ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চেয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ব্রাজিলের উত্থাপিত প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় অবাধে মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য এই প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য রাষ্ট্র ভোট দিলেও তা ভেটোর কারণে বাতিল হয়। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইসরাইলের জন্য অস্বস্তিকর কোনো প্রস্তাব জাতিসংঘে পাস হতে দেয়নি।
এর আগে যুদ্ধবিরতি চেয়ে রাশিয়ার প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে খারিজ হয়ে যায়। গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টার কারণে গত কয়েক দিনে ব্রাজিলের আনা খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি অন্তত দুবার পিছিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ১২ সদস্য রাষ্ট্র ভোট দিয়েছে। রাশিয়া ও যুক্তরাজ্য ভোটদান থেকে বিরত ছিল।
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড ভোটের পর ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, ‘আমরা কূটনৈতিকভাবে কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা বিশ্বাস করি, সেই কূটনীতিকে কার্যকর হওয়ার সুযোগ দেওয়া দরকার।’
তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ, খসড়া প্রস্তাবটি গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই এ নিয়ে কথা বলতে হবে। কিন্তু আমরা যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করব, সেগুলো অবশ্যই সংঘাতস্থল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের পদক্ষেপগুলো দ্বারা প্রত্যক্ষ কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকেও সমর্থন দিতে হবে, যা মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে। নিরাপত্তা পরিষদকে এ বিষয়গুলোও ঠিক রাখতে হবে।’
ওয়াশিংটন ঐতিহাসিকভাবেই তার মিত্র ইসরায়েলকে নিরাপত্তা পরিষদের যেকোনো পদক্ষেপ থেকে রক্ষা করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, ‘আমরা আবারও আমাদের আমেরিকান সহকর্মীদের ভণ্ডামি ও দ্বিচারিতা প্রত্যক্ষ করলাম।’
গত বুধবার গাজায় জিম্মিদের মুক্তি ও মানবিক সহায়তা প্রবেশাধিকারের জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সোমবার রাশিয়ার তোলা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে ব্যর্থ হলো ব্রাজিলের প্রচেষ্টা।
ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য—ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্র—পরিষদে তোলা যে কোনো প্রস্তাব বাতিল করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইসরাইলের জন্য অস্বস্তিকর কোনো প্রস্তাব জাতিসংঘে পাস হতে দেয়নি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া এখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় সংঘাতের ওপর একটি বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের চেষ্টা করছে। ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সাধারণ পরিষদে ভোটের জন্য খসড়া প্রস্তাব তোলা হতে পারে। উল্লেখ্য, সেখানে কারও ভেটো বা প্রস্তাব আটকে দেওয়ার ক্ষমতা নেই।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক শান্তিদূত টর ওয়েনেসল্যান্ড নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ‘এই (ইসরায়েল-হামাস) সংঘাত ছড়িয়ে যাওয়ার অত্যন্ত বাস্তব ও বিপজ্জনক ঝুঁকি রয়েছে। এক অতল গহ্বরের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি আমরা। পুরো মধ্যপ্রাচ্য না হলেও এই সংঘাতে পাল্টে যেতে পারে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের গতিপথ।’
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চেয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ব্রাজিলের উত্থাপিত প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের হামলায় বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় অবাধে মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য এই প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য রাষ্ট্র ভোট দিলেও তা ভেটোর কারণে বাতিল হয়। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইসরাইলের জন্য অস্বস্তিকর কোনো প্রস্তাব জাতিসংঘে পাস হতে দেয়নি।
এর আগে যুদ্ধবিরতি চেয়ে রাশিয়ার প্রস্তাব সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে খারিজ হয়ে যায়। গাজা উপত্যকায় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টার কারণে গত কয়েক দিনে ব্রাজিলের আনা খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি অন্তত দুবার পিছিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ১২ সদস্য রাষ্ট্র ভোট দিয়েছে। রাশিয়া ও যুক্তরাজ্য ভোটদান থেকে বিরত ছিল।
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড ভোটের পর ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, ‘আমরা কূটনৈতিকভাবে কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা বিশ্বাস করি, সেই কূটনীতিকে কার্যকর হওয়ার সুযোগ দেওয়া দরকার।’
তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ, খসড়া প্রস্তাবটি গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, নিরাপত্তা পরিষদকে অবশ্যই এ নিয়ে কথা বলতে হবে। কিন্তু আমরা যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করব, সেগুলো অবশ্যই সংঘাতস্থল থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের পদক্ষেপগুলো দ্বারা প্রত্যক্ষ কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকেও সমর্থন দিতে হবে, যা মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে। নিরাপত্তা পরিষদকে এ বিষয়গুলোও ঠিক রাখতে হবে।’
ওয়াশিংটন ঐতিহাসিকভাবেই তার মিত্র ইসরায়েলকে নিরাপত্তা পরিষদের যেকোনো পদক্ষেপ থেকে রক্ষা করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, ‘আমরা আবারও আমাদের আমেরিকান সহকর্মীদের ভণ্ডামি ও দ্বিচারিতা প্রত্যক্ষ করলাম।’
গত বুধবার গাজায় জিম্মিদের মুক্তি ও মানবিক সহায়তা প্রবেশাধিকারের জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সোমবার রাশিয়ার তোলা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে ব্যর্থ হলো ব্রাজিলের প্রচেষ্টা।
ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য—ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্র—পরিষদে তোলা যে কোনো প্রস্তাব বাতিল করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত ইসরাইলের জন্য অস্বস্তিকর কোনো প্রস্তাব জাতিসংঘে পাস হতে দেয়নি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া এখন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় সংঘাতের ওপর একটি বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের চেষ্টা করছে। ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সাধারণ পরিষদে ভোটের জন্য খসড়া প্রস্তাব তোলা হতে পারে। উল্লেখ্য, সেখানে কারও ভেটো বা প্রস্তাব আটকে দেওয়ার ক্ষমতা নেই।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক শান্তিদূত টর ওয়েনেসল্যান্ড নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ‘এই (ইসরায়েল-হামাস) সংঘাত ছড়িয়ে যাওয়ার অত্যন্ত বাস্তব ও বিপজ্জনক ঝুঁকি রয়েছে। এক অতল গহ্বরের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি আমরা। পুরো মধ্যপ্রাচ্য না হলেও এই সংঘাতে পাল্টে যেতে পারে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের গতিপথ।’
সনি ওলুমাটি জন্মেছেন ইতালির রোমে। সেখানেই বড় হয়েছেন। কিন্তু আজও তাঁকে ইতালিয়ান নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ৩৯ বছর বয়সী এই নৃত্যশিল্পী ও অধিকারকর্মী পাসপোর্ট অনুযায়ী একজন নাইজেরিয়ান। ইতালিতে তাঁর বসবাসের অধিকার নির্ভর করে বারবার নবায়ন করা রেসিডেন্স পারমিটের ওপর।
১৫ মিনিট আগেভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা থামাতে বৈশ্বিক শক্তিগুলোর ‘হস্তক্ষেপ’ চেয়েছে পাকিস্তান। রোববার (৮ জুন) পাকিস্তানের একটি উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক দল লন্ডনে পৌঁছেছে। সেখানে ভারতের সঙ্গে চলমান ইস্যুতে, বিশেষত—সিন্ধু পানি চুক্তি ও সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে প্রতিনিধিদলটি তাদের অবস্থান তুলে ধরেছে।
৩৮ মিনিট আগেঠান্ডা মৌসুমে সাধারণত শীতনিদ্রায় যায় বিষাক্ত সাপ। ঋতু বদলের পর যখন আবারও উষ্ণ হয়ে ওঠে প্রকৃতি তখনই এরা নতুন শিকারের সন্ধানে গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে। কিন্তু প্রকৃতির এই চিরাচরিত হিসেবটিও যেন বদলে যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেনতুন আইন অনুযায়ী, পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং আইএসআইসহ সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা আদালতে হাজির না করেই ৯০ দিন পর্যন্ত যে কাউকে আটক করতে পারবে। এটি শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে করা যাবে এবং এর জন্য বিচারিক তদারকি বা প্রক্রিয়ার কোনো প্রয়োজন হবে না।
২ ঘণ্টা আগে