মাত্র দুদিন আগেই হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরই মধ্যে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হলো, ইসরায়েলের কাছে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ ৭০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসকে এ পরিকল্পনা জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি প্রায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চলমান। এর মধ্যে ট্রাম্প গাজাবাসীদের স্থানান্তরিত করে সেখানে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই প্রস্তাবের প্রশংসা করেছেন নেতানিয়াহু। এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যে এই এমন বিশাল অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা ঘোষণা করা হলো।
ট্রাম্প ইসরায়েলের অস্ত্রভান্ডার শক্তিশালী করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। গত মাসে তিনি ইসরায়েলকে ২ হাজার পাউন্ডের বোমা পাঠানোর ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটি তুলে নেন। গাজার রাফাহ শহরের ওপর এসব বোমা বর্ষণ হতে পারে সেই আশঙ্কা থেকে বাইডেন প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি ইসরায়েলকে এগুলো পাঠিয়েছি কারণ তারা এগুলোর জন্য অর্থ ব্যয় করেছিল। তারা এগুলোর অপেক্ষায় ছিল।’
স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, গত শুক্রবার কংগ্রেসে দুটি পৃথক অস্ত্র বিক্রির চুক্তি পাঠানো হয়েছে। একটি ৬৭৫ কোটি ডলারের, যেটিতে বিভিন্ন ধরনের গুলি, গাইডেন্স কিট এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ১৬৬টি ছোট ডায়ামিটার বোমা, ২ হাজার ৮০০টি ৫০০ পাউন্ড বোমা, হাজার হাজার গাইডেন্স কিট, ফিউজ, অন্যান্য বোমার কাঁচামাল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রয়েছে। চলতি বছর থেকেই এসব ইসরায়েলের হাতে যাবে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
অন্য অস্ত্র প্যাকেজে রয়েছে, ৩ হাজার হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম। যার আনুমানিক মূল্য ৬৬০ মিলিয়ন ডলার। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ২০২৮ সাল থেকে সরবরাহ করা শুরু হবে। এগুলো ব্যবহার করতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে সীমান্ত পেরিয়ে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। পাশাপাশি তারা আরও ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এই ঘটনার জের ধরে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। এতে গাজায় নিখোঁজসহ মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার।
গাজার জনসংখ্যার বেশির ভাগ মানুষ বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে ৭০ ভাগের বেশি বাড়ি-ঘর। সেখানে স্বাস্থ্যসেবা, পানি, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং খাবার, জ্বালানি, ওষুধ ও আশ্রয়ের সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের সময় গাজার দীর্ঘমেয়াদি দখল ও পুনর্গঠন পরিকল্পনা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ গড়ে তুলতে বেশির ভাগ ফিলিস্তিনিকে জর্ডান, মিসর ও অন্যান্য দেশে পুনর্বাসন করা হবে।
ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা দখলে নিয়ে সেখানে বসবাসরত ২১ লাখ ফিলিস্তিনিকে অন্যত্র পুনর্বাসন করবে। এর সমর্থনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সেনাবাহিনীকে এমন একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন গাজার যে কোনো বাসিন্দা চাইলে অন্য দেশে চলে যেতে পারেন। তাঁকে যে কোনো স্বেচ্ছাসেবী দেশ গ্রহণ করতে পারে। পরিকল্পনাটিতে স্থলপথে সীমান্ত পারাপার, সমুদ্রপথ ও আকাশপথে গাজাবাসীদের অন্য দেশে স্থানান্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, গাজার মানুষের চলাফেরার স্বাধীনতা এবং অভিবাসনের সুযোগ থাকা উচিত। যারা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের সমালোচনা করছে, তারা গাজার বাসিন্দাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য।
মাত্র দুদিন আগেই হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরই মধ্যে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হলো, ইসরায়েলের কাছে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ ৭০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসকে এ পরিকল্পনা জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি প্রায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চলমান। এর মধ্যে ট্রাম্প গাজাবাসীদের স্থানান্তরিত করে সেখানে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই প্রস্তাবের প্রশংসা করেছেন নেতানিয়াহু। এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যে এই এমন বিশাল অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা ঘোষণা করা হলো।
ট্রাম্প ইসরায়েলের অস্ত্রভান্ডার শক্তিশালী করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। গত মাসে তিনি ইসরায়েলকে ২ হাজার পাউন্ডের বোমা পাঠানোর ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটি তুলে নেন। গাজার রাফাহ শহরের ওপর এসব বোমা বর্ষণ হতে পারে সেই আশঙ্কা থেকে বাইডেন প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি ইসরায়েলকে এগুলো পাঠিয়েছি কারণ তারা এগুলোর জন্য অর্থ ব্যয় করেছিল। তারা এগুলোর অপেক্ষায় ছিল।’
স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, গত শুক্রবার কংগ্রেসে দুটি পৃথক অস্ত্র বিক্রির চুক্তি পাঠানো হয়েছে। একটি ৬৭৫ কোটি ডলারের, যেটিতে বিভিন্ন ধরনের গুলি, গাইডেন্স কিট এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ১৬৬টি ছোট ডায়ামিটার বোমা, ২ হাজার ৮০০টি ৫০০ পাউন্ড বোমা, হাজার হাজার গাইডেন্স কিট, ফিউজ, অন্যান্য বোমার কাঁচামাল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রয়েছে। চলতি বছর থেকেই এসব ইসরায়েলের হাতে যাবে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
অন্য অস্ত্র প্যাকেজে রয়েছে, ৩ হাজার হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম। যার আনুমানিক মূল্য ৬৬০ মিলিয়ন ডলার। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ২০২৮ সাল থেকে সরবরাহ করা শুরু হবে। এগুলো ব্যবহার করতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে সীমান্ত পেরিয়ে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। পাশাপাশি তারা আরও ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এই ঘটনার জের ধরে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। এতে গাজায় নিখোঁজসহ মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার।
গাজার জনসংখ্যার বেশির ভাগ মানুষ বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ধ্বংস হয়ে গেছে ৭০ ভাগের বেশি বাড়ি-ঘর। সেখানে স্বাস্থ্যসেবা, পানি, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং খাবার, জ্বালানি, ওষুধ ও আশ্রয়ের সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের সময় গাজার দীর্ঘমেয়াদি দখল ও পুনর্গঠন পরিকল্পনা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ গড়ে তুলতে বেশির ভাগ ফিলিস্তিনিকে জর্ডান, মিসর ও অন্যান্য দেশে পুনর্বাসন করা হবে।
ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজা দখলে নিয়ে সেখানে বসবাসরত ২১ লাখ ফিলিস্তিনিকে অন্যত্র পুনর্বাসন করবে। এর সমর্থনে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ সেনাবাহিনীকে এমন একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন গাজার যে কোনো বাসিন্দা চাইলে অন্য দেশে চলে যেতে পারেন। তাঁকে যে কোনো স্বেচ্ছাসেবী দেশ গ্রহণ করতে পারে। পরিকল্পনাটিতে স্থলপথে সীমান্ত পারাপার, সমুদ্রপথ ও আকাশপথে গাজাবাসীদের অন্য দেশে স্থানান্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি বলেন, গাজার মানুষের চলাফেরার স্বাধীনতা এবং অভিবাসনের সুযোগ থাকা উচিত। যারা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের সমালোচনা করছে, তারা গাজার বাসিন্দাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেটা থুনবার্গের গাজা অভিমুখী জাহাজ ম্যাডলিন উপত্যকাটিতে পৌঁছাবে। জাহাজের যাত্রী ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ফরাসি-ফিলিস্তিনি সদস্য রিমা হাসান সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে এ তথ্য।
২৬ মিনিট আগেএবার নির্বাচনী সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হলেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিগুয়েল উরিবে তুরবাই। পরপর তিনবার গুলি করা হয় তাঁকে। এর মধ্যে দুটি বুলেটই তাঁর মাথায় লেগেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আর অন্যটি লেগেছে হাঁটুতে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ ঘটনায় ১৫ বছর বয়সী এক
১ ঘণ্টা আগেট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে দুদিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস। বিক্ষোভ দমনে শহরটিতে ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বিশৃঙ্খলা দমনে এই গার্ডদের মোতায়েন করা
৩ ঘণ্টা আগেগাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলার পর এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের খুঁজে বের করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে। অনেক মরদেহ উদ্ধার হতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। এদিকে গাজার সিভিল ডিফেন্স এই হামলাকে ‘পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা’ বলে অভিহিত
৩ ঘণ্টা আগে