Ajker Patrika

ভারতের ভ্রমণ সতর্কতাকে উড়িয়ে দিল কানাডা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০: ১৩
Thumbnail image

পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কারের পর নাগরিকদের ভারত ভ্রমণে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছিল কানাডা। বিপরীতে ভারতও তাদের নাগরিকদের কানাডা ভ্রমণে সতর্কতা জারি করে। এবার ভারতের ওই ভ্রমণ বিষয়ক সতর্কতার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কানাডা। 

আজ বৃহস্পতিবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে কানাডায় ভারতীয় নাগরিকদের ভ্রমণ বিষয়ক পরামর্শকে প্রত্যাখ্যান করেছে অটোয়া। দাবি করেছে—কানাডা পৃথিবীর অন্যতম নিরাপদ দেশ। 

কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মার্ক মিলার দেশটিতে অবস্থান করা এবং ভ্রমণরত ভারতীয় নাগরিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার ধারণা এটা সবাই জানেন যে, কানাডা একটি নিরাপদ দেশ।’ 

সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে মার্ক আরও বলেন, ‘আইনের শাসন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ না হলেও যে কোনো মানদণ্ডে কানাডা সবচেয়ে নিরাপদ।’ 

এ অবস্থায় ভারতের ভ্রমণ বিষয়ক সতর্কতার কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না অভিবাসন মন্ত্রী। 

একই ধরনের মত দিয়েছেন কানাডার আবাসন ও অবকাঠামো মন্ত্রী সিন ফ্রেজার। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি দেশ যা অভিবাসনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। যদি আদিবাসী না হয়ে থাকেন, তবে নিশ্চিতভাবেই আপনি অন্য কোনো অঞ্চল থেকে এখানে এসেছেন। এই মুহূর্তে আমি আপনাদের বলতে পারি, এখানে যাদের সঙ্গে কথা বলছি—তারা কেউই শিখ, হিন্দু বা মুসলিমের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন দেখতে চান না। তারা সবাই একসঙ্গে কানাডিয়ান হতে চান এবং সবচেয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও তারা শান্তির বার্তা দিতে চান।’ 

সম্প্রতি খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা নিহত হওয়ার ঘটনাটিকে একটি ট্র্যাজেডি আখ্যা দিয়ে ফ্রেজার বলেন, ‘অভিযোগগুলো খুব মারাত্মক। আমরা বিষয়টিকে সিরিয়াসলি গ্রহণ করেছি। আমরা কানাডীয়দের নিরাপত্তা ও মঙ্গলের জন্য সদা সতর্ক। বিদেশি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রেও কোনো হুমকি নেই, আমি জানি। তবে জননিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে, আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বসবাস করা কানাডিয়ান পরিবার কিংবা গত মাসেও যারা এ দেশে এসেছেন—সব সময় তাদের নিরাপত্তা ও মঙ্গল চাই।’ 

কানাডার মাটিতে খালিস্তানপন্থী শিখ আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার জের ধরে সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায় দেশটির। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করেন এবং দেশটিতে অবস্থান করা ভারতীয় গোয়েন্দা স্টেশনের প্রধানকে বহিষ্কার করে অটোয়া। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ট্রুডোর অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দেয় এবং ইটের বদলে পাটকেল হিসেবে কানাডার কূটনীতিক বহিষ্কার করে দিল্লি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত