অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে তরুণ ও মধ্যবয়সীদের অকাল মৃত্যুহার অনেক বেশি। দেশটিতে বন্দুক সহিংসতা, মাদকের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার অনেক বেশি। স্থূলতার হার ইউরোপের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে তরুণদের জন্য একটি ‘ধনী মৃত্যুফাঁদ’ বলা হয়ে থাকে।
তবে সম্প্রতি, তেমন কোনো বড় প্রচারণা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্য সূচকে কিছু ভালো খবর উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের মে মাসে দেশটির সরকার জানিয়েছে, ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মাদকজনিত অতিরিক্ত মৃত্যুহার ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা এই শতাব্দীর মাদক সংকটে একটি বিরল সাফল্য।
জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্র্যাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানায়, যানবাহনের সার্বিক চলাচল বাড়লেও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে। সেপ্টেম্বরে স্থূলতার হারও কমার খবর পাওয়া গেছে। একই মাসে, এফবিআই জানিয়েছে, সারা দেশে খুনের হার দুই অঙ্কে হ্রাস পেয়েছে।
এ ধরনের একসঙ্গে চারটি সূচকের উন্নতি ২১ শতকে এই প্রথম। তবে এসব উন্নতি সামগ্রিক মৃত্যুহারকে পুরোপুরি কমিয়ে আনতে পারেনি। তবুও, অগ্রগতি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বর্তমান পরিস্থিতি নয়, বরং গন্তব্যের দিকটিও গুরুত্বপূর্ণ। এদিক থেকে ২০২৪ সালটি মার্কিন স্বাস্থ্যখাতে কয়েক দশকের মধ্যে সেরা বছর হতে পারে।
মাদকজনিত মৃত্যুহার কমার পেছনে কী কারণ?
মাদকজনিত মৃত্যুহার কমা সবচেয়ে চমকপ্রদ খবর হলেও এর কারণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চার্লস ফেইন লেহম্যান মনে করেন, মাদকাসক্তদের চিকিৎসা এবং ওপিয়েড বিরোধী নারকান ওষুধের সহজলভ্যতা এই হ্রাসে ভূমিকা রেখেছে। তবে এর প্রভাব সীমিত হতে পারে। তার মতে, মাদক সংক্রান্ত মৃত্যুহারের এই হ্রাস আমেরিকার পূর্বাঞ্চলে বেশি, যেখানে মাদক সংকট শুরু হয়েছিল। এটি ইঙ্গিত দেয় যে হয়তো মাদক স্রোত নিজেই কমে এসেছে।
কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, মহামারির সময়ে অতিরিক্ত মৃত্যুহারের কারণে এখন মাদকজনিত মৃত্যুহার কমছে। আবার, সীমান্তে মাদক চোরাচালানের কম নিয়ন্ত্রণের কারণে কার্টেলগুলো অপেক্ষাকৃত দুর্বল ফেন্টানিল সরবরাহ করেছে বলেও একটি তত্ত্ব রয়েছে।
স্থূলতা এবং অপরাধের হার কমার সম্ভাবনা
এ বছর সিডিসি জানিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্থূলতার হার ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৪০ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ক্ষুধা কমাতে সক্ষম জিএলপি-১ ওষুধ স্থূলতার হার কমাতে ভূমিকা রাখছে। তবে, স্থূলতার হার ভবিষ্যতে আবার বাড়বে কি না, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
খুনের হার হ্রাস পাওয়ার কারণেও অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মহামারি-পরবর্তী সময়ে যুবকদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসা সহিংসতা কমাতে ভূমিকা রেখেছে।
সরকারি নীতিমালা ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
জননিরাপত্তায় খরচ বৃদ্ধির কারণে অপরাধ ও সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে বলে মনে করেন অনেকে। জো বাইডেনের আমেরিকান রেসকিউ প্ল্যানের অর্থায়নে স্থানীয় সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি এ ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যখাতে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে প্রযুক্তি বনাম জীবনযাপনের প্রভাব। প্রযুক্তি আশাবাদীরা যেমন এলন মাস্ক ওষুধের সহজলভ্যতায় জোর দিচ্ছেন, অন্যদিকে রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র জীবনযাত্রার পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।
আয়ু শুধু জীবনের মান ও স্বাস্থ্যসেবার ওপর নয়, আচরণের ওরপরও নির্ভর করে। তাই সঠিক কারণগুলো চিহ্নিত করে কার্যকর নীতিমালা গ্রহণ এবং সাম্প্রতিক সাফল্যের কারণগুলো বিশ্লেষণ করা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি আমেরিকানদের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে টেকসই পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে।
অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে তরুণ ও মধ্যবয়সীদের অকাল মৃত্যুহার অনেক বেশি। দেশটিতে বন্দুক সহিংসতা, মাদকের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার অনেক বেশি। স্থূলতার হার ইউরোপের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে তরুণদের জন্য একটি ‘ধনী মৃত্যুফাঁদ’ বলা হয়ে থাকে।
তবে সম্প্রতি, তেমন কোনো বড় প্রচারণা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্য সূচকে কিছু ভালো খবর উঠে এসেছে। ২০২৪ সালের মে মাসে দেশটির সরকার জানিয়েছে, ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মাদকজনিত অতিরিক্ত মৃত্যুহার ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা এই শতাব্দীর মাদক সংকটে একটি বিরল সাফল্য।
জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্র্যাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানায়, যানবাহনের সার্বিক চলাচল বাড়লেও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে। সেপ্টেম্বরে স্থূলতার হারও কমার খবর পাওয়া গেছে। একই মাসে, এফবিআই জানিয়েছে, সারা দেশে খুনের হার দুই অঙ্কে হ্রাস পেয়েছে।
এ ধরনের একসঙ্গে চারটি সূচকের উন্নতি ২১ শতকে এই প্রথম। তবে এসব উন্নতি সামগ্রিক মৃত্যুহারকে পুরোপুরি কমিয়ে আনতে পারেনি। তবুও, অগ্রগতি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বর্তমান পরিস্থিতি নয়, বরং গন্তব্যের দিকটিও গুরুত্বপূর্ণ। এদিক থেকে ২০২৪ সালটি মার্কিন স্বাস্থ্যখাতে কয়েক দশকের মধ্যে সেরা বছর হতে পারে।
মাদকজনিত মৃত্যুহার কমার পেছনে কী কারণ?
মাদকজনিত মৃত্যুহার কমা সবচেয়ে চমকপ্রদ খবর হলেও এর কারণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চার্লস ফেইন লেহম্যান মনে করেন, মাদকাসক্তদের চিকিৎসা এবং ওপিয়েড বিরোধী নারকান ওষুধের সহজলভ্যতা এই হ্রাসে ভূমিকা রেখেছে। তবে এর প্রভাব সীমিত হতে পারে। তার মতে, মাদক সংক্রান্ত মৃত্যুহারের এই হ্রাস আমেরিকার পূর্বাঞ্চলে বেশি, যেখানে মাদক সংকট শুরু হয়েছিল। এটি ইঙ্গিত দেয় যে হয়তো মাদক স্রোত নিজেই কমে এসেছে।
কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, মহামারির সময়ে অতিরিক্ত মৃত্যুহারের কারণে এখন মাদকজনিত মৃত্যুহার কমছে। আবার, সীমান্তে মাদক চোরাচালানের কম নিয়ন্ত্রণের কারণে কার্টেলগুলো অপেক্ষাকৃত দুর্বল ফেন্টানিল সরবরাহ করেছে বলেও একটি তত্ত্ব রয়েছে।
স্থূলতা এবং অপরাধের হার কমার সম্ভাবনা
এ বছর সিডিসি জানিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্থূলতার হার ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৪০ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ক্ষুধা কমাতে সক্ষম জিএলপি-১ ওষুধ স্থূলতার হার কমাতে ভূমিকা রাখছে। তবে, স্থূলতার হার ভবিষ্যতে আবার বাড়বে কি না, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
খুনের হার হ্রাস পাওয়ার কারণেও অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মহামারি-পরবর্তী সময়ে যুবকদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসা সহিংসতা কমাতে ভূমিকা রেখেছে।
সরকারি নীতিমালা ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
জননিরাপত্তায় খরচ বৃদ্ধির কারণে অপরাধ ও সড়ক দুর্ঘটনা কমেছে বলে মনে করেন অনেকে। জো বাইডেনের আমেরিকান রেসকিউ প্ল্যানের অর্থায়নে স্থানীয় সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি এ ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যখাতে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে প্রযুক্তি বনাম জীবনযাপনের প্রভাব। প্রযুক্তি আশাবাদীরা যেমন এলন মাস্ক ওষুধের সহজলভ্যতায় জোর দিচ্ছেন, অন্যদিকে রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র জীবনযাত্রার পরিবর্তনের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন।
আয়ু শুধু জীবনের মান ও স্বাস্থ্যসেবার ওপর নয়, আচরণের ওরপরও নির্ভর করে। তাই সঠিক কারণগুলো চিহ্নিত করে কার্যকর নীতিমালা গ্রহণ এবং সাম্প্রতিক সাফল্যের কারণগুলো বিশ্লেষণ করা জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এটি আমেরিকানদের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে টেকসই পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে।
অবৈধ অভিবাসী আটকে দেশজুড়ে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে মালয়েশিয়া। গত বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে ২২ হাজার অবৈধ অভিবাসী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম নিউ স্ট্রেট টাইমসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আটক অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ১৬৫ জ
৭ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্ক শহরের ব্যস্ত রাস্তায় গত ক’দিন ধরে দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রমী এক দৃশ্য। ব্যস্ততম ম্যানহাটনের পথে পথে একটি বুনো টার্কি আপন মনে হাঁটছে, উড়ছে কিংবা ঘুরে বেড়াচ্ছে ছাদে ছাদে। এটি একটি নামও পেয়ে গেছে—অ্যাস্টোরিয়া। শহরের মানুষ অ্যাস্টোরিয়ার এমন সাহসিক অভিযানে এখন রীতিমতো অভিভূত।
৮ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের করাচিতে সংখ্যালঘু আহমদিয়া সম্প্রদায়ের এক সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করেছে উগ্র ইসলামপন্থীরা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ শুক্রবার করাচির একটি মোবাইল মার্কেটের কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে উগ্রপন্থীরা এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি উপাসনালয় ঘেরাও করে।
৮ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা নেভাদা পর্বতমালার নিচে পৃথিবীর ভূত্বক যে ধীরে ধীরে খসে পড়ছে বা খোসা ছাড়াচ্ছে, তার বিরল ও শক্তিশালী প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ৪০ বছরের ভূমিকম্পের রেকর্ড ঘাঁটতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে আনেন ভূকম্পবিদ ডেবোরাহ কিলব।
৯ ঘণ্টা আগে