সঙ্গে যেকোনো আলোচনায় তাদের ‘পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলতে হবে।’ আর এ জন্য প্রয়োজনে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক সীমিত পরিসরে হামলাও চালাতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেনয় বছর বয়সী মাহমুদ আজ্জুর। ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ভূখন্ড গাজার পুরোনো শহরের বাসিন্দা। একসময় বাজারে গিয়ে মায়ের জন্য সবজি কিনে আনত, খেলাধুলা করত, বন্ধুদের সঙ্গে হাসত। এখন সে হাত দুটো নেই। গত বছরের মার্চে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় মাহমুদের বাড়ি। বিস্ফোরণে মাহমুদ তার দুই হাত হারায়...
৪ ঘণ্টা আগেগাজার তরুণ ফটোসাংবাদিক ফাতেমা হাসসুনা জানতেন, মৃত্যু সব সময় তাঁর দরজায় ওত পেতে থাকে। গত ১৮ মাস ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলা, নিজের বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া, বিপুলসংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুতি এবং পরিবারের ১১ জন সদস্যের মৃত্যু নিজ হাতে নথিভুক্ত করেছেন তিনি। এই ঘটনাগুলো ক্যামেরাবন্দী করতে গিয়ে...
৪ ঘণ্টা আগে